মিখাইল বাকুনিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১৬ নং লাইন:
বাকুনিন রাষ্ট্র, ধর্ম ও সমাজব্যবস্থা সম্বন্ধে কিছু মৌলিক মতবাদের জন্য বিখ্যাত।
 
== জীবন ইতিহাস ==
 
মিখাইল বাকুনিন রাশিয়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক। বাকুনিন প্রথমে সামরিক বিভাগে যোগদান করেন। চাকরির কারণে [[পোল্যান্ড|পোল্যান্ডে]] অবস্থানকালে পোলিশ বিদ্রোহীদের প্রতি সাম্রাজ্যবাদী রুশ সরকারের অমানবিক আচরণে ব্যথিত হয়ে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দেন। অতঃপর [[হেগেলের দর্শন]] অধ্যয়ন করার জন্য তিনি [[জার্মানি]] গমন করেন। সেদেশের বিভিন্ন চরমপন্থী আন্দোলনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। জার্মানি থেকে তিনি [[প্যারিস|প্যারিসে]] চলে যান। প্যারিসে অবস্থানকালে [[কার্ল মার্ক্স|মার্ক্স]], [[ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস|এঙ্গেলস]] ও [[পিয়েরে জোসেফ প্রুধোঁ|প্রুধোঁর]] সঙ্গে বাকুনিনের পরিচয় হয়। ইতিমধ্যে বাকুনিন পুরোমাত্রায় বিপ্লবীতে পরিণত হন এবং পোল্যান্ডের নির্বাসিত নেতাদের দ্বারা পরিচালিত ষড়যন্ত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
২৬ নং লাইন:
তবে তিনি ইতিমধ্যে চরমপন্থী আন্দোলনের নেতা হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। প্রবন্ধ, লিফলেট, প্রচার পুস্তিকা বিভিন্ন আকারে বাকুনিন [[ফরাসী ভাষা|ফরাসী]], [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয়]] ও [[জার্মান ভাষা|জার্মান ভাষায়]] বহু পুস্তক রচনা করেন এবং প্রতিটি রচনায় তার নৈরাজ্যবাদী আদর্শ প্রচার করেন। ফরাসী ভাষায় বাকুনিনের প্রায় সমগ্র রচনার সংকলন ''Oevres'' প্রকাশিত হয়। ইংরেজিতে ''[[গড অ্যান্ড দি স্টেট]]'' নাম দিয়ে তার অংশবিশেষের অনুবাদ প্রকাশিত হয়। এই অনূদিত অংশেই অবশ্য বাকুনিনের মৌল আদর্শ সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
 
== রাষ্ট্রদর্শন ==
 
নৈরাজ্যবাদকে তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে গিয়ে হাজির করার জন্য মিখাইল বাকুনিন বিপ্লবের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। একটু গভীরভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে, বাকুনিন তার নৈরাজ্যবাদ তত্ত্বকে বিবর্তনবাদ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বলেন যে- মানবজীবনের বিকাশ শুরু হয় এক অবস্থায়, কিন্তু তা বিবর্তনের ধারা বেয়ে পরিণতি লাভ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায়। বিকাশের আদি পর্বে মানুষের জীবনে পশুপ্রবৃত্তি ও প্রাকৃতিক বাধা-বিপত্তিসমূহ বেশ প্রবল থাকে। এসব প্রতিকূল শক্তি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র, ধর্ম, সম্পত্তি প্রভৃতি কর্তৃত্ব প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হওয়ার ফলে যখন এসব প্রতিকূল শক্তি পরাজয় বরণ করে, তখন মানুষের জীবন এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়, যে অবস্থায় কর্তৃত্ব প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের আর কোন প্রয়োজনীয়তা থাকে না।
৩৩ নং লাইন:
বাকুনিন [[রাষ্ট্র]], [[ধর্ম]] ও [[সমাজব্যবস্থা]] সম্বন্ধে কিছু মৌলিক মতবাদের জন্য বিখ্যাত।
 
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}