গোয়েন্দা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১৩ নং লাইন:
 
== প্রেক্ষাপট ==
কিছু কিছু পুলিশ অধিদপ্তরে 'গোয়েন্দা' পদে সরাসরি লোক নিয়োগ করা হয় না। গোয়েন্দাকে ঐ পদে নিয়োগের জন্যে নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হয়। তন্মধ্যে লিখিত পরীক্ষা একটি অন্যতম মানদণ্ড। পুলিশ কর্মকর্তাকে এ যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমেই কেবল গোয়েন্দা পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
 
ব্রিটিশ আইন অনুসারে, পুলিশ গোয়েন্দাকে কমপক্ষে দু'বছর পোষাকধারী বা উর্দি পরিহিত কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী করতে হয়। এরফলে তিনি 'অপরাধী তদন্ত অধিদপ্তরে' যোগদানের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করেন। গোয়েন্দা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবার জন্য [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] পুলিশবাহিনীতে চাকুরীর পাশাপাশি অপরাধ তদন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনার অধীনে 'জাতীয় তদন্ত পরীক্ষায়' অবশ্যই কৃতকার্য হতে হয়।
 
অনেক পুলিশ অধিদপ্তরে গোয়েন্দা হিসেবে [[স্নাতক]] উত্তীর্ণ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পোষাকবিহীন অবস্থায় সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়। অনেকের মতে, গোয়েন্দারা সম্পূর্ণ পৃথক ধরণের চাকুরী করেন ও পৃথক ধরণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। গোয়েন্দাদের মাঝে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধরণের গুণাবলী, সক্ষমতা, যোগ্যতার অধিকারী হতে হয় যা পোষাক বা উর্দিধারী পুলিশ কর্মকর্তাদের চেয়ে পৃথক।
 
অপরদিকে সমালোচকেরা বলেন যে, কোনরূপ পূর্ব অভিজ্ঞতা বা পুলিশ বিভাগে চাকুরী না করে একজন গোয়েন্দা সম্পূর্ণরূপে সফলকাম হতে পারেন না। বরঞ্চ আদর্শ পুলিশী কার্যক্রমে তাদের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টিসহ নানাবিধ সমস্যা তৈরী হয়। পোষাক পরিহিত পুলিশ সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে গিয়ে তারা কাজের পরিবেশকে আরো কঠিন ও দুরূহ করে তোলেন।
২৮ নং লাইন:
{{মূল|গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তালিকা}}
 
প্রশিক্ষিত গোয়েন্দাদেরকে একত্রিত করে গঠিত 'গোয়েন্দা শাখা' আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সামরিক বাহিনী কিংবা পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা। আভ্যন্তরীণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এ শাখার ভূমিকা অপরিসীম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য দল কিংবা বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাসম্পন্ন শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে গোয়েন্দা শাখাকে।
 
লুক্কায়িত, অমিমাংসিত বা গোপনীয় অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে গোয়েন্দা শাখাকে বিশেষায়িত করে অনেকগুলো স্তরে বিভাজন করা হয়। সেগুলো হলো - নরহত্যা; দস্যুতা বা ডাকাতি; সংগঠিত অপরাধ; নিখোঁজ; প্রতারণা; মাদকদ্রব্য; যৌন হয়রানী; কম্পিউটার অপরাধ; অভ্যন্তরীণ সহিংসতা; নজরদারী ইত্যাদি।
৩৭ নং লাইন:
== কার্যধারা ==
=== মাঠ পর্যায়ে ===
গোয়েন্দা কার্য পরিচালনার জন্য একজন গোয়েন্দাকে বিভিন্ন ধরণের ব্যাপক ও বিস্তৃত চিন্তাধারার অধিকারী হতে হয়। নিত্য-নতুন কলা-কৌশল, ছলনার আশ্রয় গ্রহণ করতে হয় তাকে। এছাড়াও, অধিকাংশ মামলা কার্য সম্পূর্ণকরণের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তদন্তকার্য ও প্রত্যক্ষদর্শী বা স্বাক্ষীদের উপযুক্ত স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদির উপর নির্ভর করতে হয়, যা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তদন্তকার্য পরিচালনার পাশাপাশি যদি গোয়েন্দা কার্যক্রমে চরদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা হয়, তাহলে অতি দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর। চরগণ ব্যক্তির সাথে নিরবিচ্ছিন্ন কিংবা মাঝে মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন। গোয়েন্দারা পরবর্তীতে চরদের কাছ তাঁদের মধ্যকার কথাবার্তা থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে জানেন ও তথ্য সংগ্রহ করেন; কিন্তু তিনি তা কোথাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন না। পরবর্তীতে গোয়েন্দারা পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ এবং তথ্য সংরক্ষণের উপরই সম্ভাব্য ব্যক্তি বা ইপ্সিত বস্তুর অবস্থান নিশ্চিত করেন।
 
