আরব বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন করা হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
৩ নং লাইন:
| partof = [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গন]]
| campaign =
| image = [[Fileচিত্র:030Arab.jpg|300px]]
| caption = '[[আরব মরুভূমি|আরব মরুভূমিতে]] [[আরব বিদ্রোহের পতাকা|আরব বিদ্রোহের পতাকাধারী]] [[আরব বাহিনী|আরব বাহিনীর]] সৈনিকরা।'
| date = জুন ১৯১৬–অক্টোবর ১৯১৮
৯ নং লাইন:
| result = [[সেভরেস চুক্তি]]
| territory = [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাজন]]
| combatant1 = {{flagicon|আরব বিদ্রোহ}} [[হেজাজ রাজতন্ত্র]]<br />{{flagicon|যুক্তরাজ্য}} [[ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন এন্ড আয়ারল্যান্ড|যুক্তরাজ্য]]<br /><hr> {{flagicon image|Flag of the Second Saudi State.svg}} [[নজদ ও হাসা আমিরাত]]
| combatant2 = {{flag|উসমানীয় সাম্রাজ্য}}<br /><hr>{{flagicon|জার্মান সাম্রাজ্য}} [[জার্মান সাম্রাজ্য|জার্মানি]]<br />[[Fileচিত্র:Flag of the Emirate of Ha'il.svg|border|20px]] [[জাবাল শামার আমিরাত]]
| commander1 = {{flagicon|আরব বিদ্রোহ}} [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরীফ|হুসাইন বিন আলী]]<br />{{flagicon|আরব বিদ্রোহ}} [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]]<br />{{flagicon|যুক্তরাজ্য}} [[এডমন্ড এলেনবি]]<br />{{flagicon|যুক্তরাজ্য}} [[টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স]]<br /><hr>{{flagicon image|Flag of the Second Saudi State.svg}} [[আব্দ আল আজিজ ইবনে সাউদ|ইবনে সৌদ]]
| commander2 = {{flagicon|উসমানীয় সাম্রাজ্য}} [[জামাল পাশা]]<br />{{flagicon|উসমানীয় সাম্রাজ্য}} [[ফখরি পাশা|ফখরেদ্দিন পাশা]]<br />{{flagicon|উসমানীয় সাম্রাজ্য}} [[মুহিদ্দিন আকুজ|মুহিদ্দিন পাশা]]<br /><hr>{{flagicon|জার্মান সাম্রাজ্য}} [[অটো লিমান ভন সেন্ডার্স]]<br />[[Fileচিত্র:Flag of the Emirate of Ha'il.svg|border|20px]] [[আবদুল আজিজ বিন মিতাব]]
| strength1 = ৩০,০০০ (জুন ১৯১৬)<ref name="Murphy26">David Murphy, (Illustrated by Peter Dennis), ''The Arab Revolt 1916-18: Lawrence Sets Arabia Ablaze'', Osprey Publishing, 2008, p. 26.</ref>
| strength2 = ৬,৫০০-৭,০০০ (১৯১৬)<ref>''Military Intelligence and the Arab Revolt: The first modern intelligence war'', Polly a. Mohs, ISBN 1-134-19254-1, Routledge, page 41.</ref><br />২৩,০০০ (সর্বমোট)<ref name="Murphy26"/>
| casualties1 = অজ্ঞাত
| casualties2 = অজ্ঞাত
২৩ নং লাইন:
'''আরব বিদ্রোহ''' (১৯১৬-১৯১৮) ({{lang-ar|'''الثورة العربية'''}} ''Al-Thawra al-`Arabiyya'') ({{lang-tr|Arap İsyanı}}) [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|শরিফ হুসাইন বিন আলী]] কর্তৃক সূচিত হয়। [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|অটোমানদের]] কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ এবং [[সিরিয়া|সিরিয়ার]] [[আলেপ্পো]] থেকে [[ইয়েমেন|ইয়েমেনের]] [[এডেন]] পর্যন্ত বিস্তৃত একটি একক আরব রাষ্ট্র গঠন এই বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল।
 
