লুই পাস্তুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১৪ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
লুই পাস্তুর ১৮২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] জুরা প্রদেশের দোল শহরে জন্মগ্রহণ করেন ও আরবোয়া শহরে বেড়ে উঠেন।<ref>James J. Walsh (1913). "Louis Pasteur". Catholic Encyclopedia. New York: Robert Appleton Company. </ref> দরিদ্র পিতা সেখানকার একটি ট্যানারিতে চাকুরি করতেন। [[১৮৪৭]] সালে পাস্তুর ফ্রান্সের [[একোল]] থেকে [[পদার্থবিদ্যা]] ও [[রসায়ন|রসায়নে]] ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে তিনি [[জৈব যৌগ|জৈব যৌগের]] [[আলোক সমাণুতা]] নিয়ে [[গবেষণা]] করেন। তিনি দেখান যে, আলো যখন জৈব যৌগের দ্রবনের ভেতর দিয়ে যায় তখন এর দিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি প্রস্তাব করেন যে, একই জৈব যৌগ যাদের গঠন এক, তারা [[সমাণু]] হতে পারে যদি তারা একে-অপরের আলো প্রতিবিম্ব হয়।
 
১৮৪৮ সালে দিজোঁ লিসিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে চাকুরী করেন। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের কন্যা [[মারি লরেন্ত|মারি লরেন্তের]] সাথে প্রণয়ে আবদ্ধ হন। ২৯ মে, ১৮৪৯ সালে তাঁরা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। পাঁচ সন্তানের তিনটিই প্রাপ্তবয়স্ক হবার পূর্বেই [[টাইফয়েড]] রোগে মারা যায়। ব্যক্তিগতভাবে নির্মম এ ঘটনায় তিনি মুষড়ে না পড়ে এর প্রতিকারে মনোনিবেশ ঘটিয়েছিলেন।
 
== কর্মজীবন ==
তিনি গবেষণা কর্ম চালিয়ে যান এবং সেই সাথে [[দিজোঁ বিশ্ববিদ্যালয়|দিজোঁ]] ও [[স্ত্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়|স্ত্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে]] শিক্ষকতা শুরু করেন। [[১৮৫৪]] সালে পাস্তুর স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ডীন হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তখন থেকেই তিনি স্থানীয় মদের কলগুলোতে [[গাঁজন]] প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দেখান অ্যালকোহল উৎপাদন ইস্টের পরিমানের উপর নির্ভর করে। তিনি আরও প্রমাণ করেন মদের অম্লতা তাতে [[ব্যাক্টেরিয়া|ব্যাক্টেরিয়ার]] ক্রিয়ার জন্য ঘটে।
 
== গবেষণা ==
২৬ নং লাইন:
 
=== জীবনের উৎপত্তি ===
পাস্তুর এখন মদে ব্যক্টেরিয়ার উৎস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তৎকালীন সময়ে অনেকে ধারণা করতেন ব্যাক্টেরিয়া নির্জীব বস্তু থেকে আপনা আপনি সৃষ্টি হয়। এর বিপক্ষেও অনেকে বিজ্ঞানী ছিলেন। গ্রিক [[দার্শনিক]] [[এরিস্টটল|এরিস্টটলের]] সময় থেকেই এই [[বিতর্ক]] ছিল, কিন্তু কোন বিজ্ঞানসম্মত উত্তর ছিল না। পাস্তুর পরীক্ষার মাধ্যমে দেখান, নির্জীব বস্তু থেকে ব্যাক্টেরিয়া বা কোন রকম জীবনের সূত্রপাত হতে পারে না। তিনি প্রমাণ করেন, মদে বাতাস ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে ব্যাক্টেরিয়া আসে।
 
=== রেশম শিল্প ===
[[১৮৬৫]] সালে ফ্রান্স সরকার পাস্তুরকে ফ্রান্স [[রেশম শিল্প|রেশম শিল্পের]] সমস্যা সমাধানে আহ্বান জানায়। এক [[মহামারী|মহামারীতে]] [[রেশম পোকা|রেশম পোকার]] উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। পাস্তুর দেখেন রেশম পোকার এই সমস্যা বংশগত এবং মায়ের থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সংক্রামিত হতে পারে। তিনি প্রস্তাব করেন কেবলমাত্র রোগ মুক্ত গুটি বাছাই করার মাধ্যমেই রেশম শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।
 
=== জীবানু তত্ত্ব ===
পাস্তুর দেখান কিছু রোগ [[অণুজীব]] দ্বারা সংঘটিত হতে পারে, যারা পানি ও বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তিনি তার জীবাণু তত্ত্বে দেখান যে অণুজীব বৃহদাকার জীবকে আক্রমণ করে রোগ সংঘটিত করতে পারে।
 
=== ভ্যাক্সিন আবিস্কার ===