প্রাকৃতিক নির্বাচন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
১১ নং লাইন:
যেকোন জনগোষ্ঠীতেই প্রাকৃতিকভাবে প্রকরণ উৎপন্ন হয়। অনেক প্রকরণই প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে না (যেমন, মানুষের চোখের রঙ), কিন্তু কিছু কিছু করে। একটি [[খরগোশ]] অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগামী হলে সহজেই qঅশিকারীর হাত থেকে পালাতে পারবে, কোন [[শৈবাল]] [[সালোকসংশ্লেষণ|সালোকসংশ্লেষণে]] বেশি পারদর্শী হলে অন্যদের চেয়ে দ্রুত বেড়ে উঠবে। কোন প্রকরণ প্রাণীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করলে তার প্রজননের হারকেও প্রভাবিত করবে; তবে মাঝে মাঝে দু’টো একই সাথে প্রভাবিত নাও হতে পারে। শেষ পর্যন্ত আসলে একটি প্রাণীর সারা জীবনের প্রজননগত সাফল্যই গুরুত্ব বহন করে।
যেমন, [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]] হালকা ও গাঢ় রঙের peppered moth পাওয়া যেত। শিল্প বিপ্লবের সময় গাছের গুড়িতে বসবাস করা পতঙ্গগুলোর উপর ধূলো পড়ায় সেগুলোর রঙ গাঢ় হয়ে গিয়েছিল, এতে করে তারা সহজেই শিকারীর হাত থেকে নিস্তার পেত। এভাবে গাঢ় রঙের peppered moth বেশি করে সন্তান রেখে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। প্রথম গাঢ় রঙের পতঙ্গটি ধরার পঞ্চাশ বছর পর কারখানা-সমৃদ্ধ [[ম্যানচেস্টার]] এলাকায় প্রায় সব পতঙ্গ গাঢ় রঙের ছিল। কিন্তু [[১৯৫৬]] সালে Clean Air Act পাস হওয়ার পর পরিবেশ অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় গাঢ় রঙের পতঙ্গগুলো দৃষ্টিকটু হয়ে পড়ায় শিকারীদের সহজ শিকারে পরিণত হয়েছিল। এতে করে গাঢ় রঙের পতঙ্গগুলো আবার দুর্লভ হয়ে পড়ে। এটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের একটি বাস্তব উদাহরণ।
যেসব বৈশিষ্ট্য প্রাণীকে প্রজননগত সুবিধা প্রদান করে, সেসব বৈশিষ্ট্য একই সাথে দায়যোগ্য হলে, অর্থাৎ, এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে প্রবাহিত হলে, পরবর্তী প্রজন্মে দ্রুতগামী খরগোশ অথবা সুদক্ষ শৈবাল একটু বেশি অনুপাতে উপস্থিত থাকবে। একে ''পার্থক্যযুক্ত প্রজনন'' বা differential reproduction বলে।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের ধারণাটি বংশগতিবিদ্যার চেয়ে পুরনো। আধুনিক ভাষায় বললে- প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রাণীর ফিনোটাইপ বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যকে নির্বাচন করে কিন্তু আদতে এই বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিনোটাইপ নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। ফিনোটাইপ আসলে জিনোটাইপ এবং জিনের বাহক যা প্রাণীটির পরিবেশ দ্বারা নির্ধারিত হয় (দেখুন: [[জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপের পার্থক্য]])।
বিবর্তনের আধুনিক সংশ্লেষণ এভাবেই প্রাকৃতিক নির্বাচন ও বংশগতিবিদ্যাকে সংযুক্ত করেছে।
=== নামকরণ ও ব্যবহার ===
"প্রাকৃতিক নির্বাচন" শব্দটির অর্থ প্রেক্ষাপটের উপর সামান্য নির্ভরশীল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে উদ্ধারিক (হেরিটেবল) বৈশিষ্ট্যের উপর কার্যকরী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, কারণ এই বৈশিষ্ট্যগুলোই সরাসরি জৈব বিবর্তনে অংশগ্রহন করে। তবে প্রাকৃতিক নির্বাচন “অন্ধ”, এই অর্থে যে ফিনোটাইপ (শারীরিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য) দায়যোগ্য (হেরিটেবল) না হওয়া সত্ত্বেও প্রজননগত সাফল্য প্রদান করতে পারে (উদ্ধারিক নয়, এমন সব বৈশিষ্ট্য পরিবেশের প্রভাবেও উদ্ভূত হতে পারে)।
ডারউইনের প্রাথমিক ব্যবহার<ref name="origin"/> অনুসারে শব্দটি দূরদৃষ্টিহীন নির্বাচনের বিবর্তনীয় পরিণতি ও বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া, দু’টো বিষয়কেই নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়।<ref name="fisher">Fisher RA (1930) ''The Genetical Theory of Natural Selection''
কোন বৈশিষ্ট্য প্রজজনগত সাফল্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখলে নির্বাচনী শক্তি তার পক্ষে কাজ করে, এর বিপরীত হলে নির্বাচনী শক্তি তার বিপক্ষে কাজ করে। একটি বৈশিষ্ট্য নির্বাচিত হলে এর সাথে আরও অনেক বৈশিষ্ট্য নির্বাচিত হতে পারে যেগুলো আদতে প্রজননগত সাফল্যকে প্রভাবিত করে না। এটি প্লেয়োট্রপি কিংবা জিন সংযোগের (gene linkage) কারণে ঘটতে পারে।<ref>Sober E (1984; 1993) ''The Nature of Selection: Evolutionary Theory in Philosophical Focus''
=== যোগ্যতা ===
[[চিত্র:Darwin's finches.jpeg|thumb|ডারউইনের অঙ্কিত [[গালাপাগোস]] দ্বীপপুঞ্জের ফিঞ্চ পাখিদের ঠোঁটের প্রকরণের চিত্র। গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে ১৩টি ঘনিষ্ঠ ফিঞ্চ প্রজাতি আছে যাদের মধ্যেকার সবচেয়ে বড় পার্থক্য ঠোঁটের আকার-আকৃতি। প্রত্যেক প্রজাতির ঠোঁট তাদের খাবারের ধরণের প্রতি প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে অভিযোজিত হয়েছে।]]
{{Main|যোগ্যতা (জীববিজ্ঞান)}}
যোগ্যতার ধারণাটি প্রাকৃতিক নির্বাচনের একেবারে কেন্দ্রীয় বিষয়। ব্যাপকভাবে বললে- যোগ্যতমরাই টিকে থাকে, যা প্রায়ই “সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট” শব্দসমষ্টির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মতই এই শব্দটির সঠিক অর্থ অতি সূক্ষ্ম, বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী [[রিচার্ড ডকিন্স]] তার পরের বইগুলোতে শব্দটি এড়িয়ে গিয়েছেন
যদিও প্রাকৃতিক নির্বাচন ব্যক্তির উপর কাজ করে, তথাপি দৈবের প্রভাবের কারণে একটি জনগোষ্ঠীর ভেতরে কোন প্রাণীর কেবল গড় যোগ্যতাকেই সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব। একটি বিশেষ জিনোটাইপের যোগ্যতা একই জিনোটাইপ ধারণকারী অন্য প্রাণীদের উপর তার গড় প্রভাবের উপর নির্ভর করে। খুবই অল্প যোগ্যতার অধিকারী জিনোটাইপ তাদের ধারককে প্রায় নিঃসন্তান থাকতেই বাধ্য করে- এর উদাহরণ cystic fibrosis এর মত অনেক মনুষ্য জিনগত রোগ।
৩৮ নং লাইন:
প্রাকৃতিক নির্বাচন যেকোন উদ্ধারিক বৈশিষ্ট্যের উপর কাজ করে, আবার নির্বাচনী চাপ যেকোন পরিবেশগত কারণ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে- যেমন যৌন নির্বাচন, একই বা ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সাথে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। তার মানে এই না যে প্রাকৃতিক নির্বাচন সবসময় একটি বিশেষ দিকে তাড়িত হয় কিংবা অভিযোজনীয় বিবর্তনের জন্ম দেয়; প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রায়ই স্বল্প যোগ্যতার প্রাণীদের বিলুপ্ত করে জনগোষ্ঠীর বিদ্যমান অবস্থা টিকিয়ে রাখে।
নির্বাচনের একক ব্যক্তি হতে পারে, অথবা জৈব সংগঠনের যেকোন পর্যায়ও হতে পারে- যেমন জিন, [[কোষ (জীববিজ্ঞান)|কোষ]], জ্ঞাতি-গোষ্ঠী (kin group) ইত্যাদি। প্রাকৃতিক নির্বাচন কি গোত্রের উপর কাজ করে নাকি প্রজাতির উপর কাজ করে বড় অনাত্মীয় গোষ্ঠীর জন্য উপকারী অভিযোজন উৎসাহিত করে- এটি নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
জিনের উপর নির্বাচন কাজ করে যেমন জিনের যোগ্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনি সেই জিনের ধারকের যোগ্যতাকে কমিয়েও দিতে পারে, যাকে বলে “আন্তঃজিনোমিক সংঘাত”। সব শেষে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনী চাপের সম্যক প্রভাবই প্রাণীর সামগ্রিক যোগ্যতাকে নির্ধারণ করে, যার ফলে প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলাফলও নির্ধারিত হয়।
৪৫ নং লাইন:
প্রাকৃতিক নির্বাচন জীবনকালের প্রত্যেকটি পর্যায়ে ঘটে। প্রজনন করতে হলে একটি প্রাণীকে অবশ্যই পূর্ণবয়ষ্ক হতে হবে, এসব প্রাণীর উপর ক্রিয়াশীল নির্বাচনকে বলে ''ভায়াবিলিটি সিলেকশন''। অনেক প্রজাতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের পরষ্পরের সাথে যৌনসঙ্গীর জন্য প্রতিযোগিতা করতে হয় এবং এই প্রতিযোগিতায় বিজেতারাই পরবর্তী প্রজন্মের অভিভাবক হয়। কোন প্রাণী যখন একাধিকবার প্রজনন করতে পারে, তখন জীবনের প্রজননশীল পর্যায়ে প্রাণী যত বেশি সময় বাঁচবে, তার সন্তান-সন্ততির সংখ্যাও তত বেশি হবে- একে বলে ''সারভাইভাল সিলেকশন''।
পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতির উর্বরতা (যেমন, কিছু কিছু ''ড্রসোফিলা'' প্রজাতির বিশাল [[শুক্রাণু]])<ref>Pitnick S & Markow TA (1994) Large-male advantage associated with the costs of sperm production in ''Drosophila hydei'' , a species with giant sperm. ''Proc Natl Acad Sci USA''
=== যৌন নির্বাচন ===
৫১ নং লাইন:
“পরিবেশগত নির্বাচন” ও “যৌন নির্বাচন” এর মাঝে পার্থক্যটা গুরুত্বপূর্ণ। “পরিবেশগত নির্বাচন” বলতে পরিবেশগত প্রভাব বোঝায়(যেমন, প্রতিযোগীতা, শিশুহত্যা, পরিবার নির্বাচন(kin selection) ইত্যাদি) যেখানে “যৌন নির্বাচন” বলতে যৌনসঙ্গীর জন্য প্রতিযোগীতাকে ইঙ্গিত করে।<ref>{{cite book| author=Andersson, M| year=1995| title=Sexual Selection| publisher=Princeton University Press| location=Princeton, New Jersey| isbn=0-691-00057-3}}</ref>
যৌন নির্বাচন একই লিঙ্গের প্রাণীদের প্রতিযোগীতার উপর যেমন কাজ করতে পারে, তেমনি একাধিক যোগ্য সঙ্গী থেকে সবচেয়ে যোগ্য সঙ্গীটির কোন একটি বিশেষ লিঙ্গ দ্বারা নির্বাচিত হওয়ার উপরও কাজ করতে পারে। সাধারণত স্ত্রী প্রাণীটি একাধিক পুরুষ প্রাণী হতে একজন যৌনসঙ্গী নির্বাচন করে। যেহেতু সন্তান লালন-পালনে স্ত্রী প্রাণীটির বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি, তাই সে সবচেয়ে উন্নতমানের জিনের ধারক পুরুষ প্রাণীটিকেই সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করে।
কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য শুধু একই প্রজাতির কোন বিশেষ লিঙ্গে পর্যবেক্ষিত হয়, উদাহরণ হিসেবে কিছু পুরুষ পাখির আকর্ষণীয় পুচ্ছরাজির কথা বলা যায়, যা যৌন নির্বাচনের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। পুরুষ হরিণের বিশাল বড় শিং থাকে যা ব্যবহার করে তারা স্ত্রী হরিণের আনুগত্য জয় করার জন্য একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়। সাধারণত আন্তঃলৈঙ্গিক নির্বাচনকে সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়, যার মধ্যে লিঙ্গভেদে আকারের ভিন্নতা অন্তর্গত।<ref name="Barlow">{{cite journal | last1 = Barlow | first1 = GW. | year = 2005 | title = How Do We Decide that a Species is Sex-Role Reversed? | url = | journal = [[The Quarterly Review of Biology]] | volume = 80 | issue = 1| pages = 28–35 | pmid = 15884733 | doi = 10.1086/431022 }}</ref>
৫৮ নং লাইন:
[[চিত্র:Antibiotic resistance.svg|thumb|upright|জীবাণুনাশকের প্রতি সহনশীল অণুজীবদের টিকে যাওয়ার মাধ্যমে জীবাণুনাশক বিরোধী প্রতিরোধ বৃদ্ধি পায় এবং উত্তরাধিকারসূত্রে এই বৈশিষ্ট্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যায়।]]
অণুজীবের মধ্যে জীবাণু-নাশকের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক নির্বাচনের একটি জনপ্রিয় উদাহরণ। ১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং কর্তৃক [[পেনিসিলিন]] আবিস্কৃত হওয়ার পর হতে [[ব্যাক্টেরিয়া|ব্যাকটিরিয়া]]জনিত রোগের বিরুদ্ধে [[অ্যান্টিবায়োটিক|জীবাণু-নাশক]] ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এই বেঁচে যাওয়া ব্যাকটিরিয়া এরপর পরবর্তী প্রজন্মের জন্ম দিবে।
যথেষ্ঠ সময় থাকলে এবং বারংবার জীবাণু-নাশকটির সংস্পর্শে আসলে জীবাণু-নাশকটির প্রতি সম্পূর্ণভাবে সহনশীল এক নতুন ব্যাকটিরিয়া জনগোষ্ঠীর উদয় ঘটবে। এই নতুন জনগোষ্ঠীটি বিদ্যমান পরিবেশের প্রতি অভিযোজিত হলেও তার পূর্বপুরুষদের জীবাণু-নাশকমুক্ত পরিবেশের প্রতি অভিযোজিত হবে না।
জীবাণু-নাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপব্যবহারের ফলে অনেক অণুজীব জীবাণু-নাশকের প্রতি সহনশীল হয়ে পড়েছে, মেথিসিলিন-বিরোধী ''Staphylococcus aureus'' (MRSA) তার ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিরোধক্ষমতার কারণে এখন "সুপারবাগ" হিসেবে অভিহিত হচ্ছে।<ref>{{cite web|url=http://www.inboxrobot.com/news/MRSASuperbug|title=MRSA Superbug News|accessdate=2006-05-06}}</ref>
এটি বিবর্তনীয় অস্ত্রযুদ্ধের একটি উদাহরণ- গবেষকরা যতই শক্তিশালী জীবাণু-নাশক তৈরী করছেন, ততই নতুন নতুন প্রজাতির সহনশীল ব্যাকটিরিয়া বিবর্তিত হচ্ছে। উদ্ভিদ ও পতঙ্গকূলে কীটনাশক প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।
== প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন ==
{{Main|বিবর্তন|ডারউইনবাদ}}
প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে অভিযোজনমূলক বিবর্তন, অনন্য বৈশিষ্ট্য ও প্রজাত্যায়ন ঘটার পূর্বশর্ত হল জনপুঞ্জে উদ্ধারিক প্রকরণের উপস্থিতি যার ফলে যোগ্যতার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
[[চিত্র:Pavo cristatus albino001xx.jpg|right|thumb|ধারণা করা হয়ে থাকে যে ময়ূরের পুচ্ছ যৌন নির্বাচনের ফল। এই ময়ূরটি আলবিনো; প্রকৃতিতে আলবিনোদের উপর খুব কঠিন ঋনাত্মক নির্বাচন কাজ করে, কারণ হয় শিকারীরা তাদের সহজেই শণাক্ত করতে পারে নয়ত তারা সঙ্গীর জন্য প্রতিযোগীতায় ব্যর্থ হয়।]]
যোগ্যতার সংজ্ঞামতে, যোগ্যতর প্রাণীগুলো পরবর্তী প্রজন্মে অধিক সংখ্যাক সন্তান রেখে যেতে পারবে, কিন্তু স্বল্প যোগ্য প্রাণীগুলো হয় প্রজননে অক্ষম হবে নয়ত সন্তান পয়দা করার আগেই মারা যাবে।
কিছু কিছু পরিব্যক্তি তথাকথিত নিয়ামক জিনে ঘটে থাকে।
[[চিত্র:Polydactyly 01 Lhand AP.jpg|upright|thumb|X-ray of the left hand of a ten year old boy with polydactyly.]]
বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যগুলো অপরিবর্তনীয় নয়; এক পরিবেশে কোন বৈশিষ্ট্যের যোগ্যতা বেশি হলে অন্য পরিবেশে তা কমও হতে পারে।
=== প্রজাত্যায়ন ===
{{Main|প্রজাত্যায়ন}}
প্রজাত্যায়নের জন্য প্রয়োজন নৈর্বাচনিক প্রজনন, যার ফলে জিন প্রবাহ হ্রাস পায়/
কালের প্রবাহে এই দু'টো উপদলের মধ্যে আমূল বিকিরণ ঘটে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সৃষ্টি হতে পারে, এর পেছনে নির্বাচনী চাপের ভিন্নতা যেমন থাকতে পারে, তেমনি একেক জনপুঞ্জে একেকরকম পরিব্যক্তির উদয়ের ভূমিকাও থাকতে পারে। "ফাউন্ডার এফেক্ট" বা স্থাপক প্রভাবের ভূমিকাও অগ্রহ্য করা যায় না, অর্থাৎ, বিকিরণের সময় উপদলগুলোর যেকোন একটার মধ্যে কিছু সম্ভাব্য উপকারী এলেল থাকতে পারে।
জেনেটিক পরিবর্তনের ফলে দু'টো উপগোত্রের জেনোমের মধ্যে বিসঙ্গতি বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ও দু'টো উপগোত্রের মাঝে জিন প্রবাহ হ্রাস পায়।
== ঐতিহাসিক বিকাশ ==
৯৬ নং লাইন:
বেশ কিছু প্রাচীন দার্শনিক ধারণা করেছিলেন যে প্রকৃতি আপাতঃদৃষ্টিতে দৈবক্রমে ব্যাপক জৈববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে এবং কেবলমাত্র ইয়ারাই বেঁচে থাকে যারা নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হয় এবং প্রজনন করতে সফল হয়; এমপিডোকলস<ref>{{Cite journal | last = Empedocles | authorlink = Empedocles | title = On Nature | volume = Book II | ref = harv | postscript = <!--None--> | url=http://history.hanover.edu/texts/presoc/emp.htm}}</ref> এবং তাঁর ভাবশিষ্য লুক্রেশিয়াস<ref>{{Cite journal | author = Lucretius | authorlink = Lucretius | title = De rerum natura | volume = Book V | ref = harv | postscript = <!--None--> | url=http://classics.mit.edu/Carus/nature_things.5.v.html}}</ref> হলেন প্রখ্যাত কিছু উদাহরণ, তাছাড়া [[এরিস্টটল]] প্রাসঙ্গিক কিছু ধারণাকে পরবর্তীতে পরিমার্জিত করেছিলেন।<ref>{{Cite journal | last = Aristotle | title = Physics | volume = Book II, Chapters 4 and 8 | ref = harv | postscript = <!--None--> | url=http://classics.mit.edu/Aristotle/physics.2.ii.html}}</ref> আল-জাহিজ পরে অস্তিত্বের লড়াইকে বর্ণনা করেছিলেন এবং প্রস্থাপন করেছিলেন যে পরিবেশগত কারণে প্রাণীদের দেহে নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা দিতে পারে যার ফলে তারা অস্তিত্বের সংগ্রামে টিকে থাকতে পারে।