মৌ হামিংবার্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{Taxobox
| name = মৌ হামিংবার্ড
| image = Calypte helenae ampliado.jpg--[[Special:Contributions/203.112.79.203|203.112.79.203]] ([[User talk:203.112.79.203|আলাপ]]) ১০:১২, ২৭ নভেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)--[[Special:Contributions/203.112.79.203|203.112.79.203]] ([[User talk:203.112.79.203|আলাপ]]) ১০:১২, ২৭ নভেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)--[[Special:Contributions/203.112.79.203|203.112.79.203]] ([[User talk:203.112.79.203|আলাপ]]) ১০:১২, ২৭ নভেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)
| image = Calypte helenae ampliado.jpg
| image_caption = ''Mellisuga helenae'', [[জন গুল্ড]] অঙ্কিত, ১৮৬১
| status = NT
৩২ নং লাইন:
 
 
'''মজার কিছু তথ্য।'''
 
পর্তুগীজ ভাষায় হামিংবার্ডের নাম বেইজা-ফ্লর যার মানে ফুল-চুম্বনকারী। স্প্যানিশ ভাষায় এর নাম চুপাফ্লর, যার মানে “ফুল চুষে খায় যে”। স্প্যানিশ ভাষায় একে বলে জয়াস ভোলাডরাস, যার মানে উড়ন্ত রত্ন। স্প্যানিশ ভাষাতে এর আরেকটি নাম হলো পিকাফ্লর যার মানে “ফুল কামড়ায় যে”। ক্যারিবিয়ানে একে বলে এল-যুনযুন।
 
 - হামিং বার্ডের পালক খুব উজ্জ্বল এবং রংচঙে হয়ে থাকে। একটা সাবানের বুদবুদ বা প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলো যাবার সময়ে যেভাবে আলোকরশ্মি ভেঙে গিয়ে অনেকগুলো রঙের ছটা দেখা যায়, একই প্রক্রিয়ায় হামিংবার্ডেরম পালক থেকেও আলো বিচ্ছুরিত হয়ে অনেক রঙের খেলা দেখা যায়। হামিংবার্ডের ঘাড়ে যে রঙ্গিন পালকের গুচ্ছ থাকে তার নাম হলো গরজেট। দরকার মতো নিজের পালকের রঙ লুকাতে পারে হামিংবার্ড।
 
 - হামিংবার্ডের শরীরের ওজনের ৪.২ শতাংশ হলো এর মস্তিষ্ক। পাখিদের মাঝে এত বড় মস্তিষ্ক আর দেখা যায় না। সম্ভবত এ কারনেই হামিংবার্ডের বুদ্ধি একটু বেশি। এরা কোন কোন ফুল থেকে মধু খেয়েছে সেটা দিব্যি মনে রাখতে পারে আর সেই ফুলে কখন আবার মধু আসবে সেটাও জানে!
 
 - হামিংবার্ডের শ্রবণশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি মানুষের চাইতে ভালো। এরা অতিবেগুনী আলো দেখতে পায়। তবে এদের ঘ্রাণশক্তি একেবারেই খারাপ।
 
 হামিংবার্ডের জিহ্বা বেশ অদ্ভুত। এদের জিহ্বার মাঝে কাটা আছে, যাতে জিহ্বার প্রান্ত দেখতে “w” এর মতো। আর জিহ্বার প্রান্তে রয়েছে ক্ষুদ্র কিছু রোম। এটা ব্যবহার করে তারা ফুলের মধু চেটে নেয়।
 হামিংবার্ডের সূঁচের মতো ঠোঁট আছে যা এদের শরীরের তুলনায় বেশ বড়। ওপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের চাইতে একটু লম্বা হয়। নিচের ঠোঁট কিছুটা স্থিতিস্থাপক।
 
 হামিংবার্ডের হৃদয় বেশ শক্তিশালী। এর হৃদস্পন্দন মিনিতে ১,২৬০ বার পর্যন্ত হতে পারে! আবার বিশ্রামে থাকা অবস্থায় হৃদস্পন্দন কমে মিনিতে ২৫০ এ নেমে আসতে পারে। সম্পূর্ণ শরীরের ওজনের ২.৫ শতাংশ ওজন এর হৃদপিণ্ডের। আর হামিংবার্ড বিশ্রামে থাকা অবস্থাতে নিঃশ্বাসও নেয় মিনিটে প্রায় ২৫০ বার।
 
 হামিংবার্ডের শরীরের তাপমাত্রা ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে থাকে।
 
 এদের ঠোঁটের আগা থেকে শুরু করে লেজ পর্যন্ত ৮.৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। এদের ওজন দুই থেকে বিশ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে। এই ওজনের ৩০ শতাংশই হলো পেশী যা উড্ডয়নে সাহায্য করে। মেয়ে হামিংবার্ডের ওজন বেশি হয়।
 
 হামিংবার্ডের শরীরের বিপাক হয় হাতির চাইতেও ১০০ গুণ দ্রুত। ফলে একে খুব বেশি বেশি খেতে হয়।
 
 হামিংবার্ডের পা বেশ দুর্বল। হাঁটার চাইতে এরা উড়তে বেশি পছন্দ করে।
 
 মেয়ে হামিংবার্ড একাই বাসা তৈরি করে। এতে দুইটা করে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বের হবার পরে এরা বাসায় থাকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত।
 
 অনেক হামিংবার্ড এক বছর পাড় না হতেই মারা যায়। অনেকে আবার পাঁচ থেকে দশ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
 
 হামিংবার্ড সেকেন্ডে প্রায় ৭০ বার পাখা ঝাপটায়। এরাই একমাত্র পাখি যারা সামনে এবং পেছনে উভয় দিকে উড়তে পারে। এরা উড়তে উড়তে এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারে, পাশে উড়তে পারে এমনকি উল্টো হয়েই উড়তে পারে।