আবদুল গাফফার চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Odekhashunya (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন:
{{Infobox Writer | name = আবদুল গাফফার চৌধুরী | image = <!-- Only freely-licensed images may be used to depict living people. See [[WP:NONFREE]]. -->| imagesize = 150px| caption = আবদুল গাফফার চৌধুরী| pseudonym = | birthname = | birthdate = {{Birth date and age|1934|12|12|df=y}} | birthplace = [[বরিশাল জেলা |বরিশাল]] | deathdate = | deathplace = | occupation = সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলাম লেখক | nationality = বাংলাদেশী | ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] | citizenship = | period = | genre = | subject = | movement = | notableworks = 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গানের গীতিকার| spouse = | partner = | children = | relatives = | influences = | influenced = | awards = [[বাংলা একাডেমী]], [[একুশে পদক]], [[স্বাধীনতা পদক]], [[ইউনেস্কো পুরস্কার]] | signature = | website = | portaldisp = }}
'''আবদুল গাফফার চৌধুরী''' (জন্মঃ [[১২ ডিসেম্বর]], [[১৯৩৪]]) একজন সুপরিচিত বাংলাদেশী গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনের]] স্মরণীয় গান "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো" এর রচয়িতা। তিনি [[বরিশাল জেলা| বরিশাল জেলার]] এক জলবেষ্টিত গ্রাম উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
 
== জন্ম ==
[[ডিসেম্বর ১২|১২ ডিসেম্বর]],[[১৯৩৪]] খ্রীষ্টাব্দে আবদুল গাফফার চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম। তিনি বর্তমানে [[লন্ডন]] প্রবাসী।<ref>[http://gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=24 গুণীজন ডটকম ওয়েবসাইটে গাফফার চৌধুরী]</ref><ref>[http://www.boiwala.com/writer.php?lang=bn&id=187 বইওয়ালা ওয়েবসাইটে গাফফার চৌধুরী]</ref>
 
== শিক্ষাজীবন ==
আবদুল গাফফার চৌধুরী উলানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় ক্লাস সিক্স পর্যন্ত লেখাপড়া করে হাইস্কুলে ভর্তি হন। [[১৯৫০]] সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]]। [[১৯৫৩]] সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে [[১৯৫৮]] সালে বিএ অনার্স পাস করেন। [[১৯৪৬]] সালে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তাঁকে চলে আসতে হয় [[বরিশাল জেলা|বরিশাল শহরে]]। ভর্তি হন আসমত আলী খান ইনস্টিটিউটে। সেসময়ে আর্থিক অনটনের শিকার হয়ে উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। [[১৯৪৭]] সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত 'কংগ্রেস হিতৈষী' পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। বরিশাল শহরে তিনি কিছুদিন একটি মার্কসবাদী দল আরএসপি'র সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছাত্র জীবনেই তাঁর সাহিত্য চর্চা শুরু হয়। [[১৯৪৯]] সালে সওগাত পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প ছাপা হয়। বরিশালের সন্তান শামসুদ্দীন আবুল কালামের লেখা তখন [[কলকাতা| কলকাতার]] প্রধান পত্রিকাগুলোতে ছাপা হতো।
 
