ভূপেন হাজারিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
২২ নং লাইন:
'''ভূপেন হাজারিকা''' ([[অসমীয়া ভাষা|অসমীয়া]]: ভূপেন হাজৰিকা) (জন্মঃ [[৮ সেপ্টেম্বর]] [[১৯২৬]] - মৃত্যুঃ [[৫ নভেম্বর]] [[২০১১]]) একজন স্বনামধন্য কন্ঠ শিল্পী ও ভারতীয় সঙ্গীত জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বশিল্পী। এই কিংবদন্তিতুল্য কণ্ঠশিল্পীর জন্ম ভারতের [[অসম|অসমে]]। অত্যন্ত দরাজ গলার অধিকারী এই কণ্ঠশিল্পীর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। অসমিয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। পরবর্তীকালে [[বাংলা]] ও [[হিন্দি]] ভাষায় গান গেয়ে [[ভারত]] এবং [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। অল্প সময়ের জন্যে তিনি [[বিজেপি]] বা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।
 
== জীবনী ==
[[আসাম|আসামের]] সদিয়ায় ভূপেন হাজারিকার জন্ম। তাঁর পিতার নাম নীলকান্ত হাজারিকা, মায়ের নাম শান্তিপ্রিয়া হাজারিকা। পিতা-মাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সকলের বড়। তাঁর অন্য ভাই-বোনেরা হলেন - অমর হাজারিকা, প্রবীণ হাজারিকা, সুদক্ষিণা শর্ম্মা, নৃপেন হাজারিকা, বলেন হাজারিকা, কবিতা বড়ুয়া, স্তুতি প্যাটেল, জয়ন্ত হাজারিকা ও সমর হাজারিকা।
 
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ভূপেন হাজারিকা [[কানাডা|কানাডায়]] বসবাসরত প্রিয়ম্বদা প্যাটেলকে বিয়ে করেন। একমাত্র সন্তান তেজ হাজারিকা<ref>http://www.assamtribune.com/scripts/detailsnew.asp?id=nov0911/at06</ref> [[নিউইয়র্ক|নিউইয়র্কে]] অবস্থান করছেন।
 
== শিক্ষাগ্রহণ ==
তিনি ১৯৪২ সালে [[গুয়াহাটি|গুয়াহাটির]] কটন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট আর্টস, [[কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ১৯৪৪ সালে বি.এ. এবং ১৯৪৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ. পাস করেন। ১৯৫২ সালে [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কের]] কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল "প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষায় শ্রবণ-দর্শন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভারতের মৌলিক শিক্ষাপদ্ধতি প্রস্তুতি-সংক্রান্ত প্রস্তাব"।
 
== কর্মজীবন ==
ড. ভূপেন হাজারিকা তাঁর ব্যারিটোন কণ্ঠস্বর ও কোমল ভঙ্গির জন্য বিখ্যাত ছিলেন।<ref>{{cite web|author=Published by Eastern Fare |url=http://www.efi-news.com/2011/09/assamese-maestro-turns-86.html |title=Assamese Maestro Turns 86 ~ EF News International |publisher=Efi-news.com |date=2011-09-08 |accessdate=2011-11-05}}</ref> তাঁর রচিত গানগুলি ছিল কাব্যময়। গানের উপমাগুলো তিনি প্রণয়-সংক্রান্ত, সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয় থেকে তুলে আনতেন। তিনি আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে লোকসঙ্গীত গাইতেন।
 
তিনি মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই গান লিখে সুর দিতে থাকেন।<ref name="সংগ্রাম">[http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=68513 ভুপেন হাজারিকা আর নেই]</ref> আসামের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সূচনা হয় এক শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৩৯ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি [[অসমীয়া ভাষা|অসমীয়া ভাষায়]] নির্মিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা পরিচালিত ''ইন্দুমালতী'' ছবিতে "বিশ্ববিজয় নওজোয়ান" শিরোনামের একটি গান গেয়েছিলেন। পরে তিনি অসমীয়া চলচ্চিত্রের একজন নামজাদা পরিচালক হয়ে ওঠেন। [[বাংলাদেশ]], আসাম ও তার প্রতিবেশী [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গে]] তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক ও বিশাল। অসমীয়া ভাষা ছাড়াও বাংলা ও হিন্দি ভাষাতেও তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন এবং অনেক গান গেয়েছেন। অবশ্য এসব গানের অনেকগুলোই মূল অসমীয়া থেকে বাংলায় অনূদিত।
 
