আরব বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Faizan (আলোচনা | অবদান)
সাধারণ ফিক্স using AWB
২৭ নং লাইন:
{{see also|দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ}}
 
অটোমান সাম্রাজ্যে [[অটোমান সাম্রাজ্যে জাতীয়তাবাদের উত্থান|জাতীয়তাবাদের উত্থান]] হয় ১৮২১ সালের দিকে। [[আরব জাতীয়তাবাদ|আরব জাতীয়তাবাদের]] ভিত্তিভূমি ছিল [[মাশরিক]] ([[মিশর|মিশরের]] পূর্বদিকের আরব ভূমি) বিশেষ করে [[বিলাদ আল-শাম|শামে]]। আরব জাতীয়তাবাদীদের রাজনৈতিক ঝোক [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] আগে সহনীয় ছিল। আরবদের দাবিগুলো ছিল সংস্কারবাদী ধরনের। সাধারণ স্বায়ত্বশাসন, শিক্ষায় [[আরবি|আরবির]] ব্যবহার বাড়ানো ও শান্তিকালীন সামরিক বাহিনীতে যোগদানের নিয়ম পরিবর্তন এসবেই সীমাবদ্ধ ছিল।
 
১৯০৮ সালের ৩ জুলাই [[তরুণ তুর্কি আন্দোলন]] শুরু হয় এবং খুব দ্রুত তা সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সুলতান [[দ্বিতীয় আবদুল হামিদ]] ১৮৭৬ সালের সংবিধান পুনঃস্থাপন ও সংসদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়কে [[দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ]] বলা হয়। ১৯০৮ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তরুণ তুর্কিরা তাদের [[কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রগ্রেস|কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রগ্রেসের]] মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী [[প্রিন্স শাবাহাদ্দিন|প্রিন্স শাবাহাদ্দিনের]] দলকে পরাস্ত করতে সমর্থ হন। সিইউপি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে উদারনৈতিক ছিল। সেসাথে তারা ব্রিটিশদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুলতানের নিকটবর্তী ছিল। নতুন সংসদ ১৪২ জন তুর্কি, ৬০ জন আরব, ২৫ জন আলবেনিয়ান, ২৩ জন গ্রীক, ১২ জন আর্মেনিয়ান, ৫ জন ইহুদি, ৪ জন বুলগেরিয়ান, ৩ জন সার্ব ও ১ জন ভ্লাচ নিয়ে গঠিত হয়। অটোমান সংসদে সিইউপি কেন্দ্রীকরণ ও আধুনিকীকরণের উপর অধিক জোর দেয়।
 
এই পর্যায়ে আরব জাতীয়তাবাদ কোনো গণ আন্দোলন ছিল না। সিরিয়ায় এই ধারণা সবচেয়ে শক্ত থাকলেও সেখানের পরিস্থিতিও অনুরুপ ছিল। অধিকাংশ আরবই তাদের ধর্ম, গোত্র বা নিজেদের নিজস্ব সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করত। [[অটোমানিজম]] ও [[প্যান-ইসলামিজম|প্যান-ইসলামিজমের]] ধারণা আরব জাতীয়তাবাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।
 
সংসদের আরব সদস্যরা ১৯০৯ সালের [[অটোমান পাল্টা অভ্যুত্থান, ১৯০৯|পাল্টা অভ্যুত্থানকে]] সমর্থন করেন। এই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল সংবিধানের বিলুপ্তি সাধন ও [[দ্বিতীয় আবদুল হামিদ|দ্বিতীয় আবদুল হামিদের]] পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণ। ক্ষমতাচ্যুত সুলতান তরুণ তুর্কিদের সেকুলার নীতি বাতিলের মাধ্যমে খিলাফত লাভ করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু [[৩১ মার্চের ঘটনা|৩১ মার্চের পরিস্থিতির]] পর তাকে [[সেলোনিকা|সেলোনিকায়]] নির্বাসনে যেতে হয়। তার ভাই [[পঞ্চম মেহমেদ]] তার স্থলাভিষিক্ত হন।
 
১৯১৩ সালে আরব মাশরিকের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা [[প্যারিস|প্যারিসে]] অনুষ্ঠিত প্রথম [[আরব কংগ্রেস|আরব কংগ্রেসে]] মিলিত হন। অটোমান সাম্রাজ্যের ভেতরে স্বায়ত্বশাসনের জন্য তারা একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করেন। সেই সাথে এও দাবি করেন যে বাধ্যতামূলকাভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া আরবদেরকে যুদ্ধের সময় ছাড়া অন্য অঞ্চলে পাঠানো যাবে না।
 
==শক্তিসমূহ==
প্রায় ৫০০০ জন সৈনিক আরব বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে বলে ধারণা করা হয়।<ref name="Murphy, David page 34">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 34.</ref> তবে এখানে শুধু [[সিনাই ও ফিলিস্তিন অভিযান]] ও [[এডমন্ড এলেনবি|এডমন্ড এলেনবির]] মিশরীয় বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্টদেরকেই হিসাব করা হয়। [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]] ও [[টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স|লরেন্সের]] সাথে অংশগ্রহণকারী অনিয়মিত বাহিনীর সৈনিকদেরকে বিবেচনায় আনা হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সিরিয়ায় চূড়ান্ত অভিযানের সময় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। অনেক আরব বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্রোহে অংশ নিত। যখন অভিযানের অগ্রগতি দেখা যেত বা নিজেদের বাসভূমির এলাকায় প্রবেশ করতে তখন তারা এতে যোগ দেয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 20-21.</ref> আকাবা অভিযানের সময় প্রথমদিকে আরব বাহিনীতে মাত্র কয়েকশত সৈনিক ছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় গোত্রগুলো থেকে এক হাজারের বেশী মানুষ আকাবায় চূড়ান্ত অভিযানের জন্য যোগ দেয়। হুসাইনের সৈন্যসংখ্যার বিভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু ১৯১৮ সাল নাগাদ তাদের সংখ্যা ৩০,০০০ এর মত ছিল। হাশেমি সৈন্যবাহিনী দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিলঃ গোত্রীয় অনিয়মিত সৈন্য যারা অটোমানদের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ করত ও অটোমান আরব যুদ্ধবন্দীদের মধ্য থেকে সংগৃহিতদের নিয়ে গঠিত [[শরিফি বাহিনী]] যারা নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ করত।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 20–23.</ref> যুদ্ধের প্রাথমিক দিনে [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইনের]] বাহিনী মূলত [[বেদুইন]] ও অন্যান্য মরুচারি যাযাবর গোত্রগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল। তারা তার সাথে দুর্বল মিত্রতায় আবদ্ধ ছিল এবং সমগ্র পরিস্থিতির চেয়ে গোত্রীয় আনুগত্য তাদের কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল।<ref name="Murphy, David page 21">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 21.</ref> স্বর্ণমুদ্রায় অগ্রিম বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা লড়াইয়ে অংশ নিতে চাইত না।<ref>[[Michael Korda]], ''Hero: The Life and Legend of Lawrence of Arabia'' ISBN 978-0-06-171261-6, p. 19</ref> ১৯১৬ এর শেষ নাগাদ ফরাসির ১.২৫ মিলিওন গোল্ড ফ্রা এবং ১৯১৮ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ব্রিটিশরা প্রতি মাসে ২,২০,০০০ পাউন্ড বিদ্রোহে খরচ করে।<ref name="Murphy, David page 21"/> ফয়সালের ধারণা ছিল যে অটোমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত আরবদেরকে বিদ্রোহ করতে ও নিজের পক্ষে আনতে পারবেন। কিন্তু অটোমান সরকার অধিকাংশ আরব সেনাদেরকে যুদ্ধের প্রথম সারিতে প্রেরণ করে। ফলে এসময় মুষ্টিমেয় কিছু পক্ষত্যাগী সৈনিক আরবদের সাথে যোগ দেয়।<ref name="Murphy, David page 24">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 24.</ref> হাশেমি বাহিনী এসময় দুর্বলভাবে সজ্জিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কাছ থেকে রাইফেল ও মেশিনগানের মত প্রয়োজনীয় অস্ত্রের সরবরাহ পায়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 21-22.</ref>
 
১৯১৭ সালে হেজাজে প্রায় ২০,০০০ জন অটোমান সৈন্য ছিল।<ref name="Murphy, David page 24"/> ১৯১৬ সালের জুনে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার সময় চতুর্থ অটোমান আর্মির ৭ম কর্পস লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলি নসিব পাশার অধীন ৫৮তম পদাতিক ডিভিশন, জেনারেল মেহমেদ জামাল পাশার অধীন ১ম প্রাদেশিক বাহিনীর সাথে যোগ দেয়ার জন্য হেজাজে অবস্থান করছিল। এই বাহিনীর কাজ ছিল [[হেজাজ রেলওয়ে]] ও জেনারেল [[ফখরি পাশা|ফখরি পাশার]] অধীন হেজাজের বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।<ref name="Murphy, David page 24"/> হেজাজ রেলওয়ের উপর অব্যাহত হামলার কারণে ১৯১৭ সালে ২য় আরেকটি বাহিনী গঠন করা হয়।<ref name="Murphy, David page 24"/> অটোমান বাহিনীতে খলিফার প্রতি অনুগত সৈনিক ছিল। তারা মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে।<ref name="Murphy, David page 24"/> আধুনিক জার্মান অস্ত্র সরবরাহ থাকায় প্রথমদিকে অটোমানরা হাশেমিদের বিরুদ্ধে সুবিধা লাভ করে।<ref name="Murphy, David page 24"/> অধিকন্তু অটোমানদের কাছে নিজেদের বিমানবাহিনী, জার্মান বিমান ও অটোমান সৈনিকদের সাহায্য ছিল।<ref name="Murphy, David page 23">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 23.</ref> সেই সাথে তারা [[জামাল শামার আমিরাত|হাইল রাজতন্ত্রের]] রাজা [[আল রশিদ|ইবনে রশিদের]] সাহায্য লাভ করে। ইবনে রশিদের গোত্র বর্তমান সৌদি আরবের উত্তর অঞ্চল শাসন করত এবং হাশেমি ও সৌদি এই দুই দলের সাথে সংঘাতে লিপ্ত ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 15.</ref> সরবরাহ লাইনের শেষপ্রান্তে অবস্থান করাটা অটোমানদের দুর্বলতা ছিল। অবস্থানগত দুর্বলতার কারণে তাদেরকে কখনো কখনো প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ করতে হয়েছে।<ref name="Murphy, David page 24"/> হাশেমিদের বিরুদ্ধে অটোমানদের পদক্ষেপ অধিকাংশ সময়ই শত্রুর তৎপরতার চেয়ে সরবরাহের ঘাটতি কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।<ref name="Murphy, David page 24"/>
 
যুদ্ধে আরব বিদ্রোহের মূল অবদান ছিল দশ হাজার অটোমান সৈনিকদেরকে ব্যস্ত রাখা। নাহয় তারা [[সুয়েজ খাল]] আক্রমণ করতে যেত। এটি ছিল বিদ্রোহ শুরু করার জন্য একটি ব্রিটিশ বিবেচনা। একে অসম যুদ্ধ হিসেবে ধরা হয়। সামরিক নেতৃবৃন্দ ও ঐতিহাসিকরা এই বিষয়ে বহুবার অধ্যয়ন করেছেন।{{Citation needed|date=জানুয়ারি ২০১২}}
 
