বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট ওয়েব লিঙ্ক ঠিক করেছে
১২ নং লাইন:
|accessdate=20 October 2010
}}</ref><ref>{{Cite web
|url= http://wwwarchive.prothom-alo.com/detail/date/2010-05-06/news/61178
|title=শতবর্ষে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
|work=prothom-alo.com
২১ নং লাইন:
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর [[রাজশাহী]] মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্র এবং রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর [[কারমাইকেল]] জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
[[চিত্র:Varendra Foundation Carmichael.jpg|right|thumb|220px|লর্ড কারমাইকেল স্থাপিত ভিত্তিফলক]]
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে [[কলকাতা জাদুঘর]] অকস্মাৎ এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় [[১৯১৩]] খ্রিস্টাব্দে [[১৪ ফেব্রুয়ারী]] তারিখে জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যপারে স্বাধীকার প্রদান করা হয়।
 
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সাথে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] যৌথভাবে নওগাঁর [[পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার|পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের]] খনন কাজ শুরু করে। পরবর্তিতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির একক প্রচেষ্টায় পাহাড়পুর থেকে ২৫৬টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পরে জাদুঘরটির অস্তিত্ত্ব নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ পযর্ন্ত জাদুঘর ভবনটির অর্ধেকাংশ মেডিকেল স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে জাদুঘরটি বন্ধ হবার উপক্রম হলে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর তারিখে এর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]] অধিগ্রহণ করে। জাদুঘরটির পরিদর্শকদের মধ্যে রয়েছেন [[মহাত্মা গান্ধী]], [[নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু]] প্রমুখ সহ আনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ।