জলপাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
Added {{multiple issues}} with parameters cleanup, essay-like and wikify tag to article (TW)
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
২৩ নং লাইন:
 
যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হল জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দূত হল জলপাইয়ের তেল যা অলিভ ওয়েল (Olive Oil) আরবিতে জয়তুন (زيت الزيتون )। যেটাকে Liquid Gold বা তরল সোনা নামেও ডাকা হয়। সেই গ্রীক (Greek) সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যাবহার হয়ে আসছে, রন্ধন কর্মে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মহনীয় সব গুণাবলি এই জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশে জলপাই তেলের ব্যাবহার তেমন নেই। শুধুমাত্র শীতকালে শরীরে মাখার কাজে জলপাই তেল ব্যবহৃত হয়, তাও খুবই কম। এছাড়া খাওয়ার কাজে এটির ব্যবহার নেই বললেই চলে। তবে জলপাই ফল সবাই খায়। বাংলাদেশে জলপাই ফল খুব সস্তা। জলপাই ফলের আঁচার বেশ জনপ্রিয় এদেশে। জলপাই ফলের দামের তুলনায় এর তেলের দাম আকাশচুম্বী।
জলপাই তেল বা Olive Oil এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। গবেষকরা দেখিয়েছেন খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয় । জলপাইয়ের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমায়, যকৃৎ (Liver) পরিষ্কার করে, যেটা প্রতিটি মানুষের ২/৩ দিনে একবার করে দরকার হয়। কোস্ট কাঠিন্য রোগীদের জন্য দিনে ১ চামচ (1 spoon) জলপাই তেল অনেক অনেক উপকারী।সাধারণত সন্তান হওয়ার পর মহিলাদের পেটে সাদা রঙের স্থায়ী দাগ পড়ে যায় । গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না। এটা একটা পরীক্ষিত ব্যাপার। জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সাথে ত্বক কুঁচকানো প্রতিরোধ হয় । গবেষকরা ২.৫ কোটি (25 million) লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন ২ চামচ কুমারী জলপাই তেল (Virgin Olive Oil) ১ সপ্তাহ ধরে খেলে ক্ষতিকর এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল (HDL) কোলেস্টেরল বাড়ায়। স্প্যানিশ (Spanish) গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাই তেল ব্যাবহার করলে ক্লোন ক্যান্সার (Colon cancer ) প্রতিরোধ হয়। আরও কিছু গবেষক দেখিয়েছ, এটা ব্যাথা নাশক (Pain Killer) হিসাবে কাজ করে। গোসলের পানিতে ১/৪ চামচ ব্যাবহার করে গোসল করলে শরীরে শিথিলতা পাওয়া যায়। মেয়েদের রূপ বর্ধনের জন্য এটা অনেকটা কার্যকর। ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেলে খাওয়া এবং ব্যাবহারের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রসূল (স.) বলেছেন, “তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।“[হযরত আবু হুরাইরা (রদ্বি.) হতে তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্ বর্ণনা করছেন । ইবনে মাজাহ্-এ হাদিস নং ৩৩২০ । সনদ সহীহ্]। জলপাই তেল যে কোষ্ঠ কাঠিন্য কমে, তা ইবনুল কাইয়্যূম তার "The Medicine of the Prophet (sm.)" বইয়ে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন ।বাজারে কয়েক ধরনের জলপাইয়ের তেল পাওয়া যায়।
যেমন-
১। Extra virgin - এটা প্রথম ধাপ। সরাসরি জলপাই ফল থেকে তৈরি। এসিডেটি ১% এর নিচে। রান্নার জন্য বা সালাদে গবেষকরা এটা প্রস্তাব করেন।