সুলতান মাহমুদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট ওয়েব লিঙ্ক ঠিক করেছে |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
২০ নং লাইন:
| children =
| residence =
| citizenship = [[বাংলাদেশ]] [[
| nationality = বাংলাদেশী
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
৩২ নং লাইন:
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) '''সুলতান মাহমুদ''' (জন্ম: অজানা ) [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে [[বীর উত্তম]] খেতাব প্রদান করে। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-05-27/news/261058 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ২৭-০৫-২০১২]</ref>
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
সুলতান মাহমুদের জন্ম [[ফেনী জেলা|ফেনী জেলার]] [[দাগনভূঁইয়া উপজেলা|দাগনভূঁইয়া উপজেলায়]]। তাঁর বাবার নাম নূরুল হুদা এবং মায়ের নাম আঙ্কুরের নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম ফেরদৌস আরা মাহমুদ। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে।
== কর্মজীবন ==
[[১৯৭১]] সালে সুলতান মাহমুদ [[পাকিস্তান|পাকিস্তানি]] বিমানবাহিনীর
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[ভারত|ভারতে]] তখন সমবেত হয়েছেন পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর আরও কয়েকজন বাঙালি। তাঁরা মুক্তিবাহিনীর প্রধান এম এ জি ওসমানীর কাছে অনুরোধ করেন, মুক্তিবাহিনীর জন্য বিমান উইং গঠনের। কিন্তু বাস্তবে তা তখন করা সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় সুলতান মাহমুদ বসে থাকলেন না। যোগ দেন স্থল যোদ্ধাদের সঙ্গে। তিনি প্রথমে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরে। পরে ১ নম্বর সেক্টরে। বেশ কয়েকটি অপারেশনে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ধ্বংসের অপারেশন উল্লেখযোগ্য। মদুনাঘাট বিদ্যুৎ স্টেশনটির অবস্থান চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের হালদা নদীর পশ্চিম পাশে। সেখানে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দল। সাবস্টেশনের চারদিকের বাংকারে ছিল তাদের অবস্থান। অক্টোবর মাসের শেষে একদিন সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা সেখানে অতর্কিতে আক্রমণ করে। তাঁদের আক্রমণে সাবস্টেশনটি ধ্বংস হয়। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে সুলতান মাহমুদ আহত ও তাঁর এক সহযোদ্ধা শহীদ হন। সেদিন তিনি যথেষ্ট রণকৌশল ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। এরপর তিনি আর স্থলযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি। এ সময়ই গঠিত হয় মুক্তিবাহিনীর বিমান উইং। কয়েক দিন পর সুলতান মাহমুদকে বিমান উইংয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। [[১৯৭১]] সালের [[ডিসেম্বর ৩|৩ ডিসেম্বর]] মুক্তিবাহিনীর বিমান উইংয়ের মাধ্যমে প্রথম যে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়, এর একটির দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত হয় গোদনাইল অপারেশন। এ অপারেশনে তাঁর সহযোদ্ধা ছিলেন বদরুল আলম। তাঁরা একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের সাহায্যে [[নারায়ণগঞ্জ জেলা|নারায়ণগঞ্জের]] গোদনাইল তেলের ডিপোতে আক্রমণ চালান। ভারতের কৈলাসটিলা বিমানঘাঁটি থেকে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাঁরা গোদনাইলে পৌঁছাতে সক্ষম হন। নির্ধারিত দূরত্বে পৌঁছেই শুরু করেন আক্রমণ। সেদিন তাঁরা হেলিকপ্টার থেকে ১৪টি রকেট নিক্ষেপ করে ইএসএসও-র দুটি তেলের ডিপো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেন। আরও কয়েকটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুলতান মাহমুদ পরে [[সিলেট জেলা|সিলেট]], [[কুলাউড়া উপজেলা|কুলাউড়া]], [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লা]], [[ভৈরব উপজেলা|ভৈরব]], শমশেরনগর আরও কয়েক স্থানে হেলিকপ্টারের সাহায্যে আক্রমণে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে তিনি ও সাহাবউদ্দীন আহমেদ [[বীর উত্তম]] একদিন হেলিকপ্টারে সিলেট শহরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বিমানবন্দরে অবতরণ করা মাত্র তাঁরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়েন। হেলিকপ্টারে কয়েকটি গুলি লাগে। সুলতান মাহমুদ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে হেলিকপ্টারটি নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে বেরিয়ে যান।
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
* [[বীর উত্তম]]
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
== বহি:সংযোগ ==
{{বাংলাদেশের বীর উত্তম}}
|