== পটভূমি ==
{{unreferenced|অনুচ্ছেদ|date=জুন ২০১৩}}
{{see also|দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ}}
৩৭ নং লাইন:
১৯১৩ সালে আরব মাশরিকের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা [[প্যারিস|প্যারিসে]] অনুষ্ঠিত প্রথম [[আরব কংগ্রেস|আরব কংগ্রেসে]] মিলিত হন। অটোমান সাম্রাজ্যের ভেতরে স্বায়ত্বশাসনের জন্য তারা একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করেন। সেই সাথে এও দাবি করেন যে বাধ্যতামূলকাভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া আরবদেরকে যুদ্ধের সময় ছাড়া অন্য অঞ্চলে পাঠানো যাবে না।
 
== শক্তিসমূহ ==
প্রায় ৫০০০ জন সৈনিক আরব বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে বলে ধারণা করা হয়।<ref name="Murphy, David page 34">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 34.</ref> তবে এখানে শুধু [[সিনাই ও ফিলিস্তিন অভিযান]] ও [[এডমন্ড এলেনবি|এডমন্ড এলেনবির]] মিশরীয় বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টদেরকেই হিসাব করা হয়। [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]] ও [[টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স|লরেন্সের]] সাথে অংশগ্রহণকারী অনিয়মিত বাহিনীর সৈনিকদেরকে বিবেচনায় আনা হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সিরিয়ায় চূড়ান্ত অভিযানের সময় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। অনেক আরব বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্রোহে অংশ নিত। যখন অভিযানের অগ্রগতি দেখা যেত বা নিজেদের বাসভূমির এলাকায় প্রবেশ করতে তখন তারা এতে যোগ দেয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 20-21.</ref> আকাবা অভিযানের সময় প্রথমদিকে আরব বাহিনীতে মাত্র কয়েকশত সৈনিক ছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় গোত্রগুলো থেকে এক হাজারের বেশী মানুষ আকাবায় চূড়ান্ত অভিযানের জন্য যোগ দেয়। হুসাইনের সৈন্যসংখ্যার বিভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু ১৯১৮ সাল নাগাদ তাদের সংখ্যা ৩০,০০০ এর মত ছিল। হাশেমি সৈন্যবাহিনী দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিলঃ গোত্রীয় অনিয়মিত সৈন্য যারা অটোমানদের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ করত ও অটোমান আরব যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে সংগৃহিতদের নিয়ে গঠিত [[শরিফি বাহিনী]] যারা নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ করত।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 20–23.</ref> যুদ্ধের প্রাথমিক দিনে [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইনের]] বাহিনী মূলত [[বেদুইন]] ও অন্যান্য মরুচারি যাযাবর গোত্রগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তারা তার সাথে দুর্বল মিত্রতায় আবদ্ধ ছিল এবং সমগ্র পরিস্থিতির চেয়ে গোত্রীয় আনুগত্য তাদের কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল।<ref name="Murphy, David page 21">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 21.</ref> স্বর্ণমুদ্রায় অগ্রিম বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা লড়াইয়ে অংশ নিতে চাইত না।<ref>[[Michael Korda]], ''Hero: The Life and Legend of Lawrence of Arabia'' ISBN 978-0-06-171261-6, p. 19</ref> ১৯১৬ এর শেষ নাগাদ ফরাসির ১.২৫ মিলিওন গোল্ড ফ্রা এবং ১৯১৮ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ব্রিটিশরা প্রতি মাসে ২,২০,০০০ পাউন্ড বিদ্রোহে খরচ করে।<ref name="Murphy, David page 21"/> ফয়সালের ধারণা ছিল যে অটোমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত আরবদেরকে বিদ্রোহ করতে ও নিজের পক্ষে আনতে পারবেন। কিন্তু অটোমান সরকার অধিকাংশ আরব সেনাদেরকে যুদ্ধের প্রথম সারিতে প্রেরণ করে। ফলে এসময় মুষ্টিমেয় কিছু পক্ষত্যাগী সৈনিক আরবদের সাথে যোগ দেয়।<ref name="Murphy, David page 24">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 24.</ref> হাশেমি বাহিনী এসময় দুর্বলভাবে সজ্জিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কাছ থেকে রাইফেল ও মেশিনগানের মত প্রয়োজনীয় অস্ত্রের সরবরাহ পায়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 21-22.</ref>
 
