স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৬ নং লাইন:
স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধের ফলাফল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করা হয় । এই যুদ্ধটি ছিল মানবসভ্যতার সবথেকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ । দুই পক্ষের সম্মিলিত ক্ষতি ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ । স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ নিষ্ঠুরতার জন্য চিহ্নিত হয়ে আছে । জার্মানি স্তালিনগ্রাদ শহরের উপর আক্রমণ করে এরপর শহরের মধ্যেই যু্দ্ধ চলে এবং সোভিয়েত সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে । এবং অবশেষে জার্মানির সিক্সথ আর্মি এবং অন্যান্য অক্ষশক্তির বাহিনীকে সোভিয়েত সেনাবাহিনী ফাঁদে ফেলে এবং শেষে ধ্বংস করে । অক্ষশক্তির এই হার ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার । এই যুদ্ধ জার্মানির পূর্বেকার শক্তিকে দুর্বল করে দেয় এবং এর পর তারা আর কোন বড় ধরণের বিজয় অর্জন করতে পারেনি।
 
১৯৪২ সালের গ্রীষ্মকালের শেষ দিকে প্রবল বোমা বর্ষণের মাধ্যমে এই আক্রমন শুরু হয়। তবে শহরের এই যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত দালান কোঠায় অবস্থান
করা সোভিয়েত যোদ্ধাদের তারা বিতারিত করতে পারেনি। এ কারনে সোভিয়েতদের প্রতিরোধের মুখে তারা শহরের নিয়ন্ত্রন নিতে ব্যর্থ হয়।
 
১৯৪২ সালের ১৯ নভেম্বর রেড আর্মি Operation Uranus অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল জার্মান ষষ্ঠ বাহিনীর ফ্লাঙ্ক গান গুলোকে আগলে রাখা রোমানিয়ান ও হাঙ্গেরিয়ান বাহিনীকে পরাভূত করা। প্রবল লড়াইয়ের পর ফ্লাঙ্ক গান গুলোকে অকার্যকর করা হয় যার ফলশ্রুতিতে জার্মান বাহিনী অরক্ষিত হয়ে পরে। অধিকন্ত শীতকালের তীব্র ঠান্ডায় জার্মান বাহিনী আরও দুর্বল হয়ে পরে। স্তালিনগ্রাদের বৃত্তে বেষ্টিত হয়ে ষষ্ঠ বাহিনী বাহিরের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাহিরের অংশও তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৩ এর ফেব্রুয়ারীর শুরুতে ভেতরে থাকা ষষ্ঠ বাহিনীর সৈন্যরা আত্নসমর্পণ করে।
== বর্হিসংযোগ ==
* [http://www.militaryhistoryonline.com/wwii/stalingrad/default.aspx যুদ্ধটি সম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ]