অষ্টক গীত ও নৃত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
৫৮ নং লাইন:
দেশ বিভাগের পর সনাতন ধর্মীদের একটি বড় অংশ ওপার বাংলায় চলে যাওয়ায় তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত লোকজ উৎসবগুলোও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে। অষ্টক গীত / নৃত্য বর্তমানে ওপার বাংলার মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ জেলার অন্যতম প্রধান লোকজ উৎসব হলেও আমাদের দেশের কেবলমাত্র নিম্নবর্ণের সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চলেই এর প্রসার লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে এদেশের বৃহত্তর খুলনা, যশোহর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অষ্টক গীত / নৃত্যের প্রচলন রয়েছে।<ref>আহমদ, ওয়াকিল (১৯৭৪)। বাংলার লোক-সংস্কৃতি। ঢাকাঃ গতিধারা।</ref>
 
== বিশিষ্ট শিল্পী-দের কথা==
বাংলাদেশে অষ্টক গীত ও নৃত্যের স্বনাম-ধন্য কিছু শিল্পীর মধ্যে:
অষ্টক গীত ও নৃত্য এদেশের অস্তায়মান লোকজ উৎসবের একটি অন্যতম প্রধান উপাদান; অতীতে এর পরিবেশক কয়েকজন প্রখ্যাত শিল্পী থাকলেও বর্তমানে এদের প্রচার ও প্রসার বলতে গেলে প্রায় শুন্যের কৌঠায়। বাংলাদেশে অষ্টক গীত ও নৃত্যের স্বনাম-ধন্য কিছু শিল্পীর মধ্যে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার বালিয়াঘাট গ্রামের স্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাস, নিরাপদ বিশ্বাস এবং বিষ্ণুপদ মণ্ডল; নড়াইলের বাহিরডাঙা গ্রামের স্বভাবকবি বিপিন সরকার, ভাদুলিডাঙা গ্রামের সুবোধ বিশ্বাস অন্যতম। বর্তমানে যেসব দলের নাম আলোচিত হয়ে থাকে তাদের মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস-এর, নড়াইল জেলার ভাদুলিডাঙা গ্রামের সুবোধ বিশ্বাস-এর, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুরের হোসেন আলী-এর, নড়াইল জেলার হাতিয়ারার নিখিল গোস্বামী-এর এবং বাহিরডাঙা গ্রামের বিপিন সরকার-এর অষ্টক গীত ও নৃত্যের দল।<br />
* ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার বালিয়াঘাট গ্রামের স্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাস, নিরাপদ বিশ্বাস, রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস এবং বিষ্ণুপদ মণ্ডল;
* নড়াইলের বাহিরডাঙা গ্রামের স্বভাবকবি বিপিন সরকার, ভাদুলিডাঙা গ্রামের সুবোধ বিশ্বাস, হাতিয়ারার নিখিল গোস্বামী এবং বাহিরডাঙা গ্রামের বিপিন সরকার;
* কুষ্টিয়া জেলার মিরপুরের হোসেন আলী।
 
যদিও সনাতন ধর্মানুসারী জনসাধারণ তাদের অন্যতম-প্রধান লোকজ উৎসব “চৈত্র-সংক্রান্তি”-তে অষ্টক গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে থাকেন, কিন্তু ক্ষেত্র-বিশেষ তাদের পরিবেশনায় মুসলমান দু’একজন বাদ্যকর / কুশীলবকে অংশ নিতে দেখা যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০০ সালের দিকে কুষ্টিয়া জেলার কিছু অঞ্চলে অষ্টক গীত ও নৃত্যের পরিবেশক কয়েকটি মুসলমান দলের উদ্ভব ঘটেছে যারা বিভিন্ন পালা-পার্বনে অষ্টক গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।<br />
<br />
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}