হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
২৪ নং লাইন:
| year = 2008 |
| source = http://www.cpim.org/
}}
 
'''হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ''' ([[মার্চ ২৩]], [[১৯১৬]] &ndash; [[আগস্ট ১]] [[২০০৮]]) একজন [[ভারত|ভারতীয়]] কমিউনিস্ট নেতা। [[১৯১৬]] সনের [[২৩ মার্চ]] পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার রোপোওয়াল গ্রামে এক জাঠ পরিবারে সুরজিৎ-এর জন্ম।সুরজিতের আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন [[ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ]]। হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎই ভারতের সেই কমিউনিস্ট নেতা যার জন্য অ-কমিউনিস্ট, এমনকী দক্ষিণপন্থীদেরও অবারিতদ্বার ছিল। একেবারে নিচু তলার কৃষক আন্দোলন থেকে উঠে এসেছিলেন বলেই এই অনভিজাত কমিউনিস্ট অন্যান্য ভারতীয় রাজনীতিকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য ছিলেন। কৈশোর থেকেই চারপাশে প্রবাহিত স্বাধীনতা সংগ্রামের আচ এসে লাগে, হয়ে পড়েন ভগৎ সিংহের অনুগামী। ১৯৩০ সালে ভগৎ সিংহের ‘নওজওয়ান ভারত সভা’য় যোগ দেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হোসিয়ারপুর জেলা আদালত চত্বরে ভগৎ সিংহের মৃত্যুবার্ষিকীতে তেরঙ্গা ঝাণ্ডা তুলতে যান। গুলিবিদ্ধ হন। গ্রেফতারও। বিচারের জন্য আদালতে হাজির করলে অসীম ঔদ্ধত্যে নিজের নাম জানান— ‘লণ্ডন তোড় সিংহ’![[১৯৩৬]] সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।<ref name=Nine>[http://www.telegraphindia.com/1080404/jsp/frontpage/story_9094771.jsp "Nine to none, founders’ era ends in CPM"], ''The Telegraph'' (Calcutta), April 3, 2008.</ref> <ref name=ananda> "শ্রীহরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ", ''আনন্দবাজার পত্রিকা'' (কলকাতা), এপ্রিল ৩,২০০৮</ref>
 
প্রথম থেকেই কৃষকদের সঙ্গে সুরজিৎ একাত্ম। পঞ্জাব কিসান সভার তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা। পরে সর্বভারতীয় কিসান সভার সভাপতিও। কৃষি-মজদুর ইউনিয়নেও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। সে সময় ‘দুখি দুনিয়া’ ও ‘চিঙ্গারি’ নামে দুটি পত্রিকাও প্রকাশ করতে থাকেন। িদ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই তিনি গ্রেফতার হন। মুক্তি পেতে পেতে স্বাধীনতা। তখন থেকেই অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্জাব শাখার সম্পাদক। বেশ কয়েক বার গ্রেফতার হয়েছেন সুরজিৎ। সব মিলিয়ে বছর দশেক হাজতবাসও করতে হয়েছে, তার মধ্যে দু’বছর স্বাধীন ভারতের জেলে।
৪০ নং লাইন:
রাজীব গাধী যখন প্রধানমন্ত্রী, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুটা সিংহ ছিলেন সুরজিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পার্টি দফতরের ঠিক উেল্টা দিকে বুটা সিংহের বাড়ি। যে কোনও সময় সুরজিৎ কোনও নোটিস না দিয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হতেন। দার্জিলিং সমস্যা মেটাতে সুরজিতের বৃহৎ ভূমিকা ছিল। রাজীব গাধীর অফিসে গেলেও তাকে দেখা যেত। আবার নরসিংহ রাও যখন প্রধানমন্ত্রী, তখনও একই ভাবে কর্মোদ্যোগী সুরজিৎ। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময়েই সুরজিতের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
 
আর্থিক সংস্কার এবং জ্যোতি বসুর শিল্প নীতির প্রবল সমর্থক ছিলেন সুরজিৎ। বুঝতে পেরেছিলেন, পুজিবাদের সঙ্গে কৌশল করে এগোতে হবে। শুধু সংঘাত নয়, আপসও করতে হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন আসলে সি পি এমের মতাদর্শে উথাল পাতাল করে দিয়েছিল। যে চতুর্দশ পার্টি কংগ্রেসে সুরজিত সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন, সেই সেম্মলনটাই হয়েছিল এই পতনের েপ্রক্ষাপটে। সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি যে ভুল করেছিল, চিনের পার্টি তা করেনি। আর তাই সে দেশে আমদানি হল সমাজতািন্ত্রক বাজার অর্থনীতি।
 
জোট-সংস্কৃতিতে সুরজিৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রথম থেকেই। মোরারজি-চরণ সিংহের অকংগ্রেসি জমানায় হয়তো ততটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেননি। কিন্তু বিশ্বনাথপ্রতাপ সিংহ থেকে চন্দ্রশেখর, দেবগৌড়া থেকে গুজরাল, এই সব অিস্থরতার যুগে সুরজিত অতীব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। নিন্দুকেরা বলতেন ‘ক্ষমতার এজেন্ট’। পার্টি অফিসেও আলোচনা হত, প্রকাশ কারাটের মতো আদর্শবাদী তিনি নন। কিন্তু ভারতবর্ষে অিস্থরতার রাজনীতিতে কমিউনিস্টদের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে সুরজিতের ভূমিকা পলিটব্যুরোর প্রতিটি সদস্য স্বীকার করেন। মনমোহন সিংহ ক্ষমতায় আসার পর যখন ইউ পি এ সরকারকে বামেরা সমর্থন করল, তার পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। তত দিনে অবশ্য তঁার শরীর ভেঙে গেছে, জ্যোতি বসুর মতো তিনিও নেতৃেত্বর গুরুদায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইছেন।
৫২ নং লাইন:
হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ এবং জ্যোতিবাবুই ছিলেন সি পি আই এমের আদি নবরেত্নর শেষ দুই জীবিত অবশেষ। নাম্বুদিরিপাদ, রণদিভে, বাসবপুন্নাইয়া, প্রমোদ দাশগুপ্ত বা রামমূর্তির তুলনায় এরা দু’জনেই অনেক বেশি নমনীয়। <ref name=ananda/>
 
আগস্ট ১, ২০০৮ সালে ৯২ বছর বয়সে এই কমিউনিস্ট নেতার মৃত্যু হয় নয়ডার এক হাসপাতালে।
 
 
 
== তথ্যসূত্র ==