উইকিপিডিয়া:নিবন্ধ উইজার্ড/পুনঃনির্দেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Princemcp (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: মধ্য-শাবান' হচ্ছে আরবী শা'বান মাসের ১৫ তারিখ, যা ভারতীয় উপমহা...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৩:৪২, ২৪ জুন ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মধ্য-শাবান' হচ্ছে আরবী শা'বান মাসের ১৫ তারিখ, যা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শবে বরাত বা শব-ই-বরাত (شب برات) নামে পালিত একটি পূণ্যময় রাত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানগণ বিভিন্ন কারণে এটি পালন করেন।

শবে বরাতের নামাযের নিয়ম নিয়ত বিস্তারিত বিবরণ ও ফজিলত

শবে বরাতের নামায শাবান মাসের পঞ্চদশ তারিখের রাত্রটিকে বলা হয় শবে বরাত। শবে বরাত আর্থ হইল বরাতের রাত্রি। এই রাত্রে জীব-জগতের আগামী বৎসরের ভাগ্য আর্থাৎ রুজী-রোজগার এবং ভালমন্দ ইত্যাদি নির্দিষ্ট হয় বলিয়াই ইহাকে শবে বরাত বলা হয়। ইহা একটি অত্যন্ত সার্থক নামকরণ।

এই রাতে নামাজ-কালাম, তাসবীহ-তাহলীল, যিকির-আযকার এবং কুরয়ান তিলাওয়াত ইত্যাদি পুর্ণের কাজগুলি বেশী করিয়া আদায় করিতে হয়। যত বেশী ইবাদৎ করা যায় ততই উত্তম। ইহার সূরা বা কেরাতে তেমন বিশেষ বাধ্য বাধকতা নাই। সূরা ফাতেহার সাথে যে কোন সূরা দ্বারা ইহা আদায় করিতে পারে।

শবে বরাতের নামাযের নিয়ম এই রাত্রে নামাযের রাকাত সংখ্যার কোন সুনির্দিষ্ট দলীল প্রমান নাই। এ সম্পর্কে যে সকল বর্ণনা রহিয়াছে তাহার মর্মে কেবল এইটুকুই উপলব্ধি করা যায় যে, ইহা যত বেশী আদায় করা যায় ততই লাভ। ইহা আদায়ের নিয়ম এই যে, এশার নামজের পরে বেতের নামায বাকি রাখিয়া এই নামায পড়িতে আরম্ভ করিতে হয়। দুই দুই বা চারি চারি রাকাতের নিয়ত করিয়া ইহা আদায় করিতে হয়। সুরা কেরাতের কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম না থাকিলেও অধিকাংশ ওলামার মতে ইহার প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা ইখলাছ এবং দ্বিতীয় রাকাতেও ঐ একই সুরা পাঠ করিয়া নামায আদায় করিতে হয়। অবশ্য কোন কোন আলেম বলেন যে, শবে কদরের ন্যায় এই নামজেও প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা কদর এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা ইখলাছ পাঠ করিলা ভাল হয়।

বিভিন্ন গ্রন্থে এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে যে, এই নামাযের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে একবার সুরা কদর এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে দশবার/পঁচিশবার সুরা ইখলাছ পাঠ করিয়া প্রতি রাকাত নামায আদায় করিবে। অতপর একশতবার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া মোনাজাত করিবে। অন্য একটি কিতাবে লেখা আছে যে, এই রাতে বার রাকাত নফল নামায আদায় করিবে। উহার প্রথম চারি রাকাতে প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সহিত দশবার করিয়া সুরা ইখলাছ পাঠ করিবে। তার পরবর্তী চার রাকাতের প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার সহিত একবার সুরা কদর এবং পঁচিশবার সুরা ইখলাছ পাঠ করিবে। তার পরবর্তী চার রাকাতের প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে পঞ্চাশবার করিয়া সুরা ইখলাছ পাঠ করিবে। অতপর একশতবার দুরূদশরীফ পাঠ করিয়া দুইহাত উঠাইয়া মোনাজাত করিবে।

