চিরহরিৎ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী:উদ্ভিদ যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
Md Habibur Rahman Salman (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৪ নং লাইন:
পর্ণমোচী বৃক্ষ সাধারণত শীত বা শুষ্ক ঋতুর [[অভিযোজন]] হিসেবে পাতা ঝরিয়ে থাকে। চিরহরিৎ বৃক্ষ পাতা ঝরালেও পর্ণমোচীর মতোন একসাথে সব ঝরিয়ে ফেলে না। বিভিন্ন বৃক্ষ বিভিন্ন সময়ে তাদের পাতা ঝরায় যার ফলে বনকে মোটামুটি সবুজই দেখায়। অধিকাংশ ক্রান্তীয় বৃষ্টিবনের বৃক্ষরা চিরহরিৎ বলে পরিচিত যারা পাতার বয়স বাড়া এবং ঝরার সাথে সাথে সারা বছর ধরে নতুন পাতা প্রতিস্থাপন করে। অন্যদিকে ঋতুগতভাবে শুষ্ক জলবায়ুর প্রজাতিগুলো হয় চিরহরিৎ অথবা পর্ণমোচী। উষ্ণ শীতপ্রধান জলবায়ুর অধিকাংশ উদ্ভিদ প্রজাতিও চিরহরিৎ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। যেহেতু, অল্প সংখ্যক চিরহরিৎ [[ব্রডলিফ উদ্ভিদ]] ৩০° সেন্টিগ্রেডের নিচের তীব্র ঠান্ডা সহ্য করতে পারে, সেহেতু ঠান্ডা শীতপ্রধান জলবায়ুতে মোচাকৃতির উদ্ভিদের আধিক্যসহ কিছুসংখ্যক উদ্ভিদ চিরহরিৎ।
 
যেসব অঞ্চলে পর্ণমোচী জন্মানোর কারণ থাকে (যেমন, ঠান্ডা বা শুষ্ক ঋতু), চিরহরিৎ হওয়াটা সেখানে মূলত অল্প পুষ্টি স্তরের প্রতি একটি অভিযোজন। পর্ণমোচী বৃক্ষ পাতা ঝরানোর সাথে সাথে পুষ্টি হারাতে থাকে। উষ্ণ অঞ্চলে, পাইন এবং [[সাইপ্রেস|সাইপ্রেসে]]র কিছু প্রজাতি অনুর্বর মাটি ও উপদ্রুত স্থলে জন্ম নেয়। [[রডোডেনড্রন]] [[গণ|গণের]] অনেক চিরহরিৎ প্রজাতির কয়েকটি পরিপক্ক বনে জন্ম নেয়, কিন্তু এদেরকে মূলত কম পুষ্টিসমৃদ্ধ উচ্চমাত্রার আম্লিক মাটিতে দেখতে পাওয়া যায়। [[তৈগাতাইগা]] এবং [[বরিয়াল]] বা উত্তরের বনগুলোতে তীব্র ঠান্ডার কারণে মাটির জৈবপদার্থ খুব সহজে পঁচে না, ফলাফলস্বরূপ, মাটির পুষ্টি পেতে বৃক্ষরাজিকে বেগ পেতে হয়। এই ঘটনাই শেষে এসব এলাকায় চিরহরিৎ বৃক্ষকে আনুকূল্য দেয়।
 
শীতপ্রধান জলবায়ুতে চিরহরিৎ বৃক্ষ নিজেদের বেঁচে থাকাকে অনুকূল করে তুলতে পারে। চিরহরিৎ বৃক্ষের পাতা ও [[নিডল|নিডলে]]র জঞ্জালের মধ্যে পর্ণমোচী বৃক্ষের পাতার জঞ্জালের চাইতে উচ্চ কার্বন-নাইট্রোজেন অনুপাত রয়েছে যা উচ্চ মাত্রার আম্লিক মাটি ও নিম্নমাত্রার নাইট্রোজেন উপাদানের সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতি চিরহরিতের বৃদ্ধি পরিবেশ অনুকূল করে অন্যদিকে পর্ণমোচীর বেঁচে থাকা কঠিন করে তুলে। এছাড়াও, বিদ্যমান চিরহরিৎ বৃক্ষের সহায়তায় ছোট চিরহরিৎ গাছগুলো অতি সহজে ঠান্ডা আর খরার সমস্যা কাটিয়ে উঠে বেঁচেবর্তে থাকতে পারে।<ref>Aerts, R. (১৯৯৫). [http://www.falw.vu.nl/nl/Images/Aerts1995_tcm19-94783.pdf "The advantages of being evergreen"]. ''Trends in Ecology & Evolution'' ১০(১০)ঃ ৪০২-৪০৭।</ref><ref>Matyssek, R. (১৯৮৬) "Carbon, water and nitrogen relations in evergreen and deciduous conifers". ''Tree Physiology'' ২ঃ ১৭৭-১৮৭।</ref><ref>Sobrado, M. A. (১৯৯১) "Cost-Benefit Relationships in Deciduous and Evergreen Leaves of Tropical Dry Forest Species". ''Functional Ecology'' ৫ (৫)ঃ ৬০৮-৬১৬।</ref>