উইকিপিডিয়া আলোচনা:ব্যবহারকারীর পাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
Ratnads-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Jayantanth-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{আলাপ পাতা}}
 
"ইতিহাসের মণিকোঠায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ" :
 
প্রচীন পুন্ড সভ্যতার গৌরবান্বিত ইতিহাসখ্যাত মহাস্থানগড়ের আঙ্গিনা ঘেষে পুরান বর্ণিত পূণ্যতয়া নদী করতোয়ার তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী শহর বগুড়া জেলা। ১৯৩৮ সালে বগুড়ার কয়েক জন বিদ্যোৎসাহী এতদঞ্চলের মানুষের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এ উদ্দেশ্যে ১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল বগুড়ায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে একটি অর্গানাইজিং কমিটি গঠিত হয় এবং এ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বগুড়া শহরের উপকণ্ঠে ফুলবাড়ী এলাকায় "বগুড়া কলেজ" নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৯ সালের ২৬ জানুয়ারী নবাব বাড়ীতে সন্ধা ৭ টায় জনাব মোহাম্মাদ আলীর সভাপতিত্বে কলেজ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং এ সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তের অনুলিপি ততকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার ড. এম আজিজুল হকের কাছে পাঠানো হয়। স্যার আজিজুল হক বগুড়ায় এসে কলেজ অনুমোদন সংক্রান্ত দ্বি-পক্ষীয় আলোচনা করেন এবং তিনি অঙ্গীকার করেন যে, এই কলেজের সার্বিক উন্নতির লক্ষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যাবতীয় কাজ করবেন। স্যার এম আজিজুল হকের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় এবং কলেজ অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় এক লক্ষ টাকা মওকুফ করায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত: কলেজের গর্ভনিঙ বডি কলেজের নাম "বগুড়া কলেজ" এর পরিবর্তে "বগুড়া আজিজুল হক কলেজ" নামকরণ করেন। ১৯৩৯ সালের ৯ জুলাই কলেজটির আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরুর মাত্র দুই বছর পর ১৯৪১ সালে এই কলেজে অর্থনীতি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু হয়। ১৯৬৮ সালের ১৫ এপ্রিল কলেজটিকে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ২৩টি বিষয়ে অনার্স এবং ১৯টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সের পাশাপাশি ডিগ্রী পাস কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক বিষয়ে এইচ.এস.সি সহ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স চালু রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ছাত্র-শিক্ষক সমস্বয়ে এই কলেজে "স্বনির্ভর প্রকল্প" নামে একটি স্বনির্ভর আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই প্রকল্পটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এই প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য দেন। বহু দেশ বিদেশী বরেণ্য ব্যক্তি এই প্রকল্প দেখতে এই কলেজে পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রথিতযশ জ্ঞানী-গুণী বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এই কলেজের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন।
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সুসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতো মহান ব্যক্তিত্ব এই কলেজের অধ্যক্ষ পদ অলংকৃত করেন। বর্তমানে কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনার্স ও মাস্টার্স বিষয়ের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত দেশের বৃহত্তম কলেজ। ১৯৬৮ সালের পর থেকে অজ্ঞাত কারণে কলেজের নামের "আজিজুল" বানানটির 'জ' এর পরিবর্তে 'য' দিয়ে লেখা শুরু হয়। গত ১৬ জুন ২০১০ তারিখে কলেজের ষ্টাফ কাউন্সিলের এক সভায় কলেজের নামের বানান 'য' এর পরিবর্তে পূনরায় 'জ' লেখার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
সম্পদনায়: মো: আজিজুল হক (সুমন), অর্থনীতি বিভাগ, সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়া।
মোবাইল ০১৭২৬২৫৬৭৩৯, Email-sumonbd2201@gmail.com
"ব্যবহারকারীর পাতা" প্রকল্প পাতায় ফিরুন।