মার্ক টোয়েইন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
৩ নং লাইন:
| image = Mark Twain by AF Bradley.jpg
| imagesize = 200px
| caption = মার্ক টোয়েইন, এ. এফ. ব্র্যাডের তোলা ছবি<br />নিউ ইয়র্ক, ১৯০৭
| birth_name = স্যামুয়েল ল্যাঙ্গহোর্ণ ক্লিমেন্স
| pseudonym = মার্ক টোয়েইন
২৪ নং লাইন:
টোয়েইনের বেড়ে ওঠা হ্যানিবাল, মিসৌরীতে। পরবর্তীতে এ শহর থেকেই টোয়েইন তার বিখ্যাত দুটি উপন্যাস হাকলবেরি ফিন এবং টম সয়্যার রচনার মূল উপাদান খুঁজে নিয়েছিলেন। একজন প্রকাশকের অধীনে কিছুদিন শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করার পর তিনি একজন মূদ্রণ সন্নিবেশক হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার বড় ভাই ওরিয়নের সংবাদপত্রের জন্য প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বড়ভাই ওরিয়নের সাথে নেভাডাতে যোগ দেয়ার আগে টোয়েইন মিসিসিপি নদীতে নৌকার মাঝি হিসেবেও কাজ করেছেন। ১৮৬৫ সালে তার কৌতুকপূর্ণ গল্প "The Celebrated Jumping Frog of Calaveras County" প্রকাশিত হয়। গল্পটি তিনি শুনেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়াতে কিছুদিন খনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সময়ে। হাস্যরসেভরা এ ছোট গল্পটি তৎকালীন সময়ে তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। এমনকি গ্রীক ক্লাসিক হিসেবে অনুদিত হয় তার এ ছোট গল্পটি। গল্পে কিংবা কথায় তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত এবং ব্যাঙ্গাত্নক উপস্থাপণভঙ্গী সমালোচক, পাঠক নির্বিশেষে সকলের অকুণ্ঠ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মার্ক টোয়েইন বক্তৃতা এবং লেখালেখি থেকে কামিয়েছেন অঢেল। কিন্তু তারপরও এক ব্যবসাতে টাকা বিনিয়োগ করে একবার তিনি প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত আর্র্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তিনি পাওনাদারদের কাছ থেকে সুরক্ষিত হবার জন্য নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে হেনরি হাটলসন রজার্সের সহযোগিতায় আস্তে আস্তে আর্থিক দু:সময় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন। পুনরায় আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের পর টোয়েইন
টোয়েইনের জন্ম হয়েছিলো পৃথিবীর আকাশে [[হ্যালির ধূমকেতু]] আবির্ভাবের ঠিক কিছুদিন পরেই। তিনি ধারণা করতেন হ্যালির ধূমকেতুর সাথে সাথেই তিনি আবার পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে তিনি সত্যি সত্যিই হ্যালির ধূমকেতুর পুনরায় প্রত্যাবর্তনের পরদিনই পরলোকগমণ করেন। টোয়েইনকে অভিহিত করা হতো তাঁর সময়ের সর্বশেষ্ঠ রম্যকার হিসেবে,"<ref>{{cite web |url=http://marktwainclassics.com/marktwain/obituary-new-york-times/ |title=Obituary (New York Times) |accessdate=2009-12-27}}</ref> এবং [[উইলিয়াম ফকনার]] টোয়েইনকে আখ্যায়িত করেছিলেন " আমেরিকান সাহিত্যের জনক হিসেবে।"<ref name="faulkner">{{cite book |last=Jelliffe |first=Robert A. |title=Faulkner at Nagano |year=1956 |publisher=Kenkyusha, Ltd |location=Tokyo}}</ref>
== প্রাথমিক জীবন ==
৩৬ নং লাইন:
মিসৌরী ছিলো একটি দাস শহর এবং ছোট্ট টোয়েইন আমেরিকার দাস প্রথার ইতিহাসের সাথে এখান থেকেই পরিচিত হন। পরবর্তীতে এ অভিজ্ঞতা তিনি তাঁর লেখাতেও নানা ভাবে টেনে এনেছেন। টোয়েইনের বাবা একজন এটর্নী এবং বিচারক ছিলেন। <ref>{{cite web|url=http://www.twainquotes.com/ClemensJM.html |title=Mark Twain quotations – father – John Marshall Clemens |publisher=Twainquotes.com |date= |accessdate=2010-12-30}}</ref>
[[
১৮৪৭ সালে, টোয়েইনের বয়স যখন এগারো, তখন তার বাবা [[নিউমোনিয়া]]তে মারা যান।<ref>{{cite web |url=http://shs.umsystem.edu/famousmissourians/writers/clemens/jmclemens.html |title=John Marshall Clemens
৪৫ নং লাইন:
গৃহযুদ্ধের প্রারম্ভে টোয়েইন কিছুদিনের জন্য স্থানীয় মৈত্রী ইউনিটে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলেন। তারপর তিনি তাঁর ভাইয়ের সাথে কাজ করার উদ্দেশ্যে নেভাডা অভিমুখে গমণ করেন। তাঁর ভাই তখন কেন্দ্রীয় সরকারের একজন জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।<ref>{{cite book|author=J.r. Lemaster|title=The Mark Twain Encyclopedia|url=http://books.google.com/books?id=zW1k-XS6XLEC&pg=PA147|year=1993|publisher=Taylor & Francis|page=147}}</ref> পরবর্তীতে টোয়েইন একটি স্কেচ আঁকেন যেখানে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে তিনি ও তাঁর বন্ধু কোম্পানী ছেড়ে আসার পূর্বে দুই সপ্তাহের জন্য মৈত্রী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। <ref name="Hannibal">{{cite web |title =Mark Twain Biography |work = |publisher =The Hannibal Courier-Post |url =http://www.marktwainhannibal.com/twain/biography/ |accessdate = 2008-11-25 }}</ref>
== ভ্রমণ ==
[[
১৮৬১ সালে টোয়েইন ও তার ভাই ওরিয়ন একসাথে পশ্চিমে রওনা দেন। ওরিয়ন তখন নেভাডা অঞ্চলের তৎকালীন গভর্ণর জেমস ডাব্লিউ নেই এর সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই ভাই মিলে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একটি স্টেজকোচে চেপে বৃহৎ ভূমি এবং রকি পর্বতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেন। এসময় সল্টলেক সিটির মর্মন সম্প্রদায়ও তাঁদের দেখা হয়ে যায়। টোয়েইনের ভ্রমণ ভার্জিনিয়া সিটি, নেভাডার রৌপ্য খনির শহরে এসে শেষ হয়। টোয়েইন সেখানে "কমস্টক লোড" এ খনি শ্রমিক হিসেবে যোগদান করেন।<ref name="Hannibal"/> কিন্তু টোয়েইন খনি শ্রমিক হিসেবে ব্যর্থ হন এবং ভার্জিনিয়া সিটির পত্রিকা "দ্য টেরিটরিয়াল এন্টারপ্রাইজ" এ কাজ শুরু করেন। <ref>''Comstock Commotion: The Story of the Territorial Enterprise and Virginia City News,'' Chapter 2.</ref> লেখক এবং বন্ধু ড্যান ডিক্যুইলের অধীনে কাজ করার সময়েই তিনি সর্বপ্রথম "মার্ক টোয়েইন" নামটি ব্যবহার করেন। ৩ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৩ সালে তিনি "Letter From Carson – re: Joe Goodman; party at Gov. Johnson's; music" নামের এক রম্য ভ্রমণ কাহিনিতে নিজের নাম "মার্ক টোয়েইন" হিসেবে স্বাক্ষর করেন। <ref name=MT_quotes>{{cite web |title = Mark Twain quotations |url = http://www.twainquotes.com/teindex.html}}</ref> পশ্চিমে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁকে "Roughing It" লিখতে অণুপ্রেরণা যুগিয়েছিলো। "[[The Celebrated Jumping Frog of Calaveras County]]" লেখার জন্য নানা উপাদানও তিনি খুঁজে নিয়েছিলেন তার এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে।