<ref>{{cite journal | last1 = Zirkle | first1 = Conway | year = 1941 | title = Natural Selection before the "Origin of Species | url = | journal = Proceedings of the American Philosophical Society | volume = 84 | issue = 1| pages = 71–123 }}</ref><ref>Mehmet Bayrakdar (Third Quarter, 1983). "Al-Jahiz And the Rise of Biological Evolutionism", ''The Islamic Quarterly'' . লন্ডন</ref><ref>{{Cite book|title=Thinking about Life: The History and Philosophy of Biology and Other Sciences|author=Paul S. Agutter & Denys N. Wheatley|publisher=[[Springer Science+Business Media|Springer]]|year=2008|isbn=1402088655|page=43|ref=harv|postscript=<!--None-->}}</ref>
[[আবু রায়হান আল বিরুনি|আবু রায়হান বিরুনি]] কৃত্রিক নির্বাচন বর্ণনা করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে প্রকৃতিতেও একই ঘটনা ঘটে।<ref>{{Cite journal|title=On the Presumed Darwinism of Alberuni Eight Hundred Years before Darwin|author=Jan Z. Wilczynski|journal=[[Isis (journal)|Isis]]|volume=50|issue=4|date=December 1959|pages=459–466|doi=10.1086/348801|ref=harv|postscript=<!--None-->}}</ref>
১১১ নং লাইন:
:If during the long course of ages and under varying conditions of life, organic beings vary at all in the several parts of their organisation, and I think this cannot be disputed; if there be, owing to the high geometrical powers of increase of each species, at some age, season, or year, a severe struggle for life, and this certainly cannot be disputed; then, considering the infinite complexity of the relations of all organic beings to each other and to their conditions of existence, causing an infinite diversity in structure, constitution, and habits, to be advantageous to them, I think it would be a most extraordinary fact if no variation ever had occurred useful to each being's own welfare, in the same way as so many variations have occurred useful to man. But if variations useful to any organic being do occur, assuredly individuals thus characterised will have the best chance of being preserved in the struggle for life; and from the strong principle of inheritance they will tend to produce offspring similarly characterised. This principle of preservation, I have called, for the sake of brevity, Natural Selection.
একবার কাজ করার মত একটা তত্ত্ব পাওয়ার পর ডারউইন সেটিকে জনসম্মুখে প্রকাশ করার আগে তার পক্ষে প্রমাণ জড়ো করা ও পরিমার্জিত করার ব্যাপারে যত্নশীল ছিলেন।
ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচনকে কৃষকদের প্রজননের জন্য শস্য কিংবা পশু নির্বাচনের সাথে তুলনা করেছিলেন, এবং একে তিনি "কৃত্রিম নির্বাচন" আখ্যা দিয়েছিলেন; তাঁর প্রথম দিকের পান্ডুলিপিতে তিনি এক "প্রকৃতি" এর কথা বলেছিলেন যে এই নির্বাচনের কাজটি করবে।
ডারউইন ও তাঁর সমসাময়ীক ব্যক্তিবর্গের কাছে প্রাকৃতিক নির্বাচন আদতে "প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন" এর সমার্থক ছিল। "অন দ্যা অরিজিন অব স্পিসিজ" প্রকাশের পর শিক্ষিত সমাজ স্বীকার করে নিয়েছিল যে বিবর্তন কোন না কোনভাবে ঘটেছে। তবে প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়া হিসেবে বিতর্কিত রয়ে গিয়েছিল, একারণে যে এটি জীবজন্তুর পর্যবেক্ষিত বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাখ্যায় দৃশ্যত দুর্বল ছিল, এবং একারণে যে বিবর্তনের সমর্থকরাও প্রক্রিয়াটির "অনির্ধারিত" ও অ-প্রগতিশীল প্রকৃতি গ্রহণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল<ref name="Eisley">Eisley L. (1958). ''Darwin's Century: Evolution and the Men Who Discovered It.''
