০ (সংখ্যা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র
৩৬ নং লাইন:
==ইতিহাস==
===প্রাচীন মিশর===
প্রাচীন মিশরীয় সংখ্যাগুলো ছিল দশ ভিত্তিক। তাদের সংখ্যাগুলো স্থানভিত্তিক না হয়ে চিত্র ভিত্তিক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭৪০ সালের দিকে মিশরিয়রা আয়কর ও হিসাবরক্ষনের জন্য শূন্যের ব্যাবহার করত। তাদের চিত্রলিপি তে একটি প্রতীক ছিল যাকে নেফর বলা হত, যার অর্থ হল "সুন্দর"। এই প্রতীকটি তারা শূন্য এবং দশকের ভিত্তি হিসেবে ব্যাবহার করত। প্রাচীন মিশরীয় পিরামিড ও অন্যান্য স্থাপনায় এধরনের সংখ্যার ব্যাবহার পাওয়া যায়।<ref>{{cite book|page=86 |title=The Crest of the Peacock: Non-European Roots of Mathematics (Third Edition) |author=George Gheverghese Joseph|isbn=978-0-691-13526-7 |publisher=Princeton |year=2011}}</ref>
===মেসোপটেমীয় সভ্যতা===
খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাবিলনীয় গণিতবিদরা ছয় ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবস্থার প্রবর্তন ও উন্নয়ন করে। শূন্য সংখ্যাটির অভাব তারা ছয় ভিত্তিক সংখ্যার মধ্যে একটি খালি ঘর রেখে পূরণ করত। খৃষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দের দিকে দুটি যতিচিহ্ন প্রতীক এই ফাঁকা যায়গা দখল করে নেয়। প্রাচীন মেসোপটেমীয় শহর সুমের থেকে প্রাপ্ত একত্ব শিলা লিপি থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে প্রাচীন লেখক বেল বেন আপ্লু তার লিখায় দুটি যতিচিহ্ন প্রতীক ব্যবহারের বদলে একই হুক দিয়ে শূন্যকে প্রকাশ করেছেন।<ref name="multiref1">Kaplan, Robert. (2000). ''The Nothing That Is: A Natural History of Zero''. Oxford: Oxford University Press.</ref>
 
ব্যাবিলনীয় শূন্যটি প্রকৃতপক্ষে শূন্য হিসেবে গনয় করা সমীচীন হবে না কারণ এই প্রতীকটিকে স্বাধীনভাবে লিখা সম্ভব ছিল না কিংবা এটি কোন সংখ্যার পিছনে বসে কোন দুই অংক বিশিষ্ট অর্থবোধক সংখ্যা প্রকাশ করত না।
 
===ভারত===
শ্যূন্যকে কোন সংকেত বা প্রতীক হিসেবে ব্যবহার না করে সরাসরি সংখ্যা হিসেবে সফলভাবে ব্যবহারের সম্পূর্ন কৃতিত্ব প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদদের। খৃষ্টপূর্ব নবম শতাব্বিরশতাব্দীর দিকে ভারতে বাস্তব সংখ্যা দ্বারা হিসাব নিকাশ করার সময় শ্যূন্য ব্যবহৃত হত। এমনকি শয়নয়শ্যূন্যকে ব্যবহার করে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগও করা হত।<ref name="bourbaki46">Bourbaki, Nicolas (1998). ''Elements of the History of Mathematics''. Berlin, Heidelberg, and New York: Springer-Verlag. 46. ISBN 3-540-64767-8.</ref><ref name="ebcal">''Britannica Concise Encyclopedia'' (2007), entry ''algebra''</ref> খৃষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে ভারতীয় গণিতবিদ পিঙ্গলা বাইনারি সংখ্যা দিয়ে হিসাব নিকাশ করার পদ্ধতি বের করেন। তিনি একটি ছোট অক্ষর এবং একটি বড় অক্ষরের সমন্বয়ে তা করতেন যা আধুনিক কালের মোর্স কোডের মত।<ref>[http://home.ica.net/~roymanju/Binary.htm Binary Numbers in Ancient India]</ref><ref>[http://www.sju.edu/~rhall/Rhythms/Poets/arcadia.pdf Math for Poets and Drummers] (pdf, 145KB)</ref> তার সমসাময়িক গণিতবিদরা সংস্কৃত শব্দ ''শ্যূন্যেয়া'' থেকে বাংলা শ্যূন্য শব্দটি গ্রহণ করেন।
 
===প্রাচীন ভারত===