১৮৬৪ সালে টোয়েইন সানফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসেন। তখনো তিনি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। সেখানে তিনি ব্রেট হার্ট এবং আর্তিমাস ওয়ার্ড এর মত লেখকের সাথে পরিচিত হন। এসময়ে তরুণ কবি ইনা কুলব্রিথ এর সাথে তাঁর সম্ভবত প্রেম হয়েছিলো। <ref>The Virtual Museum of the City of San Francisco. Samuel Dickson. [http://www.sfmuseum.org/bio/isadora.html ''Isadora Duncan (1878–1927)''.] Retrieved on July 9, 2009.</ref>
লেখক হিসেবে টোয়েইন সর্বপ্রথম সফলতার দেখা পান যখন নিউইয়র্কের "দ্য স্যাটারডে প্রেস" নামের একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় ১৮নভেম্ভর,১৮৬৫ সালে তাঁর রম্য বড় গল্প "The Celebrated Jumping Frog of Calaveras County" প্রকাশিত হয়। তাঁর এই লেখা তাকে জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি এনে দেয়। এক বছর পর তিনি স্যান্ডউইচ দ্বীপে (বর্তমান হাওয়াই) "স্যাক্রামেন্টো ইউনিয়ন" এর রিপোর্টার হিসেবে ভ্রমণ করেন। এ ভ্রমণকে উপজীব্য করে তাঁর
আমেরিকায় প্রত্যাবর্তনের পর ১৮৬৮ সালে টোয়েইনকে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপণ সংঘ "স্ক্রুল এন্ড কী"তে সদস্যপদ গ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। <ref>{{cite book|url=http://books.google.com/books?id=EWvU21-vV8EC&pg=PA281|title=Mark Twain's Letters: 1867–1868|author=Mark Twain, Edgar Marquess Branch, Michael B. Frank, Kenneth M. Sanderson |publisher=Books.google.com |date= }}</ref> এ সঙ্ঘের "বন্ধুত্ব, নৈতিক ও সাহিত্যিক আত্ম-উন্নয়ন, এবং সদয়তার" প্রতি নিষ্ঠা তাঁর সাথে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে গিয়েছিলো।
== বিবাহ এবং সন্তানাদি ==
[[
১৮৬৮সালের পুরোটা সময়জুড়ে টোয়েইন এবং অলিভিয়া একসাথে ছিলেন কিন্তু অলিভিয়া টোয়েইনের প্রথমবার করা বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। অবশ্য এর দুই মাস পর তাঁরা পরস্পরের সম্মতিতে বাগদান করেন। অলিভিয়ার বাবা তাঁদের বিয়ের ব্যপারে প্রথমে গড়রাজি থাকলেও টোয়েইন একসময় তা' দূর করতে সক্ষম হন এবং ১৮৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলমিরা, নিউইয়র্কে অলিভিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।<ref name="PBS"/><ref>{{cite journal|title=Concerning Mark Twain|journal=The Week : a Canadian journal of politics, literature, science and arts|date=14 Feb 1884|volume=1|issue=11|page=171|url=http://archive.org/stream/weekcanadianjour01toro#page/n86/mode/1up|accessdate=26 April 2013}}</ref> অলিভিয়া ছিলেন ধনী এবং প্রগতিশীল পরিবারের মেয়ে। অলিভিয়ার মাধ্যমে সমাজের প্রগতিশীল শ্রেণীর নানা প্রথিতযশা সমাজকর্মী ও ব্যক্তিত্বের সাথে টোয়েইনের পরিচয় ঘটে। টোয়েইন দম্পতি ১৮৬৯ থেকে ১৮৭১ সাল পর্যন্ত বাফেলো, নিউইয়র্কে বসবাস করেন। টোয়েইন "বাফেলো এক্সপ্রেস" পত্রিকার একাংশের স্বত্বাধিকারী ছিলেন এবং সেখানে তিনি সম্পাদক এবং লেখক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। বাফেলোতে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের সন্তান ল্যাঙডন মাত্র উনিশ মাস বয়সে [[ডিপথেরিয়া]] রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। টোয়েইন