গোলাম সামদানী কোরায়শী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
Added {{cleanup-reorganize}} tag to article (TW)
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১৫ নং লাইন:
অধ্যাপক '''গোলাম সামদানী কোরায়শী'''’র জন্ম ১৯২৯ সালের ৫ এপ্রিল। বর্তমান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার কাউরাট গ্রামে। বাবা মৌলভী বাবু শেখ আবু আছল মোঃ আঃ করিম কোরায়শী। মা আলতাফুন্নেসা। তাঁর পূর্বপুরুষের ছিল ময়মনসিংহ গৌরীপুরের বীর আহাম্মদপুর। তিনি ১৯৯১ সালের ১১ অক্টোবর মারা যান।
 
== শিক্ষা জীবন ==
পড়াশোনার হাতেখড়ি পরিবারে। তারপর ঘাটুরকোণা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঠালিয়া মধ্য ইংরেজি স্কুল থেকে ১৯৩৫-৩৬ সালে প্রাইমারি পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর ১৯৩৭--৪১ সাল পর্যন্ত ভর্তি হন নেত্রকোণার চন্দ্রনাথ হাই স্কুল ও বীর আহাম্মদপুর হাই স্কুলে পড়েন। এরপর ১৯৪৫-৫০ সাল পর্যন্ত বাস্তা জুনিয়র মাদ্রাসা (নেত্রকোণা) ও কাতলাসেন মাদ্রাসায় পড়েন (ময়মনসিংহ)। কাৎলাসেন মাদ্রাসা থেকে ১৯৫০ সালে আলিম ১ম শ্রেণীতে ৮ম স্থান অধিকার করেন। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৫২ সালে জামাতে উলা (ফাজেল) ১ম শ্রেণীতে ৩য় স্থান ও ১৯৫৪ সালে এম. এ (কামিল) ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৫-৫৬সালে তিনি নাসিরাবাদ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (ময়মনসিংহ) থেকে আই. আই. এ ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করে বাংলায় ভর্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে বাংলায় (অনার্স) ২য় শ্রেণীতে ৫ম ও ১৯৬০ সালে এম. এ. বাংলা - ২য় শ্রেণীতে ২য় স্থান অর্জন করেন।
সামরিক শিক্ষা (ইউ ও টি সি) ২০ দিনের মিলিটারী ট্রেনিং, এ্যানুয়েল ক্যাম্প, ময়নামতি, কুমিল্লা (১৯৫৩) হাই মাদ্রাসা শিক্ষা অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা (১৯৫৫) দেন।
 
== কর্ম জীবন ==
আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে রাখাল তিনি ৩ বছর ধরে রাখাল (১৯৪২-৪৫) ছিলেন। তারপর ধানীখোলা বাজার, ঈদগাহ্‌ মাঠ মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি ১৯৫৫ সালে ধানীখোলা হাই মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এরপর তিনি ড. মুঃ শহীদুল্লার সম্পাদনা সহকারী, পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান প্রকল্প ও পান্ডুলিপি ও সংকলন বিভাগ, বাংলা একাডেমীতে (১৯৬১-৬৮) কাজ করেন। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহ (১৯৬৮-৯১) যুক্ত ছিলেন।
 
== সাহিত্য কর্ম ==
অধ্যাপক গোলাম সামদানী কোরায়শী’র সাহিত্য কর্ম বিশাল। তাঁর মৌলিক রচনার পাশাপাশি অনুবাদ ও সম্পাদনার পরিমাণ বিশাল।
;প্রবন্ধ
৫৩ নং লাইন:
কাজেই এমনি এক শ্রমের মাপকাঠি দিয়েই আমরা আদর্শ মানুষের অনুসন্ধান করতে পারি। যিনি যে পরিমাণে এই যথার্থ শ্রমের শ্রমিক, তিনিই ততো খানি আদর্শ মনুষ্য পদবাচ্য। যারা সমাজ প্রগতির ধারাবাহী এই শ্রমকে এড়িয়ে উপাসনা বা প্রতারণার দ্বারা মনুষ্যত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা শুধু সমাজকে প্রতারিত করেন না, বরং নিজেরাও প্রতারিত হন। অপরের শ্রমের ফসল ভোগ করে তারা যে কোনো পদবীই গ্রহণ করুন না কেনো, জীবন যাপনে তারা যতো ঐশ্বর্যের অধিকারীই হোন না কেনো, মানুষ হিসাবে তারা অবশ্যই নিকৃষ্ট। তাদের চাইতে সেই একজন শ্রমিক শ্রেষ্ঠতর - মনুষ্যত্বের অধিকারী, যে তার ক্ষমতা ও চেতনা অনুসারে জীবনের দায়িত্ব পালন করছে। হয়তো তার দেহে স্বাস্থ্যে চাকচিক্য নেই, হয়তো পরনে পোশাকের জৌলুস নেই, কিন্তু মানুষ হিসাবে সে শ্রেষ্ঠ’-- গোলাম সামদানী কোরায়শী। -->
 
== প্রাপ্ত পুরস্কার ==
* কুমারদী মাদ্রাসা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৫০)
* এম.এ. কামিল পরীক্ষায় স্বর্ণপদক (১৯৫৪)
৫৯ নং লাইন:
* অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯০)
 
== সাংগঠনিক কর্মকান্ড ==
অধ্যাপক গোলাম সামদানী কোরায়শী অসংখ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। তার মধ্যে তিনি সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ময়মনসিংহ সাহিত্য পরিষদ, আকুয়া জুনিয়র হাই স্কুল কমিটি, আকুয়া প্রাইমারি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ময়মনসিংহ শাখা (১৯৮৪-৯১) উজিরাবাদ সমবায় সমিতি, আকুয়া পৌর কবরখানা, ময়মনসিংহ ও সহ-সভাপতি হিসেবে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী (ময়মনসিংহ) এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাদ্রাসায়ে আলীয়া, বাংলা সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৮), বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (১৯৮৪-৯১) দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সংগঠনের আহ্বায়ক, উপদেষ্টা ও সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিনেট(১৯৮২-৮৫, ১৯৮৭-৮৮)সদস্য, বাংলা একাডেমীর(নং ৪৪৫) আজীবন সদস্য ছিলেন।