৪৪ নং লাইন:
যুদ্ধে আরব বিদ্রোহের মূল অবদান ছিল দশ হাজার অটোমান সৈনিকদেরকে ব্যস্ত রাখা। নাহয় তারা [[সুয়েজ খাল]] আক্রমণ করতে যেত। এটি ছিল বিদ্রোহ শুরু করার জন্য একটি ব্রিটিশ বিবেচনা। একে অসম যুদ্ধ হিসেবে ধরা হয়। সামরিক নেতৃবৃন্দ ও ঐতিহাসিকরা এই বিষয়ে বহুবার অধ্যয়ন করেছেন।{{Citation needed|date=জানুয়ারি ২০১২}}
 
== সংঘাত ==
{{see also|প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গন}}
[[Fileচিত্র:Lcamel.jpg|thumb||200px|আকাবার যুদ্ধের পর উটের পিঠে লরেন্স।]]
 
অটোমান সাম্রাজ্য [[অটোমান-জার্মান মিত্রতা|অটোমান-জার্মান মিত্রতার]] অংশ হিসেবে [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধে]] মধ্যপ্রাচ্যের লড়াইয়ে অংশ নেয়। [[দামেস্ক]] ও [[বৈরুত|বৈরুতের]] অনেক আরব জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্বকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। স্যার [[মার্ক সাইকস]] প্রতিরোধ পতাকাটির নকশা প্রণয়ন করেন। বিদ্রোহের উদ্দীপক হিসেবে “আরবত্ব” প্রতিষ্ঠার জন্য এটি তৈরী করা হয়।<ref>William Easterly, ''The White Man's Burden'', (2006) p. 295</ref>
 
=== ভূমিকা ===
১৯১৬ সালের ৮ জুনের দিকে পবিত্র শহর [[মক্কা|মক্কার]] অভিভাবক [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইন বিন আলী]] [[যুক্তরাজ্য]] ও [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] পক্ষে যোগদান করেন। প্রকৃত তারিখ জানা যায়নি। অটোমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত তরুণ আরব অফিসার [[মুহাম্মদ শরিফ আল-ফারুকি|মুহাম্মদ শরিফ আল-ফারুকির]] সাহায্যের কারণে তারা উপকৃত হন।<ref name="peace-to-end-all-peace">''A Peace To End All Peace'', David Fromkin, Avon Books, New York, 1990</ref>
 
