আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ITeachThem (আলোচনা | অবদান)
পূণ:নির্দেশ থেকে (তথ্যগুলো উইকির ফ্যারমেটে আনা প্রয়োজন)
৩৯ নং লাইন:
}}
'''আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ''',আইডিয়াল হাইস্কুল অথবা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি তার যাত্রা শুরু করে। মূলত তখন এটি তৎকালীন সিজিএস কলোনি (যা বর্তমানে এজিবি কলোনি নামে পরিচিত) এর নিবাসীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য তৈরি হয়।ধীরে ধীরে ঢাকার বিভিন্ন অংশের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে ভর্তি হয় । প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই বিদ্যালয়টি তাঁর গৌরবময়য় ফলাফল দিয়ে দেশের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানে এর তিনটি মাধ্যমিক শাখা ও একটি উচ্চ-মাধ্যমিক শাখা(বালিকা) রয়েছে।
 
==প্রতিষ্ঠাঃ==
 
===মূল শাখা প্রতিষ্ঠাঃ===
১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ ঢাকার মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে ও ১৯৬৮ সালে জুনিয়র স্কুল এবং স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ হাই স্কুলে উন্নীত হয়৷ ১৯৭৩ সালে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়৷ পরবর্তীতে ১৯৯০-৯১ শিক্ষা বছরে সরকারের নির্দেশে মতিঝিল ক্যাম্পাসে স্কুল ভবনের পূর্বদিকে ছাত্রীদের জন্য কলেজ শাখা চালু করা হয়৷ মতিঝিল ক্যাম্পাসের ১ একর ১৮ শতাংশ জমি ১৯৮০ সালে তত্‍কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ করেন৷ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্তীদের ফলাফল উল্লেখযোগ্য৷ প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, সাংস্কৃতিক পরিষদ, ইংলিশ সোসাইটি এবং বিএনসিসি ও স্কাউট দল৷ মহান ভাষা সৈনিকদের ম্মরণে ২০০৯ সালে গভর্নিং বডির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের মতিঝিল ক্যাম্পাসে নির্মিত হয়েছে শহিদ মিনার৷
 
===ইংরেজি ভার্সন প্রতিষ্ঠা===
২০০৩ সালে মতিঝিল ক্যাম্পাসে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে ইংলিশ ভার্সন চালু হয়৷ ২০০৫ সালে ইংরেজি মাধ্যমে প্রথম শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এবং পর্যায়ক্রমে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়৷ ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর কাছ থেকে স্কুল বিল্ডিং সংলগ্ন ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়৷ উক্ত জমির ওপর ২০০৯ সালে নতুন গভর্নিং বডি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে বার তলা ভিতবিশিষ্ট ইংলিশ ভার্সনের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এবং বর্তমানে এই ভবনটিতে ইংলিশ ভার্সন স্থানান্তর করে পাঠদানের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে ঊধর্্বমুখি সমপ্রসারণ কাজ এগিয়ে চলছে যা প্রায় শেষের দিকে৷
 
===বনশ্রী ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠাঃ===
১৯৯৬ সালে খিলগাঁও (বর্তমানে রামপুরা) থানার বনশ্রী আবাসিক প্রকল্প এলাকায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে ছয় বিঘা জমি ক্রয় করে সেমিপাকা ভবনে ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৭০২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বনশ্রী ব্রাঞ্চ যাত্রা শুরম্ন করে৷ অতঃপর পর্যায়ক্রমে এ ব্রাঞ্চ ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয়৷ পরবর্তীতে গভর্নিং বডি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক বহুতল বিশিষ্ট ইমারত নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে৷ ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট স্কুল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং প্রস্তাবিত এ ভবনটি সর্বোচ্চ ৬ তলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ বর্তমানে চার তলা বিশিষ্ট এ স্কুল ভবনের প্রতি তলার ক্ষেত্রফল ১৪,৫০০ বর্গফুট৷ ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর তারিখে নবনির্মিত এ ভবনের উদ্বোধন করা হয়৷ ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম এ নতুন ভবনে পরিচালিত হয়ে আসছে৷ ২০১২ সালে নির্বাচিত গভর্নিং বডি দায়িত্ব গ্রহণের পর বনশ্রী ক্যাম্পাসে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনশত ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে খোলা হয়েছে নতুন ইংলিশ ভার্সন শাখা৷
 
