ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিমন২০১০ (আলোচনা | অবদান)
Iqbal diu-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Musabbir Islam-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
Dwitiyo Purush (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৬ নং লাইন:
১৮৯৯ সালের ২২ অক্টোবর, জোয়ান গ্যাম্পার ‘‘লস দেপোর্তেস’’ পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২৯ নভেম্বর, জিমন্যাসিও সোলে একটি সম্মেলনে তিনি ইতিবাচক সাড়া পান। সম্মেলনে এগারো জন [[খেলোয়াড়]] উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন: গুয়ালতেরি ওয়াইল্ড, লুইস ডি'ওসো, বার্তোমেউ তেরাদাস, অটো কুঞ্জলে, অটো মায়ের, এনরিক ডুক্যাল, পেরে ক্যাবত, জোসেপ লোবেত, জন পার্সনস এবং উইলিয়াম পার্সনস। এভাবে জন্ম নেয় '''ফুট-বল ক্লাব বার্সেলোনা (Foot-Ball Club Barcelona)'''।
 
==বাংলাদেশে বার্সা সমর্থক==
[[চিত্র:Gamper mov.jpg|thumb|220px|left|ফুট-বল ক্লাব বার্সেলোনার প্রতিষ্ঠাতা জোয়ান গাম্পার।]]
আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে সফলভাবেই শুরু করে বার্সেলোনা। ১৯০২ সালে তারা ‘‘কোপা ম্যাকায়া’’ জিতে, যা ছিল তাদের প্রথম শিরোপা। ঐ বছর তারা কোপা দেল রে প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহন করে এবং ফাইনালে ক্লাব ভিজক্যায়ার (অ্যাথলেটিক বিলবাও) বিপক্ষে ১–২ ব্যবধানে হেরে যায়।<ref name="rsssf1">{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tabless/spancuphist.html|title=Spain - List of Cup Finals|author=Carnicero, José Vicente Tejedor|publisher=RSSSF|date=২১ মে ২০১০|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
১৯০৮ সালে, জোয়ান গ্যাম্পারকে ক্লাব প্রেসিডেন্ট করা হয়। অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে ১৯০৫ সালের পর থেকে আর কোন শিরোপা জিততে পারছিলনা বার্সেলোনা। তিনি মোট ২৫ বছর ক্লাবের পরিচালক হিসেবে ছিলেন। তার সময়ের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে ছিল বার্সেলোনার নিজস্ব স্টেডিয়াম। এতে করে, বার্সেলোনা একটি প্রতিষ্ঠিত আয়ের উত্‍স পেয়ে যায়।<ref name="fcbarcelona1">{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/etapes_historia/etapa_1.html|title=History part I|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
১৯০৯ সালের ১৪ মার্চ, বার্সেলোনা ‘‘ক্যাম্প দি লা ইন্দাস্ত্রিয়া’’ [[স্টেডিয়াম|স্টেডিয়ামে]] চলে আসে, যার ধারন ক্ষমতা ছিল ৮,০০০। ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা পাইরেনিস কাপে অংশগ্রহণ করে। ঐ [[প্রতিযোগিতা|প্রতিযোগিতায়]] সে সময়ের সেরা দলগুলো অংশগ্রহন করত এবং এটি ছিল সে সময়ের সবচেয়ে সুন্দর প্রতিযোগিতা।<ref>{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tablesp/pyrenees.html|title=Coupe des Pyrenées – Copa de los Pirineos|publisher=RSSSF|date=১৯ জুন ২০০১|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩|author= Ferrer, Carles Lozano}}</ref>
 
১৯২২ সালে, বার্সেলোনা লেস কোর্তস স্টেডিয়ামে চলে আসে। লেস কোর্তসের ধারন ক্ষমতা ছিল ২২,০০০। পরবর্তীতে এর ধারন ক্ষমতা ৬০,০০০-এ উন্নীত করা হয়।<ref name="fcbarcelona2">{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/etapes_historia/etapa_2.html|title=History part II|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> গ্যাম্পার যুগে বার্সেলোনা ১১টি কাতালান কাপ, ৬টি কোপা দেল রে এবং ৪টি পাইরেনিস কাপ জিতে।<ref name="rsssf1"/><ref name="fcbarcelona1"/>
 
===প্রজাতন্ত্র ও গৃহযুদ্ধ (১৯২৩–১৯৫৭)===
 
১৯২৫ সালের ১৪ জুন, স্টেডিয়ামের দর্শকগন স্পেনের জাতীয় সঙ্গীতের ব্যঙ্গ করে এবং ‘‘God Save The King’’ এর প্রতি সম্মান জানিয়ে মিগুয়েল প্রিমো দি রিভেরার একনায়কতন্ত্রের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানায়। স্টেডিয়ামটিকে প্রতিহিংসামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং গ্যাম্পারকে পরিচালকের পদ হতে সরে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। ১৯২৬ সালে, ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ ক্লাবটিকে প্রথমবারের মত পেশাদার ক্লাব হিসেবে ঘোষনা করে।
 
১৯২৮ সালে বার্সেলোনা কোপা দেল রে শিরোপা জিতে। রাফায়েল অ্যালবার্তির লেখা ‘‘Oda a Platko’’ নামক একটি কবিতার মাধ্যমে তারা এই জয় উত্‍যাপন করে।<ref>{{cite web|title=Football, European Integration, National Identity: The Case of FC Barcelona|author=Roy, Joaquín|year=2001|publisher=European Community Studies Association (paper)|page=4}}</ref> ব্যক্তিগত ও আর্থিক সমস্যার কারনে জোয়ান গ্যাম্পার বিষন্ন হয়ে পড়েন। ১৯৩০ সালের ৩০ জুলাই, তিনি আত্মহত্যা করেন।<ref name="fcbarcelona1"/>
 
খেলাধুলার উপর রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে শুরু করলেও ক্লাবটি ১৯৩০, ১৯৩১, ১৯৩২, ১৯৩৪, ১৯৩৬ ও ১৯৩৮ সালে কাতালান কাপ জিতে।<ref name="rsssf1"/> ১৯৩৬ সালে স্পেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার এক মাস পর বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাও-এর কয়েকজন খেলোয়াড়কে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এমন ব্যক্তিদের সাথে তালিকাভুক্ত করা হয়। ৬ আগস্ট, ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইয়োসেপ সানিওলকে হত্যা করে স্পেনের রাজনৈতিক দল ফালাঞ্জের সেনারা। ইয়োসেপ সানিওল ছিলেন স্বাধীনতার স্বপক্ষে।
 
১৯৩৭ সালের গ্রীষ্মে, বার্সেলোনা [[মেক্সিকো]] এবং [[যুক্তরাষ্ট্র]] সফর করে। এই সফর ক্লাবটিকে অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ১৯৩৮ সালের ১৬ মার্চ, বার্সেলোনাতে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে তিন হাজারেরও বেশি প্রাণহানি ঘটে। এমনকি একটি বোমা ক্লাবের অফিসেও আঘাত হানে। কয়েক মাস পর, কাতালুনিয়া দখলদারিত্বের অধীনে আসে। গৃহযুদ্ধ শেষে কাতালান পতাকা বাতিল করে দেওয়া হয় এবং ক্লাবগুলোর অ-স্পেনীয় নাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘‘ক্লাব দি ফুটবল বার্সেলোনা’’ এবং তাদেরকে কাতালান পতাকাও সড়িয়ে ফেলতে হয়।<ref name="fcbarcelona2"/>
 
১৯৪৩ সালে, কোপা দেল রে-এর সেমিফাইনালে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। প্রথম লেগের খেলায় লেস কোর্তস্ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা ৩–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। দ্বিতীয় লেগের খেলার পূর্বে স্পেনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রধান বার্সেলোনার ড্রেসিং রুমে যান। তিনি খেলোয়াড়দেরকে মনে করিয়ে দেন যে তারা শুধুমাত্র শাসকদের উদারতার কারনে খেলছেন। খেলায় [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] ১১–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।<ref>{{cite web|url=http://www.fifa.com/aboutfifa/federation/news/newsid=70557.html|title=Barça—Much more than just a Club|date=১০ ডিসেম্বর ১৯৯৮|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩|publisher=[[ফিফা]]|last=Aguilar|first=Paco|archiveurl=http://web.archive.org/web/20100527222642/http://www.fifa.com/aboutfifa/federation/news/newsid=70557.html|archivedate=২৭ মে ২০১০}}</ref> রাজনৈতিক দূরবস্থা সত্বেও, ১৯৪০ ও ১৯৫০ এর দশকে বার্সেলোনা তাদের সফলতার ধারা বজায় রাখে। ১৯৪৫ সালে, ইয়োসেপ স্যামিতেরের মত ম্যানেজার এবং সিজার রামালেতস ও ভ্যালেস্কোর মত খেলোয়াড়দের নিয়ে বার্সেলোনা [[লা লিগা]] শিরোপা জিতে। ১৯২৯ সালের পর এটিই ছিল তাদের প্রথম [[লা লিগা]] শিরোপা। ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালেও তারা [[লা লিগা]] শিরোপা জিতে। ঐ বছর তারা কোপা ল্যাতিনা শিরোপাও জিতে। ১৯৫০ সালের জুনে, বার্সেলোনা ল্যাদিসলাও কুবালার সাথে চুক্তি করে।
 
১৯৫১ সালে একটি বৃষ্টিবহুল রবিবারে, স্যান্তেনদারের বিপক্ষে খেলায় বার্সেলোনা ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে। খেলা শেষে লেস কোর্তস্ স্টেডিয়ামের দর্শকগন কোন ট্রামগাড়ী না নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা দেয়। যা ফ্রাংকো কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল বিস্ময়কর। [[বার্সেলোনা|বার্সেলোনায়]] একটি ট্রাম ধর্মঘট সংঘটিত হয়, যা বার্সেলোনা ক্লাবের সমর্থকদের সমর্থন পেয়েছিল। এধরনের আরও অনেক ঘটনা ক্লাবটিকে কাতালুনিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত করে তোলে। অনেক প্রগতিশীল স্পেনীয় নাগরিক ক্লাবটিকে অধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষাকারী হিসেবে দেখেন।
 
ম্যানেজার ফেদ্রিন্যান্দ ডওচিক ও কুবালা ১৯৫২ সালে দলটিকে পাঁচটি আলাদা শিরোপা এনে দেন। এর মধ্যে ছিল, [[লা লিগা]], কোপা দেল জেনের‍্যালিসিমো (কোপা দেল রে), কোপা ল্যাতিনা, কোপা ইভা দুয়ার্তে এবং কোপা মার্তিনি রোসি। ১৯৫৩ সালে, বার্সেলোনা আবারও [[লা লিগা]] ও কোপা দেল জেনের‍্যালিসিমো জিতে।<ref name="fcbarcelona2" />
 