শবে বরাতের নামাজের ফজিলত

পবিত্র শবে বরাত। এই রাত্রে মহান আল্লাহর কাছ থেকে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায় ।কথিত আছে ,এই রাত্রে আল্লার আদেশে পৃথিবীর মানুষের জন্য ফিরিস্তারা রিজিক বন্টন করে থাকে ।এই রাত্রে নফল ইবাদত করা উত্তম।এই দিনের ফজিলত অশেষ ।হাদিস শরিফে রাছুলে করিম (দ:) বলেছেন -যাহারা শাবানের চাদেঁর ১৫তারিখের রাত্রিতে ইবাদত করিবে তাহাদের জন্যে সৌভাগ্য এবং তাহাদের জন্যে সন্তোষ। অন্য হাদিসে আছে যে ব্যক্তি শাবানের চাদেঁর ১৫ তারিখ রোজা রাখিবে দোজোখের আগুন তাহাকে স্পর্শ করিবে না।হজরত আবুবকর ছিদ্দিক (রা)বর্ণনা করেন যে,হজরত নবী করিম (দ:) বলিয়েছেন ‘ওহে লোক সকল !তোমরা শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রে জেগে থেকে ইবাদত কর । এ রাত্রি খুব পবিত্র ।এই রাত্রি আল্লাহ তার বান্দাদের ডাকিয়া বলেন ,তোমাদের মধ্যে কেহ প্রার্থনা করিবার আছে কি? আজকে আমি তোমাদের সকল প্রার্থনা গ্রহন করিব ।হজরত (দ:)বলেছেন এই রাত্রে আল্লাহ সকলের গুনাহ মাফ করিয়া তাকে পবিত্র করিয়া দেন । সুতরাং আমাদের উচিত মনিবের দরবারে বেশি বেশি করে প্রার্থনা করা ।

মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের অসংখ্য নেয়ামত দিয়ে ধন্য করেছন,আল্লাহ পাকের সব সৃষ্টিই বরকতময়,তবে এ সকল সৃষ্টিতে তিনি তারতম্য রেখেছেন অর্থাৎ একটির চেয়ে অন্যটিকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন,একটির চেয়ে অন্যটিকে তাৎপর্যপূর্ণ করেছেন তাঁর কোন সৃষ্টিই এক নয়। প্রত্যেক কিছুতেই মর্যাদাগত ভিন্নতা বিদ্যমান।এর মধ্যে কিছু বরকতময় দিন,রাত,মাস বিদ্যমান।উদাহরণস্বরূপ,দিনের মধ্যে আসরের পরের সময় অনেক মকবুল তেমনি রাতের শেষভাগও দোয়া কবুলের উত্তম সময় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এই সময় বান্দাদের আহবান করেন।আবার সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমা’র দিনকে মহাত্মপূর্ন করেছেন,ঈদের দিন ঘোষণা করেছে ,জুমা’র রাতকে বরকতময় করেছেন তেমনি সোমবারকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের দিন,তিনি এই দিন রোজা রাখতেন। আবার মাসের মধ্যে রমজান মুবারাক অতি বরকতময় মাস,রবিউল আউয়াল শরীফ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগমনের মাস এমনিভাবে শাবান। হাদীস শরীফে উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,

مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ

আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লামকে রমজান মাসের পর শাবান ব্যতীত অন্য কোন মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি। [সহিহ বুখারী, কিতাবুস সাওম,হাদীস নং-১৯৬৯/১৮৬৮, সহীহ মুসলিম,কিতাবুস সিয়াম,হাদীস নং-১১৫৭,সুনানে আবু দাউদ,কিতাবুস সাওম,হাদীস নং-২৪৩৪, সুনানু ইবনে মাজাহ,কিতাবুস সিয়াম,হাদীস নং-১৭১০, মুয়াত্তা এ মালিক-৬৮৮/১০৯৮, সহীহ ইবনে হাববান-৩৬৪৮, মুসনাদে আহমদ-২৪৮০১, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৬৭২, বায়হাক্বী আস সুনানুস সগীর-১৪৫৭, সুনানুল কুবরা-৭৭৮৪,৭৮২৫] অপর বর্ননায় এসেছে,

لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّه

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের চেয়ে অধিক রোজা অন্য কোন মাসে রাখতেননা, এমনকি তিনি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন। [সহিহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৭0,সহীহ মুসলিম,কিতাবুস সিয়াম,হাদীস নং-১১৫৭, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২১৭৯, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৫০০, সহীহ ইবনে হিববান-৩৬৩৭,] হাদীস শরীফে আরও ইরশাদ হয়েছে-

رَجَبُ شَهْرُ اللَّهِ وَشَعْبَانُ شَهْرِي وَرَمَضَانُ شَهْرُ أُمَّتِي

রজব আল্লাহর মাস,শাবান আমার মাস আর রমজান আমার উম্মতের মাস। ]ফিরদাউসুল আখবার, যাহাভী তারিখুল ইসলাম-২৬১, শওকানী ফাওআয়িদুল মাজমুয়া'ত-২২১, কানযুল উম্মাল-৩৫১৬৪, সাখাভী আল মাকাসিদুল হাসানাহ-৫১০[ আরও ইরশাদ হয়-

شعبان شهري ورمضان شهر أمتي

শা'বান আমার মাস আর রমযান আমার উম্মতের মাস । [নুজহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফাইস, বাব,ফাদলু শ'বান ওয়া ফাদলু সালাতুত তাসবীহ, ১:১৪৬/১:১৬১] একটু চিন্তা,একটু যুক্তি ব্যয় করলে বুঝা যায় যে,এ সকল তাৎপর্যপূর্ণ সময়গুলো কেন দেওয়া হলো।উত্তর একটাই আসবে আল্লাহ পাক তাঁর গুনাহগার বান্দাহদের মুক্তির জন্য,অতিরিক্ত সাওয়াব লাভের জন্য,ইবাদতের আধিক্যের জন্যই দান করেছেন। যাতে আল্লাহর গুনাহগার বান্দারা অল্প সময়ে অধিক পুন্যের অধিকারী হয়। অধিক হারে এক আল্লাহর ইবাদতে একনিষ্ঠ হয় । শবে বরাত এমনি এক বরকতময় রজনী।শরীয়ত সম্মত এই রজনী সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা সত্বেও তা নিয়ে কিছু লোক বর্তমানে একে ভিত্তিহীন বলে প্রচারিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।নিম্নে এই মহিমান্বিত রজনী সম্পর্কে শরীয়ত সম্মত আলোচনা করা হল- শবে বরাতঃ শব শব্দটি ফার্সি,অর্থ রাত।আর বরাত শব্দের অর্থ-পবিত্রতা,মুক্তি,উদ্ধার,আশ্রয়,অব্যাহতি,দায়মুক্তি,বন্টন,বরাদ্দ ইত্যোদি।সুতরাং শবে বরাত বা লায়লাতুল বরাত অর্থ বন্টন,বরাদ্দ,পবিত্রতা,নাজাত ও মুক্তির রাত।পবিত্র কোরআনে একে 'লায়লাতুল মুবারাকাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।এছারাও এর আরও নাম পাওয়া যায় যেমন,লায়লাতুল মুবারাকাহ,লায়লাতুল বরাত,লায়লাতুল রহমত,লায়লাতুল মাগফিরাত,লায়লাতু্ত তাওবাহ ইত্যাদি। শা'বান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাতই শবে বরাত হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাকের ইরশাদ-

حٰمٓ ﴿۱﴾ وَ الْکِتٰبِ الْمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾ اِنَّا اَنۡزَلْنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنۡذِرِیۡنَ ﴿۳﴾ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ

হা-মীম!শপথ এই সুস্পষ্ট কিতাবের।নিশ্চই আমি সেটাকে বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি।নিশ্চই আমি সতর্ককারী।এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজের ফয়সালা দেওয়া হয়। [সূরা দুখানঃ১,২,৩,৪ পারা-২৫] এখনে বরকতময় রাত বলতে কোন রাতকে বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে দুটি মত রয়েছে,শবে ক্বদর আর শাবানের মধ্য রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাত।[তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে ত্ববারী জামেউল বয়ান, তাফসীরে কাশশাফ,তাফসীরে সা'লাবী, তাফসীরে সামআ'নী, তাফসীরে বগবী, তাফসীরে জালালাঈন, তাফসীরে বায়জাভী, তাফসীরে কবীর,(মাফাতিহুল গাইব(তাফসীরে রুহুল মা’আনী, যাদুল মাইসির ফি ইলমিত তাফসীর, তাফসীরে ক্বুরতুবী, তাফসীরে দুররে মানসুর, তাফসীরে নাসাফী, তাফসীরে মাজহারী, তাফসীরে ফাতহুল কাদীর, তাফসীরে সা'বী, তাফসীরে জুমাল,তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে নিসাপুরী, তাফসীরে ইবনে রজব, তাফসীরে কিরমানী গারায়িবুত তাফসীর, সফওাতুত তাফাসীর, আল লুবাব, তাফসীরে মাদারিক, তাফসীরে মাওয়ার্দি, আবী সাউদ] আল্লামা শিহাবুদ্দীন আলুসী রহঃ তার তাফসীর গ্রন্থ রূহুল মা'য়ানী তে উল্লেখ করেন-

قال عكرمة. وجماعة: هي ليلة النصف من شعبان. وتسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك وليلة البراءة، ووجه تسميتها بالأخيرين أن البندار إذا استوفى الخراج من أهله كتب لهم البراءة والصك كذلك أن الله عزّ وجلّ يكتب لعباده المؤمنين البراءة والصك في هذه الليلة.

ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শা'বান মাসের মধ্য রাত। একে রহমত ও মুক্তির রাত বলা হয়। যেমন খাজনা ও যাকাত আদায়কারী খাজনা ও যাকাতপ্রাপ্তির পর দাতাকে মুক্তি সনদ বা রশীদ দেয়, অনুরূপ এ রাতে যারা ইবাদত বান্দেগীতে রাত যাপন করে তাদেরকে মুক্তি সনদ দেয়া হয়। তাই এ রাতকে লায়লাতুল বারাআ'ত বা লায়লাতুস সাক (চেক) বলা হয় । [তাফসীরে রূহুল মা'আনী,সুরা দুখান,১৮:৪২৩/১৩:১১০] আল্লামা জারুল্লাহ যামাখশারী রহঃ বলেন-

وقيل: ليلة النصف من شعبان، ولها أربعة أسماء: الليلة المباركة، وليلة البراءة، وليلة الصكّ، وليلة الرحمة

অন্য মতে লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শ'বান মাসের মধ্য রাত। এর চারটি নাম পাওয়া যায়, লায়লাতুল মুবারাকাহ (বরকতের রজনী), লায়লাতুল বারাআহ (ভাগ্য/কল্যাণের রজনী), লায়লাতুস সাক্ক (বন্টন/বাজেটের রজনী), লায়লাতুর রাহমাহ (অনুগ্রহের রজনী)। [তাফসীরে কাশশাফ,সুরা দুখান,৪:২৬৯] অনুরূপ বর্ণনা তাফসীরে ক্বুরতুবী তে পাওয়া যায়। আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন-

وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَطَائِفَةٌ آخَرُونَ: إِنَّهَا لَيْلَةُ الْبَرَاءَةِ، وَهِيَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ

ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল লায়লাতু বরাত অর্থাৎ শা'বান মাসের মধ্য রাত । [তাফসীরে কবীর মাফাতিহুল গায়ব,সুরা দুখান ২৭:৬৫২] হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর শিস্য ও স্বাধীনকৃত গোলাম হযরত ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (আয়াতে বর্ণিত) লাইলাতুম মুবারাকা” হল শা’বান মাসের মধ্য রাত্রি।এ রাতে আল্লাহ পাক হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে প্রথম আকাশে (দুনিয়া সংলগ্ন আকাশ( প্রেরণ করেন।তিনি প্রথম আকাশের ফেরেশতাদের কাছে পূর্ণ কোরআন একেবারে লিপিব্ধ করে দিয়েছেন।এই রাতকে মুবারক রাত নামকরণনের কারণ হল-এ রাতে অনেক কল্যাণ ও বরকত রয়েছে।এ রাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং দোয়া কবুল হয়। [তাফসীরে কাশফুল আসরার ৯:৭৪]

https://www.facebook.com/photo.php?v=10202132692817926&set=vb.391023744296562&type=2&theater