==সংঘাত==
৪৮ নং লাইন:
[[File:Lcamel.jpg|thumb||200px|আকাবার যুদ্ধের পর উটের পিঠে লরেন্স।]]
 
অটোমান সাম্রাজ্য [[অটোমান-জার্মান মিত্রতা|অটোমান-জার্মান মিত্রতার]] অংশ হিসেবে [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধে]] মধ্যপ্রাচ্যের লড়াইয়ে অংশ নেয়। [[দামেস্ক]] ও [[বৈরুত|বৈরুতের]] অনেক আরব জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্বকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। স্যার [[মার্ক সাইকস]] প্রতিরোধ পতাকাটির নকশা প্রণয়ন করেন। বিদ্রোহের উদ্দীপক হিসেবে “আরবত্ব” প্রতিষ্ঠার জন্য এটি তৈরী করা হয়।<ref>William Easterly, ''The White Man's Burden'', (2006) p. 295</ref>
 
===ভূমিকা===
১৯১৬ সালের ৮ জুনের দিকে পবিত্র শহর [[মক্কা|মক্কার]] অভিভাবক [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইন বিন আলী]] [[যুক্তরাজ্য]] ও [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] পক্ষে যোগদান করেন। প্রকৃত তারিখ জানা যায়নি। অটোমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত তরুণ আরব অফিসার [[মুহাম্মদ শরিফ আল-ফারুকি|মুহাম্মদ শরিফ আল-ফারুকির]] সাহায্যের কারণে তারা উপকৃত হন।<ref name="peace-to-end-all-peace">''A Peace To End All Peace'', David Fromkin, Avon Books, New York, 1990</ref>
 
হুসাইনের অধীনে ৫০,০০০ এর মত অস্ত্রধারী লোক ছিল। কিন্তু রাইফেলধারীর সংখ্যা ছিল ১০,০০০ এর কম।<ref name="proceedings">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.75</ref> অটোমান সরকার যুদ্ধের পর তাকে পদচ্যুত করবে এই খবর পেয়ে তিনি ব্রিটিশ [[হাই কমিশনার]] [[হেনরি ম্যাকমোহন|হেনরি ম্যাকমোহনের]] সাথে চিঠি বিনিময় করেন। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি|মিত্রশক্তির]] পক্ষাবলম্বন করলে [[মিশর]] থেকে [[ইরান|পারস্য]] পর্যন্ত বিস্তৃত আরব সাম্রাজ্য দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। [[কুয়েত]], [[এডেন]] ও [[সিরিয়া]] উপকূলের কিছু এলাকাকে এর মধ্যে ধরা হয়নি। এসময় হুসাইন কাগজ কলমে অটোমানদের পক্ষের হলেও মিত্রশক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। জাইদ পরিবারের প্রধান শরিফ আলি হায়দার মক্কার শরীফের পদের জন্য অটোমান সরকারের সাথে আতাত করছে ও তাকে শীঘ্রই ক্ষমতাচ্যুত করা হবে এমন গুজবের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 8.</ref> দামেস্কে আরব জাতীয়তাবাদীদেরকে জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড দেয়ায় হুসাইনের মনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ভয় বৃদ্ধি পায়।<ref name="Murphy, David page 34"/> ১৯১৬ সালের ৫ জুন হুসাইনের দুই পুত্র আমির [[আলী বিন হুসাইন]] ও [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]] [[মদীনা|মদীনার]] অটোমান সামরিক ঘাটি আক্রমণের মাধ্যমে বিদ্রোহ শুরু করেন। কিন্তু ফখরি পাশার নেতৃতাধীন তুর্কি বাহিনীর কাছে তারা পরাজিত হন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 34-35.</ref> ১৯১৬ সালের ১০ জুন হুসাইন তার সমর্থকদের মক্কার অটোমান ঘাটি আক্রমণের আদেশ দিলে বিদ্রোহ প্রকৃতভাবে শুরু হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 33-34.</ref> [[মক্কার যুদ্ধ, ১৯১৬|মক্কার যুদ্ধে]] সুসজ্জিত অটোমান সেনাদের সাথে হুসাইনের সমর্থকদের মধ্যে এক মাসের মত রক্তাক্ত লড়াই হয়।<ref name="Murphy, David page 34"/> ব্রিটিশদের পাঠানো মিশরীয় সৈনিকরা মক্কার হাশেমিদের সাথে যোগ দেয় ও অস্ত্রের সরবারহ প্রদান করে। এরপর ৯ জুলাই আরব তাদের দখলে আসে।<ref name="Murphy, David page 34"/> অটোমানদের এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণ মক্কার ক্ষতির কারণ হলে তা “তারা পবিত্র শহর মক্কার অমর্যাদা করেছে” এমন অপপ্রচারের সুযোগ করে দেয়।<ref name="Murphy, David page 34"/> জুনের ১০ তারিখ হুসাইনের আরেক পুত্র আমির [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহ]] [[তাইফ]] আক্রমণ করেন। ২২ সেপ্টেম্বর মিশরীয় বাহিনীর গোলন্দাজদের সহায়তায় আবদুল্লাহ তাইফ দখল করেন।<ref name="Murphy, David page 34"/> With the Egyptian artillery support, Abdullah took Ta'if on September 22, 1916.<ref name="Murphy, David page 34"/>
 