===ক্লাব দি ফুটবল বার্সেলোনা===
 
[[চিত্র:Camp Nou des de l'helicòpter.jpg|thumb|left|১৯৫৭ সালে ক্লাবের সমর্থকদের আর্থিক সহায়তায় ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়।]]
১৯৫৯ সালে বার্সেলোনা জাতীয় পর্যায়ে ডাবল শিরোপা জিতে। ১৯৬০ সালে লা লিগা ও ইন্টার সিটিজ ফেয়ার্স কাপ নিয়ে আবারও ডাবল শিরোপা জিতে বার্সেলোনা। ১৯৬১ সালে ইউরোপীয়ান কাপে <small>(বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ)</small> প্রথম দল হিসেবে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] হারানোর কৃতিত্ব অর্জন করে বার্সেলোনা। কিন্তু বেনফিকার কাছে ফাইনালে ৩–২ ব্যবধানে হেরে যায় তারা।<ref>{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tablese/ec1.html|title=European Champions' Cup|publisher=RSSSF|date=২ জুন ২০১০ |accessdate=১৯ জানুয়ারি ২০১৩|first=Karel|last=Stokkermans}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.rsssf.com/ec/ec196061.html|title=European Competitions 1960–61|publisher=RSSSF|date=২৭ জুন ২০০৭|accessdate=১১ জানুয়ারি ২০১৩|first=James M.|last=Ross}}</ref><ref name="fcbarcelona3">{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/etapes_historia/etapa_3.html|title=History part III|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
১৯৬০ এর দশকে বার্সেলোনা খুব বেশি সফলতা পায়নি। এ সময় লা লিগায় একচেটিয়াভাবে রাজত্ব করে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]]। ক্যাম্প ন্যু-এর নির্মান কাজ ১৯৫৭ সালে শেষ হয়, ফলে খেলোয়াড়দের পেছনে ব্যয় করার জন্য কিছু পরিমান টাকা ক্লাবটির কাছে ছিল।<ref name="fcbarcelona3"/> ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্য ছিল, ঐ দশকে ইয়োসেপ মারিয়া ফুস্তে ও চার্লস রেক্সাসের মত খেলোয়াড়দের উদ্ভব ঘটে এবং বার্সেলোনা ১৯৬৩ সালে কোপা দেল জেনের‍্যালিসিমো ও ১৯৬৬ সালে ফেয়ার্স কাপ জিতে। ১৯৬৮ সালে স্যান্তিয়াগো বের্ন্যাব্যুতে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] কোপা জেনের‍্যালিসিমোর ফাইনালে ০–১ ব্যবধানে হারিয়ে বার্সেলোনা তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পায়। ১৯৭৪ সালে ফ্রাংকোর একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটলে বার্সেলোনা ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে পুনরায় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা রাখা হয়। ক্লাবের প্রতীকটিও পরিবর্তন করা হয় এবং তাতে প্রকৃত বর্ণগুলো ফিরিয়ে আনা হয়।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/simbols/escut.html|title=The Crest|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে বার্সেলোনায় যোগ দেন [[ইয়োহান ক্রুইফ]]। তাকে ডাচ ক্লাব [[এএফসি আয়াক্স]] হতে ৯২০,০০০ ইউরোর বিনিময়ে ক্রয় করে বার্সেলোনা। তিনি [[নেদারল্যান্ডস|নেদারল্যান্ডসের]] একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন যে তিনি [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] চেয়ে বার্সেলোনাকে বেশি পছন্দ করেন কারন তিনি এমন কোন ক্লাবে খেলতে চান না যেখানে ফ্রাংকো সহযোগীতা করে। এই কথার মাধ্যমে ক্রুইফ খুব দ্রুতই বার্সেলোনা সমর্থকদের মন জয় করে ফেলেন। সমর্থকদের কাছে তিনি আরও পছন্দের একজন হয়ে ওঠেন, যখন তিনি তার ছেলের নাম হিসেবে কাতালান নাম ‘‘জর্দি’’ ব্যবহার করেন <small>(ইয়োহান জর্দি ক্রুইফ)</small>।
 
জোয়ান ম্যানুয়েল আসেন্সি, চার্লস রেক্সাস ও হুগো সতিলের মত দক্ষ খেলোয়াড়দের নিয়ে ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে তিনি দলকে লা লিগা শিরোপা এনে দেন। ১৯৬০ সালের পর এটিই ছিল বার্সেলোনার প্রথম লা লিগা শিরোপা।<ref name="rsssf1"/> তারা স্যান্তিয়াগো বের্ন্যাব্যুতে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] ৫–০ ব্যবধানে হারায়।<ref>{{cite web|url=http://www.lfp.es/?tabid=113&Controltype=tres&t=073&idDivision=1|title=La Liga season 1973–74|publisher=LFP|accessdate=১৮ জানুয়ারি২০১৩}}</ref> ১৯৭৩ সালে [[ইয়োহান ক্রুইফ|ক্রুইফকে]] ইউরোপীয় বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। এটি ছিল তার দ্বিতীয় ব্যালন দি’অর, প্রথমটি তিনি ১৯৭১ সালে [[এএফসি আয়াক্স|আয়াক্সে]] খেলার সময় জিতেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি তৃতীয়বারের মত ব্যালন দি’অর জিতেন। ঐ সময় তিনি তিনটি ব্যালন দি’অর জেতা একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন।<ref>{{cite web|url=http://www.rsssf.com/miscellaneous/europa-poy.html|date=১১ ডিসেম্বর ২০০৯|author=Moore, Rob; Stokkermans, Karel|title=European Footballer of the Year ("Ballon d'Or")|publisher=RSSSF|accessdate=১৮ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
===নুনেজ যুগ (১৯৭৮–২০০০)===
 
[[চিত্র:Maradona Barcelona.JPG|thumb|right|বার্সেলোনার হয়ে খেলছেন [[দিয়েগো মারাদোনা]]।]]
১৯৭৮ সালে ক্লাবের সদস্যদের দ্বারা ক্লাব প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইয়োসেপ লুইস নুনেজ। নুনেজের প্রধান লক্ষ্য ছিল বার্সেলোনাকে একটি বিশ্বমানের দলে পরিনত করা। ১৯৭৯ সালের ২০ অক্টোবর, [[ইয়োহান ক্রুইফ|ইয়োহান ক্রুইফের]] অনুরোধে বার্সেলোনার যুব একাডেমী লা মাসিয়া প্রবর্তন করেন নুনেজ।<ref name="sport1">{{cite web|url=http://www.sport.es/es/noticias/barca/20100818/masia-como-laboratorio/840127.shtml|title=La Masia, como un laboratorio|trans_title=লা মাসিয়া, একটি পরীক্ষাগার হিসেবে|publisher=Sport.es|accessdate=১৯ জানুয়ারি ২০১৩|language=স্পেনীয়|author=Perarnau, Martí|date=১৮ আগস্ট ২০১৩}}</ref> তিনি ২২ বছর যাবত্‍ বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এ সময় তিনি বেতন ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কঠোর নীতি অবলম্বন করেন।<ref name="fcbarcelona4">{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/etapes_historia/etapa_4.html |title=History part IV |publisher=এফসি বার্সেলোনা |accessdate=15 March 2010}}</ref><ref>Ball, Phil p. 85.</ref>
 
১৯৭৯ সালের ১৬ মে, ফরচুনা ডুসেলডোর্ফকে ৪–৩ ব্যবধানে হারিয়ে বার্সেলোনা প্রথমবারের মত কাপ উইনার্স কাপ জিতে। বাসেলে অনুষ্ঠিত ঐ ফাইনাল খেলাটি গ্যালারিতে বসে ৩০,০০০ এরও বেশি ব্লাউগ্রানা সমর্থক উপভোগ করেন। ১৯৮২ সালের জুনে, [[দিয়েগো মারাদোনা|দিয়েগো মারাদোনাকে]] বোকা জুনিয়র্স থেকে রেকর্ড ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কিনে নেয় বার্সেলোনা।
 
পরের মৌসুমে ম্যানেজার সিজার লুইস মেনোত্তির অধীনে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] হারিয়ে কোপা দেল রে শিরোপা জিতে বার্সেলোনা। বার্সেলোনাতে [[দিয়েগো মারাদোনা|মারাদোনা]] বেশি দিন ছিলেন না। তিনি বার্সা ছেড়ে নাপোলিতে চলে যান। ১৯৮৪–৮৫ মৌসুমে টেরি ভেনাবল্সকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার অধীনে বার্সেলোনা লা লিগা শিরোপা জিতে। পরের মৌসুমে ভেনাবল্সের অধীনে বার্সেলোনা দ্বিতীয়বারের মত ইউরোপীয়ান কাপের <small>(বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ)</small> ফাইনালে ওঠে। ফাইনালে স্তেউয়া বুকুরেস্তির বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে পেনাল্টিতে হেরে যায় বার্সেলোনা।<ref name="fcbarcelona4"/>
 
১৯৮৭–৮৮ মৌসুমের শুরুর দিকে ভেনাবলসকে বহিষ্কার করে লুইস আরাগোনসকে দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। খেলোয়াড়রা প্রেসিডন্ট নুনেজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। কোপা দের রে’র ফাইনালে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে মৌসুম শেষ করে বার্সেলোনা।<ref name="fcbarcelona4"/>
 
===ড্রিম টিম===
[[চিত্র:Johan Cruijff 1982.jpg|thumb|220px|right|বার্সেলোনার ম্যানেজার হিসেবে টানা চারটি [[লা লিগা]] শিরোপা জিতেছেন [[ইয়োহান ক্রুইফ]]]]
১৯৮৮ সালে [[ইয়োহান ক্রুইফ]] ম্যানেজার হিসেবে দলে ফিরে আসেন। তিনি [[পেপ গার্দিওলা]], জোসে মারি বাকেরো, জিকি বেগিরিস্তেইনের মত স্পেনীয় খেলোয়াড়দের এবং রোনাল্দ কোয়ম্যান, মাইকেল লওড্রাপ এবং [[রোমারিও|রোমারিওর]] মত আন্তর্জাতিক তারকাদের একত্রিত করেন।<ref>Ball, Phil. pp. 106–107.</ref> তার অধীনে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত টানা চার মৌসুমে বার্সেলোনা [[লা লিগা]] শিরোপা জিতে। তারা ১৯৮৯ সালে কাপ উইনার্স কাপের ফাইনালে এবং ১৯৯২ সালে ইউরোপীয় কাপের <small>(বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লীগ)</small> ফাইনালে স্যাম্পদোরিয়াকে হারায়। এছাড়া তারা, ১৯৯০ সালে কোপা দেল রে, ১৯৯২ সালে ইউরোপীয় সুপার কাপ এবং তিনটি স্পেনীয় সুপার কোপা জিতে। ২০১১ সালে [[পেপ গার্দিওলা|গার্দিওলার]] দায়িত্ব গ্রহনের আগ পর্যন্ত মোট ১১টি শিরোপা নিয়ে [[ইয়োহান ক্রুইফ]] বার্সেলোনার সবচেয়ে সফল ম্যানেজার ছিলেন।<ref>{{cite web|url=http://www.goal.com/en-us/news/88/spain/2011/08/18/2625001/pep-guardiola-enters-barcelona-history-books-with-record|title=Pep Guardiola enters Barcelona history books with record 11th title as coach|publisher=Goal.com|accessdate=২৩ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> তিনি টানা আট বছর বার্সেলোনার ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন।<ref name=honours>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/futbol/palmares/palmares.html|title=Honours|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=২৩ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ক্রুইফের শেষ দুই মৌসুমে বার্সেলোনা কোন শিরোপার দেখা পায়নি। ফলে ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে ক্রুইফ সরে দাড়ান।<ref name="fcbarcelona4"/>
 
