বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
|||
১ নং লাইন:
১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েছে।
== ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থান সমূহ ==
=== ১৫ই আগষ্ট ===
[[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|
=== ৩রা নভেম্বর ===
মেজর ফারুক. মেজর রশিদ এবং [[খন্দকার মোশতাক আহমেদ]]-এর গড়া সরকার আরও একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৩রা নভেম্বর, ১৯৭৫-এ ক্ষমতাচ্যুত হয়। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন জেনারেল [[খালেদ মোশাররফ]], [[বীর উত্তম]], একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
=== ৭ই নভেম্বর ===
৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে [[খালেদ মোশাররফ]] রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন। তাই মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখেন। কর্নেল (অবঃ) [[আবু তাহের]] সে সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাংখী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক-অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিলনা। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুন জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক। ৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পর তাহের জানতে পারেন জিয়াউর রহমানকে বন্দী করা হয়েছে। তিনি ঢাকাতে তার অনুগত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের বিদ্রোহের নির্দেশ দিয়ে তৎক্ষনাত চট্টগ্রামে থেকে ঢাকা রওনা হন, এ সময় তার সঙ্গী ছিল শত শত জাসদ কর্মী। কর্নেল তাহেরের এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের, জিয়উর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। পাল্টা এই অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে।
এরপর জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় উঠে আসেন। তিনি রহস্যজনক কারনে কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনেন। এতে ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। ধারণা করা হয় ৭ই নভেম্বরে কর্নেল তাহেরের জনপ্রিয়তা দেখে জিয়াউর রহমান শংকিত ছিলেন। তাই ক্ষমতা নিষ্কন্টক রাখার জন্যই তাহেরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনেন।
== ১৯৭৭-১৯৮০ সালের সামরিক অভ্যুত্থান সমূহ ==
জেনারেল জিয়াউর রহমান তার পাচ বছরের শাসনামলে প্রায় ২১টি অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২১টি অভ্যুত্থান থেকে বেঁচে গেলেও ২২তম অভ্যুত্থানে তিনি মৃত্যুবরন করেন। এর অধিকাংশই ছিল ১৯৭১ সালের সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা জিয়ার ইসলামিক ভাবাপন্ন দলের সাথে সম্পর্ক সহ্য করতে পারেননি। তিনি এসব আন্দোলন দৃঢ়ভাবে দমন করেন।
== ১৯৮১ সালের সামরিক অভ্যুত্থান ==
প্রেসিডেন্ট [[জিয়াউর রহমান|
== ১৯৮২ সালের সামরিক অভ্যুত্থান ==
জেনারেল [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ]] একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে [[২৫শে মার্চ]], [[১৯৮২]]-তে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি [[আব্দুস সাত্তার|
== পরবর্তী অভ্যুত্থান চেষ্টা সমূহ ==
পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তত্কালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এ. এস. এম. নাসিম এক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয় জেনারেল ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম এর প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকার কারনে । এসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন [[আবদুর রহমান বিশ্বাস]]।
{{অসম্পূর্ণ}}
== আরও দেখুন ==
* [[শেখ মুজিবর রহমান]]
* [[জিয়াউর রহমান]]
* [[আবু তাহের]]
== বাইরের উত্স ==
{{অসম্পূর্ণ}}
== References ==
* Mascarenhas, Anthony. ''Bangladesh: A Legacy of Blood''. London: Hodder and Stoughton, 1986.
* http://www.majordalimbubangla.com/
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ইতিহাস]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী]]
|