২০১৩-র শাহবাগ আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Azimcharles (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০ নং লাইন:
| causes = ১৯৭১ সালের [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে]] যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সকলের সর্ব্বোচ্চ সাজা প্রদানের দাবীতে
}}
'''২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন''' (বা শাহবাগ অবরোধ, শাহবাগ গণ-অবরোধ, "[[শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর"]] গণসমাবেশ, যুদ্ধপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলন) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] রাজধানী [[ঢাকা|ঢাকার]] [[শাহবাগ|শাহবাগে]] ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ শুরু হয়। এদিন [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল]] [[১৯৭১]] সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী [[আব্দুল কাদের মোল্লা|আব্দুল কাদের মোল্লার]] বিচারের রায় ঘোষণা করে। কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা, আলুব্দি গ্রামে ৩৪৪ জন মানুষ হত্যা সহ মোট ৬টি অপরাধের ৫টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু এতোগুলো হত্যা, ধর্ষণ, সর্বোপরী গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ মেনে নিতে পারেনি। রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে এবং এর অনুসরণে একসময় দেশটির অনেক স্থানেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।<ref name=reuters-1>{{cite news|title=Protesters demand death for Bangladesh war crimes Islamist|url=http://in.reuters.com/article/2013/02/06/bangladesh-verdict-war-idINDEE9150CS20130206|accessdate=8 February 2013|newspaper=[[Reuters]]|date=6 February, 2013}}</ref><ref name=Alj-1>{{cite news|title=Thousands in Bangladesh war crimes protest|url=http://www.aljazeera.com/news/asia/2013/02/201327181442185887.html|accessdate=8 February 2013|newspaper=[[Aljazeera]]|date=7 February 2013}}</ref>
 
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ২৫শে মার্চ রাতে ও ২৬শে মার্চ ভোর রাত জুড়ে পাকিস্তানী বাহিনী বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত এবং প্রচুর নারীর ধর্ষণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ যুদ্ধে জয়লাভ করে। তবে বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করেছিল, যার মধ্যে ছিল গণহত্যা, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি। যুদ্ধকালীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে একটি আইন তৈরি করা হয় যা ২০০৯ সালে কিছুটা সংশোধন করা হয়। এ আইনের আওতায় ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ এ সকল অপরাধের বিচারের জন্য [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল]] গঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১শে জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার)-কে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।<ref> [http://icsforum.org/mediarchive/2013/01/21/azad-to-be-hanged/ প্রথম রায়ে আযাদের ফাঁসি], ২১ জানুয়ারি ২০১৩, বিডিনিউজ২৪ ডট কম</ref>