[[ইয়োহান ক্রুইফ|ইয়োহান ক্রুইফের]] প্রস্থানের পর দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয় ববি রবসনকে। তিনি শুধুমাত্র ১৯৯৬–৯৭ মৌসুমেই ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় বার্সেলোনা চুক্তি করে [[রোনালদো|রোনালদোর]] সাথে। কোপা দেল রে, কাপ উইনার্স কাপ এবং স্পেনীয় সুপার কোপা জেতার মাধ্যমে মৌসুম শেষ করে বার্সেলোনা। পরের মৌসুমে বার্সেলোনার ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন লুইস ফন গাল।<ref name="fcbarcelona5">{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/etapes_historia/etapa_5.html|title=History part V|publisher=এফসি বার্সেলোনা|date=১৫ জুন ২০০৩|accessdate=২৩ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ১৯৯৮ সালে [[বরুসিয়া ডর্টমুন্ড|বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে]] হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা জিতে বার্সেলোনা। এছাড়া তারা কোপা দেল রে এবং [[লা লিগা]] শিরোপাও জিতে। ১৯৯৯ সালে [[রিভালদো|রিভালদোকে]] [[ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার|ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলারের]] পুরষ্কার দেওয়া হয়। এতে করে তিনি বার্সেলোনার চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরষ্কার জেতার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ঘরোয়া লীগে সাফল্য পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারনে ২০০০ সালে ফন গাল এবং নুনেজ পদত্যাগ করেন।<ref name="fcbarcelona5"/>
 
===নুনেজের প্রস্থান, লাপোর্তার আগমন (২০০০–২০০৮)===
২০০০ সালে, নুনেজের প্রস্থানের পর বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন জোয়ান গাসপার্ট। তিনি তিন বছর এই দায়িত্বে ছিলেন। এসময়ে বার্সেলোনায় তিনবার ম্যানেজার পরিবর্তিত হয়। ২০০১ সালের এপ্রিলে, দ্বিতীয়বারের মত দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন ফন গাল, কিন্তু ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে, তিনি এবং প্রেসিডেন্ট গাসপার্ট পদত্যাগ করেন।<ref>Ball, Phil. pp. 109–110.</ref>
 
একটি হতাশাজনক অধ্যায় শেষে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন জোয়ান লাপোর্তা এবং ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রাক্তন [[নেদারল্যান্ডস জাতীয় ফুটবল দল|ডাচ]] খেলোয়াড় [[ফ্রাংক রাইকার্ড]]। আন্তর্জাতিক তারকা খেলোয়াড় এবং স্থানীয় খেলোয়াড়দের সংমিশ্রনে গড়া দল নিয়ে পুনরায় সাফল্য পেতে শুরু করে বার্সেলোনা। ২০০৪–০৫ মৌসুমে তারা লা লিগা ও স্পেনীয় সুপার কোপা জিতে এবং দলের মাঝমাঠের খেলোয়াড় [[রোনালদিনিয়ো]] জিতেন [[ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়|ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের]] পুরষ্কার।<ref>{{Cite news|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/4486166.stm|title=Ronaldinho wins world award again|publisher=BBC News|date=১৯ ডিসেম্বর ২০০৫|accessdate=২৬ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
[[চিত্র:Ronaldinho 11feb2007.jpg|thumb|left|220px|বার্সেলোনার হয়ে খেলছেন [[রোনালদিনিয়ো]]।]]
২০০৫–০৬ মৌসুমে বার্সেলোনা আবারও লা লিগা এবং স্পেনীয় সুপার কোপা শিরোপা জিতে।<ref>{{Cite news|url=http://www.independent.co.uk/sport/football/european/real-madrid-0-barcelona-3-bernabeu-forced-to-pay-homage-as-ronaldinho-soars-above-the-galacticos-516202.html|title=Real Madrid 0 Barcelona 3: Bernabeu forced to pay homage as Ronaldinho soars above the galacticos |publisher=The Independent|author=McCurdy, Patrick|date=২১ নভেম্বর ২০০৫|accessdate=২৬ জানুয়ারি ২০১৩|location=London|first=Patrick|last=McCurdy}}</ref> ২০০৬ সালের ১৭ মে, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে [[আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব|আর্সেনালকে]] ২–১ ব্যবধানে হারায় বাসেলোনা। খেলায় বার্সেলোনা ০–১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। খেলার শেষ ১৫ মিনিটে দুটি গোল করেন [[স্যামুয়েল ইতো|ইতো]] এবং বেলেত্তি। বিগত ১৪ বছরে এটিই ছিল বার্সেলোনার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা।<ref>{{Cite news|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/europe/4773353.stm|title=Barcelona 2–1 Arsenal|publisher=BBC News|date=১৭ মে ২০০৬|accessdate=২৬ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
দূর্দান্তভাবে শুরু করা সত্ত্বেও, ২০০৬–০৭ মৌসুমে বার্সেলোনা শুধুমাত্র স্পেনীয় সুপার কোপা শিরোপা জিতে। [[ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ|২০০৬ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে]] অংশগ্রহন করলেও ব্রাজিলীয় ক্লাব ইন্টারন্যাসিওনালের কাছে তারা হেরে যায়।<ref>{{cite web|url=http://www.fifa.com/tournaments/archive/tournament=107/edition=248388/news/newsid=108718.html#internacional+make+japan|title=Internacional make it big in Japan|publisher=[[ফিফা]]|date=১৭ নভেম্বর ২০০৬|accessdate=২৬ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> শিরোপা ঘাটতি হিসেবে প্রাক মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং [[ফ্রাংক রাইকার্ড|রাইকার্ড]] ও [[স্যামুয়েল ইতো|ইতোর]] মধ্যকার পারস্পরিক দ্বন্দ্বকেই দোষারোপ করা হয়।<ref>{{Cite news|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/africa/6353861.stm|title=Barcelona will not punish Eto'o|publisher=বিবিসি|date=১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭|accessdate=২৬ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{cite news|url=http://www.soccerway.com/news/2007/August/03/barcelona-defends-asian-tour/|title=Barcelona defends Asian tour|publisher=Soccerway.com|agency=AFP|accessdate=১১ জানুয়ারি ২০১০}}</ref> লা লিগায় মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই বার্সা প্রথম স্থানে ছিল, কিন্তু নতুন বছরে তাদের পরিবর্তনশীলতার কারনে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] তাদেরকে টপকে যায়। মৌসুম শেষে বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট সমান হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার কারনে শিরোপা জিতে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|মাদ্রিদ]]। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ওয়েডার ব্রেমেনকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে কোনক্রমে গ্রুপ পর্ব টপকাতে সমর্থ হয় বার্সলোনা, কিন্তু রাউন্ড ১৬-তে [[লিভারপুল ফুটবল ক্লাব|লিভারপুলের]] কাছে হেরে তাদেরকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়।
 
বার্সেলোনার ২০০৭–০৮ মৌসুম কোন প্রকার শিরোপা ছাড়াই শেষ হয়। তারা তৃতীয় স্থানে থেকে [[লা লিগা]] শেষ করে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের]] কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়।
 
===গার্দিওলা যুগ (২০০৮–২০১২)===
[[চিত্র:Pep Guardiola 2.1.jpg|thumb|right|220px|[[পেপ গার্দিওলা|পেপ গার্দিওলাকে]] বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।]]
২০০৮ সালের জুনে, [[ফ্রাংক রাইকার্ড|ফ্রাংক রাইকার্ডের]] স্থলাভিষিক্ত হন বার্সেলোনা বি দলের ম্যানেজার [[পেপ গার্দিওলা]]।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/noticies/destacades/n080508104104.html|title=Rijkaard until 30 June; Guardiola to take over|date=৮ মে ২০০৮|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩|publisher=এফসি বার্সেলোনা}}</ref> তিনি দলকে টিকি-টাকা কৌশলে খেলানো শুরু করেন, [[রোনালদিনিয়ো]] এবং ডেকোকে বিক্রয় করে [[জাভি হার্নান্দেজ|জাভি]], [[আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা|ইনিয়েস্তা]] এবং [[লিওনেল মেসি|মেসিদের]] নিয়ে দল গড়তে শুরু করেন।
 
২০০৯ কোপা দেল রে’র ফাইনালে, অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪–১ ব্যবধানে হারিয়ে ২৫তম বারের মত এই শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা। এর তিন দিন পরেই তারা [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] ৬–২ ব্যবধানে হারায় এবং লা লিগা শিরোপা জিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে]] ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে তারা ২০০৮–০৯ মৌসুমে ট্রেবল শিরোপা জিতে। এটিই ছিল কোন স্পেনীয় ক্লাবের প্রথম ট্রেবল জয়।<ref>{{cite web|url=http://soccernet.espn.go.com/columns/story?id=646187&sec=europe&root=europe&&cc=5739|title=One title closer to the treble|date=১৪ মে ২০০৯|publisher=ESPN|first=Eduardo|last=Alvarez|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{Cite news|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/europe/8060878.stm|title=Barcelona 2–0 Man Utd|date=২৭ মে ২০০৯|publisher=BBC Sport|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.thesportreview.com/tsr/2009/05/pep-guardiola-barcelona/|title=Pep Guardiola's love affair with Barça continues|date=১৯ মে ২০০৯|publisher=Thesportreview.com|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> এছাড়া তারা অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে ২০০৯ স্পেনীয় সুপার কোপা<ref>{{Cite news|title=Messi leads Barcelona to Spanish Supercup win|publisher=CNN Sports Illustrated. Associated Press|date=২৩ আগস্ট ২০০৯|url=http://sports.sportsillustrated.cnn.com/gold/story.asp?i=20090823224656240000201|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> এবং সাখতার দোনেত্‍স্ককে হারিয়ে ২০০৯ উয়েফা সুপার কাপ শিরোপাও জিতে।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.cat/web/english/futbol/temporada_09-10/arxiu_partits/supercopa_europa/final/jornada01/Barcelona_Shakhtar_Donetsk/partit.html|title=Barcelona vs Shakhtar Donetsk|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ডিসেম্বরে, আর্জেন্টাইন ক্লাব এস্তুদিয়ান্তেসকে হারিয়ে তারা [[ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ]] শিরোপা জিতে<ref>{{Cite book|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/8422908.stm|title = Barcelona beat Estudiantes to win the Club World Cup|publisher=BBC Sport|date=১৯ ডিসেম্বর ২০০৯|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> এবং এক পঞ্জিকাবর্ষে সাম্ভব্য ছয়টি শিরোপার সবকয়টি জেতার রেকর্ড গড়ে।<ref>{{cite web|url=http://www.fifa.com/worldfootball/news/newsid=1151676.html|title=The year in pictures|publisher=[[ফিফা]]|date=১৩ ডিসেম্বর ২০০৯|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ২০১০ সালে, স্পেনীয় ফুটবলে বার্সেলোনা দুইটি নতুন রেকর্ড গড়ে। তারা ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগা শিরোপা এবং তাদের নবম স্পেনীয় সুপার কোপা শিরোপা জিতে।<ref>{{cite web|last=Associated |first=The|url=http://www.google.com/hostednews/canadianpress/article/ALeqM5hTKYLfFVJSz8N1uam6zrvdyQGZqA|title=The Canadian Press: Messi's three goals as Barcelona wins record ninth Spanish Supercup|publisher=Canadian Press|date=২১ আগস্ট ২০১০|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩|archiveurl=http://web.archive.org/web/20100824072643/http://www.google.com/hostednews/canadianpress/article/ALeqM5hTKYLfFVJSz8N1uam6zrvdyQGZqA|archivedate=২৪ আগস্ট ২০১০}}</ref><ref>{{cite news|url=http://www.usatoday.com/sports/soccer/2010-05-16-barcelona-spanish-league-title_N.htm|title=Messi, Barcelona set records in Spanish league title repeat|work=USA Today|date=১৬ মে ২০১০|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
[[চিত্র:Lionel Messi Player of the Year 2011.jpg|thumb|left|220px|চারবারের [[ফিফা বালোঁ দ’অর|ফিফা]]/[[ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার|ব্যালন দি’অর]] জয়ী [[লিওনেল মেসি]] বার্সেলোনার হয়ে খেলছেন।]]
 
