গ্লুকোজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Addbot (আলোচনা | অবদান)
বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ...
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
৬০ নং লাইন:
 
=== শিল্পক্ষেত্রে প্রস্তুতি ===
শিল্পক্ষেত্রে [[শর্করা|স্টার্চ]] বা শ্বেতসার জাতীয় দ্রব্যকে পাতলা এসিড দিয়ে ভেজালে গ্লুকোজ তৈরি হয়। [[চাল]], [[আলু]], [[ভুট্টা]] প্রভৃতি শ্বেতসার জাতীয় দ্রব্য অতিরিক্ত জল ও পাতলা H<sub>2</sub>SO<sub>4</sub>-এর সঙ্গে উচ্চ চাপে উত্তপ্ত করলে তা আর্দ্রবিশ্লেষিত হয়ে গ্লুকোযে পরিণত হয়। সোডিয়াম কার্বনের দ্বারা অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করার পর মিশ্রণটি ছেকে নেওয়া হয়। পরিশ্রুত দ্রবনকে সক্রিও কয়লা দিয়ে বর্ণহীন করে তাপে গাঢ় করলে ঠাণ্ডা করলে দানার আকারে গ্লুকোজ পৃথক হয়ে যায়। এই গ্লুকোজে সামান্য পরিমাণে [[মল্টোজ]] ও ডেক্সট্রিন থাকে। মিথাইল অ্যালকোহলে আবার দানায়িত করলে প্রায় বিশুদ্ধ গ্লুকোজ পাওয়া যায়।<ref>{{cite web |url=http://www3.interscience.wiley.com/journal/113443416/abstract?CRETRY=1&SRETRY=0 |title=Application of Starch Hydrolyzate to the Production of Glucose Oxidase by Aspergillus niger G-IV-10 |publisher=InterScience.wiley.com |accessdate=২০১০.০১.০৭}}</ref>
<center>(C<sub>6</sub>H<sub>10</sub>O<sub>5</sub>)<sub>n</sub> + <sub>n</sub>H<sub>2</sub>O → <sub>n</sub>C<sub>6</sub>H<sub>12</sub>O<sub>6</sub></center>
 
== সমাণু ==
অ্যালডোহেক্সোস [[চিনি]]র চারটি কাইরাল কেন্দ্র রয়েছে যা 2<sup>4</sup> = 16 টি স্টিরিওসমাণু তৈরি করে। এগুলো দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়, L ও D, যার প্রত্যেকটিতে আটটি চিনি থাকে। গ্লুকোজ এদের অন্যতম চিনি এবং L-গ্লুকোজ ও D-গ্লুকোজ হল দুইটি স্টিরিওসমাণু। এদের মধ্যে মাত্র সাতটি জীবন্ত উদ্ভিদে বা প্রাণীতে পাওয়া যায়। D-গ্লুকোজ, D-গ্যালাকটোজ, D-ম্যানোজ এদের মধ্যে সবচেয়ে গরত্বপূর্ণ। এই আটটি সমাণু ডায়াস্টেরিও সমাণুর সাথে সম্প্ররকিত এবং D-সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। গ্লুকোজ যখন বৃত্তাকারে বিন্যস্ত হয়ে দুইটি গোলাকার গঠনবিশিষ্ট অ্যানোমার, α- গ্লুকোজ ও β-গ্লুকোজ তৈরি করে তখন কার্বন-১ এ অতিরিক্ত একটি অপ্রতিসম কেন্দ্র (অ্যানোমারিক কার্বন পরমাণু) সৃষ্টি হয়। গঠনের দিক থেকে C-১ ও C-৬ এর সাথে যুক্ত হাইড্রক্সিল গ্রুপের আপেক্ষিক অবস্থানের সাথে এই অ্যানোমারগুলোর পার্থক্য রয়েছে। যখন D-গ্লুকোজ ত্রিমাত্রিকভাবে (হাওয়ারথ অভিক্ষেপণ) বা শিকল কাঠামো আকারে উপস্থাপন করা হয় তখন α নির্দেশ করে যে, C-১ এর হাথে যুক্ত হাইড্রক্সিল গ্রুপটি ট্রান্স সমাণু হিসেবে আছে; অপরদিকে β নির্দেশ করে যে এটি সিস সমাণূ হিসেবে আছে।
<center><gallery>
Image:DGlucose Fischer.svg|<center>গ্লুকোজের আণবিক সংকেত</center>
Image:D-glucose chain.png|<center><small>D</small>-গ্লুকোজের শিকল কাঠামো।</center>
Image:D-glucopyranose.png|<center><small>α</small>-<small>D</small>-গ্লুকোপাইরানোজ</center>
Image:Beta-D-glucopyranose-2D-skeletal.png|<center>β-<small>D</small>-<br />গ্লুকোপাইরানোজ</center>
Image:D-glucose-chain-3D-balls.png|<center>গ্লুকোজের শিকল কাথামোঃ বল এণ্ড স্টিক মডেল</center>
Image:D-glucose-chain-3D-vdW.png|<center>গ্লুকোজের শিকল কাথামোঃ স্পেস ফিলিং মডেল</center>
File:Alpha-D-glucose-from-xtal-1979-3D-balls.png|<center>α-<small>D</small>-<br />গ্লুকোপাইরানোজ</center>
File:Beta-D-glucose-from-xtal-3D-balls.png|<center>β-<small>D</small>-<br />গ্লুকোপাইরানোজ</center>
</gallery></center>
 
== প্রয়োগ ==
[[চিত্র:Glucose 2.jpg|thumb|upright|right|গ্লুকোজ ট্যাবলেট]]
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছেন কেন গ্লুকোজ জীবকোষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর একটি কারণ হতে পারে, প্রোটিনের অ্যামিনো গ্রুপের সাথে গ্বিক্রিয়ায় অন্যান্য হেক্সোজের তুলনায় গ্লুকোজ কম প্রবণতা দেখায়। বিক্রিয়াটি অনেক [[উৎসেচক|এনজাইমের]] ক্রিয়া হ্রাস করে। [[গ্লাইকেশন]] বিক্রিয়ার কম গতিবেগের কারণ হল, গ্লুকোজের কম সক্রিয় গোলাকার সমাণুর প্রতি প্রবণতা। তবুও প্রোটিনের বা লিপিডের গ্লাইকেশন বিক্রিয়াই সম্ভবত [[ডায়াবেটিস|ডায়াবেটিসের]] অনেক দীর্ঘমেয়াদি জটিলতার কারণ বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে প্রোটিনের সাথে গ্লুকোজের এনজাইম নিয়ন্ত্রিত যুত বিক্রিয়া অনেক সময় এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
 
=== শক্তির উৎস হিসেবে প্রয়োগ ===
৮৭ নং লাইন:
 
=== শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োগ ===
শিল্পক্ষেত্রে গ্লুকোজ [[ভিটামিন সি]] তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া [[সাইট্রিক এসিড]], গ্লুকোনিক এসিড, বায়ো-ইথানল, পলিল্যাকটিক এসিড, [[সর্বিটল]] তৈরিতেও গ্লুকোজ ব্যবহার করা হয়
 
=== অন্যান্য ===
৯৮ নং লাইন:
 
== উৎস ও শোষণ ==
[[খাদ্য|খাদ্যের]] অধিকাংশ কার্বহাইড্রেট হয় গ্লাইকোজেন বা শর্করার অণুর গঠন উপাদান হিসেবে অথবা সুক্রোজ বা ল্যাকটোজের মত মনোস্যাকারাইডের সাথে যুত বিক্রিয়ায় তৈরিতে গ্লুকোজ ধারণ করে। স্ফটিক ফ্রুক্টোজ গ্লুকোজ ধারণ করে না এবং এর শতকরা ৯৮ ভাগই গ্লুকোজ। ক্ষুদ্রান্তের লুমেন অংশে গ্লুকোজ-অলিগো এবং পলিস্যাকারাইড, [[প্যানক্রিয়াটিক]] ও অন্ত্রের গ্লাইকোসাইডেজের মাধ্যমে ভেঙে মনোস্যাকারাইডে পরিণত হয়। অন্যান্য পলিস্যাকারাইড মানুষের অন্ত্রে বিক্রিয়া করে না এবং যদি তা ভেঙে মনোস্যাকারাইডে পরিণত হতে হয় তবে অন্ত্রের ফ্লোরা দরকার হয় (ব্যতিক্রম ব্যতীত)। গ্লুকোজ এসময় এপিকেল মেমব্রেন ও পরবর্তিতে ব্যাসেল মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হয়।<ref>{{citation | last = Ferraris | first = Ronaldo P. | year = 2001 | title = Dietary and developmental regulation of intestinal sugar transport | journal = Biochem. J. | volume = 360 | pages = 265–76 | url = http://www.biochemj.org/bj/360/0265/bj3600265.htm | doi = 10.1042/0264-6021:3600265 | pmid = 11716754 | issue = Pt 2 | pmc = 1222226}}.</ref> গ্লুকোজের কিছু অংশ মস্তিষ্কের কোয, অন্ত্রের কোষ বা [[লাল রক্ত কণিকা]] দ্বারা সরাসরি শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বাকি অংশ [[লিভার]], [[অ্যাডিপোজ টিসু]] ও মাংসপেশীর কোষে পৌছে, যেখানে তা ইনসুলিনের প্রভাবে শোষিত হয় ও সংরক্ষিত থাকে। লিভারের কোষ গ্লাইকোজেন গ্লুকোযে পরিণত হতে পারে এবং রক্তে ফিরে আসতে পারে যখন ইনসুলিনের পরিমাণ কম থাকে বা থাকে না। মাংসপেশীর কোষে গ্লাইকোজেন [[উৎসেচক|এনজাইমের]] না থাকার কারণে রক্তে ফিরে আশে না। চর্বির কোষে গ্লুকোজ বিক্রিয়া গতিশীল করতে গ্লুকোজ ব্যবহৃত হয়।
 
== ইতিহাস ==