দম্পতি তিন কন্যার জনক-জননী ছিলেন: সুসি ক্লেমেন্স(১৮৭২-১৮৯৬), ক্লারা ক্লেমেন্স(১৮৭৪-১৯৬২)<ref>{{cite news |first= |last= |authorlink= |coauthors= |title=Mrs. Jacques Samossoud Dies; Mark Twain's Last Living Child; Released 'Letters From Earth' |url= |quote=[[San Diego, California]], Nov. 20 (UPI) Mrs. Clara Langhorne Clemens Samossoud, the last living child of Mark Twain, died last night in Sharp Memorial Hospital. She was 88 years old. |publisher=New York Times |date=November 21, 1962, Wednesday |accessdate=2007-07-21 }}</ref> এবং জীন ক্লেমেন্স(১৮৮০-১৯০৯)। দীর্ঘ ৩৪বছর একসাথে কাটানোর পর ১৯০৪ সালে অলিভিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ক্লেমেন্স পরিবারের সকল সদস্য এলমিরা,নিউইয়র্কের উডলন সমাধিতে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
টোয়েইন তার পরিবার নিয়ে হার্টফোর্ড, কানেক্টিকাটে চলে আসেন এবং ১৮৭৩ সালে সেখানে একটি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। (পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে টোয়েইনের স্থানীয় গুণগ্রাহীরা একে ভেঙে ফেলার হাত থেকে রক্ষা করে এবং টোয়েন সংক্রান্ত বিষয়াদির জাদুঘরে পরিণত করে)।
১৮৭০ এবং ১৮৮০'র দশকে টোয়েইন এবং তার পরিবার অলিভিয়ার বোন,সুসান ক্রেনের বাসা "কোয়ারি ফার্ম"এ তাঁদের গ্রীষ্ম অতিবাহিত করেন।<ref name=Elmira>{{cite web |url= http://www.elmira.edu/academics/distinctive_programs/twain_center/quarry_farm |title=Twain's Home in Elmira |publisher=[[Elmira College]] Center for Mark Twain Studies |accessdate=May 1, 2011}}</ref><ref name=Cresset>{{cite web |url=http://www.valpo.edu/cresset/2010/Advent/Bush_A10.html |title=A Week at Quarry Farm |author=Hal Bush |publisher=''The Cresset'', A review of literature, the arts, and public affairs, [[Valparaiso University]] |date=Advent-Christmas 2010 |accessdate=May 1, 2011}}</ref> ১৮৭৪ সালে সুসান টোয়েইনের জন্য মূল বাড়ি থেকে আলাদা একটি অধ্যয়ন কক্ষ তৈরি করে দেন যাতে তার বোনজামাই নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে পারেন। টোয়েইন নিয়মিত পাইপ সহযোগে ধূমপান করতেন যেটি সুসানের পছন্দ ছিলোনা। টোয়েইনকে আলাদা কক্ষ করে দেয়ার পেছনে এটিও একটি কারণ ছিলো। হার্টফোর্ডে দীর্ঘ সতেরো বছর (১৮৭৪-১৮৯১)
টোয়েইন পরবর্তীতে দ্বিতীয়বারের মত ইউরোপ ভ্রমণ করেন। ১৮৮০ সালে প্রকাশিত তাঁর বই "A Tramp Abroad" এ সে ভ্রমণের বর্ণনা পাওয়া যায়। এই ভ্রমণকালীন সময়ে তিনি ৬মে থেকে ২৩নভেম্বর,১৮৭৮ পর্যন্ত হাইডেলবার্গে অবস্থান করেন এবং লন্ডন শহরও ভ্রমণ করেছিলেন।
== বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা ==
[[
বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা টোয়েইনকে বরাবরই আকৃষ্ট করতো। বিখ্যাত বিজ্ঞানী [[নিকোলা টেসলা]]র সাথে টোয়েইনের অত্যন্ত নিকটবর্তী এবং দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ছিলো। টেসলা'র গবেষণাগারে দু'জন একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছেন।
টোয়েইন তিনটি মৌলিক আবিস্কারের স্বত্বাধিকারী ছিলেন যাদের মধ্যে
