আনোয়ার হোসেন (বীর উত্তম): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট ওয়েব লিঙ্ক ঠিক করেছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে; কোনো সমস্যা?
৩২ নং লাইন:
শহীদ '''আনোয়ার হোসেন''' (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: [[১৯৭১]]) [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য [[বাংলাদেশ]] সরকার তাকে [[বীর উত্তম]] খেতাব প্রদান করে। <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-07/news/279907 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ০৭-০৮-২০১২]</ref>
 
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
শহীদ আনোয়ার হোসেনের জন্ম [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা|ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার]] [[কসবা উপজেলা|কসবা উপজেলার]] গোপিনাথপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল হামিদ ভূঁইয়া এবং মায়ের নাম কুলসুমের নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম ছায়েদা বেগম। তাঁদের এক মেয়ে।
 
== কর্মজীবন ==
আনোয়ার হোসেন [[১৯৭১]] সালে কর্মরত ছিলেন [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর]] [[বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ|ইপিআর]] সেক্টরের অধীন [[রংপুর জেলা|রংপুর]] উইংয়ে। [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে পাটগ্রামে যুদ্ধ করেন।
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[লালমনিরহাট জেলা|লালমনিরহাট জেলার]] [[পাটগ্রাম উপজেলা|পাটগ্রামের]] অন্তর্গত বুড়িমারী এলাকা যা [[ভারত]]-[[বাংলাদেশ]] সীমান্তে অবস্থিত। বর্তমানে এটি স্থলবন্দর। বুড়িমারীর ওপর দিয়ে লালমনিরহাট থেকে সড়ক-রেলপথ ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশ করেছে। [[১৯৭১]] সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেশির ভাগ সময় বুড়িমারীসহ পাটগ্রাম মুক্ত এলাকা ছিল।<ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=মার্চ ২০১৩ |publisher= প্রথমা প্রকাশন |location= |isbn= ৯৭৮৯৮৪৯০২৫৩৭৫|page= ৩০|pages= |accessdate= |url=}}</ref> বুড়িমারীতে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিরক্ষা অবস্থান। এখানে ছিলেন আনোয়ার হোসেনসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা। এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে বা আধিপত্য বিস্তারের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায়ই সেখানে আক্রমণ করত। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে [[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনীর উপর আকস্মিক আক্রমণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তখন সেখানে যুদ্ধ হয়। সেদিন বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ যুদ্ধে অংশ নেয়। একপর্যায়ে তারা ব্যাপকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর চড়াও হয়। প্রচণ্ড আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাঁদের দখলে থাকা বাংলাদেশ ভূমি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আনোয়ার হোসেন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের এলএমজিম্যান। প্রচণ্ড রকমের সাহস ও অদম্য মনোবল ছিল তাঁর। ভয়কে পরোয়া করতেন না। বিপর্যয়কর ওই মুহূর্তে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এলএমজিসহ ক্রল করে তিনি একাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থানের ভেতর ঢুকে পড়েন। তাঁর ব্রাশফায়ারে হতাহত হয় কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। এরপর আনোয়ার হোসেন আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক তখনই একঝাঁক গুলি ছুটে আসে তাঁর দিকে। ঝাঁজরা হয়ে যায় তাঁর শরীর। শহীদ হন তিনি। শহীদ আনোয়ার হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধারা সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করেন পাটগ্রামের বাউরাবাজারসংলগ্ন জম গ্রামে মসজিদের পাশে। তাঁর সমাধি সংরক্ষিত।
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
* [[বীর উত্তম]]
 
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
 
== বহি:সংযোগ ==
{{বাংলাদেশের বীর উত্তম}}