মুসা বিন শমসের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Reverted 3 edits by 58.97.152.192 (talk) identified as vandalism to last revision by 58.97.173.231. (TW)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{autobiography|date=জানুয়ারি ২০১৩}}
{{advert|date=জানুয়ারি ২০১৩}}
{{notability|Biographies|date=জানুয়ারি ২০১৩}}
{{Infobox Officeholder
|name = মুসা বিন শমসের
১৭ ⟶ ১৪ নং লাইন:
 
==জন্ম ও শিক্ষা==
ড. মুসা ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম লগ্নে তখন ছিল পূর্ব পাকিস্থান। চার ভাই এবং দুই বোনের মাঝে তিনি পিতা-মাতার তৃতীয় পুত্র সন্তান। তার বাবা শমসের আলী মোল্লা ব্রিটিশ সরকারে স্থানীয় সরকারের বড় কর্মকর্তা ছিলেন এবং একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। বালক মুসা যখন স্কুলে পড়তেন তখন তিনি অন্য সব ছেলে থেকে ভিন্নতর প্রকৃতি সম্পন্ন ছিলেন। তিনি কোন শ্রেণীতে কোন দিন দ্বিতীয় হননি।<ref name="bd-pratidin"></ref><ref name="princemoosa">''[http://www.princemoosa.com/golden_guns_bangla.html বিশ্ব বরেণ্য ধনকুবের]''</ref>
 
==ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড==
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিয়াই হিসেবে পরিচিত মুসা তরুণ বয়সেই ব্যবসা শুরু করেন। তার প্রথম ব্যবসয়িক জীবনে ড্যাটকো নামের এক বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মুসা জনশক্তি রপ্তানিতে দেশের একজন দিকপাল হিসেবে পরিচিত।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিয়াই মুসা তরুণ বয়সেই ব্যবসা শুরু করেন। তার প্রথম ব্যবসয়িক জীবনে ড্যাটকো নামের এক বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মুসা জনশক্তি রপ্তানিতে দেশের একজন দিকপাল হিসেবে পরিচিত।। তিনি প্রিন্স মুসা বা ড. মুসা নামে বিশ্ববিখ্যাত। এ খ্যাতি তার অমিত সম্পদশালী এক ধনকুবের হিসেবে। তবে কেউ জানে না কত তার ধনসম্পদ। হয়তো নিজেও তিনি জানেন না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ধনী তিনি। তার জীবন যাপনের কথা ও কাহিনী দেশে ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছে কিংবদন্তির মতো। লোকের মুখে-মুখেও আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিবরণ। তিনিই প্রথম নিজের জন্য বিশেষভাবে তৈরী ড্রেসে হীরা ও অলঙ্কার ব্যবহার করেছেন। তিনি হীরকখচিত জুতা-ও পছন্দ করেন। বিশেষ বিশেষ পার্টিতে তিনি হীরার জুতা ও কোট ব্যবহার করেন। লন্ডন টেলিগ্রাফ তাকে নিয়ে এর সাড়াজাগানো প্রচ্ছদ কাহিনী রচনা করেছে। পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিনিধি নাইজেল ফার্নডেল ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গানস’ শিরোনামে লিখেছেন, প্রথম সারির আন্তর্জাতিক এ অস্ত্র ব্যবসায়ী পৃথিবীর সর্বত্র, বিশেষ করে পাশ্চাত্যে প্রিন্স অব বাংলাদেশ বলে খ্যাত। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই প্রিন্স মুসাকে বিশ্বের বিভিন্ন মহলে প্রিন্স মুসা বলে অভিহিত করা হয়। ’৮০ দশকে ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক দ্য হিন্দু এবং টাইমস্ অব ইন্ডিয়া তাকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে। ২০০৯ সালে তার ৭০০ কোটি ডলারের (৫৬ হাজার কোটি টাকা ) ব্যাংক হিসাব জব্দ করে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে তা ফিরিয়ে দিতে সুইস কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
২০০৯ সালের ৪ই নভেম্বর বৃটেনের দ্য উইকলি নিউজ ‘গোল্ডফিঙ্গারস্! ম্যান উইথ দ্য মিডাস টাচ ওন্ট জাস্ট রাইট অফ ফ্রোজেন এসেটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। ওই খবরে মুসা বিন শমসেরের বিচিত্র বিলাসবহুল বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক বৃত্তান্ত-বিবরণও দেয়া হয়েছে। তিনি যে রোলেক্স ঘড়িটি ব্যবহার করেন তার দাম ৫০ লাখ ডলার । ওই বিশেষ ঘড়ি মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। তার ইউনিক মন্ট ব্রাঙ্ক কলমের দাম ১০ লাখ ডলার, বেশভূষা অঙ্গসজ্জায় তিনি ব্যবহার করেন ১৬ ক্যারেটের একটি চুনি (র্ববি)-যার দাম ১০ লাখ ডলার। আরও একটি চুনি পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের। এছাড়া পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের একটি হীরা ও এক লাখ ডলার দামের একটি পালৱা (এমেরাল্ড)।
পত্রিকাটি লিখেছে, অস্ত্র ব্যবসা, নির্মাণ শিল্প, জনশক্তি রপ্তানী, আবাসন প্রকল্প ও অভিজাত হোটেল ব্যবসার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ। বিজনেসে টাইকুন ডঃ মুসা বিন শমসেরের হোটেল ব্যবসা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ছাড়িয়ে অষ্ট্রেলিয়া পর্যন্ত
বিস্তৃত। ডঃ মুসা দেশের শিল্প-বাণিজ্যিক সমাজে প্রেরণার মূল উৎস। অন্তত ত্রিশটি দেশে বাণিজ্য পরিচালনা করেন তিনি , সারা দুনিয়ার নজর তিনি প্রথম কাড়েন ১৯৯৪ সালে। তখন বৃটেনের বিরোধী দলের নেতা (পরে প্রধানমন্ত্রী) টনি বেৱয়ারকে ৫০ লাখ পাউন্ড চাঁদা দিতে চেয়েছিলেন ড. মুসা। কিন’ বৈদেশিক চাঁদা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন টনি। পত্রিকাটি আরও লিখেছে, মুসা বিন শমসের সব সময় সবচেয়ে সেরা জিনিস ব্যবহার পছন্দ করেন। প্রতিদিন তিনি গোসল করেন গোলাপ পানিতে। নিত্য দিনের চলাফেরায় অথবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে অঙ্গসজ্জা ও বেশভূষায় তিনি ৭০ লাখ ডলারের কম মূল্যের গহনা-অলঙ্কার করেন না। আইরিশ ডেইলি মিরর গত ৯ই নভেম্বর ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন পেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূসা বিন শমসের একবার তার ইউরোপিয়ান সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহারের জন্য কিলকেনি দুর্গ কিনতে চেয়েছিলেন। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, ছয়জন দুর্ধর্ষ দেহরৰী ছাড়া তিনি কোথাও যান না, চলাফেরা করেন না আমার জানামতে প্রিন্স মুসা আইনসঙ্গতভাবে কোন প্রিন্স নন, কিন্তু তার চালচলন সব প্রিন্সদের মতই। রাজকীয় পরিসর এবং পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার তাকে প্রিন্সের মর্যাদাই দিয়ে থাকেন।
বিলিয়নিয়র এই অস্ত্র ব্যবসায়ীর রহস্যময় কিন্তু চমৎকার ভূবনে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন লন্ডনের দৈনিক সানডে টেলিগ্রাফ ম্যাগাজিনের সাংবাদিক নাইজেল ফার্নডেল। তিনি একান্তভাবে ডঃ মুসা বিন শমশের এর বিস্ময়কর জীবন নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন এবং তাঁর বাস্তব জীবনের বর্ণিল ঘটনাপুঞ্জ নিয়ে কাব্যোচিত এক চমৎকার উপাখ্যান রচনা করেছেন।
রূপকথার এক মহা নায়কের মতই প্রিন্স মুসার বর্ণিল জীবন ও বিস্ময়কর সব কর্মধারা। এ উপমহাদেশে তিনি শীর্ষ স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি। পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর অন্যতম ভূ-ভাগ বাংলাদেশে তাঁর বাস। যিনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন বেশিরভাগ ট্যাঙ্ক, যুদ্ধ-বিমান-আই.সি.বি.এম. এর মত সমরাস্ত্রের ব্যবসা চালিয়ে। ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক সূত্রে জেনেছি যে, ১৯৮৮ সালে ডঃ মুসা অর্থনীতিতে পিএইচ-ডি ডিগ্রী অর্জন করলে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাসহ পশ্চিমা দেশের প্রায় সব রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে ডঃ মূসা এক অতি সম্মানিত ও আদৃত ব্যক্তিত্ব। এশিয়ার অনেক দেশেই তাঁর এমনি মর্যাদাবান অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশ আজ গৌরবান্বিত যে, লন্ডন, মস্কো, ওয়াশিংটনে বসে শক্তিধর যাঁরা বিশ্ব-ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁদের সবাই এই বিরল বঙ্গ সন্তানের একান্ত বন্ধু ও অনুরাগী। ডঃ মুসা বিন শমসের পৃথিবীর সব অতি শক্তিধর রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক মহৎ ব্যক্তিবর্গ ও চলতি জগতের রাজন্যবর্গের অতি প্রিয় সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হয়ে তাদের মহান সানি্নধ্যে চলে আসেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বব ডোলকে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত গালফ-ইস্টিম জেট বিমানটি নির্বাচনী প্রচারণার সাহায্যার্থে ধার দিয়েছিলেন। যদিও ডোল নির্বাচনে জয়ী হননি। প্রিন্স মূসাকে বিশ্বের ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলো বেশ কয়েকবার বেস্ট ড্রেস্ড ম্যান অব দ্যা ওয়ার্ল্ড হিসাবে আখ্যায়িত করেছে
 
==রাজাকার গুজব==
মুসা বিন শমশেরের বিরুদ্ধে রাজাকারের অভিযোগ আনা হলে তিনি বলেছেন,তা তিনি কখনোই রাজাকার ছিলেন না। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগই তাকে রাজাকার হিসেবে বলে আসছে এবং বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ফরিদপুরের একজন নেতা ছিলেন। নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের কোন্দলের শিকার হয়েপ্রত্যাখ্যান পড়েন।করেছেন। তার প্রতি ঈর্ষান্বিত অনেক উঠতি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধসহ নানা প্রকার গুজব ছড়ায়।ছড়ায় বলে তিনি ৮ মাস পাকিস্তানিদের সঙ্গে ছিলেন। তবে তাদের ক্যাম্পে বন্দি অবস্থায়। ৯ ডিসেম্বর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে চিকিত্সা শেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগউল্লেখ করেন।করেছেন।<ref name="amardeshonline">''[http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/25/29066#.UO0Um3f_-yQ বন্দর দিবসে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান : প্রতিবেশী দেশকে ট্রানজিট দেয়ার প্রস্তুতি চলছে]'',চট্টগ্রাম ব্যুরো, দৈনিক আমার দেশ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৫-০৪-২০১০ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
 
==তথ্যসূত্র==