===**মুগদা ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠাঃ===
২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-৮) জনাব রাশেদ খান মেনন-এর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন গভর্নিং বডি গঠিত হয়৷ এ সময় খিলগাঁও-সবুজবাগ এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীর চাহিদা মেটাতে সবুজবাগ থানার মুগদায় প্রতিষ্ঠানের একটি ব্রাঞ্চ খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব রাশেদ খান মেনন এমপি-এর নেতৃত্বে গভর্নিং বডির সকল সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঢাকা-৯ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সার্বিক সহযোগিতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুগদা ব্রাঞ্চের জন্য এক একর জমি বরাদ্দ করেন এবং সেখানে সেমিপাকা ভবন নির্মাণ করা হয়৷ ২০১১ সালের ২ মার্চ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭৫৭ জন ছাত্র- ছাত্রী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়৷ ২০১১ সালে ৮ জুন তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং একই দিনে এ ব্রাঞ্চটির আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন৷ এই অসাধ্যকে সাধন করার পেছনে শক্তি যুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারির অকুন্ঠ সহযোগিতা, যার মূল শক্তি ছিল স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর আন্তরিক সহযোগিতা এবং প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব রাশেদ খান মেনন এমপি-এর নেতৃত্ব এবং গভর্নিং বডি ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের অক্লান্ত পরিশ্রম৷ বর্তমানে মুগদা ব্রাঞ্চের ১৯০২ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে৷ এ ব্রাঞ্চ থেকে আগামী শিক্ষা বছরে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে৷
 
==স্কুল ইউনিফরম:==
 
===ছাত্রদের জন্য:===
সাদা রঙের শার্ট, কালো রঙের প্যান্ট এবং কালো জুতা ও সাদা মোজা ৷
 
===ছাত্রীদের জন্য:===
(প্লে গ্রুপ-৪র্থ শ্রেণি) সাদা রঙের শার্ট, কালো জুতা ও সাদা মোজা ৷
(৫ম-৯ম শ্রেণি) .....রঙের কামিজ, .... রঙের সেলোয়ার, ওড়না ও স্কার্ফ স্কুলের ব্যাজ, কালো জুতা ও সাদা মোজা ৷
 
 
শীতকালীন পোশাকঃ ....... রঙের সোয়েটার/কার্ডিগান৷
 
==Ideal School & College এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ==
 
===**আদর্শ ও উদ্দেশ্য :===
দেশ গঠনের কাজে প্রাতিষ্ঠানিক শিৰার উপযোগিতাকে আজকের দিনে কীভাবে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায় সে লৰেও এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে৷ জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প ঘোষণা করেছেন৷ বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারণাকে ধারণ করে তার সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালিত করে আসছে৷ এ জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিজ্ঞান আহরণ করা হয়েছে৷ সূচনালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি ধমর্ীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিচর্যাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে৷ ভবিষ্যত্‍ নাগরিকদেরকে চরিত্রবান, মানবিক গুণাবলিসমৃদ্ধ সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করাই এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য৷ এ উদ্দেশ্য সাধনে প্রতিষ্ঠানটি শিৰাথর্ীদের পোশাক পরিচ্ছদ, কর্মানুশীলন ও আচরণিক ৰেত্রে ধমর্ীয় মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়েছে৷ শিৰাথর্ীদের নামাজ আদায়ের অনুশীলন প্রাতিষ্ঠানিক পরিমন্ডলে করানো হয়ে থাকে৷
 
===**নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব :===
ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা ছাড়া শিক্ষা অর্থহীন৷ তাই ছেলে-মেয়েদের আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিয়মিত স্ব-স্ব ধর্মীয় ক্লাস ছাড়াও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হয়৷
 
===**সমাবেশের বিশেষ আকর্ষণ :===
নিয়মিত সমাবেশ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ ও আনুগত্যবোধ জাগিয়ে তোলে-এ কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে প্রতিদিন ক্লাস শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ সমাবেশ শুরুর প্রথমেই পবিত্র কুরআন থেকে আয়াত পাঠ করা হয়৷ এছাড়া, প্রায়ই অধ্যক্ষ মহোদয়, সহকারি প্রধান শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সমাবেশে নৈতিক মূল্যবোধের উপর বক্তব্য রাখেন৷ এতে ছাত্র-ছাত্রীরা নীতিবান, সুশৃঙ্খল ও ধর্মানুরাগী হয়ে গড়ে উঠার প্রেরণা লাভ করে৷
 