তাঁর বই ''A Connecticut Yankee in King Arthur's Court'' এ তিনি সমসাময়িক আমেরিকান প্রেক্ষাপটে একটি সময় পরিভ্রমণকারী চরিত্রের অবতারণা করেছিলেন। চরিত্রটি নিজস্ব
১৯০৯ সালে টমাস এডিসন টোয়েইনের সাথে তাঁর রেডিং,কানেকটিকাট এর বাড়িতে দেখা করেন এবং টোয়েইনের গতিচিত্র ধারণ করেন। সেই গতিচিত্রের কিছু অংশ ১৯০৯ সালে তৈরি হওয়া 'The Prince and the Pauper'' চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়েছিলো।
== আর্থিক দুর্গতি ==
[[
টোয়েইন তাঁর লেখালেখি থেকে প্রচুর অর্থ আয় করেছিলেন। কিন্তু সে অর্থের একটি বড় অংশ তিনি নতুন আবিস্কার এবং প্রযুক্তিতে, বিশেষ করে "পেইগ মুদ্রণসন্নিবেশকারী যন্ত্রের" ওপর বিনিয়োগ করার মাধ্যমে খুইয়েছিলেন। যন্ত্রটি ছিলো অতি নিপুণ প্রকৌশলের ফসল যার কাজ দর্শকদেরকে মুগ্ধ করতো, কিন্তু এটি
৮৩ নং লাইন:
|publisher=Greenwood Printing |year=2004 |isbn=0-313-33025-5 |postscript=<!--None-->}}</ref>
টোয়েইন তার প্রকাশন সংস্থার কারণেও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে ইউলিসিস এস গ্রান্টের স্মৃতিস্মারক বিক্রির মাধ্যমে লাভের মুখ দেখলেও তার ঠিক পরপরই ত্রয়োদশ পোপ লিও'র আত্নজীবনী বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের সম্মুখীন হয়। বইটি সর্বসাকূল্যে
টোয়েইনের লেখা এবং বক্তৃতা, সাথে এক নতুন বন্ধুর নি:স্বার্থ সহযোগিতা, তাঁকে আবার আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলো।<ref>Lauber, John. ''The Inventions of Mark Twain: a Biography''. New York: Hill and Wang, 1990.</ref> ১৮৯৩ সালে হেনরি এইচ রজার্সের সাথে তার দীর্ঘ ১৫বছরের বন্ধুতার সূচনা হয়। রজার্স প্রথমে টোয়েইনকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদন করতে বলেন। অত:পর টোয়েইনের সকল লিখিতকর্মের স্বত্বাধিকার টোয়েইনের স্ত্রী অলিভিয়ার কাছে হস্তান্তর করান যাতে টোয়েইনের পাওনাদাররা সেসবের দখল নিতে না পারে। সবশেষে যতদিন পর্যন্ত সকল পাওনাদার তাঁদের প্রাপ্য পাওনা বুঝে পাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রজার্স টোয়েইনের সকল আর্থিক বিষয়াদির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
৯৩ নং লাইন:
|accessdate=30 August 2013}}</ref> এবং দীর্ঘ একবছর মেয়াদের জন্য বিশ্বব্যাপী বক্তৃতা প্রদাণের উদ্দ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। এটি ১৯৮৫সালের জুলাই মাসের ঘটনা। <ref>{{cite web |url=http://www.twainquotes.com/SpeechIndex.html |title=Chronology of Known Mark Twain Speeches, Public Readings, and Lectures |author=Barbara Schmidt |publisher=marktwainquotes.com |accessdate=February 7, 2010}}</ref> তাঁর পাওনাদারদের সকল পাওনা শোধ করার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই যাত্রার সূচনা, যদিও পাওনা পরিশোধের ব্যপারে তার ওপর আইনগতভাবে কোন বাধ্যবাধকতা ছিলোনা।<ref>Cox, James M. ''Mark Twain: The Fate of Humor''. Princeton University Press, 1966.</ref> এটি ছিলো একটি দীর্ঘ এবং পরিশ্রমসাধ্য যাত্রা যার অধিকাংশ সময় তিনি ঠান্ডার কারণে অসুস্থতায় ভুগেছেন। এ যাত্রার অংশ হিসেবে তিনি হাওয়াই, ফিজি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, মৌরিতানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন। টোয়েইনের ভারত ভ্রমণের তিনমাস তার ৭১২ পৃষ্ঠার বই ''[[Following the Equator]]'' এর মূল উপজীব্য ছিলো। ১৯০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে "ডলস হিল হাউস"এর মালিক হিউ জিলিয়ান রীডের আমন্ত্রণে তিনি উত্তর লন্ডনে গমণ করেন। পাওনা শোষ করার মত যথেষ্ট অর্থ উপার্জনে শেষে ১৯০০ সালে টোয়েইন আমেরিকায় ফিরে আসেন।
