এভা পেরোন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jashimuddinahmad (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Jashimuddinahmad (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫ নং লাইন:
ইভার মা জুয়ানা আইভার গুরেনের সঙ্গে অপর এক বিবাহিত পুরুষ ক্ষুদে জমিদার জুয়ান দুয়ার্তের অবৈধ যৌনমিলনের ফল ইভা পেরন। গ্রামে থাকলে ইভার ভবিষ্যত নেই বুঝতে পেরে ১৫ বছর বয়সে থিয়েটারে অভিনয়ের আশা নিয়ে তিনি বুয়েনস এইরেসে আসেন। প্রথমদিকে কথার টানে ও আচরণে গ্রাম্যতার জন্য সুবিধে করতে না পারলেও ক্রমে একসময় তিনি রেডিওর একজন নামকরা নাট্য অভিত্রেী হয়ে ওঠেন।
[[১৯৪৬]] সালে জুয়ান পেরন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পরবর্তী ছয়টি বছর ইভা ছিলেন [[পেরনিস্ট পার্টি]]র প্রাথমিক সংস্করণ [[ট্রেড ইউনিয়নের]] শক্তিশালী সংগঠক। প্রথমদিকে তিনি শুধু [[শ্রমিক অধিকার]] নিয়ে কথা বলতেন। ওই সময় তিনি [[শ্রম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের]] পাশাপাশি [[ইভা পেরন ফাউন্ডেশন]] নামের চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নারী অধিকারের শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন। [[নারীবাদী]] হিসেবে আর্জেন্টিনায় প্রথম বৃহৎ পরিসরে পেরনিস্ট পার্টিরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
 
 
==বাল্যকাল==
২৮ ⟶ ২৭ নং লাইন:
===আর্জেন্টিনা ও ল্যাতিন আমেরিকা===
===বিশ্ব সভ্যতা===
==আকর্ষণীয় ফিগার ও ব্যক্তিত্ব==
আর্জেন্টিনীয় মেয়েদের চেয়ে লম্বা ছিলেন তিনি। উচ্চতা ছিলো ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। মধুর রঙের মতো ঘন সোনালি চুল ছিলো আর বড় বড় কালো-পিঙ্গল চোখ। শরীরটা কিছুটা মুটিয়ে গেলেও ফিগার ঠিক রাখার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সচেতন। অতিযতেœর সঙ্গে নিজেকে ফিট রাখতেন ইভা। লখাপড়া ছিলো খুবই সামান্য। জুয়ান পেরনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার মনের উচ্চাশা আরও বেড়ে যায়। ক্ষমতা দখল করে জুয়ান পেরন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট-ডিকটেটর হওয়ার পর, ইভা তাকে ছায়ার মতো সঙ্গ দেন। গতানুগতিক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর মর্যাদার বাইরে তিনি তার গরিব ও নিম্নশ্রেণির জনগণের জন্য কাজ শুরু করেন। রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়ে তিনি ধনিকশ্রেণি ও তার ব্যক্তিগত শত্রুদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেন। পেরন দম্পতির শাসনে আর্জেন্টিনায় কিছু সংস্কারমূলক কর্মসূচি গৃহীত হয়। আর্জেন্টিনাবাসীর স্পেনীয় ভাষায় ইভা যাদেরকে বলতেন, লস দেস শামিসাদস’ বস্ত্রহীন সেই গরিবদের অন্তররাজ্যের সম্রাজ্ঞী হয়ে উঠেন। একদার কৃষককন্যা ইভা তার ভক্ত প্রজাকুলের সামনে দাঁড়াতেন রাজকীয় পোষাক পরে। গায়ে পড়তেন দামি হীরার গহনা। ইভা মেয়েদের ভোটাধিকারের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কথা বলেন। শ্রমিকদের সংগঠিত করে ইভা পেরন ফাউন্ডেশনের’ নামে সরকারি কোষাগারের কোটি কোটি টাকা জনকল্যাণ কর্মসূচিতে (এবং নিজের সুইস ব্যাংক একাউন্টে) ঢালেন; আর এতে গরিব জনগণ তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেয়।
==ইভার ব্যক্তিত্ব==
ইভা বুয়েনেস এইরেসে তার জীবন শুরু করেছিলেন পতিতা হিসেবে। ইভা পরে রেড লাইট ডিসট্রিক্ট’ আইনসঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন। বুয়েনেস এইরেসে তার প্রথম দিনগুলো সম্পর্কে খুব জানা না গেলেও এটা সত্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার মেয়ে তিনি ছিলেন না। একের পর এক প্রভাবশালী লোকের শয্যাশায়িনী হয়েছেন। নগ্ন আলোকচিত্রের জন্য পোজ দিয়েছেন। এসবই তিনি করেছেন প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য।
ব্যক্তিত্বে ইভা ছিলেন রহস্যময়। একদিকে তার যেমন ছিলো মোহনীয় আকর্ষণ, অন্যদিকে ছিলেন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ। যৌনতাকে তিনি ব্যবহার করেছেন সম্পদ ও ক্ষমতা অর্জনের জন্য। আর্জেন্টিনীয় সমাজে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষই ‘অবৈধ জন্ম’ যেমন জন্মে ছিলেন ইভা। কিন্তু এ ব্যাপারে সমাজে সহনশীলতা আছে। তাদেরকে সমাজচ্যুত মনে করা হয় না। তবে এরা সাধারণত নিম্নশ্রেণির এবং ওপরে ওঠার সুযোগ এদের নেই। আর্জেন্টিনীয় সমাজে মেয়েদের মর্যাদাও খুব বেশি নয়। প্রকৃতপক্ষে একজন আর্জেন্টিনীয় মেয়ের একমাত্র সম্পদ হলো তার যৌবন এবং ইভা জানতেন কী করে ওই সম্পদ ব্যবহার করতে হয়? জুয়ান পেরনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি অতীতজীবনের সব সাক্ষ্য মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন ইভা। প্রথম জীবনের সেই সব কথাগুলো অবশ্য গাল-গল্প আকারে সমাজে রয়েছে।
==ইভার জীবনে পরপুরুষ==
==ইভার যৌনসঙ্গম==