সত্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র প্রদান করা হলো
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সত্য তত্ত্ব
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Time_Saving_Truth_from_Falsehood_and_Envy.jpg|thumb|১৭৩৭ সালে ফ্রাঁসো লিময়েন অঙ্কিত চিত্রকর্মে - মিথ্যা ও হিংসা থেকে সময় কর্তৃক সত্যকে রক্ষা করার দৃশ্য]]
'''সত্য''' হচ্ছে যা প্রকৃত বিষয় বা ঘটনা।ঘটনা যা [[দর্শনশাস্ত্র|দর্শনশাস্ত্রের]] একটি ধারণা। যদি কোন বিষয় প্রকৃতই ঘটেছে বলে মনে করা হয়, তখন তা সত্য হিসেবে বিবেচিত হয়।<ref>[http://m-w.com/dictionary/truth Merriam-Webster's Online Dictionary, truth, 2005]</ref> যিনি সত্যকথা বলেন বা লিখেন, সমাজে তিনি সত্যবাদী নামে পরিচিতি পান। পৌরানিক উপাখ্যানে [[যুধিষ্ঠির|যুধিষ্ঠিরকে]] সত্যবাদী ও ধর্মরাজ হিসেবে পরিচিতি ঘটানো হয়েছে। মহান [[দার্শনিক]] [[এরিস্টটল]] বলেছেন, ‘যদি বলা হয় যে এটি না অথবা না-কে হ্যাঁ বলা হয় তবে তা মিথ্যা এবং যদি কোন কিছু সমন্ধে জানতে চাওয়া হয় যে এটি কি এবং যদি না-কে না বলা হয় তখন তা সত্য’।<ref>[http://plato.stanford.edu/entries/truth-correspondence/#1 David, Marion (2005). "Correspondence Theory of Truth" in Stanford Encyclopedia of Philosophy]</ref> উদাহরণস্বরূপ বলা যায় - মানুষের রক্ত নীল তখন তা [[মিথ্যা]] বলে প্রমাণিত হবে; কিন্তু স্বতঃসিদ্ধ সত্য বিষয় হচ্ছে - [[মানুষ|মানুষের]] [[রক্ত]] [[লাল]]।
 
ইসলাম ধর্মে হযরত [[বায়জিদ বোস্তামী]] কর্তৃক [[ডাকাত]] দলের কাছে [[স্বর্ণমুদ্রা]] থাকার সত্য কথা বলার [[উপকথা]] হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পেয়েছে। অসত্য কোন কিছুর বর্ণনাকে মিথ্যার পর্যায়ে ফেলা হয়। অর্ধ-সত্য বিষয়ে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণ থাকে অথবা কিছু সত্য বিষয় তুলে ধরা হলেও পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় না। যদি কোন কিছুকে সত্য বলা হয় তখন বক্তার কথাই সত্য বা সে সত্য কথা বলেছে। আবার, কোন কিছুকে অসত্যরূপে বললে বা বিবৃত করলে তখন তা মিথ্যার পর্যায়ে উপনীত হয়। যদি কেউ মিথ্যাকে সত্য বলার চেষ্টা চালায় তাহলে তা মিথ্যারূপে প্রমাণিত হয়। কারণ, সত্যের জয় চিরদিনই হয়। যিনি মিথ্যা কথা বলেন, তিনি মিথ্যাবাদী বা মিথ্যুক নামে সমাজে পরিচিতি পান ও সকলেই তাকে ঘৃণা করে থাকে। এছাড়াও মহামান্য [[আদালত|আদালতে]] সাক্ষ্য প্রদানের সময় ব্যক্তিকে - ‘যাহা বলিব, সত্য বলিব। সত্য বই মিথ্যা কথা বলিব না।’ - মর্মে শপথবাক্য পাঠ করতে হয়।
 
== সত্য তত্ত্ব ==
প্রশ্ন হচ্ছে - সত্যের প্রধান মানদণ্ড কী? সাধারণতঃ শব্দ, প্রতীক, চিন্তাধারা এবং বিশ্বাসবোধ নিয়ে ব্যক্তি কিংবা পুরো সমাজের মাধ্যমে সত্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে দার্শনিকেরা চেষ্টা চালিয়েছেন যে, আসলে সত্য কি? তাঁরা প্রধান পাঁচটি তত্ত্বের মাধ্যমে এ প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ পেয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে - যোগাযোগ, প্রায়োগিক, সংলগ্নতা, সত্যের অবপাত।<ref>[https://en.wikipedia.org/wiki/Encyclopedia_of_Philosophy Encyclopedia of Philosophy, Supp., "Truth", auth: Michael Williams, p572-573 (Macmillan, 1996)]</ref><ref>Blackburn, Simon, and Simmons, Keith (eds., 1999), Truth, Oxford University Press, Oxford, UK. Includes papers by James, Ramsey, Russell, Tarski, and more recent work.</ref><ref>Hale, Bob; Wright, Crispin, eds. (1999). "A Companion to the Philosophy of Language". A Companion to the Philosophy of Language. pp. 309–330. doi:10.1111/b.9780631213260.1999.00015.x. ISBN 9780631213260. edit</ref> এ সকল তত্ত্ব বৈশ্বিকভাবে [[গবেষক|গবেষকগণ]] কর্তৃক স্বীকৃত।
 
== তথ্যসূত্র ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/সত্য' থেকে আনীত