ডুবোজাহাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন:
'''সাবমেরিন''' ([[ইংরেজি ভাষায়|ইংরেজিতেঃ]]Submarine) হচ্ছে পানির নীচে চলাচলে সক্ষম ও স্বাধীনভাবে বিচরণকারী নৌযানবিশেষ। সচরাচর সাবমেরিনে অনেক ক্রু অবস্থান করে থাকেন। সাবমেরিনকে প্রায়শঃই তার বিভিন্ন আকার-আকৃতি এবং জাহাজের সাথে তুলনা করে একে নৌকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক পূর্বকাল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সাবমেরিন নির্মাণ করা হয়েছে এবং উনবিংশ শতকে বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীতে এর ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
 
== ব্যবহার ==
[[১ম বিশ্বযুদ্ধ|১ম বিশ্বযুদ্ধে]] সাবমেরিন ব্যবহারের ব্যাপকতা বিস্তৃতভাবে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে অনেক বৃহৎ আকারের নৌবাহিনীতে এর অনেক সংগ্রহ রয়েছে। শত্রুবাহিনীর [[জাহাজ]] কিংবা সাবমেরিন আক্রমণ মোকাবেলায় এর ভূমিকা ব্যাপক। এছাড়াও, বিমানবাহী জাহাজ বহরকে রক্ষা করা, অবরোধ দূরীকরণ, প্রচলিত স্থল আক্রমণ ও বিশেষ বাহিনীকে গুপ্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণে সাবমেরিনের কার্যকারিতা অপরিসীম।
 
সাধারণভাবেও সাবমেরিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তন্মধ্যে - [[সমুদ্র বিজ্ঞান]], উদ্ধার তৎপরতা, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম, পরিদর্শন এবং রক্ষণাবেক্ষন সুবিধার জন্যও সাবমেরিন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, সাবমেরিনকে ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশেষায়িত কার্যক্রম হিসেবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতাসহ সাগরতলে অবস্থিত ক্যাবল মেরামতেও সম্পৃক্ত করা হয়। [[পর্যটক|পর্যটকদের]] আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সাগরতলে নিমজ্জিত প্রত্নতত্ত্ব পরিদর্শনেও সাবমেরিন ব্যবহৃত হয়।
 
== অবকাঠামো ==
অধিকাংশ বৃহদাকৃতির সাবমেরিনগুলো নল আকৃতির অবকাঠামো নিয়ে গঠিত। এর অভ্যন্তরভাগে কেন্দ্রস্থলে [[যোগাযোগ]] ব্যবস্থা থাকে এবং [[পেরিস্কোপ|পেরিস্কোপকে]] নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আধুনিক সাবমেরিনে ব্যবহৃত এ [[অবকাঠামো|অবকাঠামোকে]] [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে]] ''সেইল'' বা পাল এবং [[ইউরোপ|ইউরোপে]] ''ফিন'' নামে অভিহিত করে থাকে। প্রথমদিকের সাবমেরিনে ''কনিং টাওয়ার'' বা জাহাজ চালানো ও পর্যবেক্ষণ স্থান ছিল, যেখান থেকে ক্ষুদ্রাকৃতি পেরিস্কোপকে চাপ প্রয়োগপূর্বক প্রধান কাঠামো উন্মুক্ত করে ব্যবহারের উপযোগী করা হতো। [[প্রোপেলার]] বা [[পাম্প জেট]] পশ্চাৎবর্তী দিকে থাকে এবং অনেক ধরণের [[তরল পদার্থ|তরল পদার্থের]] [[গতিবিজ্ঞান]] ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। তবে ক্ষুদ্রাকৃতি, গভীর পানিতে ভাসমান এবং বিশেষ ধরণের সাবমেরিনের ক্ষেত্রে এ ধারার অবকাঠামো থেকে ভিন্নতর হতে পারে।
 
খুবই বড় পরিসরে ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নৌযানের মধ্যে সাবমেরিনও অন্যতম। এক থেকে দুই জন [[ব্যক্তি]] নিয়ে যেমন স্বল্প সময় পরিচালনা করা যায়; ঠিক তেমনি [[পানি|পানির]] নীচে ছয় মাস মেয়াদের জন্যেও অবস্থান করা যায়। [[রাশিয়া|রাশিয়ার]] [[টাইফুন ক্লাস সাবমেরিন]] [[পৃথিবী|পৃথিবীর]] সর্ববৃহৎ সাবমেরিন হিসেবে অদ্যাবধি বিবেচিত হয়ে আসছে।
 
