মরগান ফ্রিম্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৮ নং লাইন:
==জীবনী==
অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সুবক্তা। আফ্রিকান বংশোদ্ভুত এ অভিনেতা জন্মগ্রহণ করেন আমেরিকার টেনেসির মেম্ফিসে। ১৯৩৭ সালের ১ ই জুন জন্ম নেয়া এ অভিনেতা শিক্ষকের সন্তান। তার পিতামাতা মর্গান পোর্টারফিল্ড ফ্রিম্যান ও নি রিভারি। তার শৈশব কেটেছে মিসিসিপি ,গ্যারি ,ইন্ডিয়ানা, শিকাগোর মত বিভিন্ন জায়গায় ।মর্গান ফ্রিম্যান এর অভিনয় জীবন শুরু হয় মাত্র নয় বছর বয়সে তার স্কুলে একটি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি ব্রডস্ট্রীট স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তিনি মাত্র বার বছর বয়সে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত নাট্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতেন। প্রথম তার তার নাট্যকলা প্রদর্শিত হয় “হ্যালো ডলি” এর মিউজিকের মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে ব্রডস্ট্রীট থেকে তিনি স্নাতক সম্পূর্ণ করেন ,তিনি জ্যাকসন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যকলায় স্কলারশিপ পান। এরপর তিনি রাডার টেকনিশিয়ান হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি লস এঞ্জেলসে চলে যান এবং সেখানে অভিনয়ের ওপর পেসাডেনা নাট্যশালায় শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালের গোড়ার দিকে নাচের ওপর সানফ্রান্সিস্কোতে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসে প্রতিলিপি কেরানি হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি নিউইয়র্কে বাস করেন এবং ১৯৬৪ সালের ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এ সময়ে ফ্রিম্যান সানফ্রান্সিস্কোর অপেরা রিং মিউজিক্যাল থিয়েটার গ্রুপের একজন সদস্যও ছিলেন।
 
==চলচ্চিত্র জীবন==
 
ফ্রিম্যান দ্য রয়েল হান্ট অফ দ্য সান ট্যুর কোম্পানির ভার্সনে অভিনয় করেন এবং চলচ্চিত্রে একজন এক্সট্রা অভিনেতা হিসেবে ১৯৬৫ সালে তাকে দেখা যায় “পউনব্রোকার” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, যেখানে তার চরিত্র ছিল একজন পথচারীর । তার অভিনয় জীবনের পূর্ণাঙ্গ অভিষেক হয় মূলত ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র “ হু সেইস আই কান্ট রাইড এ রেইনবো”তে । তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে রিলিজ পাওয়া চলচ্চিত্র “ব্লেড” । এরপর টিভি মুভি “আউট টু লন্স” তে তিনি অভিনয় করেন । ১৯৭১-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি টিভি সিরিয়াল “দ্য ইলেকট্রিক কোম্পানি”তে অভিনয় করেন । ১৯৮০ সালের পর থেকে ফ্রিম্যান চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন । “ড্রাইভিং মিস ডেইজি(১৯৮৯)” , “গ্লোরি(১৯৮৯)” , “দ্য শোশাংক রেডেমশান(১৯৯৪)” এর মত বেশকিছু চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের চলচ্চিত্রজগতে দারুণভাবে অভিনয়ের নান্দনিকতার প্রকাশ ঘটান ।
 
৭০ দশকেও ফ্রিম্যান অভিনয় করতে থাকেন চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মঞ্চেও । তার অভিনীত “ডেস্ক” এবং “ক্ল্যারেন্স” নাটক ডারওয়েন্ট পুরস্কার জয়ী , পাশাপাশি ১৯৭৮ সালে “জেন্টস” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে “টনি” পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হন । ১৯৮০ সালে নিউইয়র্ক শেক্সপিয়র ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তিনি তার “এন্টি হিরো” চরিত্রের জন্যে এবং “মাদার কারেজ ও হার চিলড্রেন” কাজের জন্যে দুটি “ওভি অ্যাওয়ার্ড” পান । ১৯৮৪ সালে মেসেঞ্জার হিসেবে তার কাজের জন্যে তিনি আবার “ ওভি অ্যাওয়ার্ড” পান । ১৯৮৭ সালে তিনি আবারও “ওভি অ্যাওয়ার্ড” পান । “স্ট্রিট স্মার্ট” চলচ্চিত্রের জন্যে পার্শ্ব চরিত্রে, “ড্রাইভিং মিস ডেইজি” ও “শোশাংক রেডেমশান” চলচ্চিত্রের জন্যে প্রধান চরিত্রে তিনি যথাক্রমে ১৯৮৭,১৯৯০ এবং ১৯৯৫ সালে অস্কার মনোনয়ন পান । অবশেষে ২০০৫ সালে তার অভিনীত চলচ্চিত্র “ মিলিয়ন ডলার বেবি” এর জন্যে তিনি অস্কার পান । বেস্ট পারফর্মন্সের জন্যে “ড্রাইভিং মিস ডেইজি” চলচ্চিত্রে ১৯৯০ সালে তিনি পান “গোল্ডেন গ্লোব” অ্যাওয়ার্ড এবং বেস্ট অ্যাক্টিং টিম হিসেবে অভিনেত্রী জেসিকা টেন্ডি’র সাথে “ড্রাইভিং মিস ডেইজি” চলচ্চিত্রের জন্যে পান “বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল” অ্যাওয়ার্ড । ২০১১ সালে পান আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে “লাইফ টাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড” । ফ্রিম্যান এ পর্যন্ত ৫৬ টি পুরস্কার এবং ৪৫ বার বিভিন্ন পুরস্কারের জন্যে নমিনেশন পান ।
 
 
== তথ্যসূত্র ==