তবে কিছু কিছু চিন্তাবিদ সোৎসাহে ডারউইনের তত্ত্বকে গ্রহণ করেছিলেন; ডারউইনের লেখা পড়ার পর হার্বার্ট স্পেন্সার "সারভাইভাল অব দ্যা ফিটেস্ট" শব্দমালাটি প্রস্তাব করেন, যা তত্ত্বটির সারমর্ম হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।<ref name="sotf">{{cite web |url=http://www.darwinproject.ac.uk/entry-5145#mark-5145.f3 |title=Letter 5145 — Darwin, C. R. to Wallace, A. R., 5 July (1866) |publisher=Darwin Correspondence Project |accessdate=2010-01-12}}<br /> {{cite web |url=http://works.bepress.com/cgi/viewcontent.cgi?article=1000&context=maurice_stucke |title=Better Competition Advocacy |accessdate=2007-08-29 |author=Maurice E. Stucke |authorlink= |coauthors= |date= |format= |work= |publisher= |pages= |language= |archiveurl= |archivedate= |quote=Herbert Spencer in his ''Principles of Biology'' of 1864, vol. 1, p. 444, wrote “This survival of the fittest, which I have here sought to express in mechanical terms, is that which Mr. Darwin has called ‘natural selection’, or the preservation of favoured races in the struggle for life.”}}</ref>
১৮৬৯ সালে প্রকাশিত ''অন দ্যা অরিজিন অব স্পিসিজের''
জীববিজ্ঞানের বাইরের মানুষ এখনও বাক্যাংশটি ব্যবহার করলেও আধুনিক জীববিজ্ঞানীরা শব্দটি কৌশলগত কারণে এড়িয়ে চলেন।<ref name="Mills">Mills SK, Beatty JH. [1979] (1994). ''The Propensity Interpretation of Fitness'' . Originally in ''Philosophy of Science''
=== আধুনিক বিবর্তনীয় সংশ্লেষণ ===
১২৭ নং লাইন:
প্রাকৃতিক নির্বাচন বংশগতির ধারণার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, কিন্তু এই ধারণাটি বংশগতিবিদ্যার সূচনার আগেই প্রণয়ন করা হয়েছিল। যদিও আধুনিক বংশগতিবিদ্যার জনক অস্ট্রীয় যাজক [[গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল|গ্রেগর মেন্ডেল]] ডারউইনের সমকালীন ছিলেন, তাঁর কর্ম বিংশ শতাব্দির প্রারম্ভের আগে অন্ধকারে ছিল। গ্রেগর মেন্ডেলের বংশগতির সূত্রসমূহের সাথে ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের একাঙ্গীকরণ করার পরই কেবল প্রাকৃতিক নির্বাচন বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল।
রোনাল্ড ফিশার(যিনি এর জন্য প্রয়োজনীয় গাণিতিক ভাষা ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের জেনেটিক তত্ত্ব প্রণয়ন করেছিলেন)<ref name="fisher"/>, জে.বি.এস. হ্যালডেন(যিনি "cost of natural selection" এর ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন)<ref>Haldane JBS (1932) ''The Causes of Evolution'' ; Haldane JBS (1957) The cost of natural selection. ''J Genet''
এই সংশ্লেষণ প্রাকৃতিক নির্বাচনকে বিবর্তন তত্ত্বের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
== বিবর্তন তত্ত্বের প্রভাব ==
[[অ্যাডাম স্মিথ|এডাম স্মিথ]] ও [[কার্ল মার্ক্স|কার্ল মার্ক্সের]] পাশাপাশি ডারউইনের কর্ম ১৯ শতকের বৌদ্ধিক জগতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।
দার্শনিক ড্যানিয়েল ডেনেট তাঁর "Darwin's Dangerous Idea" গ্রন্থে প্রাকৃতিক নির্বাচনকে "সর্বগ্রাসী অম্ল"
প্রাকৃতিক নির্বাচনের এই সীমাহীন প্রয়োগযোগ্যতাকে সর্বজনীন ডারউইনবাদ আখ্যা দেওয়া হয়ছে।
১৪০ নং লাইন:
=== কোষ এবং আণবিক জীববিজ্ঞান ===
ঊনবিংশ শতকে আধুনিক ভ্রুণবিদ্যার অন্যতম জনক উইলহেল্ম রুক্স « Der Kampf der Teile im Organismus » শিরোনামে একটি বই লিখেছিলেন যেখানে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে ভ্রূনের বিভিন্ন অংশের মাঝে ডারউইনীয় প্রতিযোগীতার মাধ্যমে একটি প্রাণী বেড়ে উঠতে পারে এবং এই প্রতিযোগীতা অণু থেকে শুরু করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাঝেও বিস্তৃত হতে পারে। সাম্প্রতিককালে
=== সামাজিক এবং মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্ব ===
বিবর্তনের তত্ত্বের সামাজিক প্রয়োগ অশেষ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জার্মান দার্শনিক ও সমাজতন্ত্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস ১৮৭২ সালে লিখেছিলেন, "ডারউইন জানতেন না তিনি মানবসমাজকে নিয়ে কী তীব্র স্যাটায়ার রচনা করেছেন যখন তিনি দেখিয়েছেন যে উন্মুক্ত প্রতিযোগীতা বা টিকে থাকার সংগ্রাম, যাকে এতদিন অর্থনীতিবিদরা মানবসমাজের সর্বোচ্চ ঐতিহাসিক প্রাপ্তি হিসেবে দাবি করে আসছিলেন, আসলে প্রাণিজগতের অতি স্বাভাবিক একটি চিত্র"।<ref>Engels F (1873-86) ''Dialectics of Nature''
সাম্প্রতিককালে নৃবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণার মাধ্যমে প্রথমে সমাজ জীববিদ্যা(Sociobiology) এবং পরে [[বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান|বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের]] উদয় ঘটেছে, যা মানুষের মনস্তত্ত্বকে প্রাচীন পরিবেশে মানুষের পূর্বসূরীদের অভিযোজন দ্বারা ব্যাখ্যা করে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ [[নোম চম্স্কি|নোয়াম চমস্কি]] এবং [[স্টিভেন পিংকার|স্টিভেন পিংকারের]] গবেষণা, যেখানে তাঁরা দাবি করেছেন যে [[স্বাভাবিক ভাষা|প্রাকৃতিক ভাষার]] ব্যাকরণ আয়ত্ত করার জন্য মানুষের মস্তিস্ক অভিযোজিত হয়েছে।<ref name="Pinker">Pinker S. [1994] (1995). ''The Language Instinct: How the Mind Creates Language.''
