হামবুর্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
মালিন (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
৪৪ নং লাইন:
ডেনীয় ও স্লাভদের উপর্যুপরি ধ্বংসাত্মক আক্রমণের পরেও হামবুর্গ টিকে থাকে এবং ১১৮৯ সালে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের থেকে স্বীকৃতি লাভ করে। তৃতীয় ক্রুসেডে অবদান রাখার জন্য শহরটিকে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সুবিধাদি প্রদান করা হয়। ১২৪১ সালে লুবেক শহরের সাথে এবং ১২৪৯ সালে ব্রেমেন শহরের সাথে চুক্তির ফলে হানজেয়াটিক লীগের জন্ম হয়। হামবুর্গ এই লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ধনী শহরে পরিণত হয়। ১৫২৯ সালে হামবুর্গের জনগণ রিফর্মেশন মেনে নেয় এবং শহরটি লুথারীয়, ক্যালভিনীয়, এবং ইহুদী উদ্বাস্তুদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৬১৮-১৬৪৮ পর্যন্ত ত্রিশ বছরের যুদ্ধে শহরটির বাণিজ্যিক উন্নতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। ১৭৮৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অবস্থার সাময়িক উন্নতি ঘটে। কিন্তু নেপোলিয়নীয় যুদ্ধসমূহের সময় (১৭৯৯-১৮১৫) এই উন্নতির সমাপ্তি ঘটে। ১৮১১ সালে নেপোলিয়নের সেনারা শহরটি দখল করে।
 
নেপোলিয়নের পতনের পর হামবুর্গ আবার মুক্ত শহরে পরিণত হয় এবং ১৮১৫ সালে জার্মান কনফেডারেশনের সদস্য হয়। শহরটি ফরাসি দখলের সময়কার প্রভাব কাটিয়ে ওঠে। ১৮৪২ সালে চারদিনব্যাপী এক অগ্নিকাণ্ডও হামবুর্গের সম্প্রসারণে তেমন বাধা দেয়নি। ১৮৯২ সালে এক কলেরা মহামারীতে এখানে ৮৬০৫ জন মারা যায়। ১৯১৮ সালের নভেম্বরে হামবুর্গে জনতার বিপ্লব দিয়ে জার্মান সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। ১৯১৮-১৯ সালে স্বল্প সময়ের জন্য শহরটি একটি সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৩৮ সালে পার্শ্ববর্তী আল্টোনা, হারবুর্গ এবং ভান্ডসবেক শহরগুলি হামবুর্গের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
 
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় হামবুর্গকে একটি ডুবোজাহাজ ঘাঁটি এবং যুদ্ধের একটি বড় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শহরটির উপর মিত্রশক্তিরা ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে এবং ফলে শহরের বহু ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু লোক মারা যায়। যুদ্ধের পর এটিকে আবার গড়ে তোলা হয় এবং ১৯৫০-এর দশক নাগাদ এটি একটি সুন্দর, বর্ধমান মহানগরে পরিণত হয়। বর্তমানে এখানে ১৭ লক্ষেরও বেশি লোক বাস করেন।