ব্রিটিশ ও ফরাসি নৌবাহিনী [[লোহিত সাগর]] থেকে অটোমানদের তাড়িয়ে দেয়।<ref name="p76">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.76</ref> ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ ও সিপ্লেনের সহয়তায় ১০ জুন ৩৫০০ জন আরব [[জেদ্দা]] বন্দর আক্রমণ করে।<ref name="proceedings"/> ব্রিটিশ বিমানবাহী জাহাজ [[এইচএমএস বেন-মাই-চেরি]] হাশেমিদের আকাশ থেকে সাহায্যে ভূমিকা রাখে।<ref name="Murphy, David page 35">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 35.</ref> ১৬ জুন অটোমানরা আত্মসমর্পণ করে। ১৯১৬ এর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আরবরা ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সহায়তায় উপকূলীয় শহর রাবেঘ, [[ইয়ানবো]], কুনফিদা দখল করে ও ৬০০০ জন অটোমানকে বন্দী করা হয়।<ref name="proceedings"/> এর ফলে ব্রিটিশরা ৭০০ জন অটোমান আরব যুদ্ধবন্দীকে বিদ্রোহে পাঠাতে সক্ষম হয়। তারা [[নুরি আস-সাইদ|নুরি আস-সাইদের]] নেতৃত্বে বিদ্রোহে যোগ দিয়ে সম্মত হয়েছিল। সেই সাথে ফরাসি উত্তর আফ্রিকা থেকে বেশ কিছু মুসলিম সৈনিক বিদ্রোহে যোগ দেয়।<ref name="Murphy, David page 35"/> পনের হাজার সুসজ্জিত অটোমান সেনা হেজাজে রয়ে যায়।<ref name="proceedings"/> কিন্তু অক্টোবরে মদীনার উপর সরাসরি হামলায় আরবদের বিতাড়িত হয়।
 
===১৯১৬ : টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স===
[[File:Ljidda.jpg|thumb|left|[[জেদ্দা|জেদ্দার]] উত্তরে রাবেঘে লরেন্স, ১৯১৭ সাল।]]
১৯১৬ সালের জুনে ব্রিটিশরা হেজাজের বিদ্রোহে সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পাঠায়। কর্নেল সিরিল উইলসন, কর্নেল পিয়ার্স সি. জয়েস ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল [[স্টুয়ার্ট ফ্রান্সিস নিউকম্ব]] এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।<ref name="Murphy, David page 17">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 17.</ref> অন্যদিকে ফরাসিরা কর্নেল এডওয়ার্ড ব্রেমেনকে ফ্রান্সের সামরিক মিশনে প্রেরণ করে।<ref name="Murphy, David page 17"/> ফ্রান্স কয়েকজন মুসলিম অফিসারকে নিয়োগ করায় এক্ষেত্রে বেশী সুবিধা পায়। এই অফিসাররা হলে ক্যাপ্টেন আউল্ড আলি রাহো, ক্লড প্রস্ট ও লরেন্ট ডেপুই (শেষের দুইজন আরবে অবস্থানকালে ইসলাম গ্রহণ করেন)।<ref name="Murphy, David page 17"/> ফরাসি সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রোজারিও পিসানি মুসলিম না হলেও প্রকৌশলী ও গোলন্দাজ অফিসার হিসেবে বিদ্রোহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।<ref name="Murphy, David page 17"/>
 
১৯১৬ এর অক্টোবরে মিশরের ব্রিটিশ সরকার তরুণ অফিসার ক্যাপ্টেন [[টমাস এডওয়ার্ড লরেন্স|টমাস এডওয়ার্ড লরেন্সকে]] হেজাজের হাশেমি বাহিনীর সাথে কাজ করার জন্য পাঠায়।<ref name="p76"/> ইংরেজ ঐতিহাসিক [[ডেভিড মারফি]] লিখেছেন যে লরেন্স যদিও ব্রিটিশ ও ফরাসি অফিসারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কিন্তু ঐতিহাসিক লেখায় মনে হয় যে লরেন্স নিজেই আরবে মিত্রশক্তির প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।<ref name="Murphy, David page 17"/>
 
আরব বিদ্রোহের সাফল্যের জন্য ডেভিড হোগার্থ [[গারট্রুড বেল|গারট্রুড বেলকে]] কৃতিত্ব দেন। তিনি অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক হন। ১৮৮৮ সাল থেকে শুরু করে তিনি ব্যাপকভাবে মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেন। ১৯১৪ সালের জানুয়ারি বেল [[হাউয়িতাত]] গোত্রের শেখ হার্বের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং লরেন্সের আকাবা দখলের জন্য প্রয়োজন এমন তথ্য সরবরাহ করেন। ডেভিড হোগার্থ বলেন যে লরেন্স তার রিপোর্টের উপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং যা ১৯১৭ ও ১৯১৮ সালের আরব অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।<ref>Wallach, Janet ''Desert Queen The Extraordinary Life of Gertrude Bell Adventurer, Adviser to Kings, Ally of Lawrence of Arabia'', London: Phoenix/Orion Books Ltd, 1997 pages 25, 115–8, 202.</ref>
 
১৯১৬ সালের ডিসেম্বরে লরেন্স ইয়ানবোতে একটি অটোমান হামলা প্রতিহত করার জন্য ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সহয়তা পান।<ref name="p78">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.78</ref> আরব বিদ্রোহে লরেন্সের প্রধান অবদান ছিল ব্রিটিশ কৌশলের পক্ষে [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সাল]] ও [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহর]] মত আরব নেতাদের সমর্থন লাভ করা। লরেন্স [[প্রথম ফয়সাল, ইরাক|ফয়সালের]] সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ফয়সালের উত্তর আরব বাহিনী ব্রিটিশদের জন্য প্রধান সাহায্যকারী বাহিনী হয়ে উঠে।<ref name="Murphy, David page 36">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 36.</ref> অপরদিকে [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহর]] সাথে লরেন্সের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ফলে আবদুল্লাহর আরব পূর্বাঞ্চল বাহিনী ব্রিটিশদের সাহায্য খুব একটা পায়নি।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 13.</ref> অটোমানদেরকে [[মদীনা]] থেকে বের করে দেয়ার পাশাপাশি [[হেজাজ রেলওয়ে]] আক্রমণ করার ব্যাপারে লরেন্স আরবদেরকে উৎসাহিত করে। এর ফলে রেলপথের সুরক্ষায় নিয়োজিত তুর্কি সৈনিকরা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।
 
