ওমর খৈয়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট: 1 টি আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্তের - d:q35900 এ রয... |
অ বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা? |
||
১৩ নং লাইন:
}}
'''গিয়াদ আল-দিন আবুল-ফাত্তাহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-নিশাবুরী খৈয়াম''' (জ. [[মে ৩১]] ১০৪৮ - মৃ. [[ডিসেম্বর ৪]], ১১৩১) একজন ইরানের কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ।
ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করার পর যুবা বয়সে তিনি সমরখন্দে চলে যান এবং সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এর পর [বুখারা]তে নিজেকে মধ্যযুগের একজন প্রধান গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ
ওমর ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারেও তার অবদান রয়েছে।
<br />
তিনি তার কবিতা সমগ্র, যা ওমর খৈয়ামের রূবাইয়াত নামে পরিচিত, তার জন্য বিখ্যাত। তার কাব্য প্রতিভার আড়ালে তার গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করব হয় [[রনে দেকার্ত|রনে দেকার্তের]] আগে তিনি বিশ্লেষনী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন।{{সত্যতা}} তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের [[দ্বিপদী উপপাদ্য]] আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা
দর্শন ও শিক্ষকতায় ওমরের কাজ তার কবিতা ও বৈজ্ঞানিক কাজের আড়ালে অনেকখানি চাপা পড়েছে বলে মনে করা হয়।মধ্যযুগের মুসলিম মনীষা [[জামাকসারি]] ওমর খৈয়ামকে “বিশ্ব দার্শনিক” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেক সূত্রে জানা গেছে তিনি নিশাপুরে তিনি দশক ধরে শিক্ষকতা করেছেন।<br />
ইরান ও পারস্যের বাইরে ওমরের একটি বড় পরিচয় কবি হিসাবে। এর কারণ তার কবিতা বা [[রুবাই]] এর অনুবাদ এবং তার প্রচারের কারণে।ইংরেজীভাষী দেশগুলোতে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায়। ইংরেজ মনিষী [[টমাস হাইড]] প্রথম অপারস্য ব্যক্তিত্ব যিনি প্রথম ওমর কাজ সম্পর্কে গবেষণা করেন। তবে, বহির্বিশ্বে খৈয়ামকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় করেন [[এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড]]। তিনি খৈয়ামের ছোট ছোট কবিতা বা রুবাই অনুবাদ করে তা [[রুবাইয়্যাতে ওমর খৈয়াম]] নামে প্রকাশ করেন।
== জন্ম ও প্রথম জীবন ==
ওমর খৈয়াম জন্ম গ্রহণ করেছিলেন হিজরী পঞ্চম শতকের শেষের দিকে সেলজুক যুগে । তিনি ছিলেন মালিক শাহ সেলজুকের সমসাময়িক। অনেক ইতিহাসবিদের মতে সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছু আগে ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়ামের শৈশবের কিছু সময় কেটেছে অধুনা আফগানিস্তানের বালক্ শহরে। সেখানে তিনি বিখ্যাত মনিষী মহাম্মদ মনসুরীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি খোরাসানের অন্যতম সেরা শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত ইমাম মোয়াফ্ফেক নিশাপুরির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। জীবনের পুরো সময় জুড়ে ওমর তার সব কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। দিনের বেলায় জ্যামিতি ও বীজগণিত পড়ানো, সন্ধ্যায় মালিক-শাহ-এর দরবারে পরামর্শ প্রদান এবং রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চ্চার পাশাপাশি [[ইরানি বর্ষপঞ্জী#মধ্যযুগীয় জালালি বর্ষপঞ্জী|জালালি বর্ষপঞ্জি]] সংশোধন! সবটাতে তার নিষ্ঠার কোন কমতি ছিল না।
ইসফাহান শহরে ওমরের দিনগুলি খুবই কার্যকর ছিল। কিন্তু আততায়ীর হাতে সুলতান মালিক শাহ-এর মৃত্যুর পর তার বিধবা পত্নী ওমরের ওপর রুষ্ঠ হলে ওমর হজ্ব করার জন্য মক্কা ও মদীনায় চলে যান।পরে তাকে নিশাপুরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। নিশাপুরে ওমর গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়ক তাঁর বিখ্যাত কাজগুলো সম্পন্ন করেন।
২৬ নং লাইন:
== গণিতচর্চ্চা ==
জীবদ্দশায় ওমরের খ্যাতি ছিল গণিতবিদ হিসাবে। ইসলামী সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের সোনালী যুগে তথা এখন থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে
[[বীজগণিত|বীজগণিতের]] যেসব উপপাদ্য এবং জ্যোতির্বিদ্যার তত্ত্ব ওমর খৈয়াম দিয়ে গেছেন সেগুলো এখনও গণিতবিদ এবং মহাকাশ গবেষক বা জ্যোতির্বিদদের গবেষণায়
[[১০৭০|১০৭০ খ্রিস্টাব্দে]] তার পুস্তক [[মাকালাত ফি আল জাবর্ আল মুকাবিলা]] প্রকাশিত হয়। এই পুস্তকে তিনি ঘাত হিসাবে সমীকরণের শ্রেণীকরণ করেন এবং দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধানের নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ করেন। এই পুস্তকে তিনি কোনিক সেকশনের বিভিন্ন ছেদকের সাহায্যে নানারকম ত্রিঘাত সমীকরণ সমাধান করেন।অর্থাৎ জ্যামিতিক পদ্ধতিতে বাস্তব মূর আছে এমন ত্রিঘাত সমীকরণ প্রথম সমাধান করেন। তিনি বর্তমানে প্যাসকেলের ত্রিভুজ নামে পরিচিত দ্বি-পদী সহগের ত্রিভুজাকার এরেও লিখেছিলেন।
৩৪ নং লাইন:
== ওমরের রুবাই ==
[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন]] কবি [[জেমস রাসেল লোয়েল]] ওমর খৈয়ামের রুবাই বা [[চতুর্দশপদী|চতুষ্পদী কবিতাগুলোকে]]
ফার্সি কাব্য-জগতে ওমর খৈয়াম এক বিশেষ চিন্তাধারা ও বিশ্বদৃষ্টির পথিকৃৎ। তিনি এমন সব চিন্তাবিদ ও নীরব কবিদের
অসাধারণ জ্ঞানী ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের অনেক কঠিন রহস্য বা প্রশ্নের সমাধান দিয়ে গেলেও
{{cquote|
اسرار ازل را نه تو دانی و نه من <br />
৫০ নং লাইন:
পর্দা যেদিন উঠে যাবে সেদিন থাকবে না তুমি ও আমি।}}
অর্থাৎ সৃষ্টির রহস্যকে
আল্লাহকে জানতে হলে আগে নিজেকে জানা প্রয়োজন এমন ইসলামী বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি লিখেছেনঃ
৭৮ নং লাইন:
* {{gutenberg author|id=Omar_Khayyám|name=Omar Khayyám}}
* The Persian
* [http://classics.mit.edu/Khayyam/rubaiyat.html The Rubaiyat]
* [http://jwilson.coe.uga.edu/emt669/Student.Folders/Jones.June/omar/omarpaper.html On Omar's solutions to cubic equations]
|