===**ডায়েরি :===
বছরের শুরুতে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সারা বছর ব্যবহার উপযোগী একটি উন্নতমানের ডায়েরি দেয়া হয়৷ এতে প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষাথর্ী হিসেবে তাকে কী কী নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে তা 'ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞাতার্থে' কলামে লেখা থাকে এবং একজন অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের কী কী নিয়ম-কানুন ও কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে তা 'অভিভাবক-অভিভাবিকাদের প্রতি' কলামে লেখা থাকে৷ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এটি অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে হয়৷ এতে প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী বিষয়গুলো লিখতে হয় এবং শিক্ষাথর্ী, দৈনিক পাঠ শিখেছে কি না এবং বাড়ির কাজ করেছে কি না তা তাকে লিখতে হয়৷ বিষয় শিক্ষকগণ শ্রেণিতে পড়া ধরার পর ৫ এর মধ্যে নম্বর প্রদান করে থাকেন৷ তাছাড়া নির্দিষ্ট বিষয়ে কোন মন্তব্য থাকলেও তা তারা লিখে দেন৷ ছাত্র-ছাত্রীদের আচার-আচরণ, পোশাক ইত্যাদি কোন ক্ষেত্রে কোন ত্রুটিবিচু্যতি থাকলে তাও বিশেষ রিপোর্টে লেখা হয়৷ যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকে কোন বিষয়েই পড়া ধরা হয় নি, সে সব ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে কি না এর প্রমাণ স্বরূপ উপস্থিতি কলামে কোন না কোন শিক্ষক-শিক্ষিকার স্বাক্ষর নিতে হয়৷ অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দ ছাত্র-ছাত্রীর ডায়েরি দেখে প্রতিদিনের লেখাপড়ার অগ্রগতি উপলব্ধি করেন৷ এমন কি তাঁদের সন্তানরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় কি না তাও জানতে পারেন৷ তাছাড়া শ্রেণি পরীক্ষার রিপোর্টও এতে সংযোজিত থাকে৷ অভিভাবক-অভিভাবিকাদেরকে অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীর দৈনন্দিন অগ্রগতি, আচার-আচরণ, মন্তব্য ইত্যাদি ভালভাবে দেখে ডায়েরির পাতায় স্বাক্ষর করতে হয়৷ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া, আচার-আচরণ এসব বিষয়ের দৈনিক রিপোর্ট অভিভাবক-অভিভাবিকাদের কাছে পেঁৗছানোর মাধ্যম হিসেবে এ ডায়েরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷
 
===**তালিম :===
ছোটবেলায় কচি ও কোমল মনে যে সব বিষয়ের ছাপ পড়ে, ভবিষ্যতে সেগুলোই স্থায়ী হয়৷ এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে ছাত্র-শিক্ষক সকলের জন্য নিয়মিতভাবে শ্রেণিকক্ষে তালিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে প্রতিদিন সমাবেশ শেষে ক্লাস শুরু হওয়ার প্রারম্ভে পাঁচ মিনিটকাল আলোচনা করা হয়৷ অডিও কন্ট্রোল সেটের মাধ্যমে একযোগে তা বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে প্রচারিত হয়৷
 
===**বিতর্ক সংঘ ও ইংলিশ সোসাইটি :===
বিতর্ক নিঃসন্দেহে একটি সৃজনশীল এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম৷ বর্তমানে প্রায় সারা বিশ্বে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের অনুশীলন চলছে, বাংলাদেশ টেলিভিশনও দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে৷ এ সব দিক বিবেচনায় অত্র প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠেছে 'আইডিয়াল ডিবেটিং ক্লাব' নামে একটি বিতর্ক সংঘ৷ বর্তমানে এ ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড়শ৷ ক্লাবটি ছাত্র-ছাত্রীদের বিতর্ক সংক্রান্ত মান মনিটরিং করে৷ ইংলিশ সোসাইটি নামে ইতোমধ্যে একটি সোসাইটি গঠন করা হয়েছে৷ এ সোসাইটি বেশ জোরেসোরেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে৷ এ সোসাইটির মূল কাজ হল শিক্ষাথর্ীকে বিশুদ্ধ উচ্চারণে অনবরত ইংরেজিতে কথা বলায় সক্ষম করে তোলা৷
 