হুসাইনের অধীনে ৫০,০০০ এর মত অস্ত্রধারী লোক ছিল। কিন্তু রাইফেলধারীর সংখ্যা ছিল ১০,০০০ এর কম।<ref name="proceedings">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.75</ref> অটোমান সরকার যুদ্ধের পর তাকে পদচ্যুত করবে এই খবর পেয়ে তিনি ব্রিটিশ [[হাই কমিশনার]] [[হেনরি ম্যাকমোহন|হেনরি ম্যাকমোহনের]] সাথে চিঠি বিনিময় করেন। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি|মিত্রশক্তির]] পক্ষাবলম্বন করলে [[মিশর]] থেকে [[ইরান|পারস্য]] পর্যন্ত বিস্তৃত আরব সাম্রাজ্য দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। [[কুয়েত]], [[এডেন]] ও [[সিরিয়া]] উপকূলের কিছু এলাকাকে এর মধ্যে ধরা হয়নি। এসময় হুসাইন কাগজ কলমে অটোমানদের পক্ষের হলেও মিত্রশক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। জাইদ পরিবারের প্রধান শরিফ আলি হায়দার মক্কার শরীফের পদের জন্য অটোমান সরকারের সাথে আতাত করছে ও তাকে শীঘ্রই ক্ষমতাচ্যুত করা হবে এমন গুজবের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 8.</ref> দামেস্কে আরব জাতীয়তাবাদীদেরকে জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড দেয়ায় হুসাইনের মনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ভয় বৃদ্ধি পায়।<ref name="Murphy, David page 34"/> ১৯১৬ সালের ৫ জুন হুসাইনের দুই পুত্র আমির [[আলী বিন হুসাইন]] ও [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]] [[মদীনা|মদীনার]] অটোমান সামরিক ঘাটি আক্রমণের মাধ্যমে বিদ্রোহ শুরু করেন। কিন্তু ফখরি পাশার নেতৃতাধীন তুর্কি বাহিনীর কাছে তারা পরাজিত হন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 34-35.</ref> ১৯১৬ সালের ১০ জুন হুসাইন তার সমর্থকদের মক্কার অটোমান ঘাটি আক্রমণের আদেশ দিলে বিদ্রোহ প্রকৃতভাবে শুরু হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 33-34.</ref> [[মক্কার যুদ্ধ, ১৯১৬|মক্কার যুদ্ধে]] সুসজ্জিত অটোমান সেনাদের সাথে হুসাইনের সমর্থকদের মধ্যে এক মাসের মত রক্তাক্ত লড়াই হয়।<ref name="Murphy, David page 34"/> ব্রিটিশদের পাঠানো মিশরীয় সৈনিকরা মক্কার হাশেমিদের সাথে যোগ দেয় ও অস্ত্রের সরবারহ প্রদান করে। এরপর ৯ জুলাই আরব তাদের দখলে আসে।<ref name="Murphy, David page 34"/> অটোমানদের এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণ মক্কার ক্ষতির কারণ হলে তা “তারা পবিত্র শহর মক্কার অমর্যাদা করেছে” এমন অপপ্রচারের সুযোগ করে দেয়।<ref name="Murphy, David page 34"/> জুনের ১০ তারিখ হুসাইনের আরেক পুত্র আমির [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহ]] [[তাইফ]] আক্রমণ করেন। ২২ সেপ্টেম্বর মিশরীয় বাহিনীর গোলন্দাজদের সহায়তায় আবদুল্লাহ তাইফ দখল করেন।<ref name="Murphy, David page 34"/> With the Egyptian artillery support, Abdullah took Ta'if on September 22, 1916.<ref name="Murphy, David page 34"/>
 
ব্রিটিশ ও ফরাসি নৌবাহিনী [[লোহিত সাগর]] থেকে অটোমানদের তাড়িয়ে দেয়।<ref name="p76">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.76</ref> ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ও সিপ্লেনের সহয়তায় ১০ জুন ৩৫০০ জন আরব [[জেদ্দা]] বন্দর আক্রমণ করে।<ref name="proceedings"/> ব্রিটিশ বিমানবাহী জাহাজ [[এইচএমএস বেন-মাই-চেরি]] হাশেমিদের আকাশ থেকে সাহায্যে ভূমিকা রাখে।<ref name="Murphy, David page 35">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 35.</ref> ১৬ জুন অটোমানরা আত্মসমর্পণ করে। ১৯১৬ এর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আরবরা ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সহায়তায় উপকূলীয় শহর রাবেঘ, [[ইয়ানবো]], কুনফিদা দখল করে ও ৬০০০ জন অটোমানকে বন্দী করা হয়।<ref name="proceedings"/> এর ফলে ব্রিটিশরা ৭০০ জন অটোমান আরব যুদ্ধবন্দীকে বিদ্রোহে পাঠাতে সক্ষম হয়। তারা [[নুরি আস-সাইদ|নুরি আস-সাইদের]] নেতৃত্বে বিদ্রোহে যোগ দিয়ে সম্মত হয়েছিল। সেই সাথে ফরাসি উত্তর আফ্রিকা থেকে বেশ কিছু মুসলিম সৈনিক বিদ্রোহে যোগ দেয়।<ref name="Murphy, David page 35"/> পনের হাজার সুসজ্জিত অটোমান সেনা হেজাজে রয়ে যায়।<ref name="proceedings"/> কিন্তু অক্টোবরে মদীনার উপর সরাসরি হামলায় আরবদের বিতাড়িত হয়।
 