২০১০ সালের জুনে, জোয়ান লাপোর্তার প্রস্থানের পর সান্দ্রো রসেলকে ক্লাব প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এই নির্বাচন সংঘটিত হয় ১৩ জুন। নির্বাচনে তিনি মোট ভোটের ৬১.৩৫% পেয়ে নির্বাচিত হন।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/presidents/sandrorosell.html|title=Sandro Rosell i Feliu (2010–)|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> রসেল ভ্যালেন্সিয়া থেকে ডেভিড ভিয়াকে ৪০ মিলিয়ন ইউরো<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.cat/web/english/noticies/futbol/temporada09-10/05/19/n100519111099.html|title=Barca agree Villa move with Valencia|publisher=এফসি বার্সেলোনা|date=|accessdate=২৪ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> এবং [[লিভারপুল ফুটবল ক্লাব|লিভারপুল]] থেকে [[হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো|হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোকে]] ১৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ক্রয় করেন।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.cat/web/english/noticies/futbol/temporada10-11/08/27/n100827112582.html|title=Deal with Liverpool to sign Mascherano|publisher=এফসি বার্সেলোনা|date=২৭ আগস্ট ২০১০|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
২০১০ সালের নভেম্বরে, বার্সেলোনা তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] ৫–০ ব্যবধানে হারায়। ২০১০–১১ মৌসুমে ৯৬ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা টানা তৃতীয়বারের মত লা লিগা শিরোপা জিতে।<ref>{{cite news|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/13368064.stm|title=Barcelona secure La LigaSpanish title hat-trick|publisher=BBC Sport|date=১১ মে ২০১১|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ২০১১ সালের এপ্রিলে, কোপা দেল রে’র ফাইনালে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] বিপক্ষে ১–০ ব্যবধানে হেরে যায় তারা।<ref>{{cite web|url=http://www.skysports.com/football/match_report/0,19764,11065_3365041,00.html|title=Madrid clinch Copa del Rey|publisher=Sky Sports|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ২০১১ সালের ২৮ মে, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে]] ৩–১ ব্যবধানে হারায় বার্সেলোনা। এটি ছিল তাদের চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা।<ref>{{cite web|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/13576522.stm|title=Barcelona 3–1 Man Utd|publisher=BBC Sport|author=McNulty, Phil|date=২৮ মে ২০১১|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ২০১১ সালের আগস্টে, লা মাসিয়া উদ্ভাবিত [[সেস্‌ ফ্যাব্রিগাস|সেস্‌ ফ্যাব্রিগাসকে]] [[আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব|আর্সেনাল]] থেকে কিনে নেয় বার্সেলোনা, যিনি বার্সেলোনাকে স্পেনীয় সুপার কোপা জেতাতে সহায়তা করেন। এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে বার্সেলোনার মোট শিরোপা সংখ্যা দাড়ায় ৭৩-এ।<ref>{{cite web|url=http://www.marca.com/2011/08/17/futbol/equipos/barcelona/1313608792.html|title=El Barça iguala en títulos al Real Madrid|publisher=Marca|language=স্পেনীয়|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
২৬ আগস্ট, উয়েফা সুপার কাপে [[ফুটবল ক্লাব দু পোর্তো|পোর্তোকে]] ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে বার্সেলোনা। গোল দুইটি করেন [[লিওনেল মেসি]] এবং [[সেস্‌ ফ্যাব্রিগাস]]। এতে করে শিরোপা জয়ের দৌড়ে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] টপকে বার্সেলোনার মোট শিরোপা সংখ্যা দাড়ায় ৭৪-এ। এটি ছিল বার্সেলোনার ম্যানেজার হিসেবে [[পেপ গার্দিওলা|পেপ গার্দিওলার]] ১৫তম শিরোপা। যা ছিল বার্সেলোনার একজন ম্যানেজারের সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার রেকর্ড।<ref>{{cite web|url=http://www.sport.es/es/noticias/barca/20110827/pep-guardiola-supero-marca-johan-cruyff/1131117.shtml|title=Pep Guardiola superó la marca de Johan Cruyff|trans_title=ইয়োহান ক্রুইফকে টপকে গেলেন পেপ গার্দিওলা|publisher=Sport.es|author=Salinas, David|language=স্পেনীয়|date=২৭ আগস্ট ২০১১|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
[[চিত্র:FC Barcelona - Bayer 04 Leverkusen, 7 mar 2012 (18).jpg|thumb|right|220px|২০১২ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে বার্সেলোনা।]]
 
২০১১ সালের ডিসেম্বরে, [[ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ|ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ]] ব্রাজিলিয়ান ক্লাব স্যান্তোসকে ৪–০ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত এই শিরোপা জিতে বার্সেলোনা। খেলায় [[লিওনেল মেসি]] দুইটি এবং [[জাভি হার্নান্দেজ|জাভি]] ও [[সেস্‌ ফ্যাব্রিগাস|ফ্যাব্রিগাস]] একটি করে গোল করেন।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/football/first-team/detail/article/santos-fcb-legendary-barca-0-4|title=SANTOS-FCB: LegendaryBarça (0–4)|publisher=এফসি বার্সেলোনা|author=Clos, Jordi|date=১৮ ডিসেম্বর ২০১১|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> এতে করে গার্দিওলা যুগে বার্সেলোনার মোট শিরোপা সংখ্যা দাড়ায় ১৩।
 
বার্সেলোনার ২০১১–১২ মৌসুম শেষ হয় লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা ছাড়াই। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে [[চেলসি ফুটবল ক্লাব|চেলসির]] কাছে ১–০ ব্যবধানে হেরে যায় বার্সেলোনা। লা লিগায় [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১–২ ব্যবধানে পরাজিত হয় বার্সা। যা ঘরোয়া লীগের শিরোপা মোটামুটিভাবে নির্ধারন করে ফেলে।<ref>{{cite web|url=http://www.periscopepost.com/2012/04/how-chelsea-can-edge-past-barcelona-to-reach-the-uefa-champions-league-final/|title=How Chelsea can edge past Barcelona to reach the UEFA Champions’ League final|publisher=The Periscope|date=২৪ এপ্রিল ২০১২|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> [[চেলসি ফুটবল ক্লাব|চেলসির]] বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনা ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও খেলাটি শেষ হয় ২–২ সমতায়। খেলায় মেসি একটি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি মিস করেন। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩–২ ব্যবধানে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌছায় [[চেলসি ফুটবল ক্লাব|চেলসি]]।
 
এর কিছুদিন পরেই কোচ গার্দিওলা ঘোষনা করেন যে তিনি বার্সেলোনার সাথে চুক্তি নবায়ন করবেন না। ৩০ জুন তিনি কোচের পদ থেকে সরে দাড়াবেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হবেন সহকারী কোচ [[টিটো ভিলানোভা]]।<ref>{{cite web|url=http://soccernet.espn.go.com/news/story/_/id/1055094/pep-guardiola-to-part-company-with-barcelona---reports?cc=5901|title=Pep Guardiola to part company with Barcelona|publisher=ESPN Soccernet|date=২৬ এপ্রিল ২০১২|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.telegraph.co.uk/sport/football/teams/chelsea/9222641/Barcelona-v-Chelsea-Pep-Guardiola-keeps-calm-as-Nou-Camp-critics-question-selection-and-tactics.html|title=Barcelona v Chelsea: Pep Guardiola keeps calm as Nou Camp critics question selectionand tactics|publisher=The Telegraph|location=London|date=২৪ এপ্রিল ২০১২|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> কোপা দেল রে’র ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতার মাধ্যমে বার্সেলোনায় তার কার্যকালের ইতি টানেন [[পেপ গার্দিওলা|গার্দিওলা]]। তার অধীনে বার্সেলোনা মোট ১৪টি শিরোপা জিতে।
 
গার্দিওলার শিরোপাময় চারটি বছরে অনুপ্রানিত হয়ে ব্রিটিশ পরিচালক পল গ্রীনগ্র্যাস কাতালান জায়ান্টদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেন। এই তথ্যচিত্রের শিরোনাম দেওয়া হয় ‘‘বার্সা (Barça)’’। ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের পূর্বে এর কাজ সম্পন্ন হবে।<ref>{{cite web|url=http://www.insideworldsoccer.com/2012/05/hollywood-to-do-film-on-barcelona.html|title=Hollywood to do film on Barcelona|publisher=inside World Soccer|date=১৯ মে ২০১২|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
===ভিলানোভা যুগ (২০১২–বর্তমান)===
 
২০১২ সালের গ্রীষ্মে, বার্সেলোনা ঘোষনা করে যে সহকারি ম্যানেজার [[টিটো ভিলানোভা]], [[পেপ গার্দিওলা]]র স্থলাভিষিক্ত হবেন। টিটোর দায়িত্ব গ্রহনের পর [[স্পেনীয় সুপার কাপ|স্পেনীয় সুপার কাপে]] [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] বিপক্ষে পরাজিত হলেও, দূর্দান্তভাবে মৌসুম করে বার্সেলোনা। লীগে প্রথম ২৬ সপ্তাহে ২৩ খেলার মাত্র ১টিতে পরাজিত হয় তারা। এই সময়ে [[লিওনেল মেসি]] একাই ৩৪ গোল করেন। মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তারা দ্বিতীয় স্থানে থাকা [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] চেয়ে ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে যায়।
 
==সমর্থন==
 
স্পেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫% বার্সেলোনার সমর্থক এবং [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] সমর্থক প্রায় ৩২%।<ref>{{cite web|url=http://www.cis.es/cis/export/sites/default/-Archivos/Marginales/2700_2719/2705/Es2705mar_A.pdf|title=Ficha Técnica|trans_title=প্রায়োগিক|publisher=Centro de Investigaciones Sociológicas|format=PDF|date =মে ২০০৭|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩|language=স্পেনীয়}}</ref> সমগ্র ইউরোপ জুড়ে, বার্সেলোনা সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বিতীয়-পছন্দের ক্লাব।<ref>Chadwick, Simon; Arthur, Dave. pp. 4–5.</ref> ২০০৩–০৪ মৌসুমে ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ছিল ১০০,০০০। ২০০৯ সালে যা বেড়ে দাড়ায় ১৭০,০০০-এ।<ref name=socis>{{cite web|url=http://www.sport.es/es/noticias/barca/20090919/barcelona-tiene-170000-socios/813866.shtml|title=El FC Barcelona ya tiene 170.000 socios|publisher=SPORT.es|language=Spanish|date=১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯|first=Víctor|last=Aznar|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> সদস্যদের পাশাপাশি বার্সেলোনার কিছু নিবন্ধিত ফ্যান ক্লাব রয়েছে। জুন ২০১০ অনুযায়ী, বার্সেলোনার মোট নিবন্ধিত ফ্যান ক্লাবের সংখ্যা ১,৩৩৫। ফ্যান ক্লাবগুলো তাদের এলাকায় বার্সেলোনার প্রচারনা চালায় এবং বার্সেলোনা ভ্রমনের সময় লাভজনক প্রস্তাবনা পেয়ে থাকে।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/penyes/llistat_penyes/llistat_penyes.html|title=Penyes|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে অসংখ্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। যাদের মধ্যে ধর্মজাজক জন পল-২ এবং স্পেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জোসে লুইস রোদ্রিগুয়েজ জাপাতেরো উল্লেখযোগ্য।<ref>{{Cite news|url=http://pqasb.pqarchiver.com/washingtonpost/access/377088531.html?dids=377088531:377088531&FMT=ABS&FMTS=ABS:FT&type=current&date=Jul+29%2C+2003&author=Steven+Goff&pub=The+Washington+Post&desc=Barça+Isn%27t+Lounging+Around%3B+Storied+Catalonian+Club+Plots+Its+Return+to+the+Top|title=Barça Isn't Lounging Around; Storied Catalonian Club Plots Its Return to the Top|first=Steven|last=Goff|work=The Washington Post|date=২৯ জুলাই ২০০৩}}</ref><ref>{{Cite news|url=http://nation.ittefaq.com/issues/2008/07/02/news0376.htm|agency=Associated Press|title=Spain's football team welcomed by royals|work=The New Nation|accessdate=১০ আগস্ট ২০১০}}</ref> ইউরোপীয় ফুটবলে বার্সেলোনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড় উপস্থিতি রয়েছে। গড় উপস্থিতির দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে [[বরুসিয়া ডর্টমুন্ড]]।<ref>{{cite web|url=http://soccernet.espn.go.com/stats/attendance/_/league/ger.1/year/2010/german-bundesliga?cc=5901|title=German Bundesliga Stats: Team Attendance – 2010–11|publisher=ESPN Soccernet|date=১৯ মে ২০১১}}</ref><ref>{{cite web|url=http://arxiu.fcbarcelona.cat/web/english/noticies/club/temporada10-11/05/17/n110517117527.html|title=Camp Nou league attendances rise by 2.7%|publisher=এফসি বার্সেলোনা|date=১৯ মে ২০১১|accessdate=২৭ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
==দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীতা==
===এল ক্ল্যাসিকো===
 
