সৌদি আরবের সরকার পদ্ধতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ স্থানান্তর করেছে, যা এখন উইকিউপাত্তের - d:q1837899 এ রয়েছে |
|||
২ নং লাইন:
==মূল কাঠামো==
[[কোরআন]] ও [[হাদিস]] এগুলো এবং ১৪১২ হিজরির ২৭ শাবান (১ মার্চ, ১৯৯৩) জারিকৃত শূরা কাউন্সিল ও আঞ্চলিক প্রশাসন সংবিধি সরকারের মৌলিক বিধি হিসেবে একযোগে ঘোষিত হয়েছে। জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ
এসব আইনের ঘোষণা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সৌদি নেতৃত্ব ইসলামের বিধান অনুসারে সরকার পদ্ধতি অব্যাহত রাখতে ও উন্নত করতে বদ্ধপরিকর। প্রায় দেড়শ’ বছর আগে প্রথম সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সউদ সংস্কারক শেখ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাবের সঙ্গে আঁতাত করে যে নীতির ওপর দেশটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা ছিল আল্লাহ শব্দের প্রাধান্য বিস্তার, তাঁর আইন প্রয়োগ এবং ইসলাম রক্ষা। সৌদি আরব ইসলামের প্রতি তার বিশ্বাসে এবং ইসলামী আইন প্রয়োগে একনিষ্ঠ ও নিবেদিত রয়েছে। এই আইন জীবনে প্রয়োগ এবং আইন অনুসারে জীবন ও রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি চালানোতে সৌদি জনগণ খুশি। সৌদি আরবের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে কখনও সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দেয়নি এবং এই ব্যবস্থার ফলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে, যার ফলাফল দেশের সব নাগরিক ভোগ করছে। সৌদি আরব যে আরব ও ইসলামী লক্ষ্য অর্জনের জন্য অব্যাহত চেষ্টা চালাতে পারছে এটাও ওই ব্যবস্থারই ফল। ঘটনাবলি প্রমাণ করছে যে, সৌদি আরব ইসলামী ও আরব দেশসমূহ এবং আন্তর্জাতিক দায়িত্ববোধের প্রতি যে প্রতিশ্র“তি দিয়েছে তার প্রতি বিশ্বস্ত। নেতৃত্বের প্রজ্ঞার কারণে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মান ও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
সরকারের মৌলিক আইনে শাসন পদ্ধতি এবং উত্তরাধিকার নির্বাচন পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। এতে শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক এবং বিচার ব্যবস্থা ও সরকারের বিভাগগুলোর কার্য পরিধি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের অধিকার ও দায়িত্ব এবং নাগরিকদের দায়িত্বও বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য যেসব সংবিধি জারি করা হয়েছে তার লক্ষ্য পুরান পদ্ধতিকে আধুনিক করা এবং সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করা।
|