=== ১৯১৬ : টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স ===
[[Fileচিত্র:Ljidda.jpg|thumb|left|[[জেদ্দা|জেদ্দার]] উত্তরে রাবেঘে লরেন্স, ১৯১৭ সাল।]]
১৯১৬ সালের জুনে ব্রিটিশরা হেজাজের বিদ্রোহে সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পাঠায়। কর্নেল সিরিল উইলসন, কর্নেল পিয়ার্স সি. জয়েস ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল [[স্টুয়ার্ট ফ্রান্সিস নিউকম্ব]] এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।<ref name="Murphy, David page 17">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 17.</ref> অন্যদিকে ফরাসিরা কর্নেল এডওয়ার্ড ব্রেমেনকে ফ্রান্সের সামরিক মিশনে প্রেরণ করে।<ref name="Murphy, David page 17"/> ফ্রান্স কয়েকজন মুসলিম অফিসারকে নিয়োগ করায় এক্ষেত্রে বেশী সুবিধা পায়। এই অফিসাররা হলে ক্যাপ্টেন আউল্ড আলি রাহো, ক্লড প্রস্ট ও লরেন্ট ডেপুই (শেষের দুইজন আরবে অবস্থানকালে ইসলাম গ্রহণ করেন)।<ref name="Murphy, David page 17"/> ফরাসি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রোজারিও পিসানি মুসলিম না হলেও প্রকৌশলী ও গোলন্দাজ অফিসার হিসেবে বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।<ref name="Murphy, David page 17"/>
 
৭১ নং লাইন:
উপকূলীয় শহর [[আল ওয়াজ]] ছিল হেজাজ রেলওয়ে আক্রমণের মূল ঘাটি।<ref name="p78"/> ১৯১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ফয়সাল লোহিত সাগরের উপকূল ধরে যাত্রা শুরু করেন। তার সাথে ৫১০০ উষ্ট্রারোহী, ৫৩০০ পদাতিক, চারটি ক্রাপ মাউন্টেন গান, দশটি মেশিন গান ও ৩৮০ মালবাহী উট ছিল।<ref name="p78"/> এই যাত্রাপথে রাজকীয় নৌবাহিনী ফয়সালকে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করে।<ref name="p79">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.79</ref> ১৯১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ দিক থেকে ৮০০ অটোমান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হলে ৪০০ আরব ও ব্রিটিশ নৌবাহিনী উত্তর দিক থেকে আক্রমণ করে।<ref name="p79"/> ওয়াজ ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করে এবং অটোমানরা মদীনার সুরক্ষার জন্য মক্কা ত্যাগ করে।<ref name="p80">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.80</ref> আরব বাহিনীতে এসময় সত্তর হাজার লোকবল ছিল এবং রাইফেলের সংখ্যা ছিল আটাশ হাজার। পুরো বাহিনীকে তিনটি প্রধান দলে ভাগ করে দেয়া হয়।<ref name="p80"/> আলীর বাহিনী মদীনার উপর তৎপরতা চালান, আবদুল্লাহ ওয়াদি আইস থেকে নিজের কাজ পরিচালনা করেন এবং ফয়সাল তার বাহিনীকে নিয়ে ওয়াজে অবস্থান করেন।<ref name="p80"/> উষ্ট্রারোহী আরবরা ১০০০ মাইলের মধ্যে বাধাবিপত্তি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারত।<ref name="p81">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.81</ref> ১৯১৬ সালে মিত্রশক্তি অটোমান আরব যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে নিয়মিত আরব সেনাবিহিনী গঠন শুরু করে (একে শরিফাইন আর্মিও বলা হয়)।<ref name="Murphy, David page 17"/> নিয়মিত বাহিনীর সৈনিকরা ব্রিটিশ ধাচের ইউনিফর্ম ও মাথায় "কেফিয়াহ" পরত। তারা নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধে অংশ নিত।<ref name="Murphy, David page 23"/> যুদ্ধে অংশ নেয়া উল্লেখযোগ্য অটোমান অফিসাররা হচ্ছেন [[নুরি আস-সাইদ]], [[জাফর আল-আসকারি]] ও [[আজিজ আলি আল-মিসরি]]।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 14-15.</ref>
 