একটি জাতীয় লীগে দুইটি সবচেয়ে শক্তিশালী দলের মধ্যে প্রচন্ড প্রতিদ্বন্দ্বীতা সাধারনত থাকেই। [[লা লিগা|লা লিগায়]] এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা বার্সেলোনা এবং [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] মধ্যে, যা এল ক্ল্যাসিকো নামে পরিচিত। জাতীয় প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই দল দুইটি স্পেনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজ্য কাতালুনিয়া এবং ক্যাস্তিলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা দুই রাজ্যের মধ্যকার রাজনৈতিক এবং সংস্কৃতিক উত্তেজনাকেও প্রতিফলিত করে।
 
প্রিমো দি রিভেরা এবং ফ্র্যান্সিস্কো ফ্রাংকোর [[একনায়কতন্ত্র|একনায়কতন্ত্রের]] সময় (১৯৩৯–১৯৭৫), [[স্পেন|স্পেনে]] সবধরনের আঞ্চলিক সংস্কৃতি দমিয়ে রাখা হয়েছিল। স্পেনীয় ভাষা ব্যতীত অন্য সকল ভাষা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ছিল।<ref>Kleiner-Liebau, Désirée. p. 70.</ref><ref>{{Cite news|author=Phil Ball|url=http://www.guardian.co.uk/football/2002/apr/21/championsleague.sport|title=The ancient rivalry of Barcelona and Real Madrid|publisher=The Guardian (London)|date=২১ এপ্রিল ২০০২|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> কাতালান জনগনের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছার প্রতীক বহন করার মাধ্যমে বার্সেলোনা কাতালানদের কাছে হয়ে ওঠে, ‘‘একটি ক্লাবের চেয়েও বেশি কিছু (Més que un club)’’। লেখক ম্যানুয়েল ভাজকুয়েজ মনটালব্যানের তথ্য অনুসারে, কাতালানদের পরিচয় প্রদর্শনের সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া। ফ্রাংকো বিরোধী গোপন কোন আন্দোলনের চেয়ে এটি ছিল কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটি তাদেরকে তাদের মতপার্থক্য প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি করে দিত।<ref>Spaaij, Ramón. p. 251.</ref>
 
অন্যদিকে, [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদকে]] দেখা যায়, সার্বভৌমত্ব কেন্দ্রীকরন এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রনয়নের প্রতিমূর্তিরূপে।<ref>{{Cite news|url=http://www.time.com/time/arts/article/0,8599,1697027,00.html|title=Barcelona vs. Real Madrid: More Than a Game|date=২০ ডিসেম্বর ২০০৭|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩|work=Time|author=Abend, Lisa}}</ref><ref>{{Cite news|url=http://www.guardian.co.uk/football/2001/mar/26/newsstory.sport13|title=Morbo: The Story of Spanish Football by Phil Ball (London: WSC Books, 2001)|date=২৬ মার্চ ২০০১|accessdate=২৯ জানুয়রি ২০১৩|work=The Guardian|author=Lowe, Sid}}</ref> স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের সময় ইয়োসেপ সানিওল এবং রাফায়েল স্যানচেজ গুয়েরার মত উভয় দলেরই কিছু সদস্য ফ্রাংকো সমর্থকদের হাতে ভুক্তভোগী হয়েছিল।
 
১৯৫০ এর দশকে, [[আলফ্রেডো ডি স্টিফানো|আলফ্রেডো ডি স্টিফানোর]] ট্রান্সফার নিয়ে ওঠা বিতর্ক দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যিনি শেষপর্যন্ত [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদে]] খেলেন এবং পরবর্তীতে তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ছিলেন।<ref>Burns, Jimmy. pp. 31–34.</ref> ১৯৬০ এর দশকে, তাদের এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা ইউরোপীয় পর্যায়ে পৌছায়, যখন তারা ইউরোপীয় কাপের নক-আউট পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়।<ref name="rsssf1">{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tablesb/barcamadrid.html|title=FC Barcelona vs Real Madrid CF since 1902|publisher=Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation|date=৩১ জানুয়ারি ২০০০|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩|author=García, Javier}}</ref>
 
===বার্সেলোনা ডার্বি===
 
বার্সেলোনার সবসময়কার স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এস্প্যানিওল। এটি সেসব দলগুলোর মধ্যে একটি, যেগুলোকে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয় এবং এটি একচেটিয়াভাবে স্পেনীয় ফুটবলপ্রেমীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ক্লাবটির প্রতিষ্ঠা বার্তা পরিষ্কারভাবে বার্সেলোনা বিরোধী ছিল এবং তারা বার্সেলোনাকে বিদেশীদের ক্লাব হিসেবে দেখত।<ref name="Ball, Phil. pp. 86-87"/> এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা আরও জোড়দার হয়, যখন কাতালানরা এটিকে মাদ্রিদের উত্তেজক প্রতিনিধি হিসেবে দেখে। তাদের আসল মাঠ ছিল সমৃদ্ধশালী জেলা স্যারিয়ায়।<ref>{{cite web|url=http://hemeroteca.lavanguardia.com/preview/1901/04/09/pagina-2/33398307/pdf.html|title=Edición del martes, 09 abril 1901, página 2 – Hemeroteca – Lavanguardia.es|language=স্পেনীয়|publisher=Hemeroteca Lavanguardia|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.rcdespanyol.cat/principal.php?modulo=estatico&idcontenido=8&idmenu=2&idsubmenu=22&nombremodulo=dates&idlinkchk=21|title=History of Espanyol|publisher=RCD Espanyol|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
ফ্রাংকোর শাসনামলে, বার্সেলোনার অধিকাংশ নাগরিক এস্প্যানিওলকে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি এক ধরনের সম্মতির চর্চাকারী ক্লাব হিসেবে দেখেছিল, যা ছিল বার্সেলোনার বিপ্লবী আত্মার সম্পূর্ণ বিপরীত।<ref>{{cite web|url=http://www.iss.europa.eu/index.php?id=18&no_cache=1&L=1&tx_ttnews%5Bpointer%5D=41&tx_ttnews%5Btt_news%5D=697&tx_ttnews%5BbackPid%5D=232&tx_ttnews%5Bpage%5D=1&cHash=2becc765c6|title=European football cultures and their integration: the 'short' Twentieth Century|date=মার্চ ২০১২|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩|work=Europa (web portal)|author=Missiroli, Antonio}}</ref> ১৯১৮ সালে, এস্প্যানিওল স্বায়ত্তশাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা-আবেদন শুরু করে, যা সেসময়ের একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় হয়ে উঠেছিল।<ref name="Ball, Phil. pp. 86-87">Ball, Phil. pp. 86–87.</ref> পরবর্তীতে, স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের সময় এস্প্যানিওল সমর্থকদের একটি গ্রুপ ফ্যাসিবাদীদের পক্ষ নিয়ে, ফালাঞ্জীদের সাথে যোগ দেয়। মতাদর্শের মধ্যে এমন পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, উদ্দেশ্যজনিত পার্থক্যের কারনে, এই ডার্বি বার্সেলোনার চেয়ে এস্প্যানিওল সমর্থকদের কাছে বেশি প্রাসঙ্গিক। এস্প্যানিওল তাদের দাপ্তরিক নাম এবং থিম সংগীত [[কাতালান ভাষা|কাতালান ভাষায়]] অনুবাদ করার কারনে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এই প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যে রাজনীতি অনেকটাই কমে এসেছে।<ref name="Ball, Phil. pp. 86-87"/>
 
যদিও [[লা লিগা|লা লিগার]] ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বেশিবার খেলা ডার্বি, এটিই সবচেয়ে অসম, যেখানে বার্সেলোনা সিংহভাগ কর্তৃত্বপূর্ণ। [[লা লিগা|লা লিগায়]] ৭০ বারের মুখোমুখিতে মাত্র তিনবার বিজয়ী হতে পেরেছে এস্প্যানিওল। ১৯৫১ সালে, বার্সেলোনাকে ৬–০ ব্যবধানে হারায় এস্প্যানিওল, যা তাদের কাছে সান্তনাস্বরূপ। সর্বশেষ ২০০৮–০৯ মৌসুমে, বার্সেলোনাকে ১–২ ব্যবধানে হারায় তারা। বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ের মৌসুমে, [[ক্যাম্প ন্যু]]-তে এটিই ছিল তাদের প্রথম পরাজয়।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/futbol/temporada_08-09/arxiu_partits/lliga/jornada24/Barcelona_Espanyol/partit.html |title=Matchday 24|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=২৯ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
==আর্থিক সংস্থান এবং মালিকানা==
 
২০১০ সালে, [[ফোর্বস]] বার্সেলোনার মূল্য নির্ধারন করে প্রায় ৭২০ মিলিয়ন ইউরো এবং তালিকায় তাদেরকে [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড]], [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] ও [[আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব|আর্সেনালের]] পেছনে চতুর্থ অবস্থানে রাখে। এই তালিকাটি করা হয়েছিল ২০০৮–০৯ মৌসুমের পরিসংখ্যান থেকে।<ref>{{cite news|url=http://www.forbes.com/2010/04/21/soccer-value-teams-business-sports-soccer-10-intro.html|title=The Business Of Soccer|work=Forbes|date=২১ এপ্রিল ২০১০|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref><ref>{{cite news|url=http://www.forbes.com/lists/2010/34/soccer-10_Soccer-Team-Valuations_Rank.html|title=Soccer Team Valuations|work=Forbes|date=৩০ জুন ২০০৯|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ডেলোইটের তথ্য অনুসারে, একই সময়ে বার্সেলোনার মোট আয় ছিল ৩৬৬ মিলিয়ন ইউরো। এই তালিকায় বার্সেলোনা [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] পেছনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল, যাদের আয় ছিল ৪০১ মিলিয়ন ইউরো।<ref>{{cite web|url=http://www.deloitte.com/view/en_GB/uk/industries/sportsbusinessgroup/d039400401a17210VgnVCM100000ba42f00aRCRD.htm|title=Real Madrid becomes the first sports team in the world to generate €400m in revenues as it tops Deloitte Football Money League|publisher=Deloitte|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
[[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]], অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং ওসাসুনার মত বার্সেলোনাও একটি নিবন্ধিত সংস্থা হিসেবে সংগঠিত হয়। এটি কোন [[লিমিটেড কোম্পানি|লিমিটেড কোম্পানির]] মত নয়। ক্লাবের শেয়ার ক্রয় করা সম্ভব না হলেও, সদস্যপদ পাওয়া সম্ভব।<ref>Peterson, Marc p. 25.</ref> ২০১০ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার মোট নিবন্ধিত সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭০,০০০।<ref name=socis />
 