== বাংলা গান ==
ভূপেন হাজারিকার গানগুলোতে মানবপ্রেম, প্রকৃতি, ভারতীয় সমাজবাদের, জীবন-ধর্মীয় বক্তব্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এছাড়াও, শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী সুরও উচ্চারিত হয়েছে বহুবার।
{| border="0" width="100%"
৫৫ নং লাইন:
|}
 
== চলচ্চিত্র জগতে ==
{| class="wikitable sortable collapsible collapsed"
|- style="background:#b0c4de; text-align:center;"
৩৬৭ নং লাইন:
|}
 
== পুরস্কার ==
* ২৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্র 'চামেলী মেমসাহেব' ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে [[জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)|জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] লাভ করেন তিনি।<ref>{{cite web|title=NFA archives|url=http://iffi.nic.in/Dff2011/Frm23rdNFAAward.aspx?PdfName=23NFA.pdf|publisher=[[Directorate of Film Festivals]]|accessdate=5 November 2011}}</ref> (১৯৭৫)
* ''পদ্মশ্ৰী'' (১৯৭৭)
৩৭৮ নং লাইন:
* ''সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার'' (২০০৯)
 
== স্বীকৃতি ==
* ১৯৯৩ সালে ড. ভুপেন হাজারিকা ''অসম সাহিত্য সভার'' সভাপতি হন।
* ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে অল আসাম স্টুডেন্টস্‌ ইউনিয়নের উদ্যোগে গুয়াহাটির ডিঘালিফুখুহুরি হ্রদের তীরবর্তী জিএসবি রোডে একটি স্মারক ভাস্কর্য তৈরী করে। আসামের ভাস্কর্যশিল্পী বিরেন সিংহ ফাইবার গ্লাস ও অন্যান্য পদার্থ সহযোগে চমকপ্রদ 'ড. ভুপেন হাজারিকা ভাস্কর্য' তৈরী করেন।<ref>{{cite web|title=Bhupen Hazarika unveils his statue|url=http://www.hindu.com/2009/02/15/stories/2009021560811100.htm|publisher=The Hindu Group|accessdate=5 November 2011}}</ref>
 
== মৃত্যু ==
ড. ভূপেন হাজারিকাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মুম্বইয়ের ''কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানী হাসপাতাল ও চিকিৎসা গবেষণা ইন্সটিটিউটের'' আইসিইউতে ৩০ জুন, ২০১১ সালে ভর্তি করা হয়। অতঃপর তিনি কিডনী বৈকল্যসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ৫ নভেম্বর, ২০১১ সালে স্থানীয় সময় (আইএসটি) বিকাল ৪:৩৭ ঘটিকায় ধরাধাম ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে এই গুণী শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।<ref>{{cite web|title=Music Legend Bhupen Hazarika passes away|url=http://www.bollywoodlife.com/news-gossip/bhupen-hazarika-passes-away|publisher=Bollywood Life|accessdate=5 November 2011}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.indiavision.com/news/article/entertainment/245379/bhupen-hazarika-is-no-more|title=Bhupen Hazarika is no more.|date=5 November 2011|publisher=[[Indiavision news]]}}</ref>
 
৩৮৯ নং লাইন:
== ফোটোগ্রাফ ==
{|
| [[Fileচিত্র:Dr Bhupen Hazarika at Nizarapar.jpg|x200px|thumb|upright|alt=দুয়াহাটির নিজরাপারের বাসভবনে, ৭ নভেম্ব, ২০১১]]
| [[Fileচিত্র:Arabinda Rajkhowa's Tribute to Dr. Bhupen Hazarika.jpg|x200px|thumb|upright|alt=Last respects, Judge field, Guwahati|গুয়াহাটি, জাজ ফিল্ড, ৮ নভেম্বার, ২০১১]]
|}
[[Fileচিত্র:Panorma-720-wiki.jpg|x250px|thumb|none|upright|alt=Last respects, Judge field, Guwahati|গুয়াহাটি, জাজ ফিল্ড, ৮ নভেম্বার, ২০১১]]
<!--
{{Panorama
৪০২ নং লাইন:
-->
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}