=== ১৯১৭ ===
১৯১৭ সালে আমির আবদুল্লাহর নেতৃত্বে আরব পূর্বাঞ্চল বাহিনী আশরাফ বের নেতৃতাধীন একটি অটোমান কনভয়কে আক্রমণ করেন ও ২০,০০০ পাউন্ড সমমূল্যের স্বর্ণমুদ্রা লাভ করেন। সুলতানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য এগুলো বিভিন্ন আরব গোত্রকে প্রদানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-18'', Osprey, London 2008, page 38</ref> ১৯১৭ সাল থেকে শুরু করে হাশেমি যোদ্ধারা হেজাজ রেলওয়ে আক্রমণ শুরু করে।<ref name="Murphy, David pages 39-43">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 39-43.</ref> প্রথমে নিয়মিত বাহিনীর আল-মিসরির এবং ব্রিটিশ অফিসার নিউকম্ব, লেফটেন্যান্ট হর্নবি ও মেজর এইচ. গারলেন্ড রেলপথের অরক্ষিত অংশগুলো উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন।<ref name="Murphy, David pages 39-43"/> ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গারলেন্ড নিজের ডিজাইন করা একটি মাইন দিয়ে প্রথমবারের মত একটি চলন্ত রেলগাড়ি আক্রমণ করে সেটি ধ্বংস করে দেন।<ref name="Murphy, David page 43">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 43.</ref><ref name="Murphy, David page 43"/> মদীনায় ফরাসি সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন আউল্ড আলি রাহো রেলপথের উপর তার আক্রমণ পরিচালনা করেন।<ref name="Murphy, David pages 43-44">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 43-44.</ref> তিনি রেলপথ ধ্বংসের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন।<ref name="Murphy, David pages 43-44"/> ১৯১৭ এর মার্চে লরেন্স হেজাজ রেলওয়ের উপর তার প্রথম আক্রমণ পরিচালনা করেন।<ref name="Murphy, David page 44">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 44.</ref> একই বছর নিউকম্ব ও জয়েস তাদের হামলা পরিচালনা করেন।<ref name="Murphy, David page 44"/> ১৯১৭ এর আগস্টে একটি অভিযানে ক্যাপ্টেন রাহো হেজাজ রেলওয়ের পাঁচ কিমি পথ ও চারটি সেতু ধ্বংস করার জন্য বেদুইনদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 45.</ref>
 
৭৮ নং লাইন:
১৯১৭ সালে লরেন্স আরব অনিয়মিত বাহিনী ও [[আউদা আবু তায়ি|আউদা আবু তায়ির]] অধীন বাহিনীকে নিয়ে বন্দর নগরী [[আকাবা]] আক্রমণ করেন। লোহিত সাগরের তুর্কি বন্দরগুলোর মধ্যে তখন পর্যন্ত আকাবা টিকে ছিল।<ref name="p81"/> আকাবা দখলের মাধ্যমে আরব বিদ্রোহে ব্রিটিশ সাহায্য সরবরাহের অগ্রগতি হত।<ref name="p82">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.82</ref> লরেন্স ও আউদা ১৯১৭ এর ৯ মে ৪০ জন সঙ্গীসহ যাত্রা করেন। সিরিয়ান গোত্র হাউয়িতাত উটের উপর যুদ্ধের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। তাদের কাছ থেকে লোকবল সংগ্রহ করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল।<ref name="p82"/> ৬ জুলাই অল্প হতাহতের মাধ্যমে আকাবা আরবদের দখলে আসে।<ref name="p82"/> লরেন্স এরপর আকাবায় ২৫০০ জন আরব ও ৭০০ জন তুর্কি বন্দীদের জন্য খাবার ও অন্যান্য সরবরাহের জন্য ১৫০ মাইল দূরে সুয়েজ যাত্রা করেন। শীঘ্রই ইংরেজ ও ফরাসি নৌবহর এখানে অবস্থান নেয় ফলে আরবদের পক্ষে শহর দখলে রাখা সহজ হয়।<ref name="p82"/> একই বছরে জেনারেল [[এডমন্ড এলেনবি|এলেনবির]] সহায়তায় আরবরা অটোমানদের উপর বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ পরিচালনা করে। এর ফলে [[বীরশেবার যুদ্ধ]] সংঘটিত হয়।<ref name="p83">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.83</ref> এধরনের আক্রমণ ১৯১৭ এর সেপ্টেম্বর থেকে লরেন্সের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এতে লরেন্স তুর্কি রেলগাড়ি ধ্বংস করে দিতেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 56-57.</ref> নভেম্বরে এলেনবির আক্রমণকে সাহায্য করার জন্য লরেন্স [[ইয়ারমুক নদী|ইয়ারমুক নদীর]] তীরে একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে তিনি [[তেল শিহাব|তেল শিহাবের]] রেলসেতু ধ্বংস করতে ব্যর্থ হলেও জেনারেল মেহমেদ জামাল পাশার ট্রেনকে ধ্বংস করে দেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 57-59.</ref> এই অভিজানে এলেনবির জয় ১৯১৭ সালের ক্রিসমাসের আগেই [[জেরুজালেম]] বিজয় ত্বরাণ্বিত করে।
 