২০১০ সালের জুলাইয়ে, ডেলোইট একটি নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ করে, বার্সেলোনার মোট ঋণের পরিমান ৪৪২ মিলিয়ন ইউরো। বার্সেলোনার নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি এই ঋণের কারন হিসেবে সাংগঠনিক সমস্যাকে তুলে ধরে।<ref>{{Cite news|url=http://af.reuters.com/article/sportsNews/idAFJOE66Q0H720100727|title=Barcelona audit uncovers big 2009/10 loss|publisher=Reuters|date=২৭ জুলাই ২০১০|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ঐ বছর বার্সেলোনার [[লা লিগা]] শিরোপা জেতার পরও প্রায় ৭৯ মিলিয়ন ইউরো লোকসানের খবর ছড়িয়ে পড়ে।<ref>{{cite news |title=Rosell announces record Barcelona loss, lawsuit against Laporta|author=Shaw, Duncan|url=http://www.monstersandcritics.com/news/europe/news/article_1591876.php/Rosell-announces-record-Barcelona-loss-lawsuit-against-Laporta|work=Monsters and Critics|date=১০ অক্টোবর ২০১০|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
২০১১ সালে, বার্সেলোনার স্থূল ঋণের পরিমান দাড়ায় ৪৮৩ মিলিয়ন ইউরো এবং নিট ঋণের পরিমান দাড়ায় ৩৬৪ মিলিয়ন ইউরো।<ref>{{cite web|url=http://soccernet.espn.go.com/news/story/_/id/926957/barcelona-announce-%E2%82%AC45m-transfer-budget?cc=5901|title=Barca announce €45m budget|publisher=ESPN|date=৯ জুন ২০১১|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> সবধরনের খেলাধুলায় বিশ্বের পেশাদার দলগুলোর মধ্য খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি গড় পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে বার্সেলোনা।<ref>{{cite web|url=http://sports.espn.go.com/espn/news/story?id=6354899|title=ESPN The Magazine – The Money Issue – 200 Best-Paying Teams in the World|publisher=ESPN|date=২০ এপ্রিল ২০১১|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
==রেকর্ডসমূহ==
 
বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বেশি খেলায় মাঠে নেমেছেন [[জাভি হার্নান্দেজ|জাভি]] (৬৫৯)। তিনি বার্সেলোনার হয়ে [[লা লিগা|লা লিগায়ও]] সবচেয়ে বেশি খেলায় মাঠে নেমেছেন (৪৩৫)। আগের রেকর্ডটি ছিল মিগুএলির (৩৯১)।<ref name=records>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.cat/web/english/club/historia/records/rec_individuals.html|title=FC Barcelona Records (Team & Individual Records)|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
প্রীতি খেলাসহ সবধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা পাওলিনো আলকান্তারা (৩৬৯ গোল)।<ref name=records /><ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/football/first-team/detail/article/messi-one-goal-away-from-cesar-s-record|title=Messi one goal away from Cesar's record, fcbarcelona.com, 19 March 2012|publisher=এফসি বার্সেলোনা|date=১৯ মার্চ ২০১২|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> প্রীতি খেলা ছাড়া, সবধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা [[লিওনেল মেসি]] (২৯৭)। তিনি ইউরোপীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা<ref>{{cite news|title=Lionel Messi Becomes Barcelona's All-time Record Goal Scorer|url=http://www.telegraph.co.uk/sport/football/players/lionel-messi/9157015/Lionel-Messi-becomes-Barcelonas-all-time-record-scorer.html|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩|location=London|work=The Telegraph|date=২১ মার্চ ২০১২}}</ref> এবং [[লা লিগা|লা লিগায়ও]] ২০২ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা। বার্সেলোনার হয়ে মাত্র চারজন খেলোয়াড় লা লিগায় ১০০ গোলের মাইলফলক টপকাতে পেরেছেন: [[লিওনেল মেসি]] (২০২), সিজার রদ্রিগুয়েজ (১৯২), ল্যাদিসল্যাও কুবালা (১৩১), [[স্যামুয়েল ইতো]] (১০৮)।
 
২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, স্যান্তেন্দারের বিপক্ষে মেসি একটি গোল করেন, যা ছিল বার্সেলোনার ৫০০০তম লীগ গোল। খেলায় বার্সা ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।<ref>{{cite web|url=http://www.fifa.com/worldfootball/clubfootball/news/newsid=1012195.html |title=Messi propels 5,000-goal Barcelona|publisher=FIFA|date=১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে এস্তুদিয়ান্তেসকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ সম্ভব ছয়টি শিরোপার সবকয়টি জেতার রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা।<ref>{{cite web|url=http://www.fifa.com/worldfootball/statisticsandrecords/news/newsid=1151723.html|title=Kings, queens and a young prince|publisher=FIFA|date=২৩ ডিসেম্বর ২০০৯|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
বার্সেলোনার ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল ১২০,০০০, ১৯৮৬ সালের ৩ মার্চ, জুভেন্টাসের বিপক্ষে ইউরোপীয় কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালের খেলায়।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/web/english/club/historia/records/rec_colectius.html|title=Records|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> ১৯৯০-এর দশকে [[ক্যাম্প ন্যু]]-এর আধুনিকিকরনের পর এই রেকর্ড ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। স্টেডিয়মটির বর্তমান ধারন ক্ষমতা ৯৯,৩৫৪।<ref>{{cite web|url=http://arxiu.fcbarcelona.cat/web/english/club/club_avui/informacio_corporativa/barca_enxifres/barca_enxifres.html|title=FC Barcelona Information|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
==ক্রেস্ট এবং শার্ট==
 
[[চিত্র:Barcelonacrest.jpeg|thumb|left|বার্সেলোনার প্রথম ক্রেস্ট]]
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্লাবের নিজস্ব ক্রেস্ট ছিল, যা ক্লাবের খেলোয়াড়গন নিজেদের শার্টে পরিধান করতেন। ক্লাবের প্রথম ক্রেস্ট ছিল চার ভাগে বিভক্ত হীরক আকৃতির, যার উপরে ছিল একটি মুকুট এবং মুকুটের উপরে ছিল একটি বাদুর। ক্রেস্টটির দুই পাশ ছিল দুইটি শাখা দিয়ে ঘেরা, একটি গুল্ম জাতীয় বৃক্ষের এবং অন্যটি তাল জাতীয় বৃক্ষের।<ref name=crest>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/club/identity/detail/card/the-crest|title=The crest|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩|publisher=এফসি বার্সেলোনা}}</ref> ১৯১০ সালে, ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিষদ নতুন ক্রেস্ট ডিজাইন করার জন্য ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন ক্লাবেরই খেলোয়াড় কার্লোস কোমামালা। কোমামালার ডিজাইন এবং বার্সেলোনার বর্তমান ক্রেস্টের ডিজাইনের মধ্য খুব সামান্যই পার্থক্য রয়েছে। তার ডিজাইনে ক্রেস্টের উপরের অংশে বাঁদিকে ছিল সেন্ট জর্জের ক্রুশ ও ডানদিকে ছিল কাতালান পতাকা এবং নিচের অংশে ছিল দলীয় রং।<ref name="crest" />
 
[[চিত্র:FC Barcelona crest at the time of Franco.jpeg|thumb|right|ফ্রাংকোর একনায়কতন্ত্রের সময় বার্সেলোনার ক্রেস্ট]]
১৯১০ সালের পর থেকে ক্রেস্টের তেমন কোন পরিবর্তন না করা হলেও, ফ্রাংকোর শাসনামলে এর উপর লেখা এফসিবি পরিবর্তন করে সিএফবি বসিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭৪ সালে ফ্রাংকোর একনায়কতন্ত্রের অপসান ঘটলে, ১৯১০ সালের ক্রেস্টটি পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। বার্সেলোনার বর্তমান ক্রেস্টটি ক্ল্যারেট সিরাহিমার ডিজাইন করা। এটি ডিজাইন করা হয় ২০০২ সালে।<ref name=crest />
 
নীল এবং লাল রং-এর শার্ট প্রথম পরিহিত হয় ১৯০০ সালে, হিসপ্যানিয়ার বিরুদ্ধে খেলায়।<ref>Ball, Phil p. 90.</ref> বার্সেলোনার শার্টের লাল এবং নীল রং-এর ডিজাইনের জন্য বহু প্রতিদ্বন্দ্বী তত্ত্ব প্রকাশিত হয়। বার্সেলোনার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আর্থর উইটির পুত্র দাবী করেন, এই পরিকল্পনাটি ছিল তার বাবার। লেখক টনি স্ট্রাবেলের মতে, রংগুলো প্রথম ফরাসি প্রজাতন্ত্র থেকে নেওয়া। তবে কাতালানদের সাধারন উপলব্ধি হল, রংগুলো জোয়ান গাম্পারের পছন্দ করা, যা তার ঘরের দল এফসি বাসেলের।
 
বার্সেলোনার কর্পোরেট স্পন্সরশীপ এড়িয়ে চলার অনেক লম্বা ইতিহাস রয়েছে। ২০০৬ সালের ১৪ জুলাই, বার্সেলোনা [[ইউনিসেফ|ইউনিসেফের]] সাথে পাঁচ বছরের চুক্তির কথা ঘোষনা করে। তাদের শার্টে [[ইউনিসেফ|ইউনিসেফের]] লোগো স্থাপন এই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত ছিল। এছাড়া এফসি বার্সেলোনা ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইউনিসেফকে প্রতি বছর ১.৫ মিলিয়ন ইউরো অনুদানের বিষয়টিও এই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত ছিল। এফসি বার্সেলোনা ফাউন্ডেশন স্থাপিত হয় ১৯৯৪ সালে, ক্লাবের অর্থনৈতিক কমিটির তত্‍কালীন চেয়ায়ম্যান জেইমি গিল-আলুজার পরামর্শে। এই ফাউন্ডেশন স্থাপিত হয় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আকৃষ্ট করার জন্য, যারা অলাভজনক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
 
২০১১–১২ মৌসুম শুরুর পূর্বে বার্সেলোনা কর্পোরেট স্পন্সরশীপের প্রতি তাদের অনীহা প্রত্যাখ্যান করে এবং কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের সাথে ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পাঁচ বছরের চুক্তি সাক্ষর করে। যার ফলে ২০১১–১২ এবং ২০১২–১৩ মৌসুমে বার্সার শার্টে ‘‘কাতার ফাউন্ডেশন’’ লেখা ছিল, যা ২০১৩–১৪ মৌসুমে ‘‘কাতার এয়ারওয়েজ’’ লেখা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।<ref>{{cite web|url=http://www.football-shirts.co.uk/fans/barcelona-qatar-airways-new-sponsor_17399|title=New Shirt Sponsor For Barcelona 13/14 – Qatar Airways|publisher=Football-shirts.co.uk|date=১৭ নভেম্বর ২০১২|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
{| class="wikitable" style="text-align: center"
|-
!সময়কাল
!সজ্জা প্রস্তুতকারক
!শার্ট অংশীদার
|-
|১৯৮২–১৯৯২
|| মেইবা
|rowspan=3|<small>''নেই''</small>
|-
|১৯৯২–১৯৯৮
|| ক্যাপ্পা
|-
|১৯৯৮–২০০৬
|rowspan=4| [[নাইকি]]
|-
|২০০৬–২০১১
|| [[ইউনিসেফ]]
|-
|২০১১–২০১৩
|| কাতার ফাউন্ডেশন, [[ইউনিসেফ]]
|-
|২০১৩–
|| কাতার এয়ারওয়েজ, [[ইউনিসেফ]]
|}
 
