প্যারাশুট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[চিত্র:US Army paratroopers Fort Bragg.jpg|thumb|upright|প্যারাশ্যুট খোলার দৃশ্য]]
'''প্যারাশ্যুট''' বায়ূমন্ডলের মধ্য দিয়ে বাধাহীন ভাবে পতনের সময় বাতাসের বাধাকে কাজে লাগিয়ে বস্তুর পতনের গতি কমাতে পারে। প্যারাশ্যুটকে সাধারণত বাতাসেই বস্তুর গতি ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হয়। সাধারনভাবে প্যারাশ্যুট [[রেশম]] অথবা [[নাইলন]] দিয়ে তৈরী হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের প্যারাশ্যুটে বিভিন্ন প্রকারের ভার দেওয়া যায় যেমন মানুষ, খাদ্য সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, অস্ত্র ইত্যাদি। <br />
 
[[উড়োজাহাজ]] কিংবা অতি দ্রুতগতির গাড়ির গতি কমাতে এবং এবং খেয়া যানকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে ড্রাগ শ্যুট ব্যাবহার করা হয়<ref>Ballistic recovery systems US 4607814 A, Boris Popov, Aug 26, 1986</ref><ref>http://www.airspacemag.com/flight-today/How-Things-Work-Whole-Airplane-Parachute.html</ref><br />
 
প্যারাশ্যুট শব্দটি ফেঞ্চ শব্দ “প্যারাসিট” থেকে এসেছে যা আবার গ্রীক শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। প্যারা একটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ দাঁড়ায় রক্ষা করা আর চ্যুট ফরাশি শব্দ যার অর্থ পতন। পরবর্তীতে এটি একটি ফরাশি শংকর শব্দরূপে প্রকাশ পায় যার অর্থ “পতন থেকে রক্ষা করা”।
৮ নং লাইন:
[[চিত্র:Conical Parachute, 1470s, British Museum Add. MSS 34,113, fol. 200v.jpg|thumb|left|upright|একজন অজ্ঞাত শিল্পির আঁকা সবচেয়ে প্রাচীন প্যারাশ্যুটের ছবি ([[ইতালি]]- [[১৪৭০]] সাল)]]
[[চিত্র:Homo Volans.jpg|thumb|upright|"উড়ন্ত মানব", ১৫৯৫ সালের ভিরানজিওর প্যারাশ্যুটে ডিজাইন]]
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্যারাশ্যুট তৈরীর চিন্তাভাবনার নিদর্শন পাওয়া যায় রেঁনেসা যুগে। প্যারাশ্যুটের সবচেয়ে প্রাচীন নকশা পাওয়া যায় ১৪৭০ সালের রেঁনেসা যুগের ইতালি থেকে প্রাপ্ত একটি হস্তলিপিতে। সেই নকশাতে দেখা যায় একজন মানুষ একটি কোনক আকৃতির যন্ত্রের সাহায্যে ঝুলে পতনের গতি কমাবার চেষ্টা করছে। একই জিনিষের উন্নততর নকশা পাওয়া যায় আরেকটি ছবিতে, যাতে দেখা যায় যে একজন মানুষ দুটি লাঠির সাহায্যে কাপড় বেঁধে বাতাসের বাধার সাহায্যে পতনের গতি কমানোর চেষ্টা করছে। যদিও সেই প্যারাশ্যুটের সারফেস বাতাসে বাধার সৃষ্টি করে তার ভরের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত গতি কমাতে পারার মত অত বড় ছিল না তবুও এই ছবিটি বলে দেয় তৎকালীন এই উন্নতিই প্যাশ্যুটের উন্নয়নে অবদান রেখেছিলো।<br />
 
