চৈতন্যভাগবত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১০ নং লাইন:
 
;আদিখণ্ড
আদিখণ্ডে চোদ্দোটি অধ্যায় রয়েছে। এই খণ্ডের উপজীব্য বিষয় হল: চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের পূর্বে [[বঙ্গ|বাংলার]] সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থা, চৈতন্যদেবের জন্ম, শিক্ষা, ও লক্ষ্মীপ্রিয়ার সহিত বিবাহ; তাঁর তর্কযুদ্ধে পণ্ডিতদের পরাস্তকরণ, [[পূর্ববঙ্গ]] ভ্রমণ, লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যু, [[গয়া]] ভ্রমণ এবং [[ঈশ্বর পুরী]]র নিকট [[দীক্ষা|দীক্ষাগ্রহণ]]।
 
;মধ্যখণ্ড
মধ্যখণ্ডে সাতাশটি অধ্যায় রয়েছে। এই খণ্ডের উপজীব্য বিষয় হল: চৈতন্য মহাপ্রভুর হৃদয়ে ভক্তির উদয়, ভক্তিধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁর সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের যোগদান, দুষ্ট জগাই ও মাধাইয়ের সঙ্গে কথোপকথন, স্থানীয় শাসক চাঁদ কাজী [[কৃষ্ণ]]নাম প্রচার নিষিদ্ধ করলে চৈতন্যদেবের আইন অমান্য আন্দোলন (কাজীদলন)।
 
;অন্ত্যখণ্ড
অন্ত্যখণ্ডে রয়েছে দশটি অধ্যায়। এই খণ্ডের মূল উপজীব্য: চৈতন্যদেবের সন্ন্যাসগ্রহণ, শচীমাতার বিলাপ, [[পুরী]] ভ্রমণ, ন্যায়শাস্ত্রবিদ [[সার্বভৌম ভট্টাচার্য|সার্বভৌম ভট্টাচার্যের]] সহিত আলাপ এবং নানা ভক্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও আলাপআলোচনা।
 
''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থের দুটি পুথিতে ''অন্ত্যখণ্ড''-এর শেষে আরও তিনটি অতিরিক্ত অধ্যায় পাওয়া যায়। আধুনিক গবেষকগণ এই অধ্যায়গুলিকে মূল গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন না।<ref>সুকুমার সেন (২০০৭). ''বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস'', প্রথম খণ্ড, কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স, ISBN 81-7066-966-9, p.269</ref>
 
== গুরুত্ব ==
''[[চৈতন্যচরিতামৃত]]'' গ্রন্থের মতো ''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থেও চৈতন্য মহাপ্রভুকে কেবলমাত্র এক সাধারণ অবতার রূপে না দর্শিয়ে [[ভগবান]]রূপী [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রত্যক্ষ অবতার রূপে দর্শানো হয়েছে। গ্রন্থকারের মতে, চৈতন্য অবতারের উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান [[কলিযুগ|কলিযুগের]] ''[[যুগ (হিন্দুধর্ম)|যুগ]]-[[ধর্ম (হিন্দুধর্ম)|ধর্ম]]'' ([[হরি]]নাম-[[সংকীর্তন]]) প্রবর্তনের মাধ্যমে মানবজাতির কল্যাণ। নিজ নাম প্রচার সম্পর্কে চৈতন্যদেব বলেছেন, ''পৃথিবী-পর্যন্ত যত আছে দেশ-গ্রাম / সর্বত্র সঞ্চার হইবেক মোর নাম।'' <ref>চৈতন্যভাগবত, অন্ত্যখণ্ড ৪।১২৬</ref> চৈতন্যদেবের সত্যরূপ ও অবতারগ্রহণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যার জন্য [[গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম|গৌড়ীয় বৈষ্ণব]] সমাজে বৃন্দাবন দাস চৈতন্য-সমকালের [[ব্যাসদেব]] নামে পরিচিত।
 
[[কৃষ্ণদাস কবিরাজ|কৃষ্ণদাস কবিরাজের]] ''[[চৈতন্যচরিতামৃত]]'' ধর্মীয় তত্ত্বব্যাখ্যায় ভারাক্রান্ত। সেই তুলনায় ''চৈতন্যভাগবত'' অনেক সহজবোধ্য। চরিতামৃতে কৃষ্ণদাস চৈতন্যজীবনীর যে বর্ণনা দিয়েছেন তা পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও ধর্মতাত্ত্বিক। উক্ত গ্রন্থে চৈতন্যদেবের পুরীবাসের বছরগুলির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপিত হয়। এই জন্য ''[[চৈতন্যচরিতামৃত]]'' ও ''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থদুটি একযোগে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন ও শিক্ষার এক পূর্ণাঙ্গ বিবরণী। যদিও পরবর্তীকালে আরও অনেকেই চৈতন্যজীবনী রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন।<ref>[http://www.veda.harekrsna.cz/encyclopedia/tattvas2.htm#1 Vedic Encyclopedia, Library]</ref>
 
গবেষকদের মতে ১৫৪০-এর দশকের মধ্যভাগে বৃন্দাবন দাস ''চৈতন্যভাগবত'' গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন।
 
== পাদটীকা ==