==স্টেডিয়াম==
{{Main|ক্যাম্প ন্যু}}
[[File:Chelsea on Tour - Barcelona 311006.jpg|left|thumb|দর্শক ভর্তি ক্যাম্প ন্যু]]
বার্সেলোনার প্রথম স্টেডিয়াম ছিল ক্যাম্প দি লা ইন্দাস্ত্রিয়া। এর ধারন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৬,০০০। ক্লাবের কর্মকর্তাগন ক্রমবর্ধমান সদস্যদের জন্য এর সুযোগ সুবিধা অপর্যাপ্ত বলে গন্য করেন।<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.cat/web/catala/noticies/club/temporada08-09/03/n090314107593.html|publisher=এফসি বার্সেলোনা|title=Cent anys del camp de la Indústria|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩|date=১৪ মার্চ ২০০৯|author=Santacana, Carles|language=কাতালান}}</ref>
 
১৯২২ সালে, ক্লাবের সমর্থকদের সংখ্যা ২০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। তারা ক্লাবটিকে অর্থেনৈতিক সহযোগিতা দেয়, যার ফলে বার্সেলোনা ক্যাম্প দি লেস কোর্তস্ স্টেডিয়াম তৈরির সক্ষমতা অর্জন করে, যার প্রাথমিক ধারন ক্ষমতা ছিল ২০,০০০। স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের পর, বার্সেলোনা স্টেডিয়ামে আরও বেশি সংখ্যক দর্শক আকৃষ্ট করতে শুরু করে। ফলে ক্লাবটিকে একাধিকবার স্টেডিয়ামের সম্প্রসারন প্রকল্প হাতে নিতে হয়: ১৯৪৪ সালে গ্যালারির ছাউনিযুক্ত দিকে, ১৯৪৬ সালে দক্ষিন গ্যালারি এবং সর্বশেষ ১৯৫০ সালে উত্তর গ্যালারি সম্প্রসারিত করা হয়। সর্বশেষ সম্প্রসারনের পর স্টেডিয়ামের দর্শক ধারন ক্ষমতা হয় ৬০,০০০।<ref name="fcbarcelona6">{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.cat/web/english/club/club_avui/territori_barca/CampNou/intro_historica.html|title=Brief history of Camp Nou|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=৩১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref> নির্মানকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর লেস কোর্তস্ স্টেডিয়ামের সম্প্রসারন আর সম্ভব ছিল না। ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে পরপর দুইবার [[লা লিগা]] শিরোপা জয় এবং ল্যাদিসলাও কুবালার সাথে চুক্তি, যিনি পরবর্তিতে ২৫৬ খেলায় ১৯৬ গোল করেছিলেন, বার্সেলোনার স্টেডিয়ামে দর্শক সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।<ref name="fcbarcelona6"/><ref>Farred, Grant. p. 124.</ref><ref>Eaude, Michael. p. 104.</ref> ফলে বার্সেলোনা নতুন একটি স্টেডিয়ামের জন্য পরিকল্পনা শুরু করে।<ref name="fcbarcelona6"/> [[ক্যাম্প ন্যু]]-এর নির্মানকাজ শুরু হয় ১৯৫৪ সালের ২৮ মার্চ। প্রায় ৬০,০০০ বার্সা সমর্থকদের সামনে স্টেডিয়ামের প্রথম প্রস্তর স্থাপন করেন গভর্নর ফিলাইপ একিডো কলুঙ্গা। নির্মানকাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগে তিন বছর। কাজ শেষ হয় ১৯৫৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। স্টেডিয়ামটির নির্মানকাজে মোট ব্যয় হয় ২৮৮ মিলিয়ন স্পেনীয় পেসেতা, যা ছিল মূল বাজেটের ৩৩৬% বেশি।<ref name="fcbarcelona6"/>
 
[[File:Camp nou mès que un club.JPG|right|thumb|The words "Més que un club" are painted in yellow on the blue seats of the stadium|[[ক্যাম্প ন্যু]]-এর একটি গ্যালারিতে দলীয় নীতিবাক্য "Més que un club" লেখা আছে, যার অর্থ ‘‘একটি ক্লাবের চেয়েও বেশি’’।]]
১৯৮০ সালে, উয়েফার নীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য স্টেডিয়ামটি পুনরায় ডিজাইন করার প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রত্যেকটি ইটে সামান্য অর্থের বিনিময়ে সমর্থকদের নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার সুযোগ প্রদান করে বার্সেলোনা অর্থ সংগ্রহ করে। এই পরিকল্পনাটি সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং অসংখ্য সমর্থক এই অর্থ পরিশোধ করে। পরে এটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়, যখন মাদ্রিদের সংবাদ মাধ্যম প্রচার করে যে স্টেডিয়ামের একটি ইটে [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদের]] প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং ফ্রাংকো সমর্থক স্যান্তিয়াগো বের্ন্যাব্যু’র নাম লেখা রয়েছে।<ref>Ball, Phil pp. 20–21.</ref><ref>Ball, Phil pp. 121–22.</ref><ref>Murray, Bill; Murray, William J.. p. 102.</ref> ১৯৯২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রস্তুতি হিসেবে পূর্ব রুফলাইনের উপর দুইটি স্তর স্থাপন করা হয়।<ref>Snyder, John. pp. 81–2.</ref> স্টেডিয়ামটির বর্তমান দর্শক ধারন ক্ষমতা ৯৯,৩৫৪, যা ইউরোপের বৃহত্তম স্টেডিয়াম।
 
==সম্মাননা==
২৫ মে ২০১২ অনুযায়ী, বার্সেলোনা ২১টি [[লা লিগা]], ২৬টি [[কোপা দেল রে]], ১০টি [[স্পেনীয় সুপার কাপ]], ৩টি কোপা ইভা দুয়ার্তে এবং ২টি কোপা দি লা লিগা শিরোপা জিতেছে। ইউরোপীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা ৪টি [[উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ|চ্যাম্পিয়ন্স লীগ]], ৪টি [[উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ]], ৪টি [[ইউরোপীয়ান সুপার কাপ]] এবং ২টি [[ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ]] শিরোপা জিতেছে। এছাড়া তারা তিনবার ইন্টার সিটিজ ফেয়ার্স কাপ শিরোপাও জিতেছে।
 
বার্সেলোনাই একমাত্র ইউরোপীয় ক্লাব যারা ১৯৫৫ সালের পর থেকে প্রতি মৌসুমেই মহাদেশীয় ফুটবলে অংশগ্রহন করেছে এবং [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] ও অ্যাথলেটিকো বিলবাও-এর সাথে তাদেরও কখনও [[লা লিগা]] থেকে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটেনি। ২০০৯ সালে, বার্সেলোনা প্রথম স্পেনীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল শিরোপা জয় করে এবং ঐ বছর ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম ক্লাব হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে সাম্ভব্য ছয়টি শিরোপার সবকয়টি জিতে রেকর্ড গড়ে। ঐ বছর বার্সেলোনার শিরোপা তালিকায় ছিল: [[লা লিগা]], [[কোপা দেল রে]], [[স্পেনীয় সুপার কাপ]], [[উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ|উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ]], [[ইউরোপীয়ান সুপার কাপ]] এবং [[ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ]]।
 
===ঘরোয়া প্রতিযোগিতা===
* '''[[লা লিগা]]'''<ref>{{cite web|url=http://www.lfp.es/Default.aspx?tabid=113&Controltype=EvHist&id=1&tmpd=28&tmph=110&e1=5&e2=&e3=&e4=|title=Evolution 1929–10|publisher=LFP|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
:'''বিজয়ী (২১):''' ১৯২৯, ১৯৪৪–৪৫, ১৯৪৭–৪৮, ১৯৪৮–৪৯, ১৯৫১–৫২, ১৯৫২–৫৩, ১৯৫৮–৫৯, ১৯৫৯–৬০, ১৯৭৩–৭৪, ১৯৮৪–৮৫, ১৯৯০–৯১, ১৯৯১–৯২, ১৯৯২–৯৩, ১৯৯৩–৯৪, ১৯৯৭–৯৮, ১৯৯৮–৯৯, ২০০৪–০৫, ২০০৫–০৬, ২০০৮–০৯, ২০০৯–১০, ২০১০–১১
 
: ''রানার-আপ (২৩):'' ১৯২৯–৩০, ১৯৪৫–৪৬, ১৯৫৩–৫৪, ১৯৫৪–৫৫, ১৯৫৫–৫৬, ১৯৬১–৬২, ১৯৬৩–৬৪, ১৯৬৬–৬৭, ১৯৬৬–৬৭, ১৯৭০–৭১, ১৯৭২–৭৩, ১৯৭৫–৭৬, ১৯৭৬–৭৭, ১৯৭৭–৭৮, ১৯৮১–৮২, ১৯৮৫–৮৬, ১৯৮৬–৮৭, ১৯৮৮–৮৯, ১৯৯৬–৯৭, ১৯৯৯–০০, ২০০৩–০৪, ২০০৬–০৭, ২০১১–১২
* '''[[কোপা দেল রে]]'''
 
:'''বিজয়ী (২৬):''' ১৯০৯–১০, ১৯১১–১২, ১৯১২–১৩, ১৯১৯–২০, ১৯২১–২২, ১৯২৪–২৫, ১৯২৫–২৬, ১৯২৭–২৮, ১৯৪১–৪২, ১৯৫০–৫১, ১৯৫১–৫২, ১৯৫২–৫৩, ১৯৫৬–৫৭, ১৯৫৮–৫৯, ১৯৬২–৬৩, ১৯৬৭–৬৮, ১৯৭০–৭১, ১৯৭৭–৭৮, ১৯৮০–৮১, ১৯৮২–৮৩, ১৯৮৭–৮৮, ১৯৮৯–৯০, ১৯৯৬–৯৭, ১৯৯৭–৯৮, ২০০৮–০৯, ২০১১–১২
 
: ''রানার-আপ (১০):'' ১৯০১–০২, ১৯১৮–১৯, ১৯৩১–৩২, ১৯৩৫–৩৬, ১৯৫৩–৫৪, ১৯৭৩–৭৪, ১৯৮৩–৮৪, ১৯৮৫–৮৬, ১৯৯৫–৯৬, ২০১০–১১
 
* '''[[স্পেনীয় সুপার কাপ]]'''<ref name="rsssf2">{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tabless/spansupcuphist.html|author=Carnicero, José; Torre, Raúl; Ferrer, Carles Lozano|title=Spain – List of Super Cup Finals|publisher=RSSSF|date=২৮ আগস্ট ২০০৯|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
:'''বিজয়ী (১০):''' ১৯৮৩, ১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৯, ২০১০, ২০১১
 
: ''রানার-আপ (৮):'' ১৯৮৫, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৩, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০১২
 
* '''কোপা ইভা দুয়ার্তে'''<ref>{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tabless/spansupcuphist.html|title=List of Super Cup Finals|publisher=RSSSF|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
: '''বিজয়ী (৩):''' ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৩
 