=== তথ্য এবং সিস্টেম তত্ত্ব ===
১৯২২ সালে আলফ্রেড লতকা প্রস্তাব করেন যে প্রাকৃতিক নির্বাচনকে একটি ভৌত প্রক্রিয়া যাকে কোন সিস্টেম শক্তি ব্যবহার দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়<ref>Lotka AJ (1922a) [http://www.pubmedcentral.nih.gov/picrender.fcgi?artid=1085052&blobtype=pdf Contribution to the energetics of evolution] [PDF] ''Proc Natl Acad Sci USA''
প্রাকৃতিক নির্বাচন "কৃত্রিম প্রাণ" এর মত অনেক গণনাকরণ পদ্ধতিকে অনুপ্রাণীত করেছে। কৃত্রিম প্রাণ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সিমুলেট করতে পারে, এবং এটি যেকোন সত্ত্বাকে ফিটনেস ফাংশন দ্বারা সংজ্ঞায়িত কোন বিশেষ পরিবেশে অভিযোজিত করার ক্ষেত্রেও বেশ দক্ষ<ref>Kauffman SA (1993) ''The Origin of order. '' ''Self-organization and selection in evolution.''
== প্রাকৃতিক নির্বাচনের জেনেটিক ভিত্তি ==
১৬১ নং লাইন:
যখন কোন জনগোষ্ঠীতে বিভিন্ন প্রাণী একই জিনের বিভিন্ন সংস্করণ বহন করে, তখন ওই প্রত্যেকটি সংস্করণকে এলেল বলে। এই জিনগত প্রকরণই ফেনোটাইপিক বৈশিষ্ট্যসমূহের ভিত্তি। একটা প্রচলিত উদাহরণ হল চোখের রঙের জন্য কিছু বিশেষ জিন মিশ্রণ যা মানুষের ক্ষেত্রে, কাল, নীল, সবুজ প্রভৃতি রঙের চোখ সৃষ্টি করতে পারে। একই জনপুঞ্জের সদস্যরা সবাই যদি একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের এলেল বহন করে এবং এই অবস্থা যদি সুস্থিত হয়, তবে বলা হয়ে থাকে যে এলেলটি জনপুঞ্জে প্রোথিত হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য শুধু একটি জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়, কিন্তু বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্যের পেছনেই একাধিক জিনের ভূমিকা থাকে। ওই জিনসমষ্টির যেকোন একটি পরিবর্তিত হলে ফেনোটাইপে খুবই ক্ষুদ্র পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে পারে; এই জিনসমষ্টির মধ্যে প্রকরণ এভাবে সম্ভাব্য ফেনোটাইপের একটি পরম্পরা সৃষ্টি করতে পারে।<ref>Falconer DS & Mackay TFC (1996) ''Introduction to Quantitative Genetics''
=== নির্বাচনের দিকপ্রবাহ ===
১৬৯ নং লাইন:
সদিক নির্বাচন ঘটে যখন একটি বিশেষ এলেলের যোগ্যতা অন্য এলেলের চেয়ে বেশি হয় এবং এর সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে। এই প্রক্রিয়াটি চলতেই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত্য এলেলটি জিনপুঞ্জে প্রোথিত না হবে এবং জনপুঞ্জের প্রত্যেকটি প্রাণীর ওই নির্দিষ্ট ফেনোটাইপ না থাকবে। জীবাণু-নাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধও দিকনির্দিষ্ট নির্বাচনের উদাহরণ।
তবে সদিক নির্বাচনের চেয়ে সুস্থিতিকরণ নির্বাচন বা stabilizing selection(''পরিশোধনকারী নির্বাচন''
এছাড়াও সুষমকরণ নির্বাচন(balancing selection) নানা রুপে কাজ করে যার ফলে কোন এলেল প্রোথিত না হলেও বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে সে জিনপুঞ্জে বিচরণ করে। এটা ডিপ্লয়ড(যাদের দু'জোড়া ক্রোমজোম থাকে) প্রজাতিতে ঘটতে পারে যখন হেটেরোজাইগোটদের(যাদের ক্রোমজোমের কোন নির্দিষ্ট স্থান বা লোকাসে দু'টো ভিন্ন এলেল থাকে) যোগ্যতা হোমোজাইগোটদের(লোকাসে যখন দু'টো একই এলেল থাকে) চেয়ে বেশি হয়। একে হেটেরোজাইগোট সুবিধা বলে, যার সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ হল কাস্তে কোষ ব্যাধির জন্য দায়ী জিনের শুধু একটি কপি বহন করা কিছু হেটেরোজাইগোট মানুষ, যারা এর ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই ম্যালেরিয়ার প্রতি সহিষ্ণু। বহুমুখী নির্বাচন বা diversifying selection এর ফলেও এলেল প্রকরণ টিকে থাকতে পারে কারণ এই প্রক্রিয়ায় গড় মান থেকে যেকোন দিকে বিচ্যুত জেনোটাইপগুলোই নির্বাচিত হয়।
=== নির্বাচন এবং জিনগত প্রকরণ ===
১৭৮ নং লাইন:
==== পরিব্যক্তি-নির্বাচন ভারসাম্যতা ====
