ইপ মান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪৫ নং লাইন:
ইপ মান [[চান ওয়া শুন|চান ওয়া শুনের]] কাছ থেকে [[উইং চুন]] শিখে যিনি ছিলেন অত্যন্ত নামকরা একজন কুংফু শিক্ষক। বলা হয়, ইপ ছিল তার শেষ ছাত্র।<ref name="english-history">{{cite web|url=http://www.kwokwingchun.com/about-wing-chun/history-&-family-tree/ |title=Sam kwok Wing Chun – Yip Man Family Tree |publisher=Kwokwingchun.com |accessdate=29 November 2011}}</ref><ref>''Mastering Wing Chun'', By Samuel Kwok</ref>
 
বৃদ্ধইপ চানমান ওয়া১৬ শুনবছর ১৯১১বয়সে সালে[[হংকং]] মারাচলে যান। প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে কিছুটা ভেঙে পড়েন ইপ। তিনি চলে যান হংকং। সেখানে [[সেন্ট স্টিফেনস কলেজে]] পড়াশোনা শুরু করেন।<ref name="ip-ching-book" /> হংকংয়ে পরিচয় হয় লিয়ান বাইকের সঙ্গে। তার ছেলে লিয়ান জান।জান সেওযে উইং চুন স্টাইলে প্রশিক্ষিত। তবে ভিন্ন আঙ্গীকে। ইপ এখানে পরিচিত হলো উইং চুন স্টাইলের ভিন্ন ধারার সঙ্গে।<ref খুব আগ্রহ নিয়েই লিয়ান জানের কাছ থেকে তালিম নিত। তার সঙ্গে লড়তো। এতে করে সরাসরি কুং ফুর সঙ্গে মিশে যাওয়াname="ip-ching-book" যেত।/>
চান ওয়া শুন তাদের ব্যবসার অনেককেই ‍কুং ফু প্রশিক্ষণ দিত। তার এ স্টাইলের নাম ছিল ‘উইং চুন’। ব্যবসায় কাজ করা শ্রমিকদেরই বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এর কারণও ছিল। চোর ডাকাত দলের সঙ্গে লড়াই করার জন্যই ইপ পরিবারের পক্ষ থেকেই এ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকি ইপ পরিবারের জন্য নিযুক্ত বিশেষ রক্ষীদেরও ‘উইং চুন’ প্রশিক্ষণ নিতে হতো।
দীর্ঘ সময় পর ইপ ফিরে আসেন চীনে পুলিশ হিসেবে।<ref name="ip-ching-book" /> তখন ইপ ‘উইং চুন’ স্টাইলের অন্যতম ধারক ও বাহক। অনেক বছর তিনি কাউকে প্রশিক্ষণ দেয়নি। ১৯৪২ সালের দিকে জাপানিরা তাদের শহর দখল করে নেয়। ইপের সব সম্পত্তি জাপানিরা দখল করে এবং অনেক সম্পত্তি নষ্ট করে দেয়। ইপ অসহায় হয়ে পড়ে ও অর্থিক কষ্টতেও ভোগা শুরু করেন। কয়েক বছর পর ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। কমিউনিস্টরা তাকে পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে বসে। এ জীবনটা ইপ মোটেও উপভোগ করছিল না। এদিকে পুলিশের কুং ফুকুংফু শিক্ষকও করে দেওয়া হলো। কিন্তু ইপের কাছে কুং ফু একটি শিল্প। সে এটিকে দিয়ে মানুষকে দমানোর কাজ করত চায় না। সে শিক্ষক হতেও চায়নি। এ শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু এভাবে নয়। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রমাণ করলো যে শিক্ষক হিসেবে ইপ মোটেও যোগ্য নয়। তার চাকরি গেল। আবার আর্থিক সমস্যায় পড়ে গেলেন ইপ।<ref>{{cite web|url=http://www.kwokwingchun.com/about-wing-chun/ip-mans-wing-chun/ip-mans-biography/ |title=Ip Man's Biography |publisher=Kwokwingchun.com |date=2012-07-20 |accessdate=2012-10-12}}</ref>
 
==হংকংয়ের জীবন==
এদিকে ইপ মানকে যেতে হতো স্কুলে। যেখানে তার একদমই ভালো লাগতো না। তার ভাষায়, জোর করে কবিতা মুখস্থ করা, মুখস্থ লেখা এগুলো কোনো শিক্ষা না।
তারপরের গল্পটা তো শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছে। অভাবে পড়ে ছিল। সেখান থেকে অসুস্থ ইপকে তুলে নিয়ে আসলো কুং ফু স্কুলের শিক্ষক লিয়ান। সেখানেই বলতে গেলে প্রথমবারের মতো মন থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করলো ইপ মান।
 
এ নিয়ে মানসিকভাবেই বিপাকে পড়েন ইপ। তারপরও নয় বছর পর্যন্ত স্কুলে গেছেন। এরপর তিনি একদিন চান ওয়া শুনের কাছে হাজির হলেন। তার ছাত্র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বসেন।
 