=== ১৯১৮:মিত্রশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের সমাপ্তি ===
আকাবা দখলের সময় অনেক অফিসার ফয়সালের অভিযানে যোগ দেয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল [[স্টুয়ার্ট এফ. নিউকম্ব]] ও সিরিল ই. উইলসনের তত্ত্বাবধানে ব্রিটিশ অফিসার ও উপদেষ্টারা আরবদেরকে রাইফেল, বিস্ফোরক, মর্টার ও মেশিন গান সরবরাহ করে।<ref name="Murphy, David page 59">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 59.</ref> ঘাটতির কারণে অস্ত্র বিচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা হত।<ref name="Murphy, David page 59"/> মিশরীয় ও ভারতীয় সৈনিকরা প্রথমদিকে মেশিনগানার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিদ্রোহে অংশ নেয় এবং কয়েকটি রোলস রয়েস সাজোয়া যান যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ করা হয়।<ref name="Murphy, David page 59"/><ref>Rolls S.C. (1937). ''Steel Chariots in the Desert''. Leonaur Books.</ref> ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীও আরবদের অপারেশনে সমর্থন দেয়। সেই সাথে রাজকীয় উষ্ট্র বাহিনীও আরবদের সাথে কিছু সময়ের জন্য কাজ করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 59-60.</ref> ব্রেমন্ডের অধীন ফরাসি ১১০০ অফিসার হুসাইন ও তার পুত্র, বিশেষ করে আমির [[আলী বিন হুসাইন|আলী]] ও [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহর]] সাথে সখ্য গড়ে তোলে। তাই আরব দক্ষিণ বাহিনীতেই ফরাসিদের তৎপরতা বেশী ছিল। আমির আলীর অধীন এই বাহিনী [[মদীনা অবরোধ|মদীনা অবরোধে]] অংশ নেয়। অন্যদিকে আবদুল্লাহর অধীন পূর্বাঞ্চল বাহিনী ইবনে রশিদের কাছ থেকে আলীর পূর্ব ভাগ রক্ষার দায়িত্বে ছিল।<ref name="Murphy, David page 17"/> হাশেমি বাহিনী কখনোই মদীনা দখল করতে পারেনি। কেবল ১৯১৯ সালের ৯ জানুয়ারি তুর্কি সরকারের ঘোষণার পরই অটোমান কমান্ডার ফখরি পাশা আত্মসমর্পণ করেন।<ref name="Murphy, David page 81">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 81.</ref> এসময় মদীনায় মোট ৪৬৫ জন অফিসার ও ৯৩৬৪ জন সৈনিক ছিল।<ref name="Murphy, David page 81"/>
 