== বক্তৃতা প্রদাণে সংশ্লিষ্টতা ==
নির্বাচিত রম্য বক্তা হিসেবে টোয়েইনের দারুণ নামডাক হয়েছিলো। তিনি নানা জায়গায় গিয়ে একক রম্য বক্তৃতা প্রদান করতেন যেটাকে বর্তমান সময়ের [[স্ট্যান্ডআপ কমেডি]]র সাথে তুলনা করা যায়।<ref>Judith Yaross Lee, "Mark Twain as a Stand-up Comedian," ''The Mark Twain Annual'' (2006) #4 pp 3–23</ref> তিনি পেশাদার বক্তা হিসেবে নানা পুরুষ সংঘে বক্তৃতা দিয়ে বেড়িয়েছেন। এসব সংঘের মধ্যে অথরস' ক্লাব, বীফস্টিক ক্লাব, ভ্যাগাবন্ডস, হোয়াইট ফ্রায়ারস এবং হ্যার্টফোর্ডের সোমবারের সান্ধ্যকালীন সংঘ উল্লেখযোগ্য। তাকে স্যান ফ্রান্সিসকো শহরের বোহেমিয়ান ক্লাবের সম্মানসূচক সদস্যপদ প্রদান করা হয়। ১৮৯০ সালের শেষভাগে টোয়েইন লন্ডনের স্যাভেজ ক্লাবে বক্তৃতা দেন এবং সে ক্লাবের নির্বাচিত সম্মানসূচক সদস্যপদ লাভ করেন। যখন তাঁকে জানানো হয় যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অফ ওয়েলস ষষ্ঠ এডওয়ার্ড সহ মাত্র তিনজনকে এখন পর্যন্ত এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে, প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন - "এ খবর শুনে প্রিন্স নিশ্চয়ই খুব ভালো অনুভব করবেন।"<ref>Paine, A. B., Mark Twain: A Biography, Harper, 1912 page 1095</ref> ১৮৯৭সালে টোয়েইন ভিয়েনার কনকর্ডিয়া প্রেস ক্লাবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন। জার্মান ভাষায় তিনি যখন তাঁর "'' [[The Awful German Language
== পরবর্তী জীবন এবং মৃত্যু ==
১৮৯৬ সালে টোয়েইনের মেয়ে সুসি মেনিনজাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সেসময় থেকে টোয়েইন তার ব্যক্তিগত জীবনে গভীর বিষণ্নতাবোধে আক্রান্ত হন। সেটা ছিলো কেবল শুরু মাত্র। তাঁর স্ত্রী অলিভিয়া মারা যান ১৯০৪সালে, আরেক মেয়ে জীনকেও হারান তারও কয়েক বছর পরে, ১৯০৯সালে। এতগুলো কাছের মানুষের বিয়োগবেদনার সাক্ষী হয়ে টোয়েইনের বিষণ্নতা কেবল গভীরতর হয়।<ref>{{cite web |url= http://www.marktwainhouse.org/theman/bio.shtml |title=The Mark Twain House |accessdate=2006-11-17 |archiveurl = http://web.archive.org/web/20061016074753/http://www.marktwainhouse.org/theman/bio.shtml <!-- Bot retrieved archive --> |archivedate = 2006-10-16}}</ref> এখানেই শেষ নয়। ২০মে, ১৯০৯ সালে তার ঘণিষ্ঠ বন্ধু ও বিপদে পাশে দাঁড়ানো অকৃত্রিম বন্ধু রজার্সও হুট করে মৃত্যুবরণ করেন।
১০৫ নং লাইন:
[[অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়]] ১৯০৭ সালে টোয়েইনকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
[[
১৯০৯ সালে টোয়েইন মন্তব্য করেন:<ref>{{cite web |url=http://etext.library.adelaide.edu.au/t/twain/mark/paine/ |title=Mark Twain, a Biography |author=Albert Bigelow Paine |accessdate=2006-11-01}}</ref>
১১৭ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
১২৬ নং লাইন:
{{অসম্পূর্ণ}}
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সাহিত্যিক]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৩৫-এ জন্ম]]
|