ভারতীয় সংবিধানের সংশোধনীসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
'''ভারতের সংবিধান সংশোধনের তালিকা''' এই পৃষ্ঠায় প্রদত্ত হল। [[২৬ জানুয়ারি]] [[১৯৫০]] [[ভারতের সংবিধান]] চালু হবার পর থেকে [[২০০৫]] সাল অবধি এই সংবিধান মোট ৯৩ বার সংশোধিত হয়। প্রথম সংশোধন হয়েছিল সংবিধান চালু হবার পরের বছরেই, অর্থাৎ [[১৯৫১]] সালে।
 
ভারতের সংবিধান সংশোধনের জন্য বিল একমাত্র সংসদেই উত্থাপন করা যায়। সংসদের যে-কোনও কক্ষেই এই বিল উত্থাপন করা যায়। কিন্তু রাজ্য বিধানসভায় সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত কোনও বিল উত্থাপন করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার বা সংসদের যে-কোনও কক্ষের যে-কোনও সাংসদ বিলের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেন। সরকার যে বিল উত্থাপন করেন তা সরকারি বিল এবং কোনও সাংসদ ব্যক্তিগতভাবে যে বিল উত্থাপন করেন তা বেসরকারি বিল হিসাবে অভিহিত হয়ে থাকে।
 
ভারতের সংবিধানের সকল অংশকে একই পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যায় না। গুরুত্ব অনুসারে বিভিন্ন অংশের সংশোধনীর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
 
{| class="wikitable"
৪৬৭ নং লাইন:
| ৯১তম সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা সংবিধানে কয়েকটি নতুন উপধারা সংযোজিত হয় : <br />
ধারা ৭৫ (১)-এ সংযোজিত হয় – ১ক:- প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা লোকসভার মোট সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশের অধিক হবে না। <br />
১খ:- সংসদের কোনও কক্ষের যে কোনও রাজনৈতিক দলভুক্ত সদস্য যিনি দশম তফসিলের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তিনি ১ নং ধারা অনুসারে মন্ত্রী হবার যোগ্যতাও হারাবেন। তাঁর এই অযোগ্যতা অযোগ্য ঘোষিত হবার দিন থেকে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত, অথবা তিনি সংসদের কোনও কক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী ঘোষিত হওয়া পর্যন্ত (যেটি পূর্বে ঘটবে) বজায় থাকবে।
 
ধারা ১৬৪ ১ক ও ১৬৪ ১খ সংযোজিত হয় – ১ক:- মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভার মোট সদস্যসংখ্যার ১৫ শতাংশের অধিক হবে না। <br />
এই শর্তে যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ১২ জনের কম হবে না : <br />
পুনর্বার এই শর্তে যে যদি কোনও রাজ্যে ৯১তম সংশোধনী আইন, ২০০৩ জারি হবার পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা কথিত ১৫ শতাংশ অথবা প্রথম অনুবিধিতে উল্লিখিত সংখ্যার অধিক হয় তবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গণবিজ্ঞপ্তি জারির ছয় মাসের মধ্যে এই ধারা অনুসারে তাতে সমতাবিধান করতে হবে। <br />
১খ:- রাজ্য বিধানসভা বা বিধান পরিষদের (যেসব রাজ্যে বিধান পরিষদ বর্তমান সেগুলির ক্ষেত্রে) যে কোনও রাজনৈতিক দলভুক্ত সদস্য যিনি দশম তফসিলের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তিনি ১ নং ধারা অনুসারে মন্ত্রী হবার যোগ্যতাও হারাবেন। তাঁর এই অযোগ্যতা অযোগ্য ঘোষিত হবার দিন থেকে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত, অথবা তিনি রাজ্য আইনসভার কোনও কক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী ঘোষিত হওয়া পর্যন্ত (যেটি পূর্বে ঘটবে) বজায় থাকবে।
 
সংবিধানের অংশ ১৯-এ ৩৬১খ ধারাটি সংযোজিত হয় – সদনের কোনও কক্ষের যে কোনও রাজনৈতিক দলভুক্ত সদস্য যিনি দশম তফসিলের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তিনি কোনও লাভজনক রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তাঁর এই অযোগ্যতা অযোগ্য ঘোষিত হবার দিন থেকে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত, অথবা তিনি সংসদের কোনও কক্ষের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী ঘোষিত হওয়া পর্যন্ত (যেটি পূর্বে ঘটবে) বজায় থাকবে।