ফৌজদারী তদন্তের কার্যকলাপগুলো খতিয়ে দেখতে বা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ। ফৌজদারী তদন্তে দ্রুতবেগে গাড়ী চালানো, মাতলামী করে গাড়ী চালানো, চৌর্য্যবৃত্তি, হত্যাকাণ্ড, জালিয়াতি, প্রতারণা ইত্যাদি বিষয়াবলী অন্তর্ভূক্ত। যখন পুলিশ তদন্ত কার্যের সমাপণী ঘোষণা করেন, তখন তারা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
৪৪ নং লাইন:
 
=== ময়না তদন্ত ===
সাধারণতঃ মৃতদেহের শারীরিক বা দৈহিক বৈশিষ্ট্য জানার জন্য ময়না তদন্তের প্রয়োজন পড়ে। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] প্রায় প্রতিটি [[জেলা|জেলায়ই]] ময়না তদন্তের ব্যবস্থা রয়েছে। ময়না তদন্তের মাধ্যমেও একটি মামলা সুচারুরূপে নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব যা গোয়েন্দাদের কার্যক্রম এবং তদন্তের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ও হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। আইন অনুযায়ী 'ফরেনসিক বিজ্ঞান' এমন একটি পদ্ধতি যা বিস্তারিত ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে যে-কোন ব্যক্তির প্রশ্নের ব্যাখ্যা বা উত্তর প্রদান করা সম্ভব হয়ে থাকে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধ অথবা দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর।
 
=== অতীত ইতিহাস ===
৫২ নং লাইন:
 
== অবদান ==
দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে গোয়েন্দা বা গোয়েন্দা দল প্রয়োজনে জীবনবাজী রেখে নিজ রাষ্ট্রের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় অন্য দেশে অবস্থান করেন যা আইনের পরিভাষায় 'গোয়েন্দাগিরি' বা 'গুপ্তচরবৃত্তি' নামে পরিচিত।
 
আধুনিক বিশ্বে গোয়েন্দা তৎপরতার উপরই একটি দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে। কখনো তারা সাফল্য পান ও নিজ রাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় তথ্য কিংবা উপকরণ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রেরণ দেশের স্বার্থ রক্ষা করে থাকেন। আবার ব্যর্থতায় তাদের জীবনহানী ঘটে কিংবা [[কারাগার|কারাগারে]] ঠাঁই হয় বছরের পর বছর ধরে। অনেক সময় গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে দু'দেশের মধ্যেকার পারস্পরিক চমৎকার ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হতে দেখা যায়। সৌভাগ্যবশতঃ দেশগুলোর পারস্পরিক বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় কদাচিৎ কেউ কেউ মুক্তিলাভ করেন। গোয়েন্দাদের দক্ষ করে তুলতে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে কিংবা প্রশিক্ষণের জন্য উন্নত দেশে প্রেরণ করা হয়। অপরাধী সনাক্তকরণে তারা বহুবিধ নিত্য-নতুন কৌশল ও পন্থা গ্রহণ করেন।