== ইতিহাস ==
[[Imageচিত্র:Van Drebbel.jpg|thumb|right|250px|[[কর্ণেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল|কর্ণেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেলের]] তৈরী প্রথম পানিতে চলাচলের উপযোগী সাবমেরিন]]
১৬২০ সালে [[কর্ণেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল]] নামীয় একজন [[ডাচ]] কর্তৃক প্রথম নৌযানবাহন হিসেবে সাবমেরিন আবিস্কার করেন বলে জানা যায়।<ref name=davis1955>{{cite book |author=Davis, RH |title=Deep Diving and Submarine Operations |year=1955 |edition=6th |publisher=[[Siebe Gorman|Siebe Gorman & Company Ltd]] |location=Tolworth, Surbiton, Surrey |page=693 |authorlink=Robert Davis (inventor) }}</ref><ref name=acott>{{cite journal |last=Acott |first=C. |title=A brief history of diving and decompression illness. |journal=South Pacific Underwater Medicine Society Journal |volume=29 |issue=2 |year=1999 |issn=0813-1988 |oclc=16986801 |url=http://archive.rubicon-foundation.org/6004 |accessdate=2009-03-17 }}</ref> তিনি [[ইংল্যান্ডের রাজা]] [[১ম জেমস|১ম জেমসের]] অধীনে [[রাজকীয় নৌবাহিনী|রাজকীয় নৌবাহিনীতে]] কর্মরত ছিলেন। ইংরেজ [[গণিতজ্ঞ]] [[উইলিয়াম বোর্ন]] কর্তৃক ১৫৭৮ সালে সূচিত ধারণা ও কাঠামোকে পুঁজি করে সাবমেরিন যন্ত্রটি [[আবিস্কার]] করেন তিনি। তাঁর আবিস্কৃত সাবমেরিনটি ''ড্রেবেলীয় সাবমেরিন'' নামে পরিচিত হয়ে আছে। যন্ত্রটিকে [[দাঁড়]] টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হতো। এজাতীয় সাবমেরিনের আবিস্কার নিয়ে কিছুটা [[বিতর্ক]] রয়েছে। কেউ কেউ দাবী করেন যে, অন্য কোন [[নৌকা]] দ্বারা এটিকে টেনে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৬২০ থেকে ১৬২৪ সালের মধ্যে [[টেমস নদী|টেমস নদীতে]] আরও দু'টো উন্নতমানের সংস্করণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। প্রত্যেকটিই পূর্বের তুলনায় বড় ছিল।
 
১৯ নং লাইন:
২০০২ সালে উইলিয়াম বোর্নের সূচিত ধারণা ও নকশাকে উপজীব্য করে দুইজন [[আরোহী|আরোহীর]] উপযোগী সাবমেরিন তৈরী করা হয়। [[বিবিসি টেলিভিশন]] প্রোগ্রাম ''বিল্ডিং দি ইম্পসিবল'' শিরোনামের [[প্রামাণ্যচিত্র|প্রামাণ্যচিত্রের]] জন্য [[মার্ক এডওয়ার্ডস]] এটি তৈরী করেছিলেন। পরবর্তীতে বার্কশায়ারের এটন এলাকায় অবস্থিত [[ডোর্নি হ্রদ|ডোর্নি হ্রদে]] এটি সফলভাবে চালনা করা হয়েছিল।
 
== ব্যবহারজনিত সুবিধাদি ==
প্রথম আবিস্কৃত পানির অভ্যন্তরে চলাচলযোগ্য যানবাহন হিসেবে সাবমেরিন আবিস্কৃত হবার অল্প কিছুদিন পরেই [[বিশেষজ্ঞ|বিশেষজ্ঞরা]] এর [[সামরিক উপযোগিতা]] সমন্ধে অবগত হন। সাবমেরিনের কৌশলগত সুবিধাদি সম্পর্কে [[ইংল্যান্ড|ইংল্যান্ডের]] চেস্টার এলাকার বিশপ [[জন উইলিকন্স]] ১৬৪৮ সালে ''ম্যাথমেটিক্যাল ম্যাজিক'' গ্রন্থে তুলে ধরেন -
 
২৯ নং লাইন:
# সামবেরিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে এর সুবিধাদি অবর্ণনীয় ও ব্যাপক।</blockquote>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{Commons category|সাবমেরিনসমূহ}}
{{Spoken Wikipedia|En-Submarine-article.ogg|2006-01-11}}
 
* {{US patent|708553}} - ''Submarine boat''
* [http://www.submariners.co.uk/index.php Submariners Association] - UK Submariners site and Boat Database
* [http://www.uboat.net/ German Submarines of WWII] and [http://www.uboat.net/fates/losses/1943.htm U-boat losses in 1943]
* [http://www.submarinehistory.com/21stCentury.html Role of the Modern Submarine]
* [http://www.oralhistoryproject.com/ U.S. World War II Submarine Veterans History Project]
* [http://www.combinedfleet.com/ss.htm Record breaking Japanese Submarines]
* [http://www.u-boot-archiv.de/ German U-Boats 1935–1945] {{de icon}}
* [http://www.navsource.org/archives/subidx.htm U.S. submarine photo archive]
* [http://www.vectorsite.net/twsub1.html The Invention of the Submarine]
* [http://www.naval-technology.com/projects/category/submarines/ List of active Naval Submarines]
* [http://www.maritime.org/fleetsub/index.htm ''The Fleet Type Submarine Online''] US Navy submarine training manuals, 1944-1946.
* [http://digital.library.wisc.edu/1711.dl/WI.HomeFront The Home Front: Manitowoc County in World War II]: Video footage of submarine launches into Lake Michigan during World War II.
* American Society of Safety Engineers. Journal of Professional Safety. ''Submarine Accidents: A 60-Year Statistical Assessment''. C. Tingle. Sept. 2009. Pages 31–39. Ordering full article: https://www.asse.org/professionalsafety/indexes/2009.php; or Reproduction less graphics/tables: http://www.allbusiness.com/government/government-bodies-offices-government/12939133-1.html.
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৬২০-এ আবিস্কৃত]]