১৯১৬ সালের ১ ডিসেম্বর [[ফখরি পাশা]] [[ইয়ানবো]] বন্দর দখল করার জন্য তিন ব্রিগেড সৈন্য নিয়ে অগ্রসর হন।<ref name="Murphy, David page 36"/> ফখরি পাশার সৈনিকরা বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে হাশেমি বাহিনীকে পরাজিত করে ও বন্দর দখল করে।<ref name="Murphy, David page 37">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 37.</ref> কিন্তু ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী ইয়ানবো আক্রমণ করে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিসহ তুর্কিরা পরাজিত হয়।<ref name="Murphy, David page 37"/> ফখরি পাশা তারপর তার বাহিনী দক্ষিণের রাবেঘ দখলের জন্য অগ্রসর হন। কিন্তু সৈনিক ও সরবরাহ লাইনের উপর গেরিলা আক্রমণ, ইয়ানবোতে নবগঠিত উড্ডয়ন কেন্দ্র থেকে হামলা এবং তার সরবরাহ দূরত্ব অধিক হয়ে যাওয়ায় তিনি ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি মদীনায় ফিরে আসেন।<ref name="Murphy, David page 38">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 38.</ref>
৭২ নং লাইন:
 
===১৯১৭===
[[File:Ferrocarril del hiyaz EN.PNG|thumb|হেজাজ রেলওয়ের মানচিত্র (দামেস্ক-মক্কার হজ্জ রুট); ২০ শতকের শুরুর দিকে অটোমান সাম্রাজ্য কর্তৃক নির্মিত, আরব বিদ্রোহের পর ধ্বংস হয়।]]
 
১৯১৭ সালে আমির আবদুল্লাহর নেতৃত্বে আরব পূর্বাঞ্চল বাহিনী আশরাফ বের নেতৃতাধীন একটি অটোমান কনভয়কে আক্রমণ করেন ও ২০,০০০ পাউন্ড সমমূল্যের স্বর্ণমুদ্রা লাভ করেন। সুলতানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য এগুলো বিভিন্ন আরব গোত্রকে প্রদানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-18'', Osprey, London 2008, page 38</ref> ১৯১৭ সাল থেকে শুরু করে হাশেমি যোদ্ধারা হেজাজ রেলওয়ে আক্রমণ শুরু করে।<ref name="Murphy, David pages 39-43">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 39-43.</ref> প্রথমে নিয়মিত বাহিনীর আল-মিসরির এবং ব্রিটিশ অফিসার নিউকম্ব, লেফটেন্যান্ট হর্নবি ও মেজর এইচ. গারলেন্ড রেলপথের অরক্ষিত অংশগুলো উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন।<ref name="Murphy, David pages 39-43"/> ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গারলেন্ড নিজের ডিজাইন করা একটি মাইন দিয়ে প্রথমবারের মত একটি চলন্ত রেলগাড়ি আক্রমণ করে সেটি ধ্বংস করে দেন।<ref name="Murphy, David page 43">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 43.</ref><ref name="Murphy, David page 43"/> মদীনায় ফরাসি সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন আউল্ড আলি রাহো রেলপথের উপর তার আক্রমণ পরিচালনা করেন।<ref name="Murphy, David pages 43-44">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 43-44.</ref> তিনি রেলপথ ধ্বংসের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন।<ref name="Murphy, David pages 43-44"/> ১৯১৭ এর মার্চে লরেন্স হেজাজ রেলওয়ের উপর তার প্রথম আক্রমণ পরিচালনা করেন।<ref name="Murphy, David page 44">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 44.</ref> একই বছর নিউকম্ব ও জয়েস তাদের হামলা পরিচালনা করেন।<ref name="Murphy, David page 44"/> ১৯১৭ এর আগস্টে একটি অভিযানে ক্যাপ্টেন রাহো হেজাজ রেলওয়ের পাঁচ কিমি পথ ও চারটি সেতু ধ্বংস করার জন্য বেদুইনদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 45.</ref>
 
১৯১৭ এর মার্চে [[আল রশিদ|ইবনে রশিদের]] নেতৃতাধীন গোত্রীয় লোকজন অটোমানদের সাথে যোগ দেয়। তারা হাশেমিদের উপর হামলা চালায়।<ref name="Murphy, David page 38"/> তবে ১৯১৬ এর ডিসেম্বরে ইয়ানবো দখলে অটোমানরা ব্যর্থ হওয়ায় হাশেমিদের শক্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় এবং অটোমানদেরকে আক্রমণাত্মক অবস্থা থেকে সরে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থায় সরে যেতে হয়।<ref name="Murphy, David page 38"/> লরেন্স পরে দাবি করেন যে ইয়ানবোর পরাজয় হেজাজ পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়।<ref name="Murphy, David page 37"/>
 