ভুলভাবে অভিযোজিত হওয়া
==== জিন সংযুক্তকরণ ====
১৮৪ নং লাইন:
নির্বাচনী সম্মার্জন(selective sweep) ঘটে যখন কোন এলেল ধনাত্মক নির্বাচনের ফলে জিনপুঞ্জে সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। এলেলটির প্রচলন যত বাড়বে, এর সাথে সংযুক্ত নিরপেক্ষ কিংবা সামান্য ক্ষতিকর এলেলগুলোর প্রচলনও তত বাড়বে। একে জেনেটিক হিচহাইকিং বলে। কঠিন নির্বাচনী সম্মার্জনের ফলে জিনোমের কোন অঞ্চলে হয়ত কেবল ওই নির্বাচিত হ্যাপলোটাইপ
নির্বাচনী সম্মার্জন ঘটেছে কিনা বোঝার জন্য সংযুক্তকরণ ভারসাম্যহীনতা(linkage disequilibrium) অথবা জিনপুঞ্জে কোন নির্দিষ্ট হ্যাপলোটাইপের প্রাবল্য পরিমাপ করা হয়। সাধারণত জিন সমন্বীকরণের ফলে হ্যাপলোটাইপের মধ্যকার এলেলগুলো পুনর্বিন্যাস্ত হয় এবং কোন হ্যাপলোটাইপই জিনপুঞ্জে প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে না। তবে নির্বাচনী সম্মার্জনের সময় কোন বিশেষের এলেলের জন্য নির্বাচন এর পারিপার্শ্বিক এলেলগুলোকেও নির্বাচন করবে। সুতরাং, কোথাও সংযুক্ত ভারসাম্যহীনতা খন্ডের উপস্থিতি নির্দেশ করে যে সেই খন্ডে সাম্প্রতিককালে নির্বাচনী সম্মার্জন ঘটেছে, এবং এই তথ্য ব্যবহার করে নির্বাচনের সাম্প্রতিক কার্যস্থলগুলো শণাক্ত করা সম্ভব।
২০৭ নং লাইন:
** {{cite book| author=Gould, Stephen Jay| year=2002|title=The Structure of Evolutionary Theory| publisher=Harvard University Press| isbn=0-674-00613-5|authorlink=Stephen Jay Gould}}
** {{cite book| author=Maynard Smith, John| year=1993|title=[[The Theory of Evolution]]: Canto Edition| publisher=Cambridge University Press| isbn=0-521-45128-0|authorlink=John Maynard Smith}}
** [[কার্ল পপার|Popper, Karl]] (1978) ''Natural selection and the emergence of mind.''
** Sober, Elliott (1984) ''The Nature of Selection: Evolutionary Theory in Philosophical Focus.''
** Williams, George C. (1966) ''Adaptation and Natural Selection: A Critique of Some Current Evolutionary Thought.''
** Williams George C. (1992) ''Natural Selection: Domains, Levels and Challenges.''
* For general audiences
** [[রিচার্ড ডকিন্স|Dawkins, Richard]] (1996) ''Climbing Mount Improbable.''
** Dennett, Daniel (1995) ''Darwin's Dangerous Idea: Evolution and the Meanings of Life.''
** [[স্টিভেন জে গুল্ড|Gould, Stephen Jay]] (1997) ''Ever Since Darwin: Reflections in Natural History.''
** Jones, Steve (2001) ''Darwin's Ghost: The Origin of Species Updated.''
** Lewontin, Richard (1978) ''Adaptation.''
** Mayr, Ernst (2001) ''What evolution is'' . Weidenfeld & Nicolson, London. ISBN 0-86547-962-3.
** Weiner, Jonathan (1994) ''The Beak of the Finch: A Story of Evolution in Our Time.''
* ঐতিহাসিক
** {{cite journal | last1 = Zirkle | first1 = C | year = 1941 | title = Natural Selection before the "Origin of Species | url = | journal = Proceedings of the American Philosophical Society | volume = 84 | issue = 1| pages = 71–123 }}
** Kohm M (2004) ''A Reason for Everything: Natural Selection and the English Imagination.''
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.literature.org/authors/darwin-charles/the-origin-of-species/chapter-04.html ''On the Origin of Species''
* [http://www.wcer.wisc.edu/ncisla/muse/naturalselection/index.html Natural Selection]- Modeling for Understanding in Science Education, University of Wisconsin
* [http://evolution.berkeley.edu/evolibrary/search/topicbrowse2.php?topic_id=53 Natural Selection] from University of Berkeley education website
|