: ''রানার-আপ (২):'' ১৯৪৯, ১৯৫১
 
* '''কোপা দি লা লিগা'''<ref>{{cite web|url=http://www.rsssf.com/tabless/spanleagcuphist.html|author=Torre, Raúl|title=Spain – List of League Cup Finals|publisher=RSSSF|date=২৯ জানুয়ারি২০০৯|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
: '''বিজয়ী (২):''' ১৯৮২–৮৩, ১৯৮৫–৮৬
 
===ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা===
 
* '''[[উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ|ইউরোপীয় কাপ/উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ]]'''<ref>{{cite web|url=http://www.uefa.com/uefachampionsleague/history/index.html|title=Champions League history|publisher=UEFA|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
: '''বিজয়ী (৪):''' ১৯৯১–৯২, ২০০৫–০৬, ২০০৮–০৯, ২০১০–১১
 
: ''রানার-আপ (৩):'' ১৯৬০–৬১, ১৯৮৫–৮৬, ১৯৯৩–৯৪
 
* '''[[উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ|ইউরোপীয়/উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ]]'''<ref>{{cite web|url=http://en.archive.uefa.com/competitions/ecwc/index.html|title=UEFA Cup Winners' Cup|publisher=UEFA|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
: '''বিজয়ী (৪):'' ১৯৭৮–৭৯, ১৯৮১–৮২, ১৯৮৮–৮৯, ১৯৯৬–৯৭
 
: ''রানার-আপ (২):'' ১৯৬৮–৬৯, ১৯৯০–৯১
 
* '''ইন্টার সিটিজ ফেয়ার্স কাপ'''
 
: '''বিজয়ী (৩):''' ১৯৫৫–৫৮, ১৯৫৮–৬০, ১৯৬৫–৬৬
 
: ''রানার-আপ (১):'' ১৯৬১–৬২
 
* '''[[উয়েফা সুপার কাপ|ইউরোপীয়/উয়েফা সুপার কাপ]]'''<ref>{{cite web|url=http://en.archive.uefa.com/competitions/supercup/history/index.html|title=UEFA Super Cup|publisher=UEFA|accessdate=১ জানুয়ারি ২০১৩}}</ref>
 
: '''বিজয়ী (৪):''' ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৯, ২০১১
 
: ''রানার-আপ (৪):'' ১৯৭৯, ১৯৮২, ১৯৮৯, ২০০৬
 
===বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা===
 
*'''[[ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ]]'''<ref>{{cite web|url=http://www.fifa.com/tournaments/archive/tournament=107/index.html|title=Tournaments|publisher=FIFA|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
:'''বিজয়ী (২):''' ২০০৯, ২০১১
 
:''রানার-আপ (১):'' ২০০৬
 
*'''[[ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ (ফুটবল)|ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ]]'''
:''রানার-আপ (১):'' ১৯৯২
 
==খেলোয়াড়গন==
 
===বর্তমান দল===
৩১ ডিসেম্বর ২০১২.<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/football/first-team/staff|title=2012–13 season|publisher=এফসি বার্সেলোনা|accessdate=১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref>
<!-- শুধুমাত্র বার্সেলোনার অফিসিয়াল খেলোয়াড়দের এই তালিকায় রাখবেন। উপরে দেওয়া উত্‍স থেকে এই তালিকা পেতে পারেন। বি-দলের খেলোয়াড়দের কোন কোন খেলায় মাঠে নামতে পারে, তার মানে এই না যে তারা মূল দলের খেলোয়াড়। -->
 
{{Fs start}}
{{Fs player|no= ১|pos=GK|nat=ESP|name=[[ভিক্টর ভ্যালদেস]]|other=৩য় অধিনায়ক}}
{{Fs player|no= ২|pos=DF|nat=BRA|name=[[দানি আলভেজ]]}}
{{Fs player|no= ৩|pos=DF|nat=ESP|name=[[হেরার্দ পিকে]]}}
{{Fs player|no= ৪|pos=MF|nat=ESP|name=[[সেস্‌ ফ্যাব্রিগাস]]}}
{{Fs player|no= ৫|pos=DF|nat=ESP|name=[[কার্লেস পুইয়োল]]|other=অধিনায়ক}}
{{Fs player|no= ৬|pos=MF|nat=ESP|name=[[জাভি হার্নান্দেজ]]|other=সহ অধিনায়ক}}
{{Fs player|no= ৭|pos=FW|nat=ESP|name=[[ডেভিড ভিয়া]]}}
{{Fs player|no= ৮|pos=MF|nat=ESP|name=[[আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা]]|other=৪র্থ অধিনায়ক}}
{{Fs player|no= ৯|pos=FW|nat=CHI|name=[[অ্যালেক্সিস স্যানচেজ]]}}
{{Fs player|no=১০|pos=FW|nat=ARG|name=[[লিওনেল মেসি]]}}
{{Fs player|no=১১|pos=MF|nat=ESP|name=[[থিয়াগো আলকান্তারা]]}}
{{Fs player|no=১২|pos=MF|nat=MEX|name=[[জনাথান দস সান্তোস]]}}
{{Fs mid}}
{{Fs player|no=১৩|pos=GK|nat=ESP|name=[[হোসে ম্যানুয়েল পিন্তো]]}}
{{Fs player|no=১৪|pos=DF|nat=ARG|name=[[হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো]]}}
{{Fs player|no=১৫|pos=DF|nat=ESP|name=[[মার্ক বার্ত্রা]]}}
{{Fs player|no=১৬|pos=MF|nat=ESP|name=[[সার্জিও বুস্কুয়েটস্]]}}
{{Fs player|no=১৭|pos=FW|nat=ESP|name=[[পেদ্রো রোদ্রিগুয়েজ]]}}
{{Fs player|no=১৮|pos=DF|nat=ESP|name=[[জর্দি আলবা]]}}
{{Fs player|no=১৯|pos=DF|nat=ESP|name=[[মার্তিন মনতয়া]]}}
{{Fs player|no=২১|pos=DF|nat=BRA|name=[[আদ্রিয়ানো করেইয়া]]}}
{{Fs player|no=২২|pos=DF|nat=FRA|name=[[এরিক আবিদাল]]}}
{{Fs player|no=২৫|pos=MF|nat=CMR|name=[[আলেকজান্ডার সং|অ্যালেক্স সং]]}}
{{Fs player|no=৩৭|pos=FW|nat=ESP|name=[[ক্রিস্তিয়ান তেয়ো]]}}
{{Fs end}}
 
===ধারে অন্য দলে===
 
{{fs start}}
{{Fs player|no=—|pos=DF|nat=ESP|name=[[অ্যান্দ্রিউ ফন্তাস]]|other=মায়োর্কাতে ৩০ জুন ২০১৩ পর্যন্ত}}
{{Fs player|no=—|pos=MF|nat=NED|name=[[ইব্রাহীম অ্যাফলে]]|other=শালকে ০৪-এ ৩০ জুন ২০১৩ পর্যন্ত}}
{{Fs player|no=—|pos=FW|nat=ESP|name=[[আইজ্যাক কুয়েঙ্কা]]|other=[[এএফসি আয়াক্স|আয়াক্সে]] ৩০ জুন ২০১৩}}
{{Fs player|no=—|pos=FW|nat=BRA|name=কেইরিসন|other=কর্ডিবাতে ৩০ জুন ২০১৪ পর্যন্ত}}
{{fs end}}
 
==কর্মচারিবৃন্দ==
 
===বর্তমান টেকনিকাল কর্মিবৃন্দ===
 
{{see also|ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ম্যানেজারদের তালিকা}}
[[চিত্র:Tito Vilanova (2012).jpg|thumb|right|220px|বার্সেলোনার বর্তমান ম্যানেজার [[টিটো ভিলানোভা]]]]
১৬ জুলাই ২০১২ অনুসারে,<ref>{{cite web|url=http://www.fcbarcelona.com/football/first-team/detail/article/tito-vilanova-starts-with-new-look-staff|title=Tito Vilanova starts with new look staff|publisher=এফসি বার্সেলোনা|date=১৬ জুলাই ২০১২}}</ref>
 
{| class="wikitable" style="margin: 1em auto 1em auto"
|-
! অবস্থান
! কর্মি
|-
| ম্যানেজার || [[টিটো ভিলানোভা]]
|-
| সহকারী ম্যানেজার || জর্দি রাউরা
|-
| ফিটনেস কোচ || অউরেলি আলতিমিরাজ<br /> পাকো সিরুলো<br />ফ্র্যান্সেস্ক কস<br />এদুয়ার্দো পন্স
|-
| গোলরক্ষকের কোচ || জোসে র‍্যামন দি লা ফুয়েন্তে
|-
| স্কাউটিং || অ্যালেক্স গার্সিয়া<br />দোমেনেচ তরেন্ত<br />কার্লেস প্ল্যানচার্ট
|-
| ফুটবল পরিচালক || আন্দোনি জুবিজারেতা
|-
| একাডেমী পরিচালক || গুইলের্মো আমোর
|-
| বি দলের ম্যানেজার || ইউসেবিও স্যাক্রিস্তান
|}
 
==ব্যবস্থাপনা==
 
{{see also|ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার প্রেসিডেন্টদের তালিকা}}
[[চিত্র:Sandro Rosell - 2010.jpg|thumb|upright=0.6|alt=Photo of Rosell|স্যান্দ্রো রসেল, বার্সেলোনার বর্তমান প্রেসিডেন্ট]]
{| class="wikitable"
|-
!অফিস
!নাম
|-
|প্রেসিডেন্ট
|স্যান্দ্রো রসেল
|-
|সামাজিক বিভাগের সহকারী প্রেসিডেন্ট
|জর্দি ক্যার্দোনের
|-
|খেলাধুলা বিভাগের সহকারী প্রেসিডেন্ট
|ইয়োসেপ বার্তোমেউ
|-
|কর্পোরেট মহাপরিচালক
|অ্যান্তোনি রোসিশ
|-
|বোর্ড সেক্রেটারি
|অ্যান্তোনি ফ্রেইক্সা
|-
|কোষাধ্যক্ষ
|সুজান মোঞ্জে
|-
|সামাজিক বিভাগের পরিচালক
|র‍্যামন পন্ট
|}
 
==তথ্যসূত্র==
{{reflist|2}}
 
==বহিঃসংযোগ==
{{Commonscat|FC Barcelona|এফসি বার্সেলোনা}}
*{{Official website|http://www.fcbarcelona.cat}} {{ca icon}}{{cn icon}}{{en icon}}{{es icon}}{{ja icon}}
*[http://www.lfp.es/Default.aspx?tabid=78&IDParam=5&language=en-GB লা লিঅগায় বার্সেলোনা] {{en icon}}{{es icon}}
*[http://www.uefa.com/teamsandplayers/teams/club=50080/domestic/index.html উয়েফাতে বার্সেলোনা]
*[http://www.futbolme.com/com/equipo.asp?id_equipo=523 Futbolme team profile] {{es icon}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৯৯-এ স্পেনে প্রতিষ্ঠিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:কাতালান প্রতীক]]
[[বিষয়শ্রেণী:কোপা দেল রে বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বার্সেলোনায় ফুটবল ক্লাব]]
[[বিষয়শ্রেণী:জি-১৪ ক্লাব]]
[[বিষয়শ্রেণী:লা লিগার ক্লাব]]
 
{{S-start}}
{{s-ach|aw}}
{{succession box |
| before = {{flagicon|ESP}} [[স্পেন জাতীয় ফুটবল দল]]
| after = ''উত্তরসূরি নেই''
| title = লরেয়াস বর্ষসেরা দল
| years = ২০১১
|}}
{{S-end}}