এর অল্প কিছুকাল পর বহু বিদ্যায় পান্ডিত্য অর্জনকারী ব্যাক্তি
১৯ নং লাইন:
[[চিত্র:First parachute2.jpg|thumb|150px|upright|প্যারাশ্যুটের ক্রমান্বয়ে উন্নতির বিভিন্ন অবস্থা।]]
[[চিত্র:FirstParachute.png|left|thumb|150px|১৯১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারীতে একটি ডাচ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্যারাশ্যুটের ছবি।<ref name="DePrins">De Prins der Geillustreerde Bladen, February 18, 1911, p. 88-89.</ref>]]
আঠারোশ শতকের শেষের দিকে ফরাসি উদ্ভাবক লুইস সুবাস্টিয়ান লেনোরমান্ড প্যারাশ্যুটের আধুনিক নকশা প্রণয়ন করেন। তিনিই ১৭৮৩ সালে সর্বপ্রথম জনসম্মুক্ষে প্যারাশ্যুট নিয়ে লাফ দেন। এর আগে লেনোরমান্ড এর স্কেচ প্রনয়ন করেছিলেন।<br />
 
এর দুই বছন পরেই ১৭৮৫ সালে লেনোরমান্ড “প্যারা” এবং “শ্যুট” শব্দদুটি যুক্ত করে “প্যারাশ্যুট” শব্দটির উদ্ভাবন করেন। ফরাসি শব্দ “প্যারা” মানে “প্রতিরক্ষা” এবং “শ্যুট” শব্দের আর্থ পতন। শংকর শব্দ প্যারাশ্যুট এর পূর্ন অর্থ হল “পতনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা”<br />
 
১৭৮৫ সালে জিয়েন পিয়েরি ব্লানচার্ড উষ্ণ বায়ূর বেলুনের বিকল্প হিসেবে এই প্যারাশ্যুটকে উপস্থাপন করেন। এই সময় পরীক্ষামূলক লাফের সময় ভর বা যাত্রী হিসেবে একটি কুকুরকে ব্যাবহার করা হলেও ১৯৯৩ সালের পরে তিনি দাবি করেন যে তিনি নিজেও এই প্যারাশ্যুটটি পরীক্ষা করেছিলেন যদিও এই পরীক্ষা কেউ প্রত্যক্ষদর্শন করেন নি।<br />উন্নতির ক্রমে প্যারাশ্যুট প্রতিনিয়ত আরো উন্নত হতে থাকে। প্রথম দিককার প্যারাশ্যুটগুলো মূলত কাঠের ফ্রেমে লিলেন দিয়ে বেঁধে তৈরী করা হত তবে পরবর্তীতে ওজন ও শক্তির কথা বিবেচনা করে রেশম দিয়ে তৈরী করা হয়।
২৭ নং লাইন:
=== প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ===
 
চার্লস ব্রডউইক [[১৯০৬]] সালে উষ্ম বায়ূর বেলুন থেকে ঝাপিয়ে পড়ে আধুনিক প্যারাশ্যুটের উন্নতি পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দেন। তার ওই প্রদর্শনের মূল আকর্ষন ছিল এই যে তিনি তার প্যারাশ্যুটটি একটি ছোট্ট ব্যাগের মধ্যে ভরে পিঠে চাপিয়েছিলেন। এবং প্যারাশ্যুটটি একটি স্থির লাইনের মাধ্যমে খোলা হয়েছিলো যা উষ্ম বায়ূর বেলুনের সাথে বাধা ছিল। ব্রডউইক যখন বেলুন থেকে লাফ দেন তখন স্থির লাইনে টান পরায় তার প্যারাশ্যুটটি খুলে যায় এবং তিনি সফলভাবে মাটিতে অবতরন করেন।<br />
 
১৯১১ সালে একটি মানব আকৃতির ডামি পুতুলের সাহায্যে ফ্রান্সের প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের উপর থেকে একটি আধুনিক প্যারাশ্যুটের এরেকটি সফল পরীক্ষন করা হয়। সেখানে ডামি পুতুলটির ওজন ছিল ৭৫ কেজি এবং প্যারাশ্যুটের ওজন ছিল ২১ কেজি। পুতুল এবং প্যারাশ্যুট সংযোগকারী তারের দৈর্ঘ ছিল প্রায় ৯ মিটার। পরিধানযোগ্য প্যারাশ্যুটের প্রথম সংস্করন পরীক্ষা করতে গিয়ে ১৯১২ সালের ৪ ফেব্রুরারী ফ্রেঞ্জ রেইচেল্ট মৃত্যুবরন করেন।