আজারবাইজান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
180.234.252.116-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Bodhisattwa-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
৫৬ নং লাইন:
}}
 
'''আজারবাইজান''' ([[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি ভাষায়]]: Azərbaycan ''আজ়্যার্বায়জান্‌''), সরকারী নাম '''আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র''' ([[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি ভাষায়]]: Azərbaycan Respublikası) [[পূর্বপশ্চিম ইউরোপএশিয়া|পশ্চিম এশিয়ার]]এর একটি প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। এটি [[কৃষ্ণ সাগর]] ও [[কাস্পিয়ান সাগর|কাস্পিয়ান সাগরের]] মধ্যবর্তী স্থলযোটক দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের সবচেয়ে পূর্বে অবস্থিত রাষ্ট্র। আয়তন ও জনসংখ্যার দিকে থেকে এটি ককেশীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বৃহত্তম। দেশটির উত্তরে [[রাশিয়া]], পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণে [[ইরান]], পশ্চিমে [[আর্মেনিয়া]], উত্তর-পশ্চিমে [[জর্জিয়া]]। এছাড়াও ছিটমহল [[নাখশিভানের]] মাধ্যমে [[তুরস্ক|তুরস্কের]] সাথে আজারবাইজানের একচিলতে সীমান্ত আছে। আর্মেনিয়ার পর্বতের একটি সরু সারি নাখশিভান ও আজারবাইজানকে পৃথক করেছে। আজারবাইজানের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে আর্মেনীয়-অধ্যুষিত এলাকা [[নাগোর্নো-কারাবাখ|নাগোর্নো-কারাবাখের]] আনুগত্য বিতর্কিত। কাস্পিয়ান সাগরে অবস্থিত অনেকগুলি দ্বীপও আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত। আজারবাইজানের রাষ্ট্রভাষা [[আজারবাইজানি ভাষা|আজারবাইজানি]]। এখানে মূলত [[শিয়া]] মুসলিম ধর্মাবলম্বী [[আজেরি জাতি|আজেরি জাতির]] লোকদের বাস। কাস্পিয়ান সাগরতীরে অবস্থিত বন্দর শহর [[বাকু]] আজারবাইজানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
 
[[১৮শ শতক|১৮শ]] ও [[১৯শ শতক|১৯শ শতকে]] ককেশীয় এই দেশটি পর্যায়ক্রমে রুশ ও পারস্যদেশের শাসনাধীন ছিল। [[রুশ গৃহযুদ্ধ|রুশ গৃহযুদ্ধকালীন]] সময়ে [[১৯১৮]] সালের [[২৮শে মে]] তৎকালীন আজারবাইজানের উত্তর অংশটি একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু মাত্র ২ বছরের মাথায় [[১৯২০]] সালে [[বলশেভিক]] লাল সেনারা এটি আক্রমণ করে আবার রুশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং [[১৯২২]] সালে দেশটি আন্তঃককেশীয় সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ হিসেবে [[সোভিয়েত ইউনিয়ন|সোভিয়েত ইউনিয়নের]] অন্তর্ভুক্ত হয়। [[১৯৩৬]] সালে আন্তঃককেশীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রটি ভেঙে তিনটি আলাদা প্রজাতন্ত্র আজারবাইজান, [[জর্জিয়া]] ও [[আর্মেনিয়া|আর্মেনিয়াতে]] ভেঙে দেওয়া হয়। তখন থেকেই আজারবাইজানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকার খ্রিস্টান আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। নাগোর্নো-কারাবাখের জনগণ আর্মেনিয়ার সাথে একত্রিত হতে চায়। [[১৯৯১]] সালের [[২০শে অক্টোবর]] আজারবাইজান স্বাধীনতা লাভ করলে এই দ্বন্দ্ব সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। ফলে নতুনভাবে স্বাধীন দেশটির প্রথম বছরগুলি রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক অবনতি, এবং নাগোর্নো-কারাবাখের যুদ্ধে অতিবাহিত হয়। [[১৯৯৪]] সালের মে মাসে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনীয়রা যুদ্ধে ক্ষান্ত দেয়। এখনও নাগোর্নো-কারাবাখ ও আরও ৭টি আজারবাইজানি জেলা আর্মেনীয়দের সামরিক নিয়ন্ত্রণে আছে। [[১৯৯৫]] সালে আজারবাইজানে প্রথম আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ঐ বছরই সোভিয়েত-উত্তর নতুন সংবিধান পাস করা হয়।
১২৪ নং লাইন:
{{দেশের নিবন্ধ|আজারবাইজানের}}
{{ইউরোপ}}
{{এশিয়া}}
 
 
১২৯ ⟶ ১৩০ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:রাষ্ট্র]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইউরোপএশিয়া]]