১১০ নং লাইন:
১৯১৮ এর ৩০ সেপ্টেম্বর দামেস্ক পৌছানো প্রথম আরব বিদ্রোহী বাহিনী হল শরিফ নাসেরের হাশেমি উষ্ট্রারোহী বাহিনী ও নুরি শালানের অধীন রুয়াল্লা গোত্রের অশ্বারোহী বাহিনী। এসব সৈনিকরা শহরের বাইরে ফয়সালের আগমনের অপেক্ষা করছিল। অল্প কয়েকজনের একটি দলকে শহরের ভেতর প্রেরণ করা হয় এবং তারা দেখতে পায় যে শহরের আরব জাতীয়তাবাদী অধিবাসীরা আরব বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করেছে। এরপর সেদিন [[অস্ট্রেলিয়ান লাইট হর্স]] সৈনিকরা দামেস্কে প্রবেশ করে। আউদা আবু তায়ি, লরেন্স ও আরব সৈনিকরা পরের দিন ১ অক্টোবর শহরে প্রবেশ করেন। যুদ্ধের শেষে ইজিপশিয়ান এক্সপিডিশনারি ফোর্স [[ফিলিস্তিন]], [[ট্রান্সজর্ডান]], [[লেবানন]], আরব উপদ্বীপের বিরাট এলাকা ও দক্ষিণ সিরিয়া অবরোধ করে। সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও ১৯১৯ এর জানুয়ারি পর্যন্ত মদীনা আত্মসমর্পণ করেনি।
 
== পরবর্তী অবস্থা ==
[[Fileচিত্র:CCL5 072.jpg|thumb|right|150px|[[আকাবা পতাকাদন্ড|আকাবার পতাকাদন্ডে]] আরব বিদ্রোহের পতাকা, ২০০৬ ]]
{{See also|উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিভাজন}}
 
অটোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আরবদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা হবে – এই মর্মে [[যুক্তরাজ্য]] [[হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তি|হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তিতে]] রাজি হয়েছিল। চুক্তির বিষয়ে উভয়পক্ষের নিজস্ব অভিমত ছিল। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মূল চুক্তি পরিত্যাগ করে এবং অত্র এলাকাকে ১৯১৬ সালের [[সাইকস-পিকট চুক্তি]] মোতাবেক বিভক্ত করার পরিকল্পনা করে। আরবদের কাছে এটি অসন্তোষজনক ছিল। ১৯১৭ সালের [[বেলফোর ঘোষণা]] আরো সন্দেহের সৃষ্টি করে। এই ঘোষণায় [[ইহুদি|ইহুদিদের]] জন্য [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনে]] রাষ্ট্র ঘোষণার কথা বলা হয়। আরবের পশ্চিম অংশের [[হেজাজ]] অঞ্চল [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইন বিন আলীর]] নেতৃত্বে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং ১৯২৫ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা বজায় রাখে। এরপর ব্রিটিশরা তাদের সমর্থন সৌদ পরিবারের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। সৌদিরা হেজাজ দখল করে নেয়।
 
== আরও দেখুন ==
* [[সৌদি আরবের ইতিহাস]]
* [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দক্ষিণ আরব]]
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
* Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-18 Lawrence sets Arabia Ablaze'', Osprey: London, 2008, ISBN 978-1-84603-339-1.
 
== আরও পড়ুন ==
* Fromkin, David (1989). A Peace to End All Peace. Avon Books.
* [[Michael Korda|Korda, Michael]], ''Hero: The Life and Legend of Lawrence of Arabia''. ISBN 978-0-06-171261-6.
১৩১ নং লাইন:
* Wilson, Jeremy (1990). Lawrence of Arabia: The Authorized Biography of T.E. Lawrence. Atheneum.
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.kinghussein.gov.jo/his_arabrevolt.html History of the Arab Revolt] (on [[Hussein of Jordan|King Hussein]]'s website)
* [http://www.pbs.org/lawrenceofarabia/revolt/index.html Arab Revolt] at PBS
* [http://www.shapell.org/manuscript.aspx?lawrence-of-arabia T.E. Lawrence's Original Letters on Palestine] Shapell Manuscript Foundation
* {{en}} [http://www.wdl.org/en/item/11755/ আরব বিদ্রোহ]
 
[[বিষয়শ্রেণী:আরব জাতীয়তাবাদ]]