মালাধর বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: 1 টি আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন [[d:Wikidata:প্রধান_পাতা|উইকিউপাত...
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১৬ নং লাইন:
'''মালাধর বসু গুণরাজ খাঁ''' (জন্ম: ! - মৃত্যু: !) [[মধ্যযুগ|মধ্যযুগীয়]] [[বাঙালি কবি]]। তিনি ছিলেন পঞ্চদশ শতাব্দীর একজন কবি।<ref>বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৪৯-৫০</ref> তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় ''[[ভাগবত পুরাণ]]'' বা ''ভাগবত'' অনুবাদ করেন।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, পৃ. ৫৫-৫৬</ref> তাঁর অনূদিত কাব্যটির নাম ''[[শ্রীকৃষ্ণবিজয়]]''। মালাধর বসুই ভাগবতের প্রথম অনুবাদক। তাঁর আগে অন্য কোনো ভাষায় ভাগবত অনূদিত হয়নি।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, পৃ. ৫৫-৫৬</ref>
 
== জীবনী ==
কেদারনাথ ভক্তিবিনোদ প্রথম কবির জন্মস্থান কুলীনগ্রামে গিয়ে কবির জীবন সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করে আনেন। এছাড়া ''শ্রীকৃষ্ণবিজয়'' গ্রন্থের আরম্ভে ও শেষে কবি তাঁর আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে কিছু কথা লিখেছেন। এই সব সূত্র থেকে মালাধর বসুর জীবন সম্পর্কে কিছু বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, শ্রীমন্তকুমার জানা, ওরিয়েন্টাল বুক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৮১</ref>
 
মালাধর বসু অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মেমারির নিকটবর্তী কুলীনগ্রামে এক অভিজাত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, পৃ. ৫৫-৫৬</ref> তাঁর বাবার নাম ছিল ভগীরথ বসু, মায়ের নাম ছিল ইন্দুমতী দেবী।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, পৃ. ৫৫-৫৬</ref> কুলীনগ্রাম বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই গ্রামে মালাধর বসুর বংশধরেরা আজও বাস করেন। মালাধর ছিলেন পণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি বৈষ্ণব সাহিত্য ও পুরাণ নিয়ে যথেষ্ট পড়াশুনা করেছিলেন।
 
মালাধর বসু গৌড়ের কোনো এক সুলতানের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। ঐতিহাসিকদের অনুমান, এই সুলতান সম্ভবত রুকনুদ্দিন বরবক শাহ।<ref>বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৪৯-৫০</ref> ১৪৭৩ সালে তিনি ভাগবত পুরাণের বিষয়বস্তু অবলম্বনে ''শ্রীকৃষ্ণবিজয়'' কাব্য রচনা শুরু করেন। কাব্য রচনার শেষ হয় ১৪৮০ সালে।<ref>বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৪৯-৫০</ref> এই কাব্যের অপর নাম ছিল ''গোবিন্দমঙ্গল''।<ref>বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৪৯-৫০</ref> শ্রীকৃষ্ণবিজয় রচনা করে তিনি গৌড়ের সুলতানের কাছ থেকে গুণরাজ খাঁ উপাধি পান।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, পৃ. ৫৫-৫৬</ref><ref>বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৪৯-৫০</ref> মালাধর বসুর অনেকগুলি ছেলে ছিল। তাঁর দ্বিতীয় পুত্রের নাম ছিল সত্যরাজ খাঁ। সত্যরাজের পুত্র রামানন্দ ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভুর পার্ষদ। অন্যমতে, রামানন্দ ও সত্যরাজ খাঁ একই ব্যক্তি।<ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, কালীপদ চৌধুরী, বাণী সংসদ, পৃ. ৫৫-৫৬</ref><ref>বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, শ্রীমন্তকুমার জানা, ওরিয়েন্টাল বুক কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, পৃ. ৮১</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://bangla-biswa.blogspot.com/2008/11/blog-post_11.html বাংলার ইতিহাস], ১৪৮০ আনুমানিক: কবি মালাধর বসু গুণরাজ খাঁ
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি]]