চান শুরুতে ইপের অনুরোধ এতোটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। চানের বয়স তখন ৬০ বছর। চানের অধিকাংশ ছাত্র তখন ৩০ বছরের উর্ধ্বে। সে সময় সম্ভ্রান্ত পরিবারের অনেকেই চাইতো না তাদের সন্তান কুং ফু’র প্রতি আকৃষ্ট হোক। এসব নিয়ে চান খুব বিব্রত ছিলেন। তিনিও চাইতেন না যে ইপ কুং ফু শিখুক। এজন্যই সে ইপকে বলল, ঠিকাছে আমি তোমাকে শেখাবো। তবে এজন্য তোমাকে বেতন দিতে হবে। তিনটি সিলভার খন্ড দিতে হবে।
 
চান ওয়া ভেবেছিলেন এ বাচ্চা ইপ এতো সিলভার কোথায় পাবে। কিন্তু ধারণাটি ভুল ছিল। সে পরের দিনই ৩০০ সিলভার খণ্ড নিয়ে হাজির হয়ে গেল। সেসময় এর সমপরিমাণ মূল্য দিয়ে একটি বাড়ি কেনা যেত। চান ওয়া ভাবলো এই ছেলে বোধ হয় ঘর থেকে চুরি করেছে। সে তখন ইপকে নিয়েই তার বাবা মা’র কাছে যায়। ইপের বাবা মা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলেন, ইপ অনেক আগেই থেকেই সিলভার জমাতো। এখন পর্যন্ত সে ৩০০ সিলভার জমিয়েছে। তার জমানো সব সিলভার নিয়ে সে হাজির হয়েছিল চান ওয়ার সামনে।
 
ছেলের আগ্রহ তীব্র বুঝতে পেরে বাবা মা রাজি হলেন। আর ইপ তখন চান ওয়ার ছাত্রদের খাতায় নাম লেখানোর সুযোগ পেলেন। এটি একটি ইতিহাস ছিল। কারণ ইপ ছিল আগের ২০০ বছরের প্রথম ছাত্র যার বয়স অত্যন্ত কম। বিপ্লবী উইং চুন স্টাইলের সর্বশেষ ছাত্র হিসেবেও ইপের নাম লেখা হলো। সেটা ছিল ১৯০৬ সালের ঘটনা।
 
জীবনের দ্বিতীয় ধাপ:
বৃদ্ধ চান ওয়া শুন ১৯১১ সালে মারা যান। প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে কিছুটা ভেঙে পড়েন ইপ। তিনি চলে যান হংকং। সেখানে সেন্ট স্টিফেনস কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন। হংকংয়ে পরিচয় হয় লিয়ান বাইকের সঙ্গে। তার ছেলে লিয়ান জান। সেও উইং চুন স্টাইলে প্রশিক্ষিত। তবে ভিন্ন আঙ্গীকে। ইপ পরিচিত হলো উইং চুন স্টাইলের ভিন্ন ধারার সঙ্গে। খুব আগ্রহ নিয়েই লিয়ান জানের কাছ থেকে তালিম নিত। তার সঙ্গে লড়তো। এতে করে সরাসরি কুং ফুর সঙ্গে মিশে যাওয়া যেত।
 
দীর্ঘ সময় পর ইপ ফিরে আসেন চীনে। তখন ইপ ‘উইং চুন’ স্টাইলের অন্যতম ধারক ও বাহক। সে সময় তিনি চীনের আর্মিতে কিছুদিন কাজ করেন। অনেক বছর তিনি কাউকে প্রশিক্ষণ দেয়নি। ১৯৪২ সালের দিকে জাপানিরা তাদের শহর দখল করে নেয়। সেটা ছিল কঠিন সময়। ইপের সব সম্পত্তি জাপানিরা দখল করে। অনেক সম্পত্তি নষ্ট করে দেয়। ইপ হয়ে পড়ে অসহায়। অর্থিক কষ্টতেও ভোগা শুরু করেন।
 
কয়েক বছর পর ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। কমিউনিস্টরা তাকে পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে বসে। এ জীবনটা ইপ মোটেও উপভোগ করছিল না। এদিকে পুলিশের কুং ফু শিক্ষকও করে দেওয়া হলো। কিন্তু ইপের কাছে কুং ফু একটি শিল্প। সে এটিকে দিয়ে মানুষকে দমানোর কাজ করত চায় না। সে শিক্ষক হতেও চায়নি। এ শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু এভাবে নয়। খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রমাণ করলো যে শিক্ষক হিসেবে ইপ মোটেও যোগ্য নয়। তার চাকরি গেল। আবার আর্থিক সমস্যায় পড়ে গেলেন ইপ।
 
তারপরের গল্পটা তো শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছে। অভাবে পড়ে ছিল। সেখান থেকে অসুস্থ ইপকে তুলে নিয়ে আসলো কুং ফু স্কুলের শিক্ষক লিয়ান। সেখানেই বলতে গেলে প্রথমবারের মতো মন থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করলো ইপ মান।
 
ধীরে ধীরে ছাত্র বাড়তে থাকে। ছোট্ট স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে বাইরে চলে আসে। সেখান থেকে ছাত্রদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে স্কুল। প্রথমবারের মতো ‘উইং চুন’ স্টাইল পেল প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। কিন্তু মজার বিষয় ছিল, ইপ কখনও সামনে থেকে কাউকে প্রশিক্ষণ দেননি। তিনি ভেতরের পর্দার আড়ালে থাকতেন। তাকে শুধু দেখতে পেতো সামনের সারিতে থাকা যে কোনো একজন প্রিয় ছাত্র। সে ছাত্রকে অনুসরণ করতো বাকি সবাই।