== কর্মজীবন ==
[[১৯৫০]] সালেই গাফফার চৌধুরীর কর্মজীবন পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়। এ সময়ে তিনি 'দৈনিক ইনসাফ' পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তখন বেতন পেতেন ৭০ টাকা। মহিউদ্দিন আহমদ ও কাজী আফসার উদ্দিন আহমদ তখন ‍দৈনিক ইনসাফ" পরিচালনা করতেন। [[১৯৫১]] সালে '[[দৈনিক সংবাদ]]' প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। জুনিয়র ট্রান্সলেটর হিসেবে মাসিক বেতন পেতেন ১শ' টাকা। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। [[১৯৫৩]] সালে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের '[[মাসিক সওগাত]]' পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন গাফফার চৌধুরী। এসময় তিনি 'মাসিক নকীব'ও সম্পাদনা করেন। একই বছর তিনি আবদুল কাদির সম্পাদিত 'দিলরুবা' পত্রিকারও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন। [[১৯৫৬]] সালে [[দৈনিক ইত্তেফাক| দৈনিক ইত্তেফাকের]] সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন। ওই বছরই তিনি প্যারামাউন্ট প্রেসের সাহিত্য পত্রিকা 'মেঘনা'র সম্পাদক হন। [[১৯৫৮]] সালে আবদুল গাফফার চৌধুরী দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক [[তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া |তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার]] রাজনৈতিক পত্রিকা 'চাবুকের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। কিন্তু কিছুদিন পর সামরিক শাসন চালু হলে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি মাওলানা আকরম খাঁ'র 'দৈনিক আজাদ'-এ সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। এ সময়ে তিনি মাসিক 'মোহাম্মদীর'ও স্বল্পকালীন সম্পাদক হয়েছিলেন। [[১৯৬২]] সালে তিনি দৈনিক 'জেহাদ'-এ বার্তা সম্পাদক পদে যোগ দেন। [[১৯৬৩]] সালে তিনি সাপ্তাহিক 'সোনার বাংলা'র সম্পাদক হন। পরের বছর [[১৯৬৪]] সালে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় নামেন এবং অনুপম মুদ্রণ' নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। দু'বছর পরই আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতায়। [[১৯৬৬]] সালে [[ছয় দফা আন্দোলন |৬ দফা আন্দোলনের]] মুখপাত্র হিসেবে 'দৈনিক আওয়াজ' বের করেন। সেটা বছর দুয়েক চলেছিল। [[১৯৬৭]] সালে আবার তিনি 'দৈনিক আজাদ'-এ ফিরে যান সহকারী সম্পাদক হিসেবে। [[১৯৬৯]] সালে পত্রিকাটির মালিকানা নিয়ে সহিংস বিবাদ শুরু হলে তিনি আবার যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে'। ১৯৬৯ সালের পয়লা জানুয়ারি ইত্তেফাক সম্পাদক মানিক মিয়া মারা গেলে তিনি আগস্ট মাসে হামিদুল হক চৌধুরীর অবজারভার গ্রুপের দৈনিক 'পূর্বদেশ'-এ যোগ দেন। [[১৯৭১]] সালে [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে [[কলকাতা]] পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপাত্র 'সাপ্তাহিক 'জয়বাংলা'য় লেখালেখি করেন। এসময় তিনি কলকাতায় 'দৈনিক আনন্দবাজার' ও 'যুগান্তর' পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেন। [[১৯৭২]] সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর 'দৈনিক জনপদ' বের করেন। [[১৯৭৩]] সালে তিনি [[শেখ মুজিবুর রহমান|বঙ্গবন্ধুর]] সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর রোগে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে [[কলকাতা]] নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে [[১৯৭৪]] সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এরপর তাঁর প্রবাস জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। বিলেত যাওয়ার পর প্রথম দিকে তিনি বিভিন্ন গ্রোসারি দোকানে কাজ করেন। এরপর [[১৯৭৬]] সালে তিনি 'বাংলার ডাক' নামে এক সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন। 'সাপ্তাহিক জাগরণ' পত্রিকায়ও তিনি কিছুদিন কাজ করেছেন। [[১৯৮৭]] সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি সাতজন অংশীদার নিয়ে 'নতুন দিন' পত্রিকা বের করেন। এরপর [[১৯৯০]] সালে 'নতুন দেশ' এবং [[১৯৯১]] সালে 'পূর্বদেশ' বের করেন। প্রবাসে বসে এখনও গাফফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর রাজনীতি, সমসাময়িক ঘটনা ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে লেখা কলাম অত্যন্ত জনপ্রিয়।<ref>[http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=f382a08ded2ebbfbe9a9651630eb8ce7&nttl=2011121205063474006 জন্মদিনে বিশেষ নিবন্ধ]</ref>বাংলাদেশে তিনি আওয়ামী লীগ পন্থী কলামিস্ট হিসাবে পরিচিত এবং সমালোচিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ প্রচারক হিসাবে তিনি রাজনৈতিক বিষয়াবলী ব্যাখ্যা করে থাকেন।
 
 
২৭ নং লাইন:
* যুক্তরাজ্যের ফ্রিডম অব বারা (টাওয়ার হ্যামলেটস) উপাধি
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>
 
৪১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:একুশে পদক বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী‎বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী]]