===**বিজ্ঞান ক্লাব (ISTARC) :===
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, আর বিজ্ঞান হচ্ছে প্রতিনিয়ত গবেষণার বিষয়৷ এ সময় বিজ্ঞান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার কোন অবকাশ নেই৷ কেবল পাঠ্যপুসত্মক পাঠের মাধ্যমে বিজ্ঞানের যথার্থ চর্চা সম্ভব নয়৷ এ সব বিষয় মনে রেখেই আমরা অগ্রসর হতে চাই৷ অর্থাত্‍ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শুধু পাঠ্যপুসত্মকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, তাদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে যুগোপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট অভিপ্রায়ে ২০০১ সালে 'ধ্বংস নয়, সৃষ্টিতে বিজ্ঞান', এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ISTARC ৷ ক্লাবের কার্যক্রমের ব্যাপকতার প্রেক্ষিতে এর নামকরণ করা হয়েছে Ideal Science and Technology Aiming Research Council (ISTARC)৷ এর প্রাণ হল প্রতিষ্ঠানের মেধাবী এবং সত্যসন্ধানী এক ঝাঁক প্রাণোচ্ছ্বল ছাত্র-ছাত্রী৷ তবে ভূতপূর্ব ছাত্র-ছাত্রী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের যে সকল সম্মানিত ব্যক্তি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন অথবা ভবিষ্যতে অবদান রাখতে চান, তাঁদের যে কেউ যথানিয়মে এর সদস্য হতে পারেন৷ ২০০১ সালে অল্প কয়েকজন সদস্য নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়৷ বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ছয় শ৷ ISTARC-এর সদস্যরা ইতোমধ্যে নটরডেম কলেজে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় পাঁচ বার, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চার বার এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিজ্ঞান মেলায় দুবার অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখে প্রতিষ্ঠানের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে৷ উল্লেখ্য, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে ISTARC -এর সদস্যরা চ্যাম্পিয়নশীপ লাভের গৌরব অর্জন করে৷ এছাড়াও জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ওঝঞঅজঈ -এর সদস্যরা চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে৷ জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েও ISTARC -এর সদস্যরা চ্যাম্পিয়নশীপ লাভের গৌরব অর্জন করে৷ এছাড়াও জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ISTARC-এর সদস্যরা চ্যাম্পিয়ন হয়৷ ২০০৩, ২০০৫, ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে ISTARC কতর্ৃক আয়োজিত যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বিজ্ঞান মেলায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে সুধীমহলের নজর কাড়ে৷
 
পরিশেষে বলা যায় যে, এমন একটি মিশন যার ভিশন হলো নিজ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞানের উন্নয়ন সাধন করা৷ বিজ্ঞান বিষয়ক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সদস্যদের সুপ্ত সৃজনী শক্তির উন্মেষ সাধন সম্ভব হচ্ছে৷ এটা নিশ্চিত যে, ISTARC ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান সাধনায় উদ্বুদ্ধ করতে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে৷
===**সিলেবাস :===
বছরের শুরুতেই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বছরের পূর্ণাঙ্গ 'সিলেবাস' বই আকারে দেয়া হয়৷ এতে সমগ্র বছরের পরীক্ষাসমূহের (সাময়িক, ষান্মাসিক, প্রাক-নির্বাচনি, বার্ষিক, নির্বাচনি) অনুষ্ঠানকালসহ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দিন, তারিখ, সময় নির্দিষ্ট করা থাকে৷
 
===**ক্যালেন্ডার :===
ডায়েরি ও সিলেবাসের সাথে বার্ষিক কার্যক্রম সংবলিত একখানা ক্যালেন্ডারে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির পূর্ণ তালিকাসহ ১. বার্ষিক অনুষ্ঠানসূচি, ২. ছুটির তালিকা, ৩. কার্যকালের পরিসংখ্যান, ৪. সাংবত্‍সরিক বিভিন্ন পরীক্ষা ও ফলাফল ঘোষণার তারিখসমূহ মুদ্রিত থাকে৷ ফলে বছরের শুরুতেই এর সাহায্যে ছাত্র-ছাত্রীরা ও অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দ প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে তত্‍পর হতে পারেন৷ আল্লাহ্পাকের অসীম রহমতে কোন অনিবার্য কারণ ছাড়া এ পর্যনত্ম প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ে সুসম্পন্ন হয়ে আসছে৷
 
==শাখাসমূহ==