নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
৩৮ নং লাইন:
}}
 
'''নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী''' ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা [[নওয়াব]]। তিনি অনেকটা নিজের অদম্য ইচ্ছার কারনে শিক্ষিত হন। [[শিক্ষা]], সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল ।
 
== জন্ম ==
 
নওয়াব ফয়জুন্নেসার জন্ম [[কুমিল্লা]] জেলার হোমনাবাদ পরগনার (বর্তমানে লাকসামের) অন্তর্গত পশ্চিমগাঁয়ে । তিনি ১৮৩৪ সালে জন্মগ্রহন করেন । তাঁর বাবার নাম [[আহমেদ আলী চৌধুরী]] , বাবা জমিদার আর মা-[[আরাফান্নেসা চৌধুরাণী]] ।
 
== ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন ==
৫৩ নং লাইন:
=== বিয়ে ===
 
সে সময়ের আরেক স্বনাম [[জমিদার]] [[সৈয়দ মোহাম্মদ গাজী]]র সাথে ১৮৬০ সালে তার বিয়ে হয়। তিনি ছিলেন মোহাম্মদ গাজীর দ্বিতীয় স্ত্রী। তার দাম্পত্য জীবন খুব একটা সুখের হয়নি। । এক পর্যায়ে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে । স্বামী বিচ্ছেদের পর তিনি শোকসন্তপ্ত মন নিয়েই [[সমাজ সংস্কার]] ও [[গঠনমূলক]] কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
 
কথিত আছে নওয়াব ফয়জুন্নেসা ১৮৫১ সালে বিয়ের সতের বছর পর জানতে পারেন তার স্বামীর আরেকটি স্ত্রী আছে । তাই [[সতীন]] থেকে পৃথক থাকার জন্য তিনি তার বিয়ের কাবিনের এক লক্ষ এক টাকা দিয়ে [[পশ্চিমগাও]] এ সাড়ে তিন [[একর]] জমিতে একটা বাড়ি করেন । এটি নির্মান করতে তিন বছরের মত সময় লেগেছিল ।
 
=== জমিদারি লাভ ===
 
তিনি জমিদারি পরিচালনার প্রশিক্ষন নিয়েছিলেন । তাছাড়া বুদ্ধির দীপ্ততা, বিচক্ষণতা আর কর্মদক্ষতায় তিনি অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন ।
তাই ১৮৭৩ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি পশ্চিমগাঁও-এর জমিদারি লাভ করেন এবং ১৮৮৫ সালে মায়ের মৃত্যুর পর তিনি মাতুল সম্পত্তিরও [[উত্তরাধিকারী]] হন।
 
=== জমিদারি পরিচালনা ===
৬৬ নং লাইন:
[[ফয়জুন্নেসা]] তার চিন্তা কাজ কর্মে ছিলেন সে সময়ের চেয়ে অনেক বেশি [[আধুনিক]]। সেকালের [[সমাজ]] ব্যবস্থার সবরকম বাঁধা পেরিয়ে তিনি সম্পূর্ণ কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গঠনে মনযোগ দিয়েছিলেন । তাই একজন নারী হয়েও সে সময়ে জমিদারির কঠোর দায়িত্ব তিনি সফলভাবে পালন করতে পেরেছেন । তিনি নির্ভীকভাবে শাসনকাজ পরিচালনা করেন।
 
তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে ওয়ারিশদের প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দেন আর নিজ জমিদারিটি পরিণত করেন [['ওয়াকফ']] সম্পত্তি হিসেবে।
 
== জমিদার ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণীর অবদান ==
৮৫ নং লাইন:
তিনি ১৪টি [[প্রাথমিক বিদ্যালয়]], অনেকগুলো [[দাতব্য প্রতিষ্ঠান]], [[হাসপাতাল]], [[এতিমখানা]]এবং সড়ক নিমার্ণ করে তার মানবতাবাদী ও সমাজ সংস্কারের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি নওয়াব বাড়ীর সদর দরজায় একটি দশ [[গম্বুজ]] বিশিষ্ট [[মসজিদ]] প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৯৪ সালে পবিত্র হজ্ব পালন করার সময় তিনি মক্কায় হাজীদের জন্য একটি 'মুসাফিরখানাও প্রতিষ্ঠা করেন।
আমাদের এদেশে তখন [[বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসন]] বিদ্যমান ছিল । নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারী জনহিতকর কাজেও প্রচুর অর্থ দান করতেন ।
 
== সাহিত্য চর্চা ==
 
রবীন্দ্রযুগে যে কয়জন বাংলা সাহিত্য সাধনা করে যশ ও খ্যাতি অর্জন করেন, নবাব ফয়জুন্নেসা তাদের মধ্যে অন্যতম।<ref name="Foyzunnesa-literature">[http://www.dailysangram.com/print.php?news_id=42675 নওয়াব ফয়জুন্নেসার সাহিত্য চর্চা]</ref>
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সাহিত্যিক হিসেবে নবাব ফয়জুন্নেসা এর নাম চিরস্মরণীয়।
 
তার সাহিত্য সাধনা খুব অল্প সময়ে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক লেখক। শুধু তাই নয় প্রথম মুসলিম গদ্য-পদ্যে লেখিকা ছিলেন। ১৮৭৬ খ্রীস্টাব্দে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা গিরিশচন্দ্র মুদ্রণ যন্ত্র থেকে শ্রীমতি নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী রচিত সাহিত্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল' প্রকাশিত হয়।
 
বৃটিশ অপশাসনের ফলে মুসলিম সমাজে কুসংস্কারের বেড়জালে অবরোধবাসিনী হয়েও ফয়জুন্নেসা সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে একটি গৌরবময় স্থান অধিকার করে আছেন। [[‘রূপজালাল']] ব্যতীত ফয়জুন্নেসা কর্তৃক দু'খানি গ্রন্থের নাম পাওয়া যায়-[[‘সঙ্গীত লহরী']] ও [[‘সঙ্গীত সার']] প্রকাশিত হলেও তা এখন দুষ্প্রাপ্য। সামগ্রীকভাবে বিবেচনা করলে তার স্থান বাংলা কাব্য বিশেষত মধুসূধন, বিহারীলাল ও সুরেন্দ্রনাথের পাশাপাশি। একথা বললে অত্যুক্তি হবে না সাহিত্য সাধনায় ফয়জুন্নেসার পথ ধরে বেগম রোকেয়ার আবির্ভাব হয়েছে । বাংলার নারীদের সাহিত্যে অবদানে নওয়াব ফয়জুন্নেসা সর্বাগ্রে।
 
== স্বীকৃতি ==
১১৫ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
 
* [http://books.google.com.bd/books/about/R%C5%ABpaj%C4%81l%C4%81la.html?id=tesCwx1j95IC&redir_esc=y নওয়াবের রুপজালাল বই এর ইংরেজি অনুবাদ]