বাহাদুর শাহ পার্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ বট ওয়েব লিঙ্ক ঠিক করেছে |
||
৪ নং লাইন:
পার্কটি ডিম্বাকৃতি এবং পার্কটি লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। এর পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে দুটো প্রধান ফটক বা গেট রয়েছে। পার্কটির ভেতরে রেলিং এর পাশ দিয়ে পাকা রাস্তা করা হয়েছে।
পার্কটি ঢাকার অন্যতম প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট এলাকায় ঢুকতেই লক্ষ্মীবাজারের ঠিক মাথায় অবস্থিত।<ref name=dhakaDec08
==নামকরণ==
আঠার শতকের শেষের দিকে এখানে ঢাকার আর্মেনীয়দের বিলিয়ার্ড ক্লাব ছিল।<ref name=dhakaDec08>
== ইতিহাস ==
ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধে ইংরেজরা এটি কিনে নেয়।<ref name=dhakaDec08
ক্লাবঘরটির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ঢাকার নবাব আব্দুল গণি ও নবাব আহসান উল্লাহ। ক্লাবটিতে ইংরেজরা বিলিয়ার্ড ছাড়াও র্যাকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলতো এবং আড্ডা দিতো। এখানে পার্টি-ফাংশনও আয়োজন করা হত। ঢাকা ক্লাবের ইতিহাস এবং পুরনো নথিপত্র অনুযায়ী আন্টাঘর ময়দানের কাছে ঢাকা ক্লাবের এক একর জমির ছিল (সূত্রপুর মৌজাঃ খতিয়ানঃ ৬১৪, প্লট ৬৬৪-৬৬৫)। পুরোন কর্মচারীদের মতে ঢাকা ক্লাব ১৯৫২ সাল পর্যন্ত এ এলাকা তিন একর জমির জন্য খাজনা প্রদান করতো। বিশ শতকের বিশের দশকে ঢাকার নবাবদের ক্ষমতা এবং প্রভাব প্রতিপত্তির ভাটা পরলে ক্লাবটির প্রতি তাদের অনুদান কমে যায়। ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দোড় আয়োজন এবং আরও অন্যান্য প্রয়োজনে ইংরেজরা ঢাকা ক্লাবটিকে শাহবাগ এলাকায় স্থানান্তরিত করে।
১৭ নং লাইন:
এ ময়দান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে [[১৮৫৭]] সালে। ১৮৫৭ সালের ২২শে নভেম্বর ইংরেজ মেরিন সেনারা ঢাকার লালবাগের কেল্লায় অবস্থিত দেশীয় সেনাদের নিরস্ত্র করার লক্ষ্যে আক্রমণ চালায়। কিন্তু সেপাহীরা বাধাঁ দিলে যুদ্ধ বেধে যায়। যুদ্ধে আহত এবং পালিয়ে যাওয়া সেনাদের ধরে এনে এক সংক্ষিপ্ত মার্শালের মাধ্যমে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। বিচারের পর ১১ জন সিপাই কে আন্টাঘর ময়দানে এনে জন সম্মুখে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়া হয়। স্থানীয় লোকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে লাশগুলো বহু দিন যাবৎ এখানকার গাছে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার পর বহুদিন পর্যন্ত এই ময়দান এর চারপাশ দিয়ে হাঁটতে ঢাকাবাসী ভয় পেত, কারণ এ জায়গা নিয়ে বিভিন্ন ভৌতিক কাহিনী ছড়িয়ে পরেছিল। সিপাহী বিদ্রোহ দমনের পর ইংরেজরা তাদের সেনাদের স্মরণে আন্টাঘর ময়দানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছিল।
আর্মেনীয় ক্লাব ঘরের চার কোণায় বসানো সীমানা নির্দেশক চারটি ব্রিটিশ কামাণ পরবর্তীতে তুলে এনে এই পার্কের চারদিকে বসান হয়। এ পার্কের উন্নয়নে নওয়াব আব্দুল গণির ব্যক্তিগত অবদান ছিল। তাঁর নাতি খাজা হাফিজুল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁর ইংরেজ বন্ধুরা জনাব হাফিজুল্লাহর স্মৃতি রক্ষার্থে চাঁদা তুলে ১৮৮৪ সালে এখানে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করেছিলো।<ref name=dhakaDec08
[[১৯৫৭]] সালে, সিপাহী বিদ্রোহের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে 'ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট'(ডি আই টি)এর উদ্যোগে এই স্থানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
২৯ নং লাইন:
== স্মৃতিসৌধ ==
[[চিত্র:Bahadur Shah Park 003.jpg|left|thumb|সিপাহী বিপ্লবের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ]]
এই পার্কের স্মৃতিসৌধটি চারটি পিলার এর উপর দাঁড়ানো চারকোনা একটি কাঠামো। উপরে রয়েছে একটি ডোম। অপর পাশে রয়েছে একটি ওবেলিস্ক, যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ও ভারতবর্ষের সম্রাজ্ঞী হিসেবে রানী ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে আরোহন মনে করিয়ে দেয়।
৪১ ⟶ ৪০ নং লাইন:
{{অসম্পূর্ণ}}
{{coord|23|42|33.99|N|90|24|44.43|E|region:BD|display=title}}
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকার উদ্যান]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান]]
|