রজঃস্রাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১১ নং লাইন:
 
=== অনিয়মিত রজ:স্রাব ===
অনিয়মিত রজ:স্রাব একটি সাধারণ সমস্যা। স্বাভাবিক ক্ষেত্রে এই মাসিক রজঃস্রাব আটাশ দিন পর পর হবে। তবে দু-একদিন আগে-পরে হতে পারে। দু-একদিনের হের-ফের স্বাভাবিক। তবে এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। ব্যতিক্রম হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
 
=== বিলম্বিত রজঃস্রাব ===
১৭ নং লাইন:
 
== রজ:ক্ষান্তি ==
রজঃস্রাব শুরু হয় কিশোরীরা যখন বয়:সন্ধিতে উপনীত হয়। এরপর রজ:চক্র দীর্ঘদিন চলতে থাকে। নারী প্রেৌঢ়ত্বে উপনীত হলে তা বন্ধ হয়ে যায় যাকে বলা হয় রজ:ক্ষান্তি ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]]: Menopause)। প্রথমে রজ:স্রাবের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রজ:স্রাবের সময় পরিধি কমে আসে। এক সময় রজ:স্রাব সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে নারী দেহে নানা রকম উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। মনোপজ বা রজ:ক্ষান্তি যাওয়া মহিলাদের জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়। সাধারণতঃ ৪৩ থেকে শুরু করে ৫৩ বৎসরের মধ্যে নারীর জীবনে রজ:ক্ষান্তি অধ্যায়ের শুরু হয়। নারীর বয়স ৪০ পার হওয়ার পর থেকে [[ডিম্বাশয়|ডিম্বাশয়ের]] কার্যকারিতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। প্রত্যেক মহিলার তলপেটে জরায়ুর দু’ধারে দুটি ডিম্বাশয় থাকে। এর কাজ হল ডিম্বস্ফুটন এবং [[হরমোন]] নিঃসরণ। বেশিরভাগ মেয়েলি হরমোন [[ইসট্রোজেন]] ও [[প্রজেসটেরন]], পুরুষের হরমোন [[টেসটোসটেরন]] সামান্য নিঃসরণ হয়। রজঃস্রাব শুরুর পর থেকে প্রতি মাসে একেকটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বস্ফুটন হয় ও হরমোনগুলো বের হতে থাকে। ৪০ বছরের পর থেকে হরমোন নিঃসরণ কমতে থাকে। প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। এ স্বাভাবিক ঘটনায় মন খারাপ করার কিছু নেই।
 
=== শরীর ও মনের ওপর মেনোপজের প্রভাব ===
রজ:ক্ষান্তি শুরুর সঙ্গে-সঙ্গে মহিলাদের জীবনে শারীরিক ও মানসিক নানা ধরনের পরিবর্তন বা উপসর্গ দেখা দেয়। মাসিকে অনিয়ম, হঠাৎ করেই মাথা গরম বা হট ফ্লাস, বুক ধড়ফড়, অতিরিক্ত ঘুমানো, অনিদ্রা, প্রস্রাবে সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা মুড চেঞ্জ ইত্যাদি হতে পারে। জীবনধারা বা লাইফস্টাইলের পরিবর্তন দ্বারা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
অনিয়মিত ঋতুচক্র
এ সময় ঋতুচক্র বা মাসিক চক্রের পরিবর্তন হয়। কখনোবা একটু বেশি রক্তস্রাব, কখনোবা কম রক্তস্রাব যেতে পারে। অনেকদিন ধরে অল্প ফোঁটা ফোঁটা রক্ত যেতে পারে। কমপক্ষে সাধারণত ছয় মাস একটানা রক্তস্রাব বন্ধ থাকলে ধরে নেয়া যায় যে মেনোপজ হয়ে গেছে।
 
==== হট ফ্লাশ ====
৪৫ নং লাইন:
তৃতীয়ত, যাদের অসটিওপোরোসিস হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও হরমোন আছে, যা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
==== হার্টের সমস্যা ====
ইস্ট্রোজেন হরমোন যেমন হাড়কে মজবুত রাখে, তেমনি রক্তের কলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। দেখা যায়, মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়। এ কারণে অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শে ইস্ট্রোজেন হরমোন ব্যবহার করা যেতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি ও কলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়।
 
 
== তথ্যসূত্র ==