১৯১৭ সালে লরেন্স আরব অনিয়মিত বাহিনী ও [[আউদা আবু তায়ি|আউদা আবু তায়ির]] অধীন বাহিনীকে নিয়ে বন্দর নগরী [[আকাবা]] আক্রমণ করেন। লোহিত সাগরের তুর্কি বন্দরগুলোর মধ্যে তখন পর্যন্ত আকাবা টিকে ছিল।<ref name="p81"/> আকাবা দখলের মাধ্যমে আরব বিদ্রোহে ব্রিটিশ সাহায্য সরবরাহের অগ্রগতি হত।<ref name="p82">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.82</ref> লরেন্স ও আউদা ১৯১৭ এর ৯ মে ৪০ জন সঙ্গীসহ যাত্রা করেন। সিরিয়ান গোত্র হাউয়িতাত উটের উপর যুদ্ধের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। তাদের কাছ থেকে লোকবল সংগ্রহ করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল।<ref name="p82"/> ৬ জুলাই অল্প হতাহতের মাধ্যমে আকাবা আরবদের দখলে আসে।<ref name="p82"/> লরেন্স এরপর আকাবায় ২৫০০ জন আরব ও ৭০০ জন তুর্কি বন্দীদের জন্য খাবার ও অন্যান্য সরবরাহের জন্য ১৫০ মাইল দূরে সুয়েজ যাত্রা করেন। শীঘ্রই ইংরেজ ও ফরাসি নৌবহর এখানে অবস্থান নেয় ফলে আরবদের পক্ষে শহর দখলে রাখা সহজ হয়।<ref name="p82"/> একই বছরে জেনারেল [[এডমন্ড এলেনবি|এলেনবির]] সহায়তায় আরবরা অটোমানদের উপর বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ পরিচালনা করে। এর ফলে [[বীরশেবার যুদ্ধ]] সংঘটিত হয়।<ref name="p83">Parnell, Charles L., CDR USN "Lawrence of Arabia's Debt to Seapower" ''United States Naval Institute Proceedings'' (August 1979) p.83</ref> এধরনের আক্রমণ ১৯১৭ এর সেপ্টেম্বর থেকে লরেন্সের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এতে লরেন্স তুর্কি রেলগাড়ি ধ্বংস করে দিতেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 56-57.</ref> নভেম্বরে এলেনবির আক্রমণকে সাহায্য করার জন্য লরেন্স [[ইয়ারমুক নদী|ইয়ারমুক নদীর]] তীরে একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে তিনি [[তেল শিহাব|তেল শিহাবের]] রেলসেতু ধ্বংস করতে ব্যর্থ হলেও জেনারেল মেহমেদ জামাল পাশার ট্রেনকে ধ্বংস করে দেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 57-59.</ref> এই অভিজানে এলেনবির জয় ১৯১৭ সালের ক্রিসমাসের আগেই [[জেরুজালেম]] বিজয় ত্বরাণ্বিত করে।
 
===১৯১৮:মিত্রশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি ও যুদ্ধের সমাপ্তি===
আকাবা দখলের সময় অনেক অফিসার ফয়সালের অভিযানে যোগ দেয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল [[স্টুয়ার্ট এফ. নিউকম্ব]] ও সিরিল ই. উইলসনের তত্ত্বাবধানে ব্রিটিশ অফিসার ও উপদেষ্টারা আরবদেরকে রাইফেল, বিস্ফোরক, মর্টার ও মেশিন গান সরবরাহ করে।<ref name="Murphy, David page 59">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 59.</ref> ঘাটতির কারণে অস্ত্র বিচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা হত।<ref name="Murphy, David page 59"/> মিশরীয় ও ভারতীয় সৈনিকরা প্রথমদিকে মেশিনগানার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিদ্রোহে অংশ নেয় এবং কয়েকটি রোলস রয়েস সাজোয়া যান যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ করা হয়।<ref name="Murphy, David page 59"/><ref>Rolls S.C. (1937). ''Steel Chariots in the Desert''. Leonaur Books.</ref> ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীও আরবদের অপারেশনে সমর্থন দেয়। সেই সাথে রাজকীয় উষ্ট্র বাহিনীও আরবদের সাথে কিছু সময়ের জন্য কাজ করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 59-60.</ref> ব্রেমন্ডের অধীন ফরাসি ১১০০ অফিসার হুসাইন ও তার পুত্র, বিশেষ করে আমির [[আলী বিন হুসাইন|আলী]] ও [[প্রথম আবদুল্লাহ, জর্ডান|আবদুল্লাহর]] সাথে সখ্য গড়ে তোলে। তাই আরব দক্ষিণ বাহিনীতেই ফরাসিদের তৎপরতা বেশী ছিল। আমির আলীর অধীন এই বাহিনী [[মদীনা অবরোধ|মদীনা অবরোধে]] অংশ নেয়। অন্যদিকে আবদুল্লাহর অধীন পূর্বাঞ্চল বাহিনী ইবনে রশিদের কাছ থেকে আলীর পূর্ব ভাগ রক্ষার দায়িত্বে ছিল।<ref name="Murphy, David page 17"/> হাশেমি বাহিনী কখনোই মদীনা দখল করতে পারেনি। কেবল ১৯১৯ সালের ৯ জানুয়ারি তুর্কি সরকারের ঘোষণার পরই অটোমান কমান্ডার ফখরি পাশা আত্মসমর্পণ করেন।<ref name="Murphy, David page 81">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 81.</ref> এসময় মদীনায় মোট ৪৬৫ জন অফিসার ও ৯৩৬৪ জন সৈনিক ছিল।<ref name="Murphy, David page 81"/>
 
লরেন্স, উইলসন ও অন্যান্য অফিসারদের নির্দেশনায় আরবরা [[হেজাজ রেলওয়|হেজাজ রেলওয়ের]] উপর সফল আক্রমণ পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা সামরিক সরবরাহ আটক করে, ট্রেন ও ট্রাক ধ্বংস করে এবং হাজারের বেশি অটোমান সৈনিকদের বন্দী করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 39-46.</ref> যদিও এসব আক্রমণ সাফল্য সবসময় আসত না, তবুও তারা অটোমান সৈন্যদের বন্দী করা ও মদীনাকে বিচ্ছিন্ন করায় সফল ছিল। ১৯১৮ সালের জানুয়ারিতে আরব বিদ্রোহের অন্যতম বৃহৎ যুদ্ধে লরেন্স ও আরব সৈনিকরা [[তাফিলাহ|তাফিলাহতে]] অটোমানদের একটি বড় সৈন্যবহরকে পরাজিত করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 64-68.</ref>
 
১৯১৮ সালের মার্চে আরব উত্তর বাহিনী নিম্নোক্তদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল:
১০২ নং লাইন:
::চারটি মেশিনগান ও দশটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল<ref>Falls, Cyril ''Official History of the Great War Based on Official Documents by Direction of the Historical Section of the Committee of Imperial Defence; Military Operations Egypt & Palestine from June 1917 to the End of the War'' Vol. 2, London: H. M. Stationary, 1930 page 405</ref>
 
১৯১৮ সালের এপ্রিলে [[জাফর আল-আসকারি]] ও [[নুরি আস-সাইদ]] [[মান|মানের]] সুরক্ষিত রেলপথের উপর নিয়মিত আরব বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করেন। এতে দুই পক্ষে ব্যাপক হতাহত হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 68-73.</ref> শরিফি বাহিনী মানকে বিচ্ছিন্ন করতে সমর্থ হলেও তারা ১৯১৮ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান বজায় রাখে।<ref name="Murphy, David page 73">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 73.</ref> মানের সেনাঘাটিতে মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহারের জন্য আল-আসকারির বেশ কয়েকটি অনুরোধ ব্রিটিশরা ফিরিয়ে দেয়।<ref name="Murphy, David page 73"/>
 
১৯১৮ সালের বসন্তে অপারেশন হেজহক হেজাজ রেলওয়ে ধংসের জন্য পরিচালিত হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 73-74.</ref> মে মাসে রেলপথের ২৫টি সেতু ধ্বংস করা হয়।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 74</ref> ১১ মে আরবরা জেরদুন অধিকার করে ও ১৪০ জনকে বন্দী করে। পাঁচ সপ্তাহ পর ২৪ জুলাই মেজর আর. ভি. বাক্সটনের অধীন ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস ব্রিগেডের নস. ৫ ও ৭ কোম্পানি মুদাওয়ারা স্টেশন আক্রমণের জন্য [[সুয়েজ খাল]] থেকে আকাবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।<ref name="Falls408">Falls, Cyril ''Official History of the Great War Based on Official Documents by Direction of the Historical Section of the Committee of Imperial Defence; Military Operations Egypt & Palestine from June 1917 to the End of the War'' Vol. 2, London: H. M. Stationary, 1930 page 408</ref> ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস ১৯১৮ এর ৮ আগস্টে এখানে একটি সফল হামলা পরিচালনা করে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 70-72 & 75.</ref> তারা ১২০ জনকে বন্দী ও দুটি কামান লাভ করে সেসাথে ১৭ জন হতাহত হয়। বাক্সটনের দুই কোম্পানি ইমপেরিয়াল ক্যামেল কর্পস আম্মানের দিকে যাত্রা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মূল সেতু ধ্বংস করে দেয়া। শহর থেকে {{convert|20|mi|km}} দূরে তারা বিমান হামলার শিকার হয়।<ref name="Falls408"/> মিত্রশক্তির চূড়ান্ত আক্রমণের জন্য এলেনবি আমি ফয়সাল ও তার আরব উত্তরাঞ্চল বাহিনীকে তুর্কি বাহিনীগুলোকে পূর্ব দিক থেকে আক্রমণের জন্য বলেন। এই উদ্দেশ্য ছিল লেভান্টে অবস্থানরত তুর্কি কমান্ডারদেরকে নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সন্দিহান করে তোলা।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 75-76.</ref> এখানে আমির ফয়সালের বাহিনীতে রুয়াল্লা, বনি সাখর, আজিয়াল ও হাওয়িতাত গোত্রের সদস্যরা ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 75.</ref> পাশাপাশি ফয়সালের সাথে গুর্খা সৈনিক, ব্রিটিশ সাজোয়া যান, মিশরীয় ক্যামেল কর্পস, ক্যাপ্টেন পিসানির অধীন আলজেরিয়ান গোলন্দাজ সৈনিক ও ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর সাহায্য ছিল।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 76.</ref>
 
১৯১৮ তে আরব অশ্বারোহীদের শক্তিবৃদ্ধি পায় এবং এসময় জয় হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছিল। এসময় তারা এলেনবির সেনাবাহিনীকে অটোমান সেনাদের অবস্থান সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য দিতেও সক্ষম ছিল। তারা অটোমান সরবরাহ ব্যবস্থা, ছোট ঘাটি ও রেলপথ ধ্বংস করে। ২৭ সেপ্টেম্বর অটোমান, অস্ট্রিয়ান ও জার্মান সৈনিকরা [[মেজেরিব]] থেকে পিছু হটার সময় [[তাফাস|তাফাসের]] নিকট একটি যুদ্ধে আরবরা বড় বিজয় অর্জন করে। এসময় কথিত তাফাস গণহত্যা সংঘটিত হয়।<ref name="Murphy, David pages 76-77">Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 76-77.</ref> লরেন্স তার ভাইকে লেখা এক চিঠিতে দাবি করেন যে এসময় “বন্দী না রাখা”র আদেশ দেয়া হয়েছিল। তাফাস গ্রামে অটোমানদের গণহত্যার বদলা হিসেবে এই আদেশ দেয়া হয়। এখানে মোট ২৫০ জন জার্মান ও অস্ট্রিয়ান যুদ্ধবন্দী ও অগণিত তুর্কিদের গুলি করে হত্যা করা হয়।<ref name="Murphy, David pages 76-77"/> পরবর্তীতে লরেন্স তার “[[সেভেন পিলার্স অব উইজডম]]” বইয়ে তাফাসের ঘটনার উল্লেখ করেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 77.</ref> এসব যুদ্ধের অন্যতম [[মেগিড্ডোর যুদ্ধ|মেগিড্ডোর যুদ্ধে]] এলেনবি সাফল্য লাভ করেন।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 pages 77-79.</ref> ১৯১৮ এর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে অটোমান সৈনিকরা পিছু হটতে ও ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে থাকে।<ref>Murphy, David ''The Arab Revolt 1916-1918'', London: Osprey, 2008 page 79.</ref> ১৯১৮ এর ২৭ সেপ্টেম্বর লরেন্সের অধীন অনিয়মিত বাহিনী [[দেরা]] দখল করে।<ref>Falls, Cyril & A. F. Becke (maps) ''Official History of the Great War Based on Official Documents by Direction of the Historical Section of the Committee of Imperial Defence; Military Operations Egypt & Palestine from June 1917 to the End of the War Vol. 2 Part II'', London: H.M. Stationary Office, 1930 pages 582–3</ref> অটোমান বাহিনী ১০ দিনের মধ্যেই পরাজিত হয়। এলেনবি জয়ের জন্য ফয়সালের ভূমিকার প্রশংসা করে বার্তা পাঠান।<ref>Jeremy Wilson, ''Lawrence of Arabia: The Authorized Biography of T.E. Lawrence'' (1990), p. 548</ref>
 
{{main|আলেপ্পোর যুদ্ধ, ১৯১৮}}
 
১৯১৮ এর ৩০ সেপ্টেম্বর দামেস্ক পৌছানো প্রথম আরব বিদ্রোহী বাহিনী হল শরিফ নাসেরের হাশেমি উষ্ট্রারোহী বাহিনী ও নুরি শালানের অধীন রুয়াল্লা গোত্রের অশ্বারোহী বাহিনী। এসব সৈনিকরা শহরের বাইরে ফয়সালের আগমনের অপেক্ষা করছিল। অল্প কয়েকজনের একটি দলকে শহরের ভেতর প্রেরণ করা হয় এবং তারা দেখতে পায় যে শহরের আরব জাতীয়তাবাদী অধিবাসীরা আরব বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করেছে। এরপর সেদিন [[অস্ট্রেলিয়ান লাইট হর্স]] সৈনিকরা দামেস্কে প্রবেশ করে। আউদা আবু তায়ি, লরেন্স ও আরব সৈনিকরা পরের দিন ১ অক্টোবর শহরে প্রবেশ করেন। যুদ্ধের শেষে ইজিপশিয়ান এক্সপিডিশনারি ফোর্স [[ফিলিস্তিন]], [[ট্রান্সজর্ডান]], [[লেবানন]], আরব উপদ্বীপের বিরাট এলাকা ও দক্ষিণ সিরিয়া অবরোধ করে। সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও ১৯১৯ এর জানুয়ারি পর্যন্ত মদীনা আত্মসমর্পণ করেনি।
১১৬ নং লাইন:
[[File:CCL5 072.jpg|thumb|[[আকাবা পতাকাদন্ড|আকাবার পতাকাদন্ডে]] আরব বিদ্রোহের পতাকা, ২০০৬ ]]
 
অটোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আরবদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা হবে – এই মর্মে [[যুক্তরাজ্য]] [[হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তি|হুসাইন-ম্যাকমোহন চুক্তিতে]] রাজি হয়েছিল। চুক্তির বিষয়ে উভয়পক্ষের নিজস্ব অভিমত ছিল। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মূল চুক্তি পরিত্যাগ করে এবং অত্র এলাকাকে ১৯১৬ সালের [[সাইকস-পিকট চুক্তি]] মোতাবেক বিভক্ত করার পরিকল্পনা করে। আরবদের কাছে এটি অসন্তোষজনক ছিল। ১৯১৭ সালের [[বেলফোর ঘোষণা]] আরো সন্দেহের সৃষ্টি করে। এই ঘোষণায় [[ইহুদি|ইহুদিদের]] জন্য [[ফিলিস্তিন|ফিলিস্তিনে]] রাষ্ট্র ঘোষণার কথা বলা হয়। আরবের পশ্চিম অংশের [[হেজাজ]] অঞ্চল [[হুসাইন বিন আলী, মক্কার শেরিফ|হুসাইন বিন আলীর]] নেতৃত্বে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং ১৯২৫ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতা বজায় রাখে। এরপর ব্রিটিশরা তাদের সমর্থন সৌদ পরিবারের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। সৌদিরা হেজাজ দখল করে নেয়।
 
==আরো দেখুন==
১৪০ নং লাইন:
{{World War I}}
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:আরব জাতীয়তাবাদ]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:গেরিলা যুদ্ধসমূহ]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:ইজরায়েলের ইতিহাস]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯১৬-এর সংঘাত]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯১৭-এর সংঘাত]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯১৮-এর সংঘাত]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:জর্ডানের ইতিহাস]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:লেবাননের ইতিহাস]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:সৌদি আরবের ইতিহাস]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:সিরিয়ার সামরিক ইতিহাস]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:ইসলামের ইতিহাস]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহসমূহ]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অভিযান ও রণাঙ্গন]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:২০শতকে সৌদি আরব]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গন]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:উর্বর চন্দ্রকলা]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:সিরিয়ার বিদ্রোহসমূহ]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯১৬-এ উসমানীয় সাম্রাজ্য]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯১৭-এ উসমানীয় সাম্রাজ্য]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:১৯১৮-এ অটোমান সাম্রাজ্যে]]