উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''স্যার উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিলটন''' (মধ্যরাত [[আগস্ট ৩-৪]] ১৮০৫- [[সেপ্টেম্বর ২]] ১৮৬৫) একজন আইরিশ বিজ্ঞানী। তিনি কাজ করেছিলেন বলবিদ্যা, দৃগবিজ্ঞান ও গণিতের শাখা নিয়ে। গবেষণার ব্যাপ্তি ও গভীরতার জন্য তাঁর তুলনা টানা হয়েছে এমনকি নিউটনের সঙ্গেও। হ্যামিলটন জন্মগ্রহণ করেন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে। শৈশব থেকেই তাঁর বিস্ময়কর প্রতিভার পরিচয় মেলে। গণিতে ভূগোলে ও বিশেষত দেশবিদেশের নানান ভাষায় তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেন। কবিতা লিখতে থাকেন। স্কুলজীবনেই তিনি তাঁর নিজের জন্য বীজগণিতের একটা পাঠ্যবই লিখে ফেলেন। লাপলাসের বলসামন্তরিকের ব্যাখ্যায় একটা ভুল খুঁজে পান। দূরবীন সংগ্রহ করে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ চালাতে থাকেন। ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজে অধ্যয়ন করার সময়ে কৃতি ছাত্ররূপে প্রায় অবিশ্বাস্য খ্যাতি পান। নিয়মিত গবেষণাপত্র রচনা ও প্রকাশ করতে থাকেন। তিনি যখন আণ্ডারগ্রাজুয়েট পাঠক্রমের শেষ বর্ষের ছাত্র তখনই তাকে গ্রাজুয়েট ছাত্রদের পরীক্ষকরূপে ও রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমার অব আয়ারল্যান্ড হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
দৃগবিজ্ঞানে কনিক্যাল রিফ্র্যাকশন, বলবিদ্যায় লিস্ট অ্যাকশন প্রিন্সিপল, বীজগণিতে জটিল রাশি ও পঞ্চঘাতের সমীকরণের চর্চা, ভেক্টর পদ্ধতির সূচনা, শ্রেণি বা বর্গ (গ্রুপ) বিষয়ক তত্ত্বে হ্যামিলটনের গ্রুপের প্রচলন_ বিভিন্ন বিষয়ে এই সময়ে তাঁর গবেষণা অগ্রগণ্য ভূমিকা নিয়েছিল। আর এরই সংগে আছে গবেষক রূপে তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি_ কোয়াটারনিয়ন বিষয়ক ধারনার প্রবর্তন; জ্যামিতি ও বলবিদ্যার অসংখ্য অনুষঙ্গে এর সার্থক প্রয়োগ ঘটেছে। এই বিষয়ে তাঁর মূল্যবান গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৩ সালে। একই বিষয়ে তিনি দীর্ঘতর আর একটি বই রচনা করেন বছর বারো বাদে। তাঁর আর একটি উল্লেখযোগ্য বই হলও 'আইকোসিয়ান ক্যালকুলাস'।
সারা জীবনে বহু সম্মান ও স্বীকৃতি তিনি পেয়েছিলেন। ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়নের সদস্যপদ, 'স্যার' উপাধি, রয়্যাল আইরিশ একাডেমির সভাপতিত্ব, রাষ্ট্রীয় পেনসন, আমেরিকার ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্সেসের বিদেশি সদস্য, সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি ইত্যাদি। ব্যাক্তিগত জীবনে তাঁর স্ত্রী রুগ্ন ও তিনি নিজে অসাংসারিক। ধর্মের প্রতি আমৃত্যু তাঁর টান ছিল।</ref>ধীমান দাসগুপ্ত; বিজ্ঞানী চরিতাভিধান; দ্বিতীয় খণ্ড; বাণীশিল্প ক্লকাতা;এপ্রিল ১৯৯৭; পৃষ্ঠা ২৪৮-২৪৯।</ref>
 
 
 
==তথ্যসুত্র==
{{reflist}}
 
ধীমান দাসগুপ্ত; বিজ্ঞানী চরিতাভিধান; দ্বিতীয় খণ্ড; বাণীশিল্প ক্লকাতা;এপ্রিল ১৯৯৭; পৃষ্ঠা ২৪৮-২৪৯।