দৈনিক আজাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
১ নং লাইন:
'''দৈনিক আজাদ''' ({{lang-en|Daily Azad}})একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা। ৩২১ অক্টোবর ১৯৩৬ তারিখে [[কলকাতা]] থেকে সর্বপ্রথম এটি প্রকশিত হয়। দৈনিক আজাদের প্রথম সম্পাদক ছিলেন [[মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ]]। প্রথম দিকে এই পত্রিকাটি [[বঙ্গ]] এবং [[আসাম|আসামের]] মুসলমানদের বক্তব্যকে প্রতিনিধিত্ব করছে বলে মনে করা হত। ১৯৪০ সালে সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ মোদাব্বের। সেসময় মোহাম্মদ মোদাব্বের এবং তার ছেলের প্রচেষ্টায় এই পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হত। সদরুল আনাম খান এবং নাজির আহমেদও এই প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন। এই পত্রিকায় [[ঢাকা|ঢাকার]] প্রতিদিনকার সংবাদের পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রতিবেদক খাইরুল কবিরের পাঠানো বিভিন্ন সংবাদও ছাপানো হত।
 
[[ভারত বিভাগ|ভারত বিভাগের]] পর ১৯৪৮ সালের ১৯ অক্টোবর পত্রিকার সকল কার্যক্রম ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। আবুল কালাম সামসুদ্দিনকে সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন খায়রুল কবির নিউজ এডিটর, মুজিবুর রহমান খান এবং আবু জাফর সামসুদ্দিন ছিলেন এডিটেরিয়াল বিভাগে। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দৈনিক আজাদ [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] অন্যতম প্রধান সংবাদপত্রে পরিণত হয়।
 
১৯৪৯ সালে সরকার বিরোধি সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক আজাদের প্রকাশনায় বাধা দেয়া হয়। এবং এই পত্রিকায় সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনের]] সময় এই পত্রিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আজাদ এই আন্দোলনের সমর্থনে ছিলো এবং সরকারের কার্যক্রমের সত্যতা তুলে ধরছিলো। ২১ ফেব্রুয়ারীর হত্যার পরপরই ২২ তারিখে এই ঘঠনার প্রেক্ষিতে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল। এই হত্যকান্ডের প্রতিবাদ স্মরূপ আবুল কালাম সামসুদ্দিন গণপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি সেই সময় দৈনিক আজাদের সম্পাদক ছিলেন। যদিও এটি তখন [[নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ|মুসলিম লীগ]] ভিত্তিক পত্রিকা ছিল কিন্তু বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছিল এই পত্রিকায়। এর ফলস্রুতিতে আজাদ এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো সংকলনের অন্যতম প্রধান সূত্র ছিল। যদিও বিভিন্ন সময় এটির প্রচারনার উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়েছিল। বিশেষত ১ মার্চের পর এটি সরকারের পক্ষে প্রচার করতে থাকে। [[আইয়ুব খান|আইয়ুব খানের]] শৈরাচারী আচরণের কারণে দৈনিক আজাদ আবার সরকারের বিপক্ষে প্রচার শুরু করে। সরকারের দুর্ণীতি এবং অনৈতিক আচরনগুলো তুলে ধারা হয় এই পত্রিকায়।<ref>[[Bashir Al Helal|Al Helal, Bashir]], Bhasha Andoloner Itihas. pp-513</ref> এই সময় পত্রিকার নেতৃত্বে ছিলেন মওলানার ছোট ছেলে মোহাম্মদ কামরুল আনাম খান।