পূর্ব মেদিনীপুর জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Arr4 (আলোচনা | অবদান)
122.163.48.98-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Addbot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
Arr4 (আলোচনা | অবদান)
nonsense text
৬ নং লাইন:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি ও শিল্প দুই ক্ষেত্রেই যথেষ্ট অগ্রসর। এই জেলায় অবস্থিত হলদিয়া শিল্পাঞ্চল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পাঞ্চল। এই জেলার দিঘা, মান্দারমনি, তাজপুর - সমুদ্রসৈকতগুলি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।
 
তমলুকঃ- মহাভারতে প্রাচীন তাম্রলিপ্ত রাজ্যের কাহিনি বর্ণিত এই তমলুক। একসময়ে তাম্রলিপ্ত রাজার রাজধানী ছিল তাম্রলিপ্ত অর্থাৎ তমলুক। নানা সময়ে নানা নাম হয়েছে তমলুকের। এখানে চৈনিক পরিব্রাজাক ফা-হিয়েন ভারতে এসেছিলেন এই তাম্রলিপ্ত হয়ে। সেই প্রাচীন তাম্রলিপ্তকে খুঁজে পাওয়া আর হয়তো যাবে না কিন্তু বর্তমান যা আছে তা . . . . . এখানে দুই তীর্থক্ষেত্রের সমাহার। এক ‘কপাল মোচন’ আর এক দেবীতীর্থ ‘দেবী বর্গভীমা’। এই শহরে আছে দর্শনীয় পুরাকীর্তি জিষ্ণুহরি মন্দির, ঘণ্টপুকুরের দক্ষিণে জগন্নাথ মন্দির। ঘাট পুকুর এক বিখ্যাত জলাশয়। এরই অন্য তীরে রয়েছে পুরাতন রাজবাড়ি ধ্বংসাবশেষ। তমলুকের অন্যতন. . . . . . নিমতৌড়িতে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার স্মরক ভবন। আছে শহরের কেন্দ্রস্থলে রামকৃষ্ণ মন্দির। তমলুক থেকে ১৭ কিমি দূরে মহিষাদলে......কাব্যের নায়ক লাউসেনের স্মৃতিবিজড়িত। এই গড়ের নৌবিহার যথেষ্ট রোমাঞ্চকর। রাসমেলার সময় শ্যামসুন্দরের শোভাযাত্রা এবং মেলা একটা উপরি পাওনা।
 
 
হলদিয়াঃ- হলদি ও হুগলী নদীর সংগমস্থল এই শিল্পনগরী হলদিয়া। শুরুটা কলকাতার পরিপুরক বন্দর হলেও আজ এই শিল্পনগরী একাই একশো। কল্কাতাকেও ছাপিয়ে গেছে হলদিয়া বন্দর। তার ওপর শিল্পায়নের জোয়ার লেগেছে হলদিয়ায়। বর্তমানে হলদিয়া ধীরে ধীরে পর্যটনক্ষেত্রও হয়ে উঠছে। বন্দর অঞ্চলে নির্মিত হয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েলের তৈলশোধনাগার, হিন্দুস্থান লিভার-শওয়ালেস-ফ্লোরাইড কারখানা। হয়েছে পেট্রোকেমিক্যাল-মিতসুবিশি কারখানা। এছাড়া এখানের বন্দর, শিশু উদ্যান, মীনদ্বীপ বা নয়াচর। জানুয়ারিতে হলদিয়া আর সেপ্টেম্বর এলে পেয়ে যাবেন বিশ্ব বাংলা কবিতা উৎসবে রোমাঞ্চিত হওয়ার সুযোগ।
 
দিঘাঃ- দিঘায় বিদেশি পর্যটকরা কম এলেও ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষই প্রতিনিয়ত দিঘায় আসছেন। ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া-তমলুক-কাঁথি হয়ে দিঘা ট্রেনে করে যাওয়া। . . . . . . দুরের লাইটহাউস, হিজলির মসনদ-ই-আল্লা, কাঁথির কপালকুণ্ডলা, জুনপুট, শঙ্করপুর। অদুরেই আছে এগরা। বাসস্টপের কাছেই ‘কৃষ্ণসাগর’ এক দিঘি। এখানে ১৮৬০ সালে বঙ্কিমচন্দ্র একবছরের মতো ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে এসেছিলেন। এখানে আছে বিশেষ গঠনশৈলীর পশ্চিমমুখী ইটনাগর মন্দির।
 
{{অসম্পূর্ণ}}