আব্দুল জলিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪৪ নং লাইন:
দেশে যখন স্বাধীনতার সংগ্রাম জোরদার হতে থাকে তখন আব্দুল জলিল লন্ডনে ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি থেকে দেশে ফিরে আসেন। সে সময় তিনি লন্ডনের লিঁঙ্কনস ইন-এ আইন বিষয়ে পড়াশুনা করছিলেন। আব্দুল জলিল সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলে তিনি নওগাঁ তথা উত্তরাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের একীভূত করতে শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে আব্দুল জলিল নওগাঁ থেকে ৭৪ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তার দলবল নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান এবং বালুরঘাটে আত্রাই নদীর পূর্বতীরে শ্মশানকালী মন্দিরের পার্শ্বে একটি গৃহে অবস্থান গ্রহণ করেন। সেখান থেকে বাঙ্গালীপুর, মধুপুর, কামাড়পাড়া, প্যারিলাসহ ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা করেন। ঐসব ক্যাম্প থেকে হায়ার ট্রেনিং এর জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের শিলিগুড়ির পানিঘাটায় পাঠিয়ে দেওয়ার বিশাল দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ]], [[জয়পুরহাট জেলা|জয়পুরহাট]], [[দিনাজপুর|দিনাজপুর]], [[বগুড়া জেলা|বগুড়া]], [[সিরাজগঞ্জ জেলা|সিরাজগঞ্জ]] ও [[পাবনা জেলা|পাবনার]] অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এসব ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে উত্তরাঞ্চলের জেনারেল হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করেন।<ref>{{cite news|url=http://samakal.net/details.php?news=13&view=archiev&y=2013&m=03&d=07&action=main&option=single&news_id=332123&pub_no=1339|title=আবদুল জলিল আর নেই|publisher=সমকাল|date=৭ মার্চ ২০১৩|accessdate=৯ মার্চ ২০১৩}}</ref> নওগাঁ শহরের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে আব্দুল জলিল চত্বরে তার প্রচেষ্টার নির্মিত হয় বিজয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ। ৭১ ফুট উঁচু এই স্মৃতিস্তম্ভ ১৯৭১-এর স্মৃতি বহন করে।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের শেষ ভাগে। ছাত্রজীবনেই তিনি তৎকালীন বিভিন্ন আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] ঘনিষ্ঠ সহচর। তাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল '''‘নওগাঁর জলিল’''' হিসাবে। আব্দুল জলিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ নং সেক্টরের প্রধান সংগঠক ও যোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭৩, ১৯৮৬,সালে ২০০১স্বাধীন এবংবাংলাদেশের ২০০৮প্রথম সালেনির্বাচনে তিনি নওগাঁ সদর আসনেরআসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন,হন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারীজানুয়ারি, [[বাকশাল]] গঠিত হলে তিনিতাঁকে নওগাঁনওগাঁর গভর্ণরগভর্নরের মনোনীত,দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুরদেওয়া হত্যাকান্ডের পরহয়। ১৯৭৫ থেকেসালের ১৯৮০১৫ সাল পর্যন্ত কারারুদ্ধ ছিলেনআগস্ট, বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২হত্যাকান্ডের সালেপর তিনিতাঁকে নওগাঁগ্রেফতার পৌরসভারকরা ভাইসহয়। চেয়ারম্যান, ১৯৮৪বছর পর ১৯৮৯১৯৭৯ সালে নওগাঁতিনি পৌরসভারমুক্তিলাভ নির্বাচিতকরেন। চেয়ারম্যান১৯৮১ ছিলেন,সালে ১৯৮৬তাঁকে সালেআওয়ামী সংসদেলীগের বিরোধীআন্তর্জাতিক দলীয়বিষয়ক চীপসম্পাদক হুইপকরা ছিলেন,হয়। ১৯৯৮১৯৮২ সালে টেকনোক্র্যাটসামরিক হিসেবেশ্বাসন গণপ্রজাতন্ত্রীজারি বাংলাদেশকরা সরকারেরহলে বানিজ্যমন্ত্রীরতাঁকে দায়িত্বপুনরায় পালনগ্রেফতার করেন।করা তিনিহয়। নওগাঁ১৯৮৩ জেলাসালে তাঁকে আওয়ামী লীগের সাধারণযুগ্ন সম্পাদক,সাধরণ সম্পাদকের ১৯৮১দায়িত্ব সালেদেওয়া হয়। কেন্দ্রীয়১৯৮৪ কমিটিরএবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ১৯৮৩১৯৮৮ সালে যুগ্ম-সম্পাদক,তিনি পরপর ১৯৯৩দু’বার সালনওগাঁ থেকেপৌরসভার ২০০২চেয়ারম্যান সালনির্বাচিত পর্যন্তহন। ১৯৮৬ প্রেসিডিয়ামসালে সদস্য,তিনি ২০০২দ্বিতীয়বারের থেকেমত ২০০৯নওগাঁ সালেরসদর ২৪আসন জুলাইথেকে পর্যন্তসংসদ কেন্দ্রীয়সদস্য কমিটিরনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেনহন এবং মৃত্যুকালেসংসদে কেন্দ্রীয়বিরোধীদলীয় উপদেষ্টাচিফ পরিষদেরহুইপের সদস্যদায়িত্ব ছিলেন।পালন করেন। ১৯৮০’র দশকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।পালন করেন। সে সময় থেকেই বিবিসি রেডিও এবং ভয়েজ অব আমেরিকায় নিয়মিতভাবে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে তার কণ্ঠস্বর শোনা যেত।
 
১৯৯৩ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে ১৯৯৮ সালে তাঁকে টেকনোক্র্যাট কোটায় বানিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০১ এবং ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
 
===ট্রাম্পকার্ড===
৫২ ⟶ ৫৪ নং লাইন:
 
===২০০৭-০৮ সালের ভূমিকা===
২০০৭ সালে ক্ষমতা দখলের পর সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার কিছু প্রশ্নযোগ্য সংস্কার-উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর মধ্যে একটি ছিল 'মাইনাস“মাইনাস টু ফর্মুলা'ফর্মুলা”, যার লক্ষ্য ছিল প্রধান দুই জননেত্রীর অপসারণের মাধ্যমে জাতির বিরাজনীতিকরণ। এই সময় আওয়ামী লীগের যারা সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের কার্যক্রমকে সমর্থন দিয়েছিলেনদেননি তাদের একজন আব্দুল জলিল। এইফলে ভূমিকারতাঁকে জন্যগ্রেফতার পরবর্তীকালেকরা তাঁকেহয়। কারাগারে থাকার সময় তিনি একটি চিঠিতে দলীয় সভানেত্রী [[শেখ হাসিনা]]কে নিয়ে কটূক্তি করায় সমালোচনার মুখে পড়েন, ফলে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ছন্দপতন ঘটতে শুরু করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পদ হারাতেথেকে পদত্যাগ করেন। কাউন্সিলে তাঁকে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য করা হয়। ২০০৮-এর নির্বাচনেরনির্বাচনে বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও জ্যেষ্ঠ দলীয় নেতা আব্দুল জলিলকে মন্ত্রী সভায় নেয়া হয় নি। এই বঞ্চনার মনো:কষ্টমনোঃকষ্ট নিয়েই তাঁকে মৃত্যুবধি সময় কাটাতে হয়েছে।
 
==মৃত্যু==