মালয় উপদ্বীপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[চিত্র:LocationMalayPeninsula.png|thumb|right|মানচিত্রে মালয় উপদ্বীপের অবস্থান]]
'''মালয় উপদ্বীপ''' ({{lang-ms|Semenanjung Tanah Melayu}}, {{lang-th|คาบสมุทรมลายู}}) পশ্চিমে [[ভারত মহাসাগর|ভারত মহাসাগরের]] [[আন্দামান সাগর]] ও [[মালাক্কা প্রণালী]] এবং পূর্বে [[থাই উপসাগর]] ও [[দক্ষিণ চীন সাগর|দক্ষিণ চীন সাগরের]] মধ্যে অবস্থিত [[এশিয়া মহাদেশ|এশিয়া মহাদেশের]] সর্বদক্ষিণ প্রান্ত। এটি ১৩°৩০’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে মোটামুটি দক্ষিণে ১°২২’ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর দক্ষিণ প্রান্তে [[সিঙ্গাপুর প্রণালী]] অবস্থিত।
 
এর আয়তন আনুমানিক ৭০ হাজার বর্গমাইল। উত্তরে [[ক্রা স্থলযোজক]] থেকে দক্ষিণে [[সিঙ্গাপুর]] পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এর সর্বোচ্চ বিস্তার প্রায় ৩২০ কিলোমিটার; সংকীর্ণতম অংশ ক্রা স্থলযোজকের সর্বনিম্ন বিস্তার প্রায় ৬৪ কিলোমিটার। রাজনৈতিকভাবে মালয় উপদ্বীপের উত্তর ভাগ [[মিয়ানমার]] ও [[থাইল্যান্ড|থাইল্যান্ডের]] অন্তর্ভুক্ত এবং দক্ষিণ ভাগ [[মালয়েশিয়া|মালয়েশিয়ার]] অন্তর্গত। দক্ষিণতম প্রান্তটি সিঙ্গাপুরের অন্তর্গত।
 
উপদ্বীপের দৈর্ঘ্য বরাবর একটি বিচ্ছিন্ন পর্বতমালা বিস্তৃত। পর্বতমালাটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম [[গুনোং তাহান]], যার উচ্চতা ২,১৮৭ মিটার। উপদ্বীপটির প্রায় অর্ধেক জুড়ে রয়েছে ঘন, জীববৈচিত্র্যে পূর্ণ [[অতিবৃষ্টি অরণ্য]], যদিও অরণ্যটি বর্তমানে কৃষি ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের কারণে হুমকির সম্মুখীন। এখানকার প্রাণীগুলি [[বোর্নিও]] ও [[সুমাত্রা]] দ্বীপের মত, তবে এখানে [[হাতি]], [[গণ্ডার]] এবং [[বাঘ|বাঘেরও]] দেখা মেলে। উপদ্বীপটি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এটি পৃথিবীর প্রধানতম [[টিন]] উৎপাদনকারী অঞ্চল। অন্যান্য খনিজের মধ্যে [[সোনা]] ও [[রূপা]] গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার ৯০% লোক কৃষিজীবী। [[রবার]] ও [[চা]] প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্য। অন্যান্য কৃষিদ্রব্যের মধ্যে আছে [[নারকেল|নারকেলের]] শুকনো শাঁস, [[নারকেল তেল]], [[পাম তেল]], [[টাপিওকা]], [[চীনাবাদাম]], [[আনারস]] ও [[কলা]]। [[ধান]] এখানকার প্রধান খাদ্যশস্য। মালয় উপদ্বীপটি এশিয়ার মূল ভূখণ্ড এবং ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন হিসেবে বিদ্যমান।