ওবায়েদ উল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
পুরস্কার+
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১৩ নং লাইন:
| nationality = বাংলাদেশী
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| citizenship = [[বাংলাদেশ]] [[Imageচিত্র:Flag of Bangladesh.svg|20px|]]
| period =
| genre =
৩০ নং লাইন:
| portaldisp = }}
 
'''ওবায়েদ উল হক''' (জন্মঃ [[অক্টোবর ৩১|৩১ অক্টোবর]], [[১৯১১]] - মুত্যুঃ [[অক্টোবর ১৩|১৩ অক্টোবর]], [[২০০৭]]) একজন প্রখ্যাত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] সাংবাদিক। <ref>[http://www.samakal.net/print_news.php?news_id=200082&pub_no=841 দৈনিক সমকাল]</ref> তিনি একাধারে একজন লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার, গীতিকার। তিনি দীর্ঘকাল ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ অবজার্ভার-এর সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
ওবায়েদ উল হকের জন্ম [[১৯১১]] সালে [[ফেনী জেলা|ফেনীর]] এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। [[১৯৩৪]] সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে তিনি দর্শন ও মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। [[১৯৩৬]] সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন কোর্স সম্পন্ন করেন। <ref>[http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2011-10-13&ni=73788 দৈনিক জনকন্ঠ]</ref>
 
== কর্মজীবন ==
ওবায়েদ উল হক [[১৯৩৮]] সালে তিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। এর মধ্যে [[১৯৪৩]] সালের দুর্ভিক্ষ তাঁর ভাবনাকেপ্রচণ্ড নাড়া দিলো। [[১৯৪৬]] সালে "দুঃখে যাদের জীবন গড়া" ছবিটি মুক্তি পায় বাংলা, বিহার, আসাম এবং বার্মায় (তৎকালীন film distribution zone)। সবাই তাঁর ছবি দেখে অভিভূত হন। সিনে ম্যাগাজিন রূপমঞ্চের জরিপে সে বছর সেরা ১০টি ছবির একটি নির্বাচিত হলো তাঁর ছবিটি। ছবিটি পরে ঢাকার মানসী সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে দেশে এসে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন ওবায়েদ উল হক। [[১৯৫১]] সাল থেকে [[১৯৭১]] সাল পর্যন্ত তিনি [[পাকিস্তান]] অবজারভারে লিখলেন শত শত সম্পাদকীয়। [[১৯৭২]] সালে [[বাংলাদেশ]] অবজারভারের সম্পাদক হন তিনি। <ref>[http://www.kalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=31-10-2011&type=single&pub_no=688&cat_id=2&menu_id=20&news_type_id=1&index=3 দৈনিক কালের কন্ঠ]</ref>[[১৯৮২]] সাল পর্যন্ত তিনি এর সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি সম্পাদক হলেন নতুন প্রকাশিত দৈনিক ডেইলি নিউজের। [[১৯৮৭]] সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিকটির সম্পাদক ছিলেন। এরপর দৈনিক বাংলা এবং বাংলাদেশ টাইমসের বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন।
 
== সাহিত্য কর্ম ==
ওবায়েদ উল হকের প্রথম কবিতা সওগাত পত্রিকায় ছাপা হয় মাত্র ১০ বছর বয়স। এরপর বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং লিটল ম্যাগে নিয়মিত তাঁর কবিতা ছাপা হতে থাকে। পঞ্চাশের দশকে দিগ্বিজয়ে চোরাবাজার নামে তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয়। তিনটি একাঙ্কিকা নাটক নিয়ে বইটি। এরপর একই ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত হয় আরেকটি বই- এই পার্কে। দুটি বইই বেশ জনপ্রিয় হয়। [[১৯৫৮]] সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাহিত্য সেমিনারে জনপ্রিয় নাট্যকার এবং ঔপন্যাসিক রশীদ করিম বলেন, ওবায়েদ উল হক তাঁর দুটি কাজ- দিগ্বিজয়ে চোরাবাজার এবং এই পার্কে'র জন্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ পর্যন্ত ১৪টি বই, ছয়টি নাটক, তিনটি উপন্যাস, তিনটি কাব্যগ্রন্থ এবং ইংরেজিতে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। তাঁর লেখা নাটকগুলো হলো- এই পার্কে, দিগ্বিজয়ে চোরাবাজার, সমাচার এই, রুগ্ন পৃথিবী, ব্যতিক্রম এবং যুগসন্ধি। দ্বৈত সঙ্গীত, সংগ্রাম এবং ঢোল-এই তিনটি তাঁর উপন্যাস। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলো হল- দ্বিধার ফসল, ছায়ানগর সংলাপ এবং গরিব হতে চাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তাঁর লেখা জীবনী গ্রন্থের নাম- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: অন্যরকম এক নেতা।
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
* [[একুশে পদক]] ([[১৯৮৩]]) <ref>[http://www.boipotrobd.com/newsdetail/detail/60 বইপত্র বিডি ডট কম]</ref>
* ইউনিসেফ স্বর্ণপদক ([[১৯৮৩]])
* আব্দুস সালাম স্বর্ণ পদক
* জহুর হোসেন চৌধুরী স্বর্ণ পদক
* অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক
* [[বাংলা একাডেমী পুরস্কার]] ([[